কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৪২. শিকার ও জবাইয়ের পশুর বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৩৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫০
সমুদ্রের মৃত জন্তু
৪৩৫১. ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সমুদ্রের পানি পাক, আর এর মৃত জীব হালাল।
بَاب مَيْتَةِ الْبَحْرِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَاءِ الْبَحْرِ هُوَ الطَّهُورُ مَاؤُهُ الْحَلَالُ مَيْتَتُهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫১
সমুদ্রের মৃত জন্তু
৪৩৫২. মুহাম্মাদ ইবনে আদম (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের তিনশত ব্যক্তির একদলকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জিহাদে পাঠান। আমরা আমাদের পাথেয় কাঁধে বয়ে নিচ্ছিলাম। এক সময় আমাদের পাথেয় নিঃশেষ হয়ে গেল। এমনকি আমাদের প্রত্যেকের একটি করে খেজুর মিলত। এক ব্যক্তি বললোঃ হে আবু আব্দুল্লাহ্! একজন লোকের একটি খেজুরে কী হয়? জাবির (রাযিঃ) বললেনঃ তাও যখন ফুরিয়ে গেল, তখন আমরা বুঝলাম, একটি খেজুরের মূল্য কী? অতঃপর আমরা সমুদ্র তীরে আসলাম এবং সেখানে এমন এক মাছ পেলাম, সমুদ্র যা তীরে নিক্ষেপ করেছে। তা আমরা আঠার দিন পর্যন্ত খেয়েছিলাম।
بَاب مَيْتَةِ الْبَحْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ بَعَثَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ ثَلَاثُ مِائَةٍ نَحْمِلُ زَادَنَا عَلَى رِقَابِنَا فَفَنِيَ زَادُنَا حَتَّى كَانَ يَكُونُ لِلرَّجُلِ مِنَّا كُلَّ يَوْمٍ تَمْرَةٌ فَقِيلَ لَهُ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ وَأَيْنَ تَقَعُ التَّمْرَةُ مِنْ الرَّجُلِ قَالَ لَقَدْ وَجَدْنَا فَقْدَهَا حِينَ فَقَدْنَاهَا فَأَتَيْنَا الْبَحْرَ فَإِذَا بِحُوتٍ قَذَفَهُ الْبَحْرُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ يَوْمًا
হাদীস নং:৪৩৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫২
সমুদ্রের মৃত জন্তু
৪৩৫৩. মুহাম্মাদ ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... আমর (রাহঃ) বলেন, আমি জাবির (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তিনশত ব্যক্তিকে আবু উবায়দা ইবনে জাররাহ্ (রাযিঃ)-এর অধীনে কুরায়শের বাণিজ্যদলের গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য পাঠান। আমরা ঐ কাফেলার অপেক্ষায় সমুদ্র তীরে অবস্থান করি। আমরা এমন খাদ্য সংকটে পড়লাম যে, শেষ পর্যন্ত আমরা গাছের পাতা খেতে লাগলাম। এঅবস্থায় একদিন সমুদ্র একটি মাছ তীরে নিক্ষেপ করল যাকে আম্বর বলা হয়ে থাকে। আমরা তা অর্ধ মাস পর্যন্ত খেতে থাকি, আর এর চর্বি তেল হিসেবে ব্যবহার করি। এমনকি আমাদের হৃত স্বাস্থ্য ফিরে আসল।
আবু উবায়দা (রাযিঃ)-এর পাঁজরের একটি হ্যাঁড় তুলে নেন। তিনি একটি লম্বা উটের প্রতি লক্ষ্য করেন, আর বাহিনীর সর্বাপেক্ষা লম্বা ব্যক্তিকে এর উপর সওয়ার করালেন। লোকটি এর নিচ দিয়ে চলে গেল। আবার বাহিনীর খাদ্যাভাব দেখা দিলে এক ব্যক্তি তিনটি উট যবেহ করল। আবার খাদ্যাভাব দেখা দিলে এক ব্যক্তি আরও তিনটি উট যবেহ করল। তারপর আবার খাদ্যাভাব দেখা দিলে আবারও এক ব্যক্তি তিনটি উট যবেহ করল। আবু উবায়দা (রাযিঃ) পরে তা নিষেধ করেন।
(রাবী) সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, আবু যুবায়র (রাহঃ) জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমরা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেনঃ তোমাদের নিকট কি এর অবশিষ্ট আছে? জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমরা এর চক্ষুদ্বয় হতে এত-এত মটকা চর্বি বের করলাম। আর এর চক্ষের কোটরে চার ব্যক্তি নেমে পড়েছিল। আবু উবায়দা (রাযিঃ)-এর নিকট একটি খেজুর ভর্তি থলি ছিল। তিনি আমাদেরকে একা-এক মুষ্ঠি দান করতেন। পরে একটি করে খেজুর দিতেন, তা ফুরিয়ে যাওয়ার পর আমরা এর ফুরিয়ে যাওয়ার মূল্য বুঝতে পারি।
আবু উবায়দা (রাযিঃ)-এর পাঁজরের একটি হ্যাঁড় তুলে নেন। তিনি একটি লম্বা উটের প্রতি লক্ষ্য করেন, আর বাহিনীর সর্বাপেক্ষা লম্বা ব্যক্তিকে এর উপর সওয়ার করালেন। লোকটি এর নিচ দিয়ে চলে গেল। আবার বাহিনীর খাদ্যাভাব দেখা দিলে এক ব্যক্তি তিনটি উট যবেহ করল। আবার খাদ্যাভাব দেখা দিলে এক ব্যক্তি আরও তিনটি উট যবেহ করল। তারপর আবার খাদ্যাভাব দেখা দিলে আবারও এক ব্যক্তি তিনটি উট যবেহ করল। আবু উবায়দা (রাযিঃ) পরে তা নিষেধ করেন।
(রাবী) সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, আবু যুবায়র (রাহঃ) জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমরা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেনঃ তোমাদের নিকট কি এর অবশিষ্ট আছে? জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমরা এর চক্ষুদ্বয় হতে এত-এত মটকা চর্বি বের করলাম। আর এর চক্ষের কোটরে চার ব্যক্তি নেমে পড়েছিল। আবু উবায়দা (রাযিঃ)-এর নিকট একটি খেজুর ভর্তি থলি ছিল। তিনি আমাদেরকে একা-এক মুষ্ঠি দান করতেন। পরে একটি করে খেজুর দিতেন, তা ফুরিয়ে যাওয়ার পর আমরা এর ফুরিয়ে যাওয়ার মূল্য বুঝতে পারি।
بَاب مَيْتَةِ الْبَحْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَمْرٍو قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا يَقُولُ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مِائَةِ رَاكِبٍ أَمِيرُنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ نَرْصُدُ عِيرَ قُرَيْشٍ فَأَقَمْنَا بِالسَّاحِلِ فَأَصَابَنَا جُوعٌ شَدِيدٌ حَتَّى أَكَلْنَا الْخَبَطَ قَالَ فَأَلْقَى الْبَحْرُ دَابَّةً يُقَالُ لَهَا الْعَنْبَرُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ نِصْفَ شَهْرٍ وَادَّهَنَّا مِنْ وَدَكِهِ فَثَابَتْ أَجْسَامُنَا وَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ ضِلْعًا مِنْ أَضْلَاعِهِ فَنَظَرَ إِلَى أَطْوَلِ جَمَلٍ وَأَطْوَلِ رَجُلٍ فِي الْجَيْشِ فَمَرَّ تَحْتَهُ ثُمَّ جَاعُوا فَنَحَرَ رَجُلٌ ثَلَاثَ جَزَائِرَ ثُمَّ جَاعُوا فَنَحَرَ رَجُلٌ ثَلَاثَ جَزَائِرَ ثُمَّ جَاعُوا فَنَحَرَ رَجُلٌ ثَلَاثَ جَزَائِرَ ثُمَّ نَهَاهُ أَبُو عُبَيْدَةَ قَالَ سُفْيَانُ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ فَسَأَلْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ هَلْ مَعَكُمْ مِنْهُ شَيْءٌ قَالَ فَأَخْرَجْنَا مِنْ عَيْنَيْهِ كَذَا وَكَذَا قُلَّةً مِنْ وَدَكٍ وَنَزَلَ فِي حَجَّاجِ عَيْنِهِ أَرْبَعَةُ نَفَرٍ وَكَانَ مَعَ أَبِي عُبَيْدَةَ جِرَابٌ فِيهِ تَمْرٌ فَكَانَ يُعْطِينَا الْقَبْضَةَ ثُمَّ صَارَ إِلَى التَّمْرَةِ فَلَمَّا فَقَدْنَاهَا وَجَدْنَا فَقْدَهَا
হাদীস নং:৪৩৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৩
সমুদ্রের মৃত জন্তু
৪৩৫৪. যিয়াদ ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আবু উবায়দার নেতৃত্বে আমাদেরকে এক যুদ্ধে প্রেরণ করেন। আমাদের পাথেয় ফুরিয়ে যাওয়ার পর আমরা এমন একটি মাছ পেলাম যা সমুদ্র তীরে নিক্ষেপ করেছিল। আমরা তা থেকে খাওয়ার ইচ্ছা করলে আবু উবায়দা (রাযিঃ) নিষেধ করলেন। পরে তিনি বললেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর প্রেরিত এবং আমরা আল্লাহর রাস্তায় রয়েছি, অতএব খাও। আমরা বেশ কিছু দিন তা থেকে খেয়েছিলাম। আমরা পরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে ঘটনা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেনঃ যদি তোমাদের কাছে কিছু অবশিষ্ট থেকে থাকে, তবে তা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দাও।
بَاب مَيْتَةِ الْبَحْرِ
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ بَعَثَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَبِي عُبَيْدَةَ فِي سَرِيَّةٍ فَنَفِدَ زَادُنَا فَمَرَرْنَا بِحُوتٍ قَدْ قَذَفَ بِهِ الْبَحْرُ فَأَرَدْنَا أَنْ نَأْكُلَ مِنْهُ فَنَهَانَا أَبُو عُبَيْدَةَ ثُمَّ قَالَ نَحْنُ رُسُلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ كُلُوا فَأَكَلْنَا مِنْهُ أَيَّامًا فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرْنَاهُ فَقَالَ إِنْ كَانَ بَقِيَ مَعَكُمْ شَيْءٌ فَابْعَثُوا بِهِ إِلَيْنَا
হাদীস নং:৪৩৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৪
সমুদ্রের মৃত জন্তু
৪৩৫৫. মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আলী ইবনে মুকাদ্দাম মুকাদ্দামী (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের তিনশত ব্যক্তির উর্ধ্বে একটি দলকে আবু উবায়দার নেতৃত্বে যুদ্ধে পাঠান। তিনি আমাদের পাথেয় হিসাবে এক থলি খেজুর দিলেন। আবু উবায়দা (রাযিঃ) এ থেকে আমাদেরকে একমুষ্ঠি করে দিতেন। আর যখন তা নিঃশেষ হতে চললো, তখন তিনি একটি একটি করে খেজুর বণ্টন করতেন। আমরা শিশুদের ন্যায় তা চুষতাম এবং পরে পানি পান করতাম। যখন তাও শেষ হলো, তখন আমরা এর মূল্য অনুভব করতে পারলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের বর্শা দ্বারা গাছের পাতা ঝরিয়ে তা খেতে লাগলাম। এরপর পানি পান করতাম। এই জন্য ঐ সেনাদলের নাম ‘পাতার দল’ হয়ে গেল।
যখন আমরা সমুদ্র তীরে পৌঁছলাম, সেখানে আমরা এক জন্তু দেখতে পেলাম, যা বালুর টিলার ন্যায় পড়ে ছিল। তাকে আম্বর বলা হতো। আবু উবায়দা (রাযিঃ) বললেনঃ এটা মৃত জন্তু, তোমরা তা খাবে না। এরপর তিনি বললেনঃ আমরাতো রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সেনাদল, আর আল্লাহ্ পাকের রাস্তায় রয়েছি এবং আমরা নিরূপায়। অতএব তোমরা আল্লাহর নামে খাও। পরে আমরা তা থেকে খেলাম এবং মাছের কিছু অংশ শুকালাম। এর চোখের কোটরে তের ব্যক্তি বসতে পারতো।
বর্ণনাকারী বলেনঃ আবু উবায়দা (রাযিঃ) এর পাঁজরের এক পাশের একখানা হাড় নিলেন। তারপর সর্ববৃহৎ উটের পিঠে হাওদা বসান। তারপর সেটিকে সেই হাড়ের নিচ দিয়ে চালিয়ে নেন। আমরা এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ তোমরা এত দেরী করলে কেন? আমরা বললামঃ আমরা কুরায়শদের দলের প্রতীক্ষায় ছিলাম। আর আমরা তাঁর নিকট ঐ জন্তুর ঘটনাও বর্ণনা করলাম। তখন তিনি বললেনঃ এটা আল্লাহ্-প্রদত্ত রিযক, যা তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন। তোমাদের নিকট এর কিছু অংশ অবশিষ্ট আছে কি? রাবী বলেন, আমরা বললামঃ হ্যাঁ।
যখন আমরা সমুদ্র তীরে পৌঁছলাম, সেখানে আমরা এক জন্তু দেখতে পেলাম, যা বালুর টিলার ন্যায় পড়ে ছিল। তাকে আম্বর বলা হতো। আবু উবায়দা (রাযিঃ) বললেনঃ এটা মৃত জন্তু, তোমরা তা খাবে না। এরপর তিনি বললেনঃ আমরাতো রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সেনাদল, আর আল্লাহ্ পাকের রাস্তায় রয়েছি এবং আমরা নিরূপায়। অতএব তোমরা আল্লাহর নামে খাও। পরে আমরা তা থেকে খেলাম এবং মাছের কিছু অংশ শুকালাম। এর চোখের কোটরে তের ব্যক্তি বসতে পারতো।
বর্ণনাকারী বলেনঃ আবু উবায়দা (রাযিঃ) এর পাঁজরের এক পাশের একখানা হাড় নিলেন। তারপর সর্ববৃহৎ উটের পিঠে হাওদা বসান। তারপর সেটিকে সেই হাড়ের নিচ দিয়ে চালিয়ে নেন। আমরা এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ তোমরা এত দেরী করলে কেন? আমরা বললামঃ আমরা কুরায়শদের দলের প্রতীক্ষায় ছিলাম। আর আমরা তাঁর নিকট ঐ জন্তুর ঘটনাও বর্ণনা করলাম। তখন তিনি বললেনঃ এটা আল্লাহ্-প্রদত্ত রিযক, যা তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন। তোমাদের নিকট এর কিছু অংশ অবশিষ্ট আছে কি? রাবী বলেন, আমরা বললামঃ হ্যাঁ।
بَاب مَيْتَةِ الْبَحْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ مُقَدَّمٍ الْمُقَدَّمِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَبِي عُبَيْدَةَ وَنَحْنُ ثَلَاثُ مِائَةٍ وَبِضْعَةَ عَشَرَ وَزَوَّدَنَا جِرَابًا مِنْ تَمْرٍ فَأَعْطَانَا قَبْضَةً قَبْضَةً فَلَمَّا أَنْ جُزْنَاهُ أَعْطَانَا تَمْرَةً تَمْرَةً حَتَّى إِنْ كُنَّا لَنَمُصُّهَا كَمَا يَمُصُّ الصَّبِيُّ وَنَشْرَبُ عَلَيْهَا الْمَاءَ فَلَمَّا فَقَدْنَاهَا وَجَدْنَا فَقْدَهَا حَتَّى إِنْ كُنَّا لَنَخْبِطُ الْخَبَطَ بِقِسِيِّنَا وَنَسَفُّهُ ثُمَّ نَشْرَبُ عَلَيْهِ مِنْ الْمَاءِ حَتَّى سُمِّينَا جَيْشَ الْخَبَطِ ثُمَّ أَجَزْنَا السَّاحِلَ فَإِذَا دَابَّةٌ مِثْلُ الْكَثِيبِ يُقَالُ لَهُ الْعَنْبَرُ فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ مَيْتَةٌ لَا تَأْكُلُوهُ ثُمَّ قَالَ جَيْشُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَنَحْنُ مُضْطَرُّونَ كُلُوا بِاسْمِ اللَّهِ فَأَكَلْنَا مِنْهُ وَجَعَلْنَا مِنْهُ وَشِيقَةً وَلَقَدْ جَلَسَ فِي مَوْضِعِ عَيْنِهِ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا قَالَ فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ ضِلْعًا مِنْ أَضْلَاعِهِ فَرَحَلَ بِهِ أَجْسَمَ بَعِيرٍ مِنْ أَبَاعِرِ الْقَوْمِ فَأَجَازَ تَحْتَهُ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَبَسَكُمْ قُلْنَا كُنَّا نَتَّبِعُ عِيرَاتِ قُرَيْشٍ وَذَكَرْنَا لَهُ مِنْ أَمْرِ الدَّابَّةِ فَقَالَ ذَاكَ رِزْقٌ رَزَقَكُمُوهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَمَعَكُمْ مِنْهُ شَيْءٌ قَالَ قُلْنَا نَعَمْ