কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৫১. বিভিন্ন (হালাল-হারাম) পানীয়ের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৫৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৪০
মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে
আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ধারণী তীর-এ সমস্তই ঘৃণ্য বস্তু এবং শয়তানের কাজ, সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শক্রতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর যিক্র ও নামাযে বাঁধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না? (সূরা মায়িদাঃ ৯০-৯১)
আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ধারণী তীর-এ সমস্তই ঘৃণ্য বস্তু এবং শয়তানের কাজ, সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শক্রতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর যিক্র ও নামাযে বাঁধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না? (সূরা মায়িদাঃ ৯০-৯১)
৫৫৩৯. আবু বকর ইবনে আহমদ (রাহঃ) ......... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে আয়াত নাযিল হলো, তখন উমর (রাযিঃ) দুআ করলেনঃ হে আল্লাহ! মদ সম্পর্কে আমাদেরকে স্পষ্ট আদেশ দান করুন। তখন সূরা বাকারার আয়াত নাযিল হলো। উমর (রাযিঃ)-কে ডেকে ঐ আয়াত পড়ে শোনানো হলো। তিনি দুআ করলেনঃ হে আল্লাহ্! মদ সম্পর্কে আমাদেরকে পরিষ্কার আদেশ দান করুন।
তখন সূরা নিসা-এর আয়াত নাযিল হলোঃ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى) অর্থাৎ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশা অবস্থায় নামাযের নিকটেও যাবে না।” এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পক্ষ হতে একজন আহবানকারী নামাযের সময় বলতোঃ তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটবর্তী হয়াে না। উমর (রাযিঃ)-কে ডেকে এই আয়াত পড়ে শুনানো হলো। তিনি পুনরায় দুআ করলেনঃ হে আল্লাহ্! মদ সম্পর্কে আমাদের জন্য পরিষ্কার হুকুম নাযিল করুন।
তারপর যখন সূরা মায়িদার আয়াত নাযিল হলো, তখন উমর (রাযিঃ)-কে ডেকে তা শুনানো হলো। যখন তিলাওয়াতকারী ঐ আয়াতের (فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ) পর্যন্ত পৌছলেন, তখন উমর (রাযিঃ) বলে উঠলেনঃ আমরা নিবৃত্ত হলাম, আমরা নিবৃত্ত হলাম।
তখন সূরা নিসা-এর আয়াত নাযিল হলোঃ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى) অর্থাৎ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশা অবস্থায় নামাযের নিকটেও যাবে না।” এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পক্ষ হতে একজন আহবানকারী নামাযের সময় বলতোঃ তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটবর্তী হয়াে না। উমর (রাযিঃ)-কে ডেকে এই আয়াত পড়ে শুনানো হলো। তিনি পুনরায় দুআ করলেনঃ হে আল্লাহ্! মদ সম্পর্কে আমাদের জন্য পরিষ্কার হুকুম নাযিল করুন।
তারপর যখন সূরা মায়িদার আয়াত নাযিল হলো, তখন উমর (রাযিঃ)-কে ডেকে তা শুনানো হলো। যখন তিলাওয়াতকারী ঐ আয়াতের (فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ) পর্যন্ত পৌছলেন, তখন উমর (রাযিঃ) বলে উঠলেনঃ আমরা নিবৃত্ত হলাম, আমরা নিবৃত্ত হলাম।
بَاب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ
قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمْ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنْ الصَّلَاةِ فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ
قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمْ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنْ الصَّلَاةِ فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ السُّنِّيُّ قِرَاءَةً عَلَيْهِ فِي بَيْتِهِ قَالَ أَنْبَأَنَا الْإِمَامُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَحْمَدُ بْنُ شُعَيْبٍ النَّسَائِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى قَالَ أَنْبَأَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي مَيْسَرَةَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ لَمَّا نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ قَالَ عُمَرُ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شَافِيًا فَنَزَلَتْ الْآيَةُ الَّتِي فِي الْبَقَرَةِ فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ عُمَرُ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شَافِيًا فَنَزَلَتْ الْآيَةُ الَّتِي فِي النِّسَاءِ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى فَكَانَ مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَقَامَ الصَّلَاةَ نَادَى لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شَافِيًا فَنَزَلَتْ الْآيَةُ الَّتِي فِي الْمَائِدَةِ فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ فَلَمَّا بَلَغَ فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ انْتَهَيْنَا انْتَهَيْنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান