কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৪৫. ক্বাসামাহ (অজ্ঞাত খুনের ব্যাপারে বিশেষ ধরনের হলফ করা) অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৭৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩২
(وَإِنْ حَكَمْتَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِالْقِسْطِ) আয়াতের ব্যাখ্যা এবং এ সম্পর্কে ইকরিমা থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে বর্ণনাগত পার্থক্য
৪৭৩২. কাসিম ইবনে যাকারিয়া ইবনে দীনার (রাহঃ) ......... সিমাক (রাহঃ) ইকরিমা (রাহঃ) হতে এবং তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, কুরায়যা ও নয়ীর ইয়াহুদীদের দুটি গোত্র। এদের মধ্যে বনু নযীর গোত্র বনু কুরায়য়া গোত্র থেকে মর্যাদাশালী ছিল। বনু কুরায়যার কোন ব্যক্তি বনু নযীরের কোন ব্যক্তিকে হত্যা করলে তাকে হত্যা করা হতো। কিন্তু বনু নযীরের কোন ব্যক্তি বনু কুরায়যার কোন ব্যক্তিকে হত্যা করলে রক্তপণ স্বরূপ সে একশত ওসাক খেজুর আদায় করতো।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নবুয়তের পর বনু নযীরের এক ব্যক্তি কুরায়যার এক ব্যক্তিকে হত্যা করল। তখন বনু কুরায়যার লোকেরা বললঃ হত্যাকারীকে আমাদের হাওলা কর, আমরা তাকে হত্যা করবো। বনু নযীরের লোকেরা বললোঃ তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে নবী (ﷺ) রয়েছেন। তারা তাঁর নিকট আসলে, তখন আয়াত নাযিল হলোঃ “যদি আপনি কাফিরদের মধ্যে মীমাংসা করেন, তবে ইনসাফের সাথে মীমাংসা করবেন,” আর ইনসাফ হলো প্রাণের পরিবর্তে প্রাণ নেয়া। এরপর নাযিল হলোঃ “তারা কি অজ্ঞতার যুগের রেওয়াজ পছন্দ করছে?”
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নবুয়তের পর বনু নযীরের এক ব্যক্তি কুরায়যার এক ব্যক্তিকে হত্যা করল। তখন বনু কুরায়যার লোকেরা বললঃ হত্যাকারীকে আমাদের হাওলা কর, আমরা তাকে হত্যা করবো। বনু নযীরের লোকেরা বললোঃ তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে নবী (ﷺ) রয়েছেন। তারা তাঁর নিকট আসলে, তখন আয়াত নাযিল হলোঃ “যদি আপনি কাফিরদের মধ্যে মীমাংসা করেন, তবে ইনসাফের সাথে মীমাংসা করবেন,” আর ইনসাফ হলো প্রাণের পরিবর্তে প্রাণ নেয়া। এরপর নাযিল হলোঃ “তারা কি অজ্ঞতার যুগের রেওয়াজ পছন্দ করছে?”
تَأْوِيلُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى وَإِنْ حَكَمْتَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِالْقِسْطِ ذِكْرُ الِاخْتِلَافِ عَلَى عِكْرِمَةَ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ وَهُوَ بْنُ صَالِحٍ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ قُرَيْظَةُ وَالنَّضِيرُ وَكَانَ النَّضِيرُ أَشْرَفَ مِنْ قُرَيْظَةَ وَكَانَ إِذَا قَتَلَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْظَةَ رَجُلًا مِنْ النَّضِيرِ قُتِلَ بِهِ وَإِذَا قَتَلَ رَجُلٌ مِنْ النَّضِيرِ رَجُلًا مِنْ قُرَيْظَةَ أَدَّى مِائَةَ وَسْقٍ مِنْ تَمْرٍ فَلَمَّا بُعِثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَتَلَ رَجُلٌ مِنْ النَّضِيرِ رَجُلًا مِنْ قُرَيْظَةَ فَقَالُوا ادْفَعُوهُ إِلَيْنَا نَقْتُلْهُ فَقَالُوا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَوْهُ فَنَزَلَتْ وَإِنْ حَكَمْتَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِالْقِسْطِ وَالْقِسْطُ النَّفْسُ بِالنَّفْسِ ثُمَّ نَزَلَتْ أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩৩
(وَإِنْ حَكَمْتَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِالْقِسْطِ) আয়াতের ব্যাখ্যা এবং এ সম্পর্কে ইকরিমা থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে বর্ণনাগত পার্থক্য
৪৭৩৩. উবায়দুল্লাহ ইবনে সা’দ (রাহঃ) ......... দাউদ ইবনে হুসায়ন ইকরিমা থেকে এবং তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, সূরা মায়িদার আয়াতঃ “তারা যদি তোমার কাছে আসে, তবে তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো, অথবা তাদেরকে উপেক্ষা করো। তুমি যদি তাদেরকে উপেক্ষা কর, তবে তারা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি বিচার-নিষ্পত্তি কর তবে ন্যায়বিচার করো। আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।” (৫ : ৪২) বনু নযীর এবং বনু কুরায়যার রক্তপণের ব্যাপারে নাযিল হয়েছিল। যেহেতু বনী নযীর গোত্র ছিল মর্যাদাশালী, তাই তাদের কোন ব্যক্তি নিহত হলে তারা পূর্ণ রক্তপণ আদায় করত, আর যদি কুরায়যার কোন ব্যক্তি নিহত হতো তবে তারা অর্ধ রক্তপণ পেত। এরপর তারা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট মীমাংসা প্রার্থী হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহ্ তাআলা তাদের ব্যাপারে এই আয়াত নাযিল করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন এবং দিয়াত সমান করে দেন।
تَأْوِيلُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى وَإِنْ حَكَمْتَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِالْقِسْطِ ذِكْرُ الِاخْتِلَافِ عَلَى عِكْرِمَةَ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَمِّي قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ ابْنِ إِسْحَقَ أَخْبَرَنِي دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ الْآيَاتِ الَّتِي فِي الْمَائِدَةِ الَّتِي قَالَهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ إِلَى الْمُقْسِطِينَ إِنَّمَا نَزَلَتْ فِي الدِّيَةِ بَيْنَ النَّضِيرِ وَبَيْنَ قُرَيْظَةَ وَذَلِكَ أَنَّ قَتْلَى النَّضِيرِ كَانَ لَهُمْ شَرَفٌ يُودَوْنَ الدِّيَةَ كَامِلَةً وَأَنَّ بَنِي قُرَيْظَةَ كَانُوا يُودَوْنَ نِصْفَ الدِّيَةِ فَتَحَاكَمُوا فِي ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَلِكَ فِيهِمْ فَحَمَلَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْحَقِّ فِي ذَلِكَ فَجَعَلَ الدِّيَةَ سَوَاءً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান