কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট) - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২
আন্তর্জাতিক নং: ১২
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মর্যাদা দান এবং যে এর বিরোধিতা করে, তার প্রতি কঠোরতা ।
১২। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অদূর ভবিষ্যতে এক ব্যক্তি তার খাটের উপর আসনে ঠেস দিয়ে বসে থাকবে এবং তার কাছে আমার হাদীস বর্ণনা করা হবে। তখন সে বলবেঃ আমাদের ও তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহর কিতাব রয়েছে। সুতরাং এর মাঝে আমরা যা কিছু হালাল পাব, তাকেই আমরা হালাল মনে করব, আর এর মাঝে আমরা যা কিছু হারাম পাব, আমরা তাকেই হারাম বলে গণ্য করব। (তিনি আরো বলেন :) জেনে রাখ। নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যা কিছু হারাম করেছেন, তা আল্লাহ কর্তৃক হারামকৃত বস্তুরই অনুরূপ।
بَاب تَعْظِيمِ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَالتَّغْلِيظِ عَلَى مَنْ عَارَضَه
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ جَابِرٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ الْكِنْدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " يُوشِكُ الرَّجُلُ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يُحَدَّثُ بِحَدِيثٍ مِنْ حَدِيثِي فَيَقُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَمَا وَجَدْنَا فِيهِ مِنْ حَلاَلٍ اسْتَحْلَلْنَاهُ وَمَا وَجَدْنَا فِيهِ مِنْ حَرَامٍ حَرَّمْنَاهُ . أَلاَ وَإِنَّ مَا حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِثْلُ مَا حَرَّمَ اللَّهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মর্যাদা দান এবং যে এর বিরোধিতা করে, তার প্রতি কঠোরতা ।
১৩। নাসার ইবন আলী জাহযামী ( র )...... আবু রাফি ( রা ) থেকে বর্ণিত । রাসুলুল্লাহ (সা ) বলেছেনঃ আমি যেন তোমাদের মাঝে কাউকে এমন না পাই যে, সে তার খাটের উপর ঠেস দিয়ে বসে থাকবে। আর আমি যা আদেশ দিয়েছি অথবা যা থেকে নিষেধ করেছি, তা তার কাছে পৌঁছলে সে তখন বলবে এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না, আমরা আল্লাহর কিভাবে যা পেয়েছি, তারই অনুসরণ করি।
بَاب تَعْظِيمِ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَالتَّغْلِيظِ عَلَى مَنْ عَارَضَه
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، فِي بَيْتِهِ أَنَا سَأَلْتُهُ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، ثُمَّ مَرَّ فِي الْحَدِيثِ قَالَ أَوْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يَأْتِيهِ الأَمْرُ مِمَّا أَمَرْتُ بِهِ أَوْ نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي مَا وَجَدْنَا فِي كِتَابِ اللَّهِ اتَّبَعْنَاهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মর্যাদা দান এবং যে এর বিরোধিতা করে, তার প্রতি কঠোরতা ।
১৪। আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ ইবন 'উসমান উসমানী (রাহঃ). "আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আমাদের এ দ্বীনের মাঝে যদি কেউ এমন কিছু উদ্ভাবন করে, যা এর থেকে নয়, তা পরিত্যজ্য ।
بَاب تَعْظِيمِ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَالتَّغْلِيظِ عَلَى مَنْ عَارَضَه
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মর্যাদা দান এবং যে এর বিরোধিতা করে, তার প্রতি কঠোরতা ।
১৫।মুহাম্মাদ ইবন রুমহ ইবন মুহাজির মিসরী (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা এক আনসারী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সামনে যুবায়র (রাযিঃ)-এর সংগে খেজুর বাগানে পানি ১৬ সরবরাহ নিয়ে ঝগড়া করল। আনসারী বলল, পানি প্রবাহিত হতে দাও। কিন্তু তিনি (যুবায়র) এসে অস্বীকৃতি জানালেন। তাঁরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট অভিযোগ পেশ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে যুবায়র! নিজের বাগানে পানি দেওয়ার পরে তোমার প্রতিবেশীর জন্য পানি ছেে দাও। কথা শুনে আনসারী রাগান্বিত হয়ে বলল : ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)! আপনার ফুফাত ভাই হওয়ার। কারণে এরূপ (ফায়সালা দিলেন)? এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। এরপর তিনি। বললেন, হে যুবায়র! নিজের বাগানে পানি দাও। এরপর তা বন্ধ করে দাও। যতক্ষণ না তা বৃক্ষমূলে পৌঁছে। রাবী বলেন, তখন যুবায়র (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমার মনে হয়, নিম্নোক্ত আয়াতটি এ ঘটনাকে উপলক্ষ করেই নাযিল হয়েছে,
فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
“কিন্তু না তোমার প্রতিপালকের কসম! তারা মু'মিন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার ভার তোমার উপর অর্পণ না করে। অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তঃকরণে তারা তা মেনে না নেয়।" (৪ঃ ৬৫)
فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
“কিন্তু না তোমার প্রতিপালকের কসম! তারা মু'মিন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার ভার তোমার উপর অর্পণ না করে। অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তঃকরণে তারা তা মেনে না নেয়।" (৪ঃ ৬৫)
بَاب تَعْظِيمِ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَالتَّغْلِيظِ عَلَى مَنْ عَارَضَه
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ . فَأَبَى عَلَيْهِ فَاخْتَصَمَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ " . فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثُمَّ قَالَ " يَا زُبَيْرُ اسْقِ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ " . قَالَ فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسَبُ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ (فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا) .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মর্যাদা দান এবং যে এর বিরোধিতা করে, তার প্রতি কঠোরতা ।
১৬। মুহাম্মাদ ইব্ন ইয়াহইয়া নিশাপুরী (রাহঃ) ইবন 'উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহর বান্দীদের (মহিলাদের) মসজিদে সালাত আদায় করতে মানা করো না। তখন ইবন 'উমর (রাযিঃ)-এর এক পুত্র বললেনঃ আমরা অবশ্যই তাদের নিষেধ করব। রাবী বলেন ঃ এতে তিনি ভয়ানক রাগান্বিত হয়ে বললেন : আমি তোমার নিকট রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাদীস বর্ণনা, করছি, অথচ তুমি বলছ যে, আমরা অবশ্যই তাদের নিষেধ করব?
بَاب تَعْظِيمِ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَالتَّغْلِيظِ عَلَى مَنْ عَارَضَه
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ تَمْنَعُوا إِمَاءَ اللَّهِ أَنْ يُصَلِّينَ فِي الْمَسْجِدِ " . فَقَالَ ابْنٌ لَهُ إِنَّا لَنَمْنَعُهُنَّ . فَقَالَ فَغَضِبَ غَضَبًا شَدِيدًا وَقَالَ إِنِّي أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَإِنَّكَ تَقُولُ إِنَّا لَنَمْنَعُهُنَّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মর্যাদা দান এবং যে এর বিরোধিতা করে, তার প্রতি কঠোরতা ।
১৭। আহমদ ইবন সাবিত জাহদারী ও আবু 'আমর হাফস ইবন উমর (রাহঃ)আব্দুল্লাহ্ ইবন মুগাফ্ফাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা তাঁর কাছে তাঁর এক ভাতিজা বসা ছিল। সে তখন কংকর নিক্ষেপ করছিল। তিনি তাকে তা থেকে নিষেধ করলেন এবং বললেন ঃ রসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কাজ থেকে নিষেধ করেছেন । তিনি আরো বললেন ঃ এতে না শিকার করা হয়, আর না শত্রু পরাভূত হয়, বরং এতো দাঁত ভেঙে দেয় অথবা চক্ষু নষ্ট করে দেয়। রাবী বলেনঃ তার ভাইপো পুনরায় পাথর নিক্ষেপ করলে তিনি [ইব্ন মুগাফ্ফাল (রাযিঃ)] বলেন ঃ আমি তোমাকে হাদীস শুনাচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এরূপ করতে নিষেধ করেছেন । অথচ তুমি এরপরও কংকর নিক্ষেপ করছ? আমি তোমার সাথে আর কখনও কথা বলব না।
بَاب تَعْظِيمِ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَالتَّغْلِيظِ عَلَى مَنْ عَارَضَه
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَأَبُو عُمَرَ حَفْصُ بْنُ عَمْرٍو قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا إِلَى جَنْبِهِ ابْنُ أَخٍ لَهُ فَخَذَفَ فَنَهَاهُ وَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنْهَا وَقَالَ " إِنَّهَا لاَ تَصِيدُ صَيْدًا وَلاَ تَنْكِي عَدُوًّا وَإِنَّهَا تَكْسِرُ السِّنَّ وَتَفْقَأُ الْعَيْنَ " . قَالَ فَعَادَ ابْنُ أَخِيهِ يَخْذِفُ فَقَالَ أُحَدِّثُكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنْهَا ثُمَّ عُدْتَ تَخْذِفُ لاَ أُكَلِّمُكَ أَبَدًا .
হাদীস নং:১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মর্যাদা দান এবং যে এর বিরোধিতা করে, তার প্রতি কঠোরতা ।
১৮। হিশাম ইবন 'আম্মার (রাহঃ) কা'বীসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উবাদা ইবন সামিত আনসারী (রাযিঃ) যিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথী ও নকীব ছিলেন। তিনি মু'আবিয়া (রাযিঃ)-এর সংগে রোমের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তখন তিনি লোকদের মধ্যে দৃষ্টিপাত করে দেখতে পান যে, তারা সোনার টুকরাকে দীনারের পরিবর্তে এবং রূপার টুকরাকে দিরহামের পরিবর্তে ক্রয়-বিক্রয় করছে। তিনি বললেনঃ হে লোক সকল! বস্তুতঃ তোমরা তো (এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে) সুদ খাচ্ছো। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা সোনার বিনিময়ে সোনা ক্রয়-বিক্রয় করো না, তবে যদি তা সমান সমান হয়, কিন্তু উভয়ের মাঝে অতিরিক্ত থাকবে না এবং বাকীতেও হবে না। তখন মু'আবিয়া (রাযিঃ) তাকে বললেন ঃ হে আবু ওয়ালীদ! আমি তো এতে সুদের কোন কিছু দেখছি না, তবে যদি এতে লেন-দেন বাকীতে হয়। তখন 'উবাদা (রাযিঃ) বললেনঃ আমি তোমার নিকট রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাদীস বর্ণনা করছি, অথচ তুমি আমার নিকট তোমার অভিমত পেশ করছো! আল্লাহ্ যদি আমাকে (এখান থেকে) প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দান করেন, তাহলে আমি তোমার সংগে এমন যমীনে বসবাস করব না, যেখানে তোমার কর্তৃত্ব আমার উপর থাকবে। অতঃপর যখন তিনি (যুদ্ধ থেকে) প্রত্যাবর্তন করে মদীনায় পৌঁছলেন, তখন 'উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) তাঁকে বললেন : হে আবুল ওয়ালীদ! কিসে তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছে? তখন তিনি তাঁর নিকট সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন এবং সেখানে তার বসবাস না করার কারণও ব্যক্ত করলেন। তখন 'উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন : হে আবুল ওয়ালীদ! তুমি তোমার দেশে ফিরে যাও। কেননা, যে যমীনে তুমি ও তোমার মত মানুষ অবস্থান করবে না, সেখানে আল্লাহ্ গযব নাযিল করবেন। আর তিনি মু'আবিয়া (রাযিঃ)-এর কাছে লিখলেনঃ এঁর [উবাদা (রাযিঃ)] উপর তোমার কোন কর্তৃত্ব থাকলো না। আর তিনি যা কিছু বলেন, জনসাধারণকে তা অনুসরণ করার নির্দেশ দাও। কেননা এটাই বিধান।
بَاب تَعْظِيمِ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَالتَّغْلِيظِ عَلَى مَنْ عَارَضَه
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي بُرْدُ بْنُ سِنَانٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ قَبِيصَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ الأَنْصَارِيَّ النَّقِيبَ، صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ غَزَا مَعَ مُعَاوِيَةَ أَرْضَ الرُّومِ فَنَظَرَ إِلَى النَّاسِ وَهُمْ يَتَبَايَعُونَ كِسَرَ الذَّهَبِ بِالدَّنَانِيرِ وَكِسَرَ الْفِضَّةِ بِالدَّرَاهِمِ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَأْكُلُونَ الرِّبَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " لاَ تَبْتَاعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ إِلاَّ مِثْلاً بِمِثْلٍ لاَ زِيَادَةَ بَيْنَهُمَا وَلاَ نَظِرَةَ " . فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ يَا أَبَا الْوَلِيدِ لاَ أَرَى الرِّبَا فِي هَذَا إِلاَّ مَا كَانَ مِنْ نَظِرَةٍ . فَقَالَ عُبَادَةُ أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَتُحَدِّثُنِي عَنْ رَأْيِكَ لَئِنْ أَخْرَجَنِي اللَّهُ لاَ أُسَاكِنْكَ بِأَرْضٍ لَكَ عَلَىَّ فِيهَا إِمْرَةٌ . فَلَمَّا قَفَلَ لَحِقَ بِالْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مَا أَقْدَمَكَ يَا أَبَا الْوَلِيدِ فَقَصَّ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ وَمَا قَالَ مِنْ مُسَاكَنَتِهِ فَقَالَ ارْجِعْ يَا أَبَا الْوَلِيدِ إِلَى أَرْضِكَ فَقَبَحَ اللَّهُ أَرْضًا لَسْتَ فِيهَا وَأَمْثَالُكَ . وَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ لاَ إِمْرَةَ لَكَ عَلَيْهِ وَاحْمِلِ النَّاسَ عَلَى مَا قَالَ فَإِنَّهُ هُوَ الأَمْرُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৯
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মর্যাদা দান এবং যে এর বিরোধিতা করে, তার প্রতি কঠোরতা ।
১৯। আবু বকর ইবন খাল্লাদ বাহিলী (রাযিঃ) .........আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃ আমি যখন তোমাদের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কোন হাদীস বর্ণনা করি, তখন তোমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পদমর্যাদা, ধার্মিকতা এবং আল্লাহ্-ভীতির প্রতি লক্ষ্য রাখবে।
بَاب تَعْظِيمِ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَالتَّغْلِيظِ عَلَى مَنْ عَارَضَه
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ الْخَلاَّدِ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، أَنْبَأَنَا عَوْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَظُنُّوا بِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الَّذِي هُوَ أَهْنَاهُ وَأَهْدَاهُ وَأَتْقَاهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২১
আন্তর্জাতিক নং: ২১
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মর্যাদা দান এবং যে এর বিরোধিতা করে, তার প্রতি কঠোরতা ।
২১। আলী ইবন মুনযির (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি এমন লোকদের পরিচয় তুলে ধরছি, যখন তোমাদের কারও কাছে আমার থেকে হাদীস বর্ণনা করা হবে এবং বর্ণনাকারী তার খাটের উপর ঠেস দিয়ে বসে থাকবে এবং বলবে : কুরআন পাঠ কর। যখন কোন উত্তম কথা বলা হয় তখন (মনে করবে যে,) আমি নিজেই তা বলছি।।
بَاب تَعْظِيمِ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَالتَّغْلِيظِ عَلَى مَنْ عَارَضَه
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، حَدَّثَنَا الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ " لاَ أَعْرِفَنَّ مَا يُحَدَّثُ أَحَدُكُمْ عَنِّي الْحَدِيثَ وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلَى أَرِيكَتِهِ فَيَقُولُ اقْرَأْ قُرْآنًا . مَا قِيلَ مِنْ قَوْلٍ حَسَنٍ فَأَنَا قُلْتُهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান