কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৩৯. বাঈআতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪১৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬০
জিহাদ করার উপর বায়’আত
৪১৬১. আহমাদ ইবনে আমর ইবনে সারহ (রাহঃ) ......... ইয়ালা ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আমি আমার পিতা উমাইয়াকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট নিয়ে আসলাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা থেকে হিজরত করার উপর বায়আত গ্রহণ করুন। তিনি বললেনঃ আমি তার থেকে জিহাদ করার বায়’আত নেব। কারণ হিজরত শেষ হয়ে গেছে।
الْبَيْعَةُ عَلَى الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أُمَيَّةَ ابْنَ أَخِي يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ يَعْلَى بْنَ أُمَيَّةَ قَالَ جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَبِي أُمَيَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَايِعْ أَبِي عَلَى الْهِجْرَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُبَايِعُهُ عَلَى الْجِهَادِ وَقَدْ انْقَطَعَتْ الْهِجْرَةُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬১
জিহাদ করার উপর বায়’আত
৪১৬২. উবায়দুল্লাহ ইবনে সাঈদ ইবনে ইবরাহীম ইবনে সা’দ (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবা বেষ্টিত অবস্থায় বললেনঃ তোমরা আমার নিকট এ কথার উপর বায়’আত কর যে, তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, স্বীয় সন্তানদের হত্যা করবে না। আর তোমরা কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেবে না এবং ন্যায় কাজে আমার অবাধ্যতা প্রকাশ করবে না।
যে ব্যক্তি এরূপ বায়আত পূর্ণ করবে, তার সওয়াব আল্লাহর যিাম্মায়, আর যে ব্যক্তি এ ব্যাপারে কোন অপরাধ করবে, তারপর শাস্তি ভোগ করবে, তা তার জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। আর কেউ যদি কোন অপরাধ করে এবং আল্লাহ তাআলা তা ঢেকে রাখেন, তার ব্যাপার আল্লাহর ইচ্ছাধীন। যদি তিনি ইচ্ছে করুন, তবে তাকে ক্ষমাও করতে পারে, আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন।
যে ব্যক্তি এরূপ বায়আত পূর্ণ করবে, তার সওয়াব আল্লাহর যিাম্মায়, আর যে ব্যক্তি এ ব্যাপারে কোন অপরাধ করবে, তারপর শাস্তি ভোগ করবে, তা তার জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। আর কেউ যদি কোন অপরাধ করে এবং আল্লাহ তাআলা তা ঢেকে রাখেন, তার ব্যাপার আল্লাহর ইচ্ছাধীন। যদি তিনি ইচ্ছে করুন, তবে তাকে ক্ষমাও করতে পারে, আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন।
الْبَيْعَةُ عَلَى الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَمِّي قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَحَوْلَهُ عِصَابَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ تُبَايِعُونِي عَلَى أَنْ لَا تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا تَسْرِقُوا وَلَا تَزْنُوا وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ وَلَا تَأْتُوا بِبُهْتَانٍ تَفْتَرُونَهُ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَأَرْجُلِكُمْ وَلَا تَعْصُونِي فِي مَعْرُوفٍ فَمَنْ وَفَّى فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْكُمْ شَيْئًا فَعُوقِبَ بِهِ فَهُوَ لَهُ كَفَّارَةٌ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا ثُمَّ سَتَرَهُ اللَّهُ فَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَفَا عَنْهُ وَإِنْ شَاءَ عَاقَبَهُ خَالَفَهُ أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬২
জিহাদ করার উপর বায়’আত
৪১৬৩. আহমদ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা কি আমার নিকট এ কথার উপর বায়আত গ্রহণ করবে না, যে কথার উপর নারীরা বায়’আত গ্রহণ করেছে? অর্থাৎ তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, স্বীয় সন্তানদের হত্যা করবে না, আর কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেবে না, এবং ন্যায় কাজে আমার অবাধ্যতা করবে না। আমরা বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! কেন নয়, অবশ্যই বায়আত করবো। এরপর আমরা উপরোক্ত বিষয়ে তার হাতে বায়আত করলাম।
তিনি বললেনঃ এখন যে ব্যক্তি ঐ সকল পাপ হতে কোনটি করবে এবং পৃথিবীতে এর জন্য শাস্তি ভোগ করবে, সে শাস্তি তার গুনাহর কাফফারা হয়ে যাবে। আর যে শাস্তি পাবে না, তার ব্যাপার আল্লাহর ইচ্ছাধীন, তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন এবং ক্ষমাও করতে পারেন।
তিনি বললেনঃ এখন যে ব্যক্তি ঐ সকল পাপ হতে কোনটি করবে এবং পৃথিবীতে এর জন্য শাস্তি ভোগ করবে, সে শাস্তি তার গুনাহর কাফফারা হয়ে যাবে। আর যে শাস্তি পাবে না, তার ব্যাপার আল্লাহর ইচ্ছাধীন, তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন এবং ক্ষমাও করতে পারেন।
الْبَيْعَةُ عَلَى الْجِهَادِ
أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ الْحَارِثِ بْنِ فُضَيْلٍ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ حَدَّثَهُ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَلَا تُبَايِعُونِي عَلَى مَا بَايَعَ عَلَيْهِ النِّسَاءُ أَنْ لَا تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا تَسْرِقُوا وَلَا تَزْنُوا وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ وَلَا تَأْتُوا بِبُهْتَانٍ تَفْتَرُونَهُ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَأَرْجُلِكُمْ وَلَا تَعْصُونِي فِي مَعْرُوفٍ قُلْنَا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ فَبَايَعْنَاهُ عَلَى ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَنْ أَصَابَ بَعْدَ ذَلِكَ شَيْئًا فَنَالَتْهُ عُقُوبَةٌ فَهُوَ كَفَّارَةٌ وَمَنْ لَمْ تَنَلْهُ عُقُوبَةٌ فَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ وَإِنْ شَاءَ عَاقَبَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান