কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৫. নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২৬
রমযান মাসে রাতের ইবাদত
১৩২৬। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অবিচল ঈমান ও সাওয়াবের প্রত্যাশায় রমযানের সওম পালন করে এবং রাতে তারাবীহর সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .
হাদীস নং:১৩২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২৭
রমযান মাসে রাতের ইবাদত
১৩২৭। মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল মালিক ইবন আবু শাওয়ারিব (রাহঃ) ........আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে সিয়াম পালন করলাম। তিনি আমাদের নিয়ে রাতে কোন নফল ইবাদত করেননি, এমন কি রমযানের মাত্র সাতটি রাত বাকী থাকে। সপ্তম রাতে তিনি আমাদের নিয়ে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় সালাত আদায় করেন। এরপর ষষ্ঠ রাতে তিনি সালাত আদায় করেন নি। তারপর পঞ্চম রাতে তিনি আমাদের নিয়ে প্রায় অর্ধরাত সময় পর্যন্ত সালাত আদায় করেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)! এ রাতের অবশিষ্ট অংশও যদি আপনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করতেন! তখন তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের সাথে সালাত আদায় করে ফিরে আসে, সে সারা রাত সালাত আদায়ের সমান সাওয়াব পায়। এরপর তিনি চতুর্থ রাতে কোন সালাত আদায় করেন নি। এরপর তৃতীয় রাত এলে, তিনি তাঁর স্ত্রীদের পরিবার-পরিজনদের একত্রিত করেন এবং লোকেরাও সমবেত হয়। রাবী বলেনঃ তিনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তিনি আমাদের নিয়ে এত দীর্ঘ সময় সালাত আদায় করলেন যে, আমরা কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করলাম। আবু যার (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হলোঃ কল্যাণ কি? তিনি বললেনঃ সাহরী (ভোর রাতের খাবার)। এরপর তিনি আমাদের নিয়ে মাসের অবশিষ্ট রাতগুলোতে আর কোন নফল সালাত আদায় করেন নি।
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنْهُ حَتَّى بَقِيَ سَبْعُ لَيَالٍ فَقَامَ بِنَا لَيْلَةَ السَّابِعَةِ حَتَّى مَضَى نَحْوٌ مِنْ ثُلُثِ اللَّيْلِ ثُمَّ كَانَتِ اللَّيْلَةُ السَّادِسَةُ الَّتِي تَلِيهَا فَلَمْ يَقُمْهَا حَتَّى كَانَتِ الْخَامِسَةُ الَّتِي تَلِيهَا ثُمَّ قَامَ بِنَا حَتَّى مَضَى نَحْوٌ مِنْ شَطْرِ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِنَا هَذِهِ . فَقَالَ " إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ فَإِنَّهُ يَعْدِلُ قِيَامَ لَيْلَةٍ " . ثُمَّ كَانَتِ الرَّابِعَةُ الَّتِي تَلِيهَا فَلَمْ يَقُمْهَا حَتَّى كَانَتِ الثَّالِثَةُ الَّتِي تَلِيهَا . قَالَ فَجَمَعَ نِسَاءَهُ وَأَهْلَهُ وَاجْتَمَعَ النَّاسُ . قَالَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ . قِيلَ وَمَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ . قَالَ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنْ بَقِيَّةِ الشَّهْرِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩২৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২৮
রমযান মাসে রাতের ইবাদত
১৩২৮। 'আলী ইবন মুহাম্মাদ ও ইয়াহ্ইয়া ইবন হাকিম (রাযিঃ)..... নাযর ইবন শায়বান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আবু সালামা ইবন আব্দুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে বললাম, আপনি আপনার পিতা থেকে রমযান মাস সম্পর্কে যে হাদীস শুনেছেন, তা আমার নিকট বর্ণনা করুন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমার পিতা আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযান সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেনঃ রমযান এমন মাস, আল্লাহ্ তোমাদের উপর তাঁর সিয়াম ফরয করেছেন এবং আমি তোমাদের উপর রমযানের সিয়াম (তারাবীহ) সুন্নত সাব্যস্ত করেছি। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের আশায় এ মাসে সিয়াম ও কিয়াম পালন করবে, সে তার গুনাহ থেকে এমনভাবে মুক্ত হবে, যেন আজ তার মা তাকে প্রসব করেছে।
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَالْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، قَالَ لَقِيتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقُلْتُ حَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ، سَمِعْتَهُ مِنْ، أَبِيكَ يَذْكُرُهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ . قَالَ نَعَمْ . حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَكَرَ شَهْرَ رَمَضَانَ فَقَالَ " شَهْرٌ كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ وَسَنَنْتُ لَكُمْ قِيَامَهُ فَمَنْ صَامَهُ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: