কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৪১. ফারা' এবং আতীরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪২২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২২৮
’আতীরার ব্যাখ্যা
৪২২৯. মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... নুবায়শা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলী যুগে আতীরা করতাম। তিনি বললেনঃ যে কোন মাসে আল্লাহর জন্য যবেহ করো, নেকী করো, অভাবগ্রস্তকে আল্লাহর ওয়াস্তে খাওয়াও।
تَفْسِيرُ الْعَتِيرَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ قَالَ حَدَّثَنَا جَمِيلٌ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ عَنْ نُبَيْشَةَ قَالَ ذُكِرَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كُنَّا نَعْتِرُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَالَ اذْبَحُوا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَيِّ شَهْرٍ مَا كَانَ وَبَرُّوا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَأَطْعِمُوا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪২২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২২৯
’আতীরার ব্যাখ্যা
৪২৩০. আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... নুবায়শা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মিনায় উচ্চস্বরে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে আতীরা করতাম, এখন আপনি আমাদেরকে কী আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ যে কোন মাসেই আল্লাহর নামে যবেহ করতে পার, আল্লাহর জন্য নেককাজ কর এবং খাদ্য দান কর। সে ব্যক্তি বললোঃ আমরা তো ফারাও করতাম; এখন আপনি আমাদেরকে কী আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ প্রত্যেক জন্তুতে, যারা চরে বেড়ায়, ফারা (শাবক) রয়েছে। তার মা তাকে খাওয়াতে থাকুক। যখন তা বড় হবে, তখন তাকে যবেহ করে গোশত সাদ্কা করে দিও।
تَفْسِيرُ الْعَتِيرَةِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرٌ وَهُوَ ابْنُ الْمُفَضَّلِ عَنْ خَالِدٍ وَرُبَّمَا قَالَ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ وَرُبَّمَا ذَكَرَ أَبَا قِلَابَةَ عَنْ نُبَيْشَةَ قَالَ نَادَى رَجُلٌ وَهُوَ بِمِنًى فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَعْتِرُ عَتِيرَةً فِي الْجَاهِلِيَّةِ فِي رَجَبٍ فَمَا تَأْمُرُنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ اذْبَحُوا فِي أَيِّ شَهْرٍ مَا كَانَ وَبَرُّوا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَأَطْعِمُوا قَالَ إِنَّا كُنَّا نُفْرِعُ فَرَعًا فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ فِي كُلِّ سَائِمَةٍ فَرَعٌ تَغْذُوهُ مَاشِيَتُكَ حَتَّى إِذَا اسْتَحْمَلَ ذَبَحْتَهُ وَتَصَدَّقْتَ بِلَحْمِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪২৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৩০
’আতীরার ব্যাখ্যা
৪২৩১. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ......... হুযায়ল গোত্রের এক ব্যক্তি নুবায়শা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি তিনদিনের বেশী কুরবানীর গোশত রাখতে নিষেধ করেছিলাম যাতে তোমাদের সকলে তা খেতে পায়। কিন্তু এখন আল্লাহ্ সচ্ছলতা দান করেছেন। অতএব এখন তোমরা খাও, দান কর এবং জমা করে রাখতে পার। আর এ সকল দিন হলো খাওয়া, পান করা এবং আল্লাহকে স্মরণ করার দিন।
এক ব্যক্তি বললোঃ আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে আতীরা করতাম। এখন আপনি কি আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহর জন্য যবেহ কর, তা যে মাসেই হোক। আল্লাহর জন্য নেকী কর এবং অভাবগ্রস্তদেরকে খাদ্য দান কর। আর এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলী যুগে ফারা করতাম। এখন আপনি আমাদেরকে কী বলেন? তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ বকরীতে ফারা রয়েছে। কিন্তু তোমরা তার মাকে খাওয়াতে দাও। যখন তা উপযুক্ত হয়, তখন তাকে যবেহ করবে এবং পথিকজনকে তার গোশত দান করবে। তা-ই উত্তম।
এক ব্যক্তি বললোঃ আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে আতীরা করতাম। এখন আপনি কি আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহর জন্য যবেহ কর, তা যে মাসেই হোক। আল্লাহর জন্য নেকী কর এবং অভাবগ্রস্তদেরকে খাদ্য দান কর। আর এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলী যুগে ফারা করতাম। এখন আপনি আমাদেরকে কী বলেন? তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ বকরীতে ফারা রয়েছে। কিন্তু তোমরা তার মাকে খাওয়াতে দাও। যখন তা উপযুক্ত হয়, তখন তাকে যবেহ করবে এবং পথিকজনকে তার গোশত দান করবে। তা-ই উত্তম।
تَفْسِيرُ الْعَتِيرَةِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ خَالِدٍ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ وَأَحْسَبُنِي قَدْ سَمِعْتُهُ مِنْ أَبِي الْمَلِيحِ عَنْ نُبَيْشَةَ رَجُلٍ مِنْ هُذَيْلٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلَاثٍ كَيْمَا تَسَعَكُمْ فَقَدْ جَاءَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِالْخَيْرِ فَكُلُوا وَتَصَدَّقُوا وَادَّخِرُوا وَإِنَّ هَذِهِ الْأَيَّامَ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ وَذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ رَجُلٌ إِنَّا كُنَّا نَعْتِرُ عَتِيرَةً فِي الْجَاهِلِيَّةِ فِي رَجَبٍ فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ اذْبَحُوا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَيِّ شَهْرٍ مَا كَانَ وَبَرُّوا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَأَطْعِمُوا فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نُفْرِعُ فَرَعًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كُلِّ سَائِمَةٍ مِنْ الْغَنَمِ فَرَعٌ تَغْذُوهُ غَنَمُكَ حَتَّى إِذَا اسْتَحْمَلَ ذَبَحْتَهُ وَتَصَدَّقْتَ بِلَحْمِهِ عَلَى ابْنِ السَّبِيلِ فَإِنَّ ذَلِكَ هُوَ خَيْرٌ