কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৩৮. যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বণ্টনের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪১৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৩
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৩৪. হারূন ইবনে আব্দুল্লাহ হাম্মাল (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ ইবনে হুরমুয থেকে বর্ণিত যে, খারিজী নেতা নাজদা হারুরী যখন আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ)-এর আমলের গণ্ডগোলের সময়ে মাঠে নামে, তখন সে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাসের নিকট বলে পাঠায় যে, নিকটাত্মীয়দের অংশ কে কে পেতে পারে বলে আপনি মনে করেন? তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকটাত্মীয় তথা আমরাই পাব। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের মধ্যেই তা বণ্টন করেছেন।
উমর (রাযিঃ) আমাদেরকে কিছু দিতে চাইলে আমরা দেখলাম যে, তা আমাদের প্রাপ্য অপেক্ষা কম। তখন আমরা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করি। তিনি তা দ্বারা তাদের বিবাহকারীকে সাহায্য করতে এবং কর আদায় করতে এবং তাদের মধ্যে যে অভাবগ্রস্ত তাদের দিতে চেয়েছিলেন, আর এর অধিক দিতে অস্বীকার করেছিলেন।
উমর (রাযিঃ) আমাদেরকে কিছু দিতে চাইলে আমরা দেখলাম যে, তা আমাদের প্রাপ্য অপেক্ষা কম। তখন আমরা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করি। তিনি তা দ্বারা তাদের বিবাহকারীকে সাহায্য করতে এবং কর আদায় করতে এবং তাদের মধ্যে যে অভাবগ্রস্ত তাদের দিতে চেয়েছিলেন, আর এর অধিক দিতে অস্বীকার করেছিলেন।
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَمَّالُ قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ أَنَّ نَجْدَةَ الْحَرُورِيَّ حِينَ خَرَجَ فِي فِتْنَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنْ سَهْمِ ذِي الْقُرْبَى لِمَنْ تُرَاهُ قَالَ هُوَ لَنَا لِقُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُمْ وَقَدْ كَانَ عُمَرُ عَرَضَ عَلَيْنَا شَيْئًا رَأَيْنَاهُ دُونَ حَقِّنَا فَأَبَيْنَا أَنْ نَقْبَلَهُ وَكَانَ الَّذِي عَرَضَ عَلَيْهِمْ أَنْ يُعِينَ نَاكِحَهُمْ وَيَقْضِيَ عَنْ غَارِمِهِمْ وَيُعْطِيَ فَقِيرَهُمْ وَأَبَى أَنْ يَزِيدَهُمْ عَلَى ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৪
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৩৫. আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ ইবনে হুরমুয থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাজদা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে লিখেন যে, নিকটাত্মীয়দের অংশ কারা পাবে? ইয়াযীদ ইবনে হুরমু (রাযিঃ) বলেনঃ আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর পক্ষ হতে নাজদাকে জবাবে লিখলামঃ তুমি আমার কাছে নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্বন্ধে জানতে চেয়েছ, তা আহলে বায়তের জন্য। উমর (রাযিঃ) আমাদেরকে বলেছিলেন যে, তিনি এর দ্বারা আমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করে দেবেন, আমাদের মাঝে যারা গরীব, তাদের সাহায্য করবেন এবং আমাদের মাঝে যারা ঋণগ্রস্ত তাদের ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করবেন। আমরা তা অস্বীকার করি এবং দাবি জানাই যে, তা আমাদের কাছেই অর্পণ করতে হবে। কিন্তু তিনি তা দিতে অস্বীকার করলেন। শেষে আমরা তা তার উপর ছেড়ে দেই।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ هَارُونَ قَالَ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ قَالَ كَتَبَ نَجْدَةُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنْ سَهْمِ ذِي الْقُرْبَى لِمَنْ هُوَ قَالَ يَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ وَأَنَا كَتَبْتُ كِتَابَ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَى نَجْدَةَ كَتَبْتُ إِلَيْهِ كَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنْ سَهْمِ ذِي الْقُرْبَى لِمَنْ هُوَ وَهُوَ لَنَا أَهْلَ الْبَيْتِ وَقَدْ كَانَ عُمَرُ دَعَانَا إِلَى أَنْ يُنْكِحَ مِنْهُ أَيِّمَنَا وَيُحْذِيَ مِنْهُ عَائِلَنَا وَيَقْضِيَ مِنْهُ عَنْ غَارِمِنَا فَأَبَيْنَا إِلَّا أَنْ يُسَلِّمَهُ لَنَا وَأَبَى ذَلِكَ فَتَرَكْنَاهُ عَلَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৫
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৩৬. আমর ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আওযায়ী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) উমর ইবনে ওয়ালীদকে লিখলেনঃ তোমার পিতার খুমুসের অংশ সম্পূর্ণই তোমার। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তোমার পিতার অংশ মুসলমানদের এক ব্যক্তির অংশের সমান ছিল। আর তাতে আল্লাহর এবং রাসূলের, নিকটাত্মীয়দের, ইয়াতীমদের, মিসকীনদের এবং মুসাফিরদের হক ছিল, চিন্তা করে দেখ কিয়ামতের দিন তোমার পিতার কাছে দাবিদার কত বেশী হবে? আর যার বিরুদ্ধে এত অধিক দাবিদার হবে, তার নিস্তার কিভাবে হবে? আর তুমি যে বাদ্যযন্ত্র ও সেতার বের করেছ, তা তোমরা ইসলামে বিদআত। আমি স্থির করেছি তোমার নিকট এমন এক ব্যক্তিকে পাঠাব, যে তোমার মাথার লম্বা বাবড়ি সমান করে কেটে দেবে।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا مَحْبُوبٌ يَعْنِي ابْنَ مُوسَى قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ وَهُوَ الْفَزَارِيُّ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ قَالَ كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْوَلِيدِ كِتَابًا فِيهِ وَقَسْمُ أَبِيكَ لَكَ الْخُمُسُ كُلُّهُ وَإِنَّمَا سَهْمُ أَبِيكَ كَسَهْمِ رَجُلٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ وَفِيهِ حَقُّ اللَّهِ وَحَقُّ الرَّسُولِ وَذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَمَا أَكْثَرَ خُصَمَاءَ أَبِيكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَكَيْفَ يَنْجُو مَنْ كَثُرَتْ خُصَمَاؤُهُ وَإِظْهَارُكَ الْمَعَازِفَ وَالْمِزْمَارَ بِدْعَةٌ فِي الْإِسْلَامِ وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَبْعَثَ إِلَيْكَ مَنْ يَجُزُّ جُمَّتَكَ جُمَّةَ السُّوءِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৬
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৩৭. আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল হাকাম (রাহঃ) ......... জুবায়র ইবনে মুতইম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি এবং উসমান (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে হুনায়নের মালের ব্যাপারে বললেন, যা তিনি বনু হাশিম এবং বনু মুত্তালিবের মধ্যে বন্টন করেছিলেন। তারা দু’জন বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আমাদের ভাই বনু আব্দুল মুত্তালিবকে দান করলেন এবং আমাদেরকে কিছুই দিলেন না। অথচ আমরাও আপনার ঐরূপ আত্মীয়! তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে বললেনঃ আমি তো বনু হাশিম ও বনু আব্দুল মুত্তালিবকে একই মনে করি। জুবায়র ইবনে মুতইম (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বনু আব্দ শামস ও বনু নওফলকে তা থেকে কিছুই দিলেন না, যেমন তিনি বনু হাশিম এবং আব্দুল মুত্তালিবকে দিলেন।
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ قَالَ حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ حَدَّثَهُ أَنَّهُ جَاءَ هُوَ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَلِّمَانِهِ فِيمَا قَسَمَ مِنْ خُمُسِ حُنَيْنٍ بَيْنَ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ فَقَالَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَسَمْتَ لِإِخْوَانِنَا بَنِي الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ وَلَمْ تُعْطِنَا شَيْئًا وَقَرَابَتُنَا مِثْلُ قَرَابَتِهِمْ فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَرَى هَاشِمًا وَالْمُطَّلِبَ شَيْئًا وَاحِدًا قَالَ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ وَلَمْ يَقْسِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ وَلَا لِبَنِي نَوْفَلٍ مِنْ ذَلِكَ الْخُمُسِ شَيْئًا كَمَا قَسَمَ لِبَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৭
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৩৮. মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... জুবায়র ইবনে মুতইম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন আত্মীয়দের অংশ বনু হাশিম এবং বনু মুত্তালিবের মধ্যে বণ্টন করলেন তখন আমি ও উসমান ইবনে আফফান তাঁর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ওই যে বনু হাশিম, আল্লাহ্ তাআলা তাদের সাথে আপনার যে সম্পর্ক রেখেছেন, তজ্জনিত তাদের শ্রেষ্ঠত্বকে আমরা অস্বীকার করি না। কিন্তু আপনি আমাদের ভাই বনু আব্দুল মুত্তালিবকে দান করলেন এবং আমাদেরকে কিছুই দিলেন না। অথচ আমরা ও তারা সমপর্যায়ের আত্মীয়? তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তারা জাহেলিয়াতে এবং ইসলামে আমাকে ছেড়ে যায়নি।* আমি তো বনু হাশিম ও বনু আব্দুল মুত্তালিবকে একই মনে করি। এই বলে তিনি নিজ আঙ্গুলসমূহ পরস্পর গেঁথে দিলেন।
* অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কার জীবনে বনু আব্দুল মুত্তালিব ইসলাম গ্রহণ না করলেও কখনও তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেনি; বরং বনু হাশিমের মত তারাও তাঁর পাশে থেকেছে। এমনকি আবু তালিব উপত্যকার অন্তরীণ জীবনেও তারা কুরায়শের বিরুদ্ধে এসে স্বেচ্ছায় তাঁর সঙ্গে অন্তরীণ জীবন যাপন করেছে। পক্ষান্তরে বনু আব্দ-শাম্স ও বনু নাওফালের আচরণ ছিল এর বিপরীত, যদিও তারাও বনু হাশিম ও বনু আব্দুল মুত্তালিবের মত আব্দ মানাফের বংশধর এবং মহানবী (ﷺ)-এর সমপর্যায়ের আত্মীয়। মহানবী (ﷺ) তাদের এই অবস্থানগত পার্থক্যের দিকেই ইশারা করেছেন।
* অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কার জীবনে বনু আব্দুল মুত্তালিব ইসলাম গ্রহণ না করলেও কখনও তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেনি; বরং বনু হাশিমের মত তারাও তাঁর পাশে থেকেছে। এমনকি আবু তালিব উপত্যকার অন্তরীণ জীবনেও তারা কুরায়শের বিরুদ্ধে এসে স্বেচ্ছায় তাঁর সঙ্গে অন্তরীণ জীবন যাপন করেছে। পক্ষান্তরে বনু আব্দ-শাম্স ও বনু নাওফালের আচরণ ছিল এর বিপরীত, যদিও তারাও বনু হাশিম ও বনু আব্দুল মুত্তালিবের মত আব্দ মানাফের বংশধর এবং মহানবী (ﷺ)-এর সমপর্যায়ের আত্মীয়। মহানবী (ﷺ) তাদের এই অবস্থানগত পার্থক্যের দিকেই ইশারা করেছেন।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ لَمَّا قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمَ ذِي الْقُرْبَى بَيْنَ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ أَتَيْتُهُ أَنَا وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَؤُلَاءِ بَنُو هَاشِمٍ لَا نُنْكِرُ فَضْلَهُمْ لِمَكَانِكَ الَّذِي جَعَلَكَ اللَّهُ بِهِ مِنْهُمْ أَرَأَيْتَ بَنِي الْمُطَّلِبِ أَعْطَيْتَهُمْ وَمَنَعْتَنَا فَإِنَّمَا نَحْنُ وَهُمْ مِنْكَ بِمَنْزِلَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهُمْ لَمْ يُفَارِقُونِي فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ إِنَّمَا بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ شَيْءٌ وَاحِدٌ وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৮
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৩৯. আমর ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুনায়নের দিন একটি উটের পার্শ্বদেশ থেকে কিছু পশম নিলেন। তারপর বললেন, হে লোক সকল! আল্লাহ্ তাআলা তোমাদেরকে যে গনিমত দিয়েছেন, তা থেকে খুমুস ব্যতীত এটুকু নেয়াও আমার জন্য হালাল নয়, আর খুমুসও তোমাদের মধ্যেই ফিরিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহ্ সম্যক অবগত।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا مَحْبُوبٌ يَعْنِي ابْنَ مُوسَى قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ وَهُوَ الْفَزَارِيُّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَيَّاشٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ أَبِي سَلَّامٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ وَبَرَةً مِنْ جَنْبِ بَعِيرٍ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَا يَحِلُّ لِي مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ قَدْرُ هَذِهِ إِلَّا الْخُمُسُ وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ عَلَيْكُمْ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ اسْمُ أَبِي سَلَّامٍ مَمْطُورٌ وَهُوَ حَبَشِيٌّ وَاسْمُ أَبِي أُمَامَةَ صُدَيُّ بْنُ عَجْلَانَ وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৯
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪০. আমর ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) ......... আমর ইবনে শুআয়ব (রাহঃ) তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একটি উটের নিকট গিয়ে তার কুঁজ হতে একটি পশম তাঁর দুই আঙ্গুলের মধ্যে নিয়ে বললেনঃ যুদ্ধলব্ধ মালের পঞ্চমাংশ ব্যতীত আমার জন্য এতটুকুও নেই। আর আমার পঞ্চমাংশও তোমাদের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَزِيدَ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى بَعِيرًا فَأَخَذَ مِنْ سَنَامِهِ وَبَرَةً بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ ثُمَّ قَالَ إِنَّهُ لَيْسَ لِي مِنْ الْفَيْءِ شَيْءٌ وَلَا هَذِهِ إِلَّا الْخُمُسُ وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ فِيكُمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪০
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪১. উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা বনু নযীরের সম্পদ তাঁর রাসূলকে ফায়* হিসেবে দান করেছেন। মুসলমানগণ তা পেতে ঘোড়াও দৌড়ায়নি এবং উটও না। তিনি তা থেকে এক বছরের খরচ নিজের জন্য নিতেন এবং অবশিষ্ট মাল যুদ্ধের জন্য ঘোড়া, হাতিয়ার এবং জিহাদের উপকরণ ক্রয়ের জন্য ব্যয় করতেন।
* অমুসলিমদের যে সম্পদ বিনা যুদ্ধে মুসলিমদের হাতে আসে তাকে 'ফায়' বলে।
* অমুসলিমদের যে সম্পদ বিনা যুদ্ধে মুসলিমদের হাতে আসে তাকে 'ফায়' বলে।
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ عَنْ عُمَرَ قَالَ كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِمَّا لَمْ يُوجِفْ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ فَكَانَ يُنْفِقُ عَلَى نَفْسِهِ مِنْهَا قُوتَ سَنَةٍ وَمَا بَقِيَ جَعَلَهُ فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلَاحِ عُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪১
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪২. আমর ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে হারিস (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট তাঁর মীরাস চাওয়ার জন্য এক ব্যক্তিকে পাঠান, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাদ্কা এবং খায়বরের খুমুস থেকে রেখে যান। আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কেউ আমাদের ওয়ারিস হয় না, আমরা যা ছেড়ে যাই তা সাদ্কা।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا مَحْبُوبٌ يَعْنِي ابْنَ مُوسَى قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ هُوَ الْفَزَارِيُّ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ فَاطِمَةَ أَرْسَلَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صَدَقَتِهِ وَمِمَّا تَرَكَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا نُورَثُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪২
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪৩. আমর ইবনে ইয়াহইয়া (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনঃ জেনে রাখ যে, তোমরা যুদ্ধে যা লাভ কর, তার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহর, আল্লাহর রাসূলের, আর তাঁর আত্মীয়দের। এখানে আল্লাহর পঞ্চমাংশ এবং রাসূলের পঞ্চমাংশ একই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা থেকে লোকদের সওয়ারীর ব্যবস্থা করতেন, লোকদের দান করতেন। যেখানে ইচ্ছা খরচ করতেন এবং যা ইচ্ছা ব্যয় করতেন।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا مَحْبُوبٌ قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ عَطَاءٍ فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى قَالَ خُمُسُ اللَّهِ وَخُمُسُ رَسُولِهِ وَاحِدٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُ مِنْهُ وَيُعْطِي مِنْهُ وَيَضَعُهُ حَيْثُ شَاءَ وَيَصْنَعُ بِهِ مَا شَاءَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৩
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪৪. আমর ইবনে ইয়াহইয়া (রাহঃ) ......... কায়স ইবনে মুসলিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাসান ইবনে মুহাম্মাদকে (وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ) এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন, এটি (অর্থাৎ বণ্টনে আল্লাহর উল্লেখ এই হিসেবে যে এটি) দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর কালামের চাবি (অর্থাৎ সূচনা) দুনিয়া ও আখিরাত তোমরা আল্লাহরই। তবে রাসূলের এবং রাসূলের নিকটাত্মীয়ের অংশের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ইনতিকালের পরে মতভেদ দেখা দিয়েছে।
কেউ কেউ বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর অংশ তাঁর পরে খলীফার প্রাপ্য। কেউ কেউ বললেনঃ আত্মীয়দের অংশ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর আত্মীয়দের প্রাপ্য। কেউ বললেন, আত্মীয়দের অংশ খলীফার আত্মীয়দের জন্য। অবশেষে সকলে এ কথায় একমত হলেন যে, এই অংশদ্বয় ঘোড়া এবং যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করার জন্য ব্যয় হওয়া উচিত। আবু বকর এবং উমর (রাযিঃ)-এর সময় এই দুই অংশ এভাবেই ব্যয় হতো।
কেউ কেউ বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর অংশ তাঁর পরে খলীফার প্রাপ্য। কেউ কেউ বললেনঃ আত্মীয়দের অংশ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর আত্মীয়দের প্রাপ্য। কেউ বললেন, আত্মীয়দের অংশ খলীফার আত্মীয়দের জন্য। অবশেষে সকলে এ কথায় একমত হলেন যে, এই অংশদ্বয় ঘোড়া এবং যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করার জন্য ব্যয় হওয়া উচিত। আবু বকর এবং উমর (রাযিঃ)-এর সময় এই দুই অংশ এভাবেই ব্যয় হতো।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا مَحْبُوبٌ يَعْنِي ابْنَ مُوسَى قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ هُوَ الْفَزَارِيُّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ سَأَلْتُ الْحَسَنَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنْ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ قَالَ هَذَا مَفَاتِحُ كَلَامِ اللَّهِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةُ لِلَّهِ قَالَ اخْتَلَفُوا فِي هَذَيْنِ السَّهْمَيْنِ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمِ الرَّسُولِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى فَقَالَ قَائِلٌ سَهْمُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْخَلِيفَةِ مِنْ بَعْدِهِ وَقَالَ قَائِلٌ سَهْمُ ذِي الْقُرْبَى لِقَرَابَةِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ قَائِلٌ سَهْمُ ذِي الْقُرْبَى لِقَرَابَةِ الْخَلِيفَةِ فَاجْتَمَعَ رَأْيُهُمْ عَلَى أَنْ جَعَلُوا هَذَيْنِ السَّهْمَيْنِ فِي الْخَيْلِ وَالْعُدَّةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَكَانَا فِي ذَلِكَ خِلَافَةَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৪
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪৫. আমর ইবনে ইয়াহয়া ইবনে (রাহঃ) ......... মুসা ইবনে আবু আয়িশা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইয়াহয়া ইবনে জাযযারকেঃ (وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ) এ আয়াতে নবী (ﷺ) এর জন্য খুমুসে কত অংশ ছিল, জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ খুমুসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর এর অংশ ছিল পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا مَحْبُوبٌ قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ قَالَ سَأَلْتُ يَحْيَى بْنَ الْجَزَّارِ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ قَالَ قُلْتُ كَمْ كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْخُمُسِ قَالَ خُمُسُ الْخُمُسِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৫
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪৬. আমর ইবনে ইয়াহয়া ইবনে হারিস (রাহঃ) ......... মুতাররিফ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শা’বী (রাহঃ) এর নিকট রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর অংশ এবং তাঁর সফী* সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর অংশ তো ছিল একজন মুসলমান-এর অংশের সমান। আর ‘সফীর অংশ হিসেবে তার যা ইচ্ছা তা নেয়ার ইখতিয়ার ছিল।
* মালে গনিমত বন্টনের আগে নিজের জন্য ইমাম যা বেছে নেন, তাঁকে সফী বলে।
* মালে গনিমত বন্টনের আগে নিজের জন্য ইমাম যা বেছে নেন, তাঁকে সফী বলে।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا مَحْبُوبٌ قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ مُطَرِّفٍ قَالَ سُئِلَ الشَّعْبِيُّ عَنْ سَهْمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَفِيِّهِ فَقَالَ أَمَّا سَهْمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَسَهْمِ رَجُلٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ وَأَمَّا سَهْمُ الصَّفِيِّ فَغُرَّةٌ تُخْتَارُ مِنْ أَيِّ شَيْءٍ شَاءَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৬
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪৭. আমর ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ ইবনে শিখখীর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মিরবাদ নামক স্থানে মুতাররিফের সঙ্গে ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি চামড়ার এক টুকরা নিয়ে উপস্থিত হলো এবং বললেনঃ এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে লিখে দিয়েছেন, তোমাদের মধ্যে কি কেউ পড়তে পারে? আমি বললামঃ হ্যাঁ, আমি পড়তে পারবাে।
তাতে লেখা ছিলঃ ’মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ এর পক্ষ হতে বনী যুহায়র ইবনে উকায়শ এর প্রতি, তাদের জানা উচিত যদি তারা এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, আর মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল এবং তারা মুশরিক হতে পৃথক হয়ে যায়, আর তারা একথা স্বীকার করে যে, গনিমতের পঞ্চমাংশ নবীর অংশ এবং সফীও তাঁর, তবে তারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের প্রদত্ত নিরাপত্তায় থাকবে।
তাতে লেখা ছিলঃ ’মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ এর পক্ষ হতে বনী যুহায়র ইবনে উকায়শ এর প্রতি, তাদের জানা উচিত যদি তারা এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, আর মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল এবং তারা মুশরিক হতে পৃথক হয়ে যায়, আর তারা একথা স্বীকার করে যে, গনিমতের পঞ্চমাংশ নবীর অংশ এবং সফীও তাঁর, তবে তারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের প্রদত্ত নিরাপত্তায় থাকবে।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا مَحْبُوبٌ قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الشِّخِّيرِ قَالَ بَيْنَا أَنَا مَعَ مُطَرِّفٍ بِالْمِرْبَدِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ مَعَهُ قِطْعَةُ أَدَمٍ قَالَ كَتَبَ لِي هَذِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَلْ أَحَدٌ مِنْكُمْ يَقْرَأُ قَالَ قُلْتُ أَنَا أَقْرَأُ فَإِذَا فِيهَا مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبَنِي زُهَيْرِ بْنِ أُقَيْشٍ أَنَّهُمْ إِنْ شَهِدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَفَارَقُوا الْمُشْرِكِينَ وَأَقَرُّوا بِالْخُمُسِ فِي غَنَائِمِهِمْ وَسَهْمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَفِيِّهِ فَإِنَّهُمْ آمِنُونَ بِأَمَانِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৭
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪৮. আমর ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে হারিস (রাহঃ) ......... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরআন মজীদে যে বলা হয়েছে, খুমুস বা পঞ্চমাংশ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের জন্য, তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং তাঁর নিকটাত্মীয়দের জন্য, কারণ তাঁদের জন্য সাদ্কা গ্রহণ করা বৈধ ছিল না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ পঞ্চমাংশের পঞ্চমাংশ গ্রহণ করতেন আর তার আত্মীয়দের জন্য ছিল পঞ্চমাংশের পঞ্চমাংশ। আর ইয়াতীমদের জন্যও ছিল অনুরূপ। আর মুসাফিরদের জন্য অনুরূপ এবং নিকট আত্মীয়দের জন্য অনুরূপ অংশ ছিল।
আবু আব্দুর রহমান (ইমাম নাসাঈ) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা যে নিজের নাম নিয়ে শুরু করে (فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ) বলেছেন, এটা বাক্যের সূচনাবিশেষ। কারণ সমুদয় বস্তু আল্লাহরই। এবং ফায়’ ও ‘খুমুস’-এর ক্ষেত্রে তিনি প্রথমে নিজের নাম নিয়ে শুরু করেছেন। এর কারণ এই যে, এ দু’টো উত্তম অর্জন। আর সাদ্কার ক্ষেত্রে নিজের নাম নিয়ে আরম্ভ করেন নি। বরং বলেছেনঃ (إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ) অর্থাৎ সাদ্কা ফকীরদের জন্য ........। কারণ সাদ্কা মানুষের ময়লা-স্বরূপ।
কেউ কেউ বলেছেনঃ গনিমতের মালের কিছু অংশ নিয়ে কাবার মধ্যে রেখে দেওয়া হবে আর সেটাই আল্লাহর অংশ। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর অংশ ইমাম বা শাসক পাবেন। তিনি তা দিয়ে ঘোড়া, অস্ত্র-শস্ত্র ক্রয় করবেন, যাকে দেওয়া ভাল মনে করবেন, দেবেন, যাকে দিলে মুসলিম সাধারণের উপকার ও কল্যাণ হয় তাকে এবং মুহাদ্দিস, ফুকাহা ও কুরআন চর্চাকারীদেরকে দেবেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আত্মীয়দের অংশ বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব পাবেন; চাই তারা ধনী হন বা দরিদ্র। কেউ কেউ বলেন, তাঁদের মধ্যে যারা দরিদ্র কেবল তারাই পাবেন, ধনীরা পাবেন না। যেমন ইয়াতীম ও মুসাফিরদের মধ্যে যারা দরিদ্র, তারাই পাবে।
এ মতই আমার কাছে অধিক সঠিক বলে মনে হয়। কিন্তু পাওয়ার ক্ষেত্রে ছােট-বড়, নারী-পুরুষ সবাই সমান। কেননা আল্লাহ্ তাআলা এই সম্পদ তাদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের মধ্যে বণ্টন করেছেন। আর হাদীসে উল্লেখ নেই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কাউকে বেশী দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কাউকে কম।
এই মাসআলায় ইমামগণের কোন মতভেদ আছে বলে আমাদের জানা নেই যে, যদি কেউ কারো সন্তানদের জন্য নিজের এক-তৃতীয়াংশ মাল প্রদানের ওসীয়ত করে, তাহলে সকল সন্তানই সমান হারে পাবে; চাই তারা ছেলে হোক বা মেয়ে যদি তাদের পরিসংখ্যান জানা থাকে। এমনিভাবে যদি কোন জিনিস কারো সন্তানদের দেওয়ার জন্য বলা হয়, তাহলে ঐ জিনিস সকল সন্তানই সমান হারে পাবে। অবশ্য যে ব্যক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়, সে যদি পরিস্কার বলে দেয় যে, অমুক এতটুকু পাবে, আর অমুক এতটুকু, তাহলে তার কথানুযায়ী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আর এক অংশ মুসলমান ইয়াতীমগণ পাবে। এক অংশ মুসলমান মিসকীনগণ এবং এক অংশ মুসাফিরগণ পাবে। আর কাউকে মিসকীনের অংশ ও মুসাফিরের অংশ-এই দুই অংশ একত্রে দেওয়া হবে না; বরং তাকে বলা হবে তুমি হয় মিসকীনের অংশ গ্রহণ কর অথবা মুসাফিরের অংশ গ্রহণ কর। গনিমতের মালের অবশিষ্ট চারভাগ ইমাম ঐ মুসলমানদের দেবেন, যারা বালেগ এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।
আবু আব্দুর রহমান (ইমাম নাসাঈ) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা যে নিজের নাম নিয়ে শুরু করে (فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ) বলেছেন, এটা বাক্যের সূচনাবিশেষ। কারণ সমুদয় বস্তু আল্লাহরই। এবং ফায়’ ও ‘খুমুস’-এর ক্ষেত্রে তিনি প্রথমে নিজের নাম নিয়ে শুরু করেছেন। এর কারণ এই যে, এ দু’টো উত্তম অর্জন। আর সাদ্কার ক্ষেত্রে নিজের নাম নিয়ে আরম্ভ করেন নি। বরং বলেছেনঃ (إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ) অর্থাৎ সাদ্কা ফকীরদের জন্য ........। কারণ সাদ্কা মানুষের ময়লা-স্বরূপ।
কেউ কেউ বলেছেনঃ গনিমতের মালের কিছু অংশ নিয়ে কাবার মধ্যে রেখে দেওয়া হবে আর সেটাই আল্লাহর অংশ। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর অংশ ইমাম বা শাসক পাবেন। তিনি তা দিয়ে ঘোড়া, অস্ত্র-শস্ত্র ক্রয় করবেন, যাকে দেওয়া ভাল মনে করবেন, দেবেন, যাকে দিলে মুসলিম সাধারণের উপকার ও কল্যাণ হয় তাকে এবং মুহাদ্দিস, ফুকাহা ও কুরআন চর্চাকারীদেরকে দেবেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আত্মীয়দের অংশ বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব পাবেন; চাই তারা ধনী হন বা দরিদ্র। কেউ কেউ বলেন, তাঁদের মধ্যে যারা দরিদ্র কেবল তারাই পাবেন, ধনীরা পাবেন না। যেমন ইয়াতীম ও মুসাফিরদের মধ্যে যারা দরিদ্র, তারাই পাবে।
এ মতই আমার কাছে অধিক সঠিক বলে মনে হয়। কিন্তু পাওয়ার ক্ষেত্রে ছােট-বড়, নারী-পুরুষ সবাই সমান। কেননা আল্লাহ্ তাআলা এই সম্পদ তাদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের মধ্যে বণ্টন করেছেন। আর হাদীসে উল্লেখ নেই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কাউকে বেশী দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কাউকে কম।
এই মাসআলায় ইমামগণের কোন মতভেদ আছে বলে আমাদের জানা নেই যে, যদি কেউ কারো সন্তানদের জন্য নিজের এক-তৃতীয়াংশ মাল প্রদানের ওসীয়ত করে, তাহলে সকল সন্তানই সমান হারে পাবে; চাই তারা ছেলে হোক বা মেয়ে যদি তাদের পরিসংখ্যান জানা থাকে। এমনিভাবে যদি কোন জিনিস কারো সন্তানদের দেওয়ার জন্য বলা হয়, তাহলে ঐ জিনিস সকল সন্তানই সমান হারে পাবে। অবশ্য যে ব্যক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়, সে যদি পরিস্কার বলে দেয় যে, অমুক এতটুকু পাবে, আর অমুক এতটুকু, তাহলে তার কথানুযায়ী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আর এক অংশ মুসলমান ইয়াতীমগণ পাবে। এক অংশ মুসলমান মিসকীনগণ এবং এক অংশ মুসাফিরগণ পাবে। আর কাউকে মিসকীনের অংশ ও মুসাফিরের অংশ-এই দুই অংশ একত্রে দেওয়া হবে না; বরং তাকে বলা হবে তুমি হয় মিসকীনের অংশ গ্রহণ কর অথবা মুসাফিরের অংশ গ্রহণ কর। গনিমতের মালের অবশিষ্ট চারভাগ ইমাম ঐ মুসলমানদের দেবেন, যারা বালেগ এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ قَالَ أَنْبَأَنَا مَحْبُوبٌ قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ خُصَيْفٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ الْخُمُسُ الَّذِي لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَرَابَتِهِ لَا يَأْكُلُونَ مِنْ الصَّدَقَةِ شَيْئًا فَكَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُمُسُ الْخُمُسِ وَلِذِي قَرَابَتِهِ خُمُسُ الْخُمُسِ وَلِلْيَتَامَى مِثْلُ ذَلِكَ وَلِلْمَسَاكِينِ مِثْلُ ذَلِكَ وَلِابْنِ السَّبِيلِ مِثْلُ ذَلِكَ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ قَالَ اللَّهُ جَلَّ ثَنَاؤُهُ وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَقَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ لِلَّهِ ابْتِدَاءُ كَلَامٍ لِأَنَّ الْأَشْيَاءَ كُلَّهَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَعَلَّهُ إِنَّمَا اسْتَفْتَحَ الْكَلَامَ فِي الْفَيْءِ وَالْخُمُسِ بِذِكْرِ نَفْسِهِ لِأَنَّهَا أَشْرَفُ الْكَسْبِ وَلَمْ يَنْسِبْ الصَّدَقَةَ إِلَى نَفْسِهِ عَزَّ وَجَلَّ لِأَنَّهَا أَوْسَاخُ النَّاسِ وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ وَقَدْ قِيلَ يُؤْخَذُ مِنْ الْغَنِيمَةِ شَيْءٌ فَيُجْعَلُ فِي الْكَعْبَةِ وَهُوَ السَّهْمُ الَّذِي لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَسَهْمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْإِمَامِ يَشْتَرِي الْكُرَاعَ مِنْهُ وَالسِّلَاحَ وَيُعْطِي مِنْهُ مَنْ رَأَى مِمَّنْ رَأَى فِيهِ غَنَاءً وَمَنْفَعَةً لِأَهْلِ الْإِسْلَامِ وَمِنْ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَالْعِلْمِ وَالْفِقْهِ وَالْقُرْآنِ وَسَهْمٌ لِذِي الْقُرْبَى وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ بَيْنَهُمْ الْغَنِيُّ مِنْهُمْ وَالْفَقِيرُ وَقَدْ قِيلَ إِنَّهُ لِلْفَقِيرِ مِنْهُمْ دُونَ الْغَنِيِّ كَالْيَتَامَى وَابْنِ السَّبِيلِ وَهُوَ أَشْبَهُ الْقَوْلَيْنِ بِالصَّوَابِ عِنْدِي وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ وَالصَّغِيرُ وَالْكَبِيرُ وَالذَّكَرُ وَالْأُنْثَى سَوَاءٌ لِأَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ جَعَلَ ذَلِكَ لَهُمْ وَقَسَّمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِمْ وَلَيْسَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّهُ فَضَّلَ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَلَا خِلَافَ نَعْلَمُهُ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ فِي رَجُلٍ لَوْ أَوْصَى بِثُلُثِهِ لِبَنِي فُلَانٍ أَنَّهُ بَيْنَهُمْ وَأَنَّ الذَّكَرَ وَالْأُنْثَى فِيهِ سَوَاءٌ إِذَا كَانُوا يُحْصَوْنَ فَهَكَذَا كُلُّ شَيْءٍ صُيِّرَ لِبَنِي فُلَانٍ أَنَّهُ بَيْنَهُمْ بِالسَّوِيَّةِ إِلَّا أَنْ يُبَيِّنَ ذَلِكَ الْآمِرُ بِهِ وَاللَّهُ وَلِيُّ التَّوْفِيقِ وَسَهْمٌ لِلْيَتَامَى مِنْ الْمُسْلِمِينَ وَسَهْمٌ لِلْمَسَاكِينِ مِنْ الْمُسْلِمِينَ وَسَهْمٌ لِابْنِ السَّبِيلِ مِنْ الْمُسْلِمِينَ وَلَا يُعْطَى أَحَدٌ مِنْهُمْ سَهْمُ مِسْكِينٍ وَسَهْمُ ابْنِ السَّبِيلِ وَقِيلَ لَهُ خُذْ أَيَّهُمَا شِئْتَ وَالْأَرْبَعَةُ أَخْمَاسٍ يَقْسِمُهَا الْإِمَامُ بَيْنَ مَنْ حَضَرَ الْقِتَالَ مِنْ الْمُسْلِمِينَ الْبَالِغِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৮
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
৪১৪৯. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... মালিক ইবনে আউস ইবনে হাদাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্বাস এবং আলী (রাযিঃ) বিবাদমান অবস্থায় উমর (রাযিঃ)-এর কাছে আসেন। এরপর আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমার এবং এর মধ্যে ফয়সালা করে দিন। লোকেরাও বললেনঃ এদের মধ্যে বণ্টন করে দিন। তখন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ আমি তাদের মধ্যে বন্টন করবো না। তারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, কেউ আমাদের ওয়ারিস হয় না। আমরা যা রেখে যাই, তা সাদ্কা। রাবী বলেনঃ এরপর যুহরী বলেন যে, উমর (রাযিঃ) সে সম্পদের মুতাওয়াল্লী ছিলেন। তিনি তা হতে তার পরিবারের খরচ পরিমাণমত গ্রহণ করতেন এবং অবশিষ্ট যা থাকতো তা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতেন।
তারপরে এই মালের মুতাওয়াল্লী ছিলেন আবু বকর (রাযিঃ)। আবু বকরের পর আমি এর মুতাওয়াল্লী হয়েছি। আমিও ঐরূপই করেছি, যেরূপ তিনি করতেন। এখন এঁরা দু’জন আমার নিকট এসে এই মাল তাদেরকে দেয়ার জন্য বললেন, যেন তারা এর মুতাওয়াল্লী হতে পারেন, যেরূপ রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এবং আবু বকর (রাযিঃ) মুতাওয়াল্লী ছিলেন এবং আমি এর মুতাওয়াল্লী হয়েছি। সুতরাং তখন আমি ঐ মাল তাদেরকে দিয়ে দিলাম এবং তাদের হতে অঙ্গীকার গ্রহণ করলাম। পরে তারা উভয়ে আবার আসলেন।
একজন বললেনঃ আমার ভাতিজার থেকে আমার অংশ ভাগ করে দিন। অপরজন বললেন, আমার স্ত্রীর পক্ষ হতে আমার প্রাপ্য অংশ আমাকে ভাগ করে দিন। তিনি বললেনঃ যদি তারা সম্মত হন তাহলে আমি এই মাল তাদেরকে দিয়ে দেব এই শর্তে যে, তারা মালের ব্যাপারে ঐরূপ কাজ করবেন, যেরূপ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) করতেন এবং তার পরে আবু বকর (রাযিঃ) করতেন এবং তার পরে আমি করেছি। যদি তারা দু’জন এতে সম্মত না হন তাহলে তাঁরা যেন তাদের ঘরে বসে থাকেন, আর মাল আমি আমার তত্ত্বাবধানে রাখবাে।
এরপর উমর (রাযিঃ) বললেনঃ মালের গনিমত সম্বন্ধে আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ জেনে রাখ, যুদ্ধে যা তোমার লাভ কর, তার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহ্ তাআলার, রাসূলের এবং নিকটাত্মীয়দের, ইয়াতীমদের, মিসকীনদের ও মুসাফিরদের। আল্লাহ্ আরো বলেনঃ আর সাদ্কা ফকীর, মিসকীন, তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের এবং যাদের হৃদয় আকৃষ্ট করা হয় তাদের জন্য, দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্ত ও আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্য। যে মাল আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রাসূলকে দান করেছেন। তোমরা তাতে নিজেদের ঘোড়া বা উট হাঁকাও নি। যুহরী (রাহঃ) বলেন, এই মাল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য নির্দিষ্ট, আর তা হলো, কয়েকটি আরব গ্রাম, তথা ফিদক এবং অন্যান্য।
এই মালের ব্যাপারে আল্লাহ্ তাআলা বলেন, জনপদবাসীদের থেকে যে মাল আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রাসূলকে দান করলেন, তা আল্লাহ এবং তার রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীম, মিসকীন, মুসাফিরদের। আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ এ সম্পদ ঐ অভাবগ্রস্ত মুহাজিরদের জন্য, যারা নিজেদের ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি থেকে উৎখাত হয়েছে। মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ এই মালে ঐ সকল লোকের হক রয়েছে। যারা মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে এই নগরীতে এসে বসবাস করেছে এবং ঈমান এনেছে। আর ঐ সকল লোকেরও হক রয়েছে, যারা এদের পরে এসেছে। এই আয়াতে মুসলমান শামিল রয়েছে, কোন মুসলমানই অবশিষ্ট নেই যার এ মালে হক নেই। তবে তোমাদের মাঝে কিছু দাস-দাসী রয়েছে, যাদের এ মালে হক নেই। এরপর উমর (রাযিঃ) বলেনঃ যদি আমি জীবিত থাকি, তবে ইনশাআল্লাহ্ প্রত্যেক মুসলমানের কাছে তার হক পৌছে যাবে।
তারপরে এই মালের মুতাওয়াল্লী ছিলেন আবু বকর (রাযিঃ)। আবু বকরের পর আমি এর মুতাওয়াল্লী হয়েছি। আমিও ঐরূপই করেছি, যেরূপ তিনি করতেন। এখন এঁরা দু’জন আমার নিকট এসে এই মাল তাদেরকে দেয়ার জন্য বললেন, যেন তারা এর মুতাওয়াল্লী হতে পারেন, যেরূপ রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এবং আবু বকর (রাযিঃ) মুতাওয়াল্লী ছিলেন এবং আমি এর মুতাওয়াল্লী হয়েছি। সুতরাং তখন আমি ঐ মাল তাদেরকে দিয়ে দিলাম এবং তাদের হতে অঙ্গীকার গ্রহণ করলাম। পরে তারা উভয়ে আবার আসলেন।
একজন বললেনঃ আমার ভাতিজার থেকে আমার অংশ ভাগ করে দিন। অপরজন বললেন, আমার স্ত্রীর পক্ষ হতে আমার প্রাপ্য অংশ আমাকে ভাগ করে দিন। তিনি বললেনঃ যদি তারা সম্মত হন তাহলে আমি এই মাল তাদেরকে দিয়ে দেব এই শর্তে যে, তারা মালের ব্যাপারে ঐরূপ কাজ করবেন, যেরূপ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) করতেন এবং তার পরে আবু বকর (রাযিঃ) করতেন এবং তার পরে আমি করেছি। যদি তারা দু’জন এতে সম্মত না হন তাহলে তাঁরা যেন তাদের ঘরে বসে থাকেন, আর মাল আমি আমার তত্ত্বাবধানে রাখবাে।
এরপর উমর (রাযিঃ) বললেনঃ মালের গনিমত সম্বন্ধে আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ জেনে রাখ, যুদ্ধে যা তোমার লাভ কর, তার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহ্ তাআলার, রাসূলের এবং নিকটাত্মীয়দের, ইয়াতীমদের, মিসকীনদের ও মুসাফিরদের। আল্লাহ্ আরো বলেনঃ আর সাদ্কা ফকীর, মিসকীন, তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের এবং যাদের হৃদয় আকৃষ্ট করা হয় তাদের জন্য, দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্ত ও আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্য। যে মাল আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রাসূলকে দান করেছেন। তোমরা তাতে নিজেদের ঘোড়া বা উট হাঁকাও নি। যুহরী (রাহঃ) বলেন, এই মাল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য নির্দিষ্ট, আর তা হলো, কয়েকটি আরব গ্রাম, তথা ফিদক এবং অন্যান্য।
এই মালের ব্যাপারে আল্লাহ্ তাআলা বলেন, জনপদবাসীদের থেকে যে মাল আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রাসূলকে দান করলেন, তা আল্লাহ এবং তার রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীম, মিসকীন, মুসাফিরদের। আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ এ সম্পদ ঐ অভাবগ্রস্ত মুহাজিরদের জন্য, যারা নিজেদের ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি থেকে উৎখাত হয়েছে। মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ এই মালে ঐ সকল লোকের হক রয়েছে। যারা মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে এই নগরীতে এসে বসবাস করেছে এবং ঈমান এনেছে। আর ঐ সকল লোকেরও হক রয়েছে, যারা এদের পরে এসেছে। এই আয়াতে মুসলমান শামিল রয়েছে, কোন মুসলমানই অবশিষ্ট নেই যার এ মালে হক নেই। তবে তোমাদের মাঝে কিছু দাস-দাসী রয়েছে, যাদের এ মালে হক নেই। এরপর উমর (রাযিঃ) বলেনঃ যদি আমি জীবিত থাকি, তবে ইনশাআল্লাহ্ প্রত্যেক মুসলমানের কাছে তার হক পৌছে যাবে।
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ قَالَ جَاءَ الْعَبَّاسُ وَعَلِيٌّ إِلَى عُمَرَ يَخْتَصِمَانِ فَقَالَ الْعَبَّاسُ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا فَقَالَ النَّاسُ افْصِلْ بَيْنَهُمَا فَقَالَ عُمَرُ لَا أَفْصِلُ بَيْنَهُمَا قَدْ عَلِمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ قَالَ فَقَالَ الزُّهْرِيُّ وَلِيَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذَ مِنْهَا قُوتَ أَهْلِهِ وَجَعَلَ سَائِرَهُ سَبِيلَهُ سَبِيلَ الْمَالِ ثُمَّ وَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ بَعْدَهُ ثُمَّ وُلِّيتُهَا بَعْدَ أَبِي بَكْرٍ فَصَنَعْتَ فِيهَا الَّذِي كَانَ يَصْنَعُ ثُمَّ أَتَيَانِي فَسَأَلَانِي أَنْ أَدْفَعَهَا إِلَيْهِمَا عَلَى أَنْ يَلِيَاهَا بِالَّذِي وَلِيَهَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِي وَلِيَهَا بِهِ أَبُو بَكْرٍ وَالَّذِي وُلِّيتُهَا بِهِ فَدَفَعْتُهَا إِلَيْهِمَا وَأَخَذْتُ عَلَى ذَلِكَ عُهُودَهُمَا ثُمَّ أَتَيَانِي يَقُولُ هَذَا اقْسِمْ لِي بِنَصِيبِي مِنْ ابْنِ أَخِي وَيَقُولُ هَذَا اقْسِمْ لِي بِنَصِيبِي مِنْ امْرَأَتِي وَإِنْ شَاءَا أَنْ أَدْفَعَهَا إِلَيْهِمَا عَلَى أَنْ يَلِيَاهَا بِالَّذِي وَلِيَهَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِي وَلِيَهَا بِهِ أَبُو بَكْرٍ وَالَّذِي وُلِّيتُهَا بِهِ دَفَعْتُهَا إِلَيْهِمَا وَإِنْ أَبَيَا كُفِيَا ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ هَذَا لِهَؤُلَاءِ إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ هَذِهِ لِهَؤُلَاءِ وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ قَالَ الزُّهْرِيُّ هَذِهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً قُرًى عَرَبِيَّةً فَدْكُ كَذَا وَكَذَا فَ مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَ لِلْفُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ فَاسْتَوْعَبَتْ هَذِهِ الْآيَةُ النَّاسَ فَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا لَهُ فِي هَذَا الْمَالِ حَقٌّ أَوْ قَالَ حَظٌّ إِلَّا بَعْضَ مَنْ تَمْلِكُونَ مِنْ أَرِقَّائِكُمْ وَلَئِنْ عِشْتُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَيَأْتِيَنَّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ حَقُّهُ أَوْ قَالَ حَظُّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: