কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৪৯. আদালত - বিচারকের নীতিমালা সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৪১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪১৩
মীমাংসার জন্য বিচারক কর্তৃক প্রজার নিকট গমন
৫৪১২. মুহাম্মাদ ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ সাঈদী (রাযিঃ) বলেন, আনসারদের দুই গোত্রের মধ্যে বচসা হলে তারা একে অন্যের প্রতি প্রস্তর নিক্ষেপ করলো। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের উভয়ের মধ্যে মীমাংসা করানোর জন্য তথায় গমন করেন। এমন সময় নামাযের সময় হলে বিলাল (রাযিঃ) আযান দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর অপেক্ষায় রইলেন। কিন্তু তিনি তথায় আটকে গেলেন। শেষে বিলাল (রাযিঃ) ইকামত বললেন এবং ইমামতির জন্য আবু বকর (রাযিঃ) সামনে গেলেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আগমন করলেন। আবু বকর (রাযিঃ) নামাযে ইমামতি করছিলেন। লোক তাঁকে দেখে হাতে তালি দিয়ে শব্দ করলো। আবু বকর (রাযিঃ) নামাযে কোনদিকে ভ্রুক্ষেপ করতেন না। কিন্তু তিনি যখন সকলের হাতের শব্দ শুনলেন, তখন লক্ষ্য করে দেখলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আগমন করেছেন। কাজেই তিনি পেছনে সরে আসতে চাইলেন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে স্থির থাকতে ইঙ্গিত করলেন। আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করে আল্লাহর শোকর আদায় করলেন এবং তিনি উল্টো পায়ে পেছনে সরে আসলেন। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সমনে এগিয়ে গিয়ে নামাযে ইমামতি করলেন। তিনি নামায শেষে আবু বকর (রাযিঃ)-কে বললেন, আপনি স্বীয় স্থানে অবস্থান করলেন না কেন? অবূ বকর (রাযিঃ) বললেনঃ এটা কিরূপে সম্ভব যে, আল্লাহ্ তাআলা আবু কুহাফার পুত্রকে স্বীয় নবীর সামনে দেখবেন। এরপর তিনি জনসাধারণের দিকে মুখ করে বললেনঃ তোমাদের অবস্থা কী? তোমরা যখন নামাযে কোন ঘটনা ঘটে, তখন তোমরা নারীদের ন্যায় কেন হাতে তালি দাও? এতো নারীদের জন্য। যখন নামাযে কারো কোন ঘটনা ঘটে, তখন সে যেন বলে, সুবহানাল্লাহ।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে স্থির থাকতে ইঙ্গিত করলেন। আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করে আল্লাহর শোকর আদায় করলেন এবং তিনি উল্টো পায়ে পেছনে সরে আসলেন। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সমনে এগিয়ে গিয়ে নামাযে ইমামতি করলেন। তিনি নামায শেষে আবু বকর (রাযিঃ)-কে বললেন, আপনি স্বীয় স্থানে অবস্থান করলেন না কেন? অবূ বকর (রাযিঃ) বললেনঃ এটা কিরূপে সম্ভব যে, আল্লাহ্ তাআলা আবু কুহাফার পুত্রকে স্বীয় নবীর সামনে দেখবেন। এরপর তিনি জনসাধারণের দিকে মুখ করে বললেনঃ তোমাদের অবস্থা কী? তোমরা যখন নামাযে কোন ঘটনা ঘটে, তখন তোমরা নারীদের ন্যায় কেন হাতে তালি দাও? এতো নারীদের জন্য। যখন নামাযে কারো কোন ঘটনা ঘটে, তখন সে যেন বলে, সুবহানাল্লাহ।
مَصِيرُ الْحَاكِمِ إِلَى رَعِيَّتِهِ لِلصُّلْحِ بَيْنَهُمْ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ يَقُولُ وَقَعَ بَيْنَ حَيَّيْنِ مِنْ الْأَنْصَارِ كَلَامٌ حَتَّى تَرَامَوْا بِالْحِجَارَةِ فَذَهَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُصْلِحَ بَيْنَهُمْ فَحَضَرَتْ الصَّلَاةُ فَأَذَّنَ بِلَالٌ وَانْتُظِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحْتُبِسَ فَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فَلَمَّا رَآهُ النَّاسُ صَفَّحُوا وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لَا يَلْتَفِتُ فِي الصَّلَاةِ فَلَمَّا سَمِعَ تَصْفِيحَهُمْ الْتَفَتَ فَإِذَا هُوَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ أَنْ يَتَأَخَّرَ فَأَشَارَ إِلَيْهِ أَنْ اثْبُتْ فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَعْنِي يَدَيْهِ ثُمَّ نَكَصَ الْقَهْقَرَى وَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ قَالَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَثْبُتَ قَالَ مَا كَانَ اللَّهُ لِيَرَى ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ بَيْنَ يَدَيْ نَبِيِّهِ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ مَا لَكُمْ إِذَا نَابَكُمْ شَيْءٌ فِي صَلَاتِكُمْ صَفَّحْتُمْ إِنَّ ذَلِكَ لِلنِّسَاءِ مَنْ نَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلَاتِهِ فَلْيَقُلْ سُبْحَانَ اللَّهِ