কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৩৭. কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ৪০৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৯৭
কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে
যে ব্যক্তি তলোয়ার খাপমুক্ত করে, তারপর মানুষের মধ্যে তা চালনা করে
৪০৯৮. ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনে যুবায়র (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তলোয়ার খাপমুক্ত করে, তারপর লোকের উপর তা চালায়, (সে নিহত হলে) তার রক্ত বৃথা যাবে।
كتاب المحاربة / تحريم الدم
مَنْ شَهَرَ سَيْفَهُ ثُمَّ وَضَعَهُ فِي النَّاسِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ شَهَرَ سَيْفَهُ ثُمَّ وَضَعَهُ فَدَمُهُ هَدَرٌ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৯৮
কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে
যে ব্যক্তি তলোয়ার খাপমুক্ত করে, তারপর মানুষের মধ্যে তা চালনা করে
৪০৯৯. ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনে যুবায়র (রাযিঃ) অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তিনি এটাকে মারফুরূপে বর্ণনা করেন নি।
كتاب المحاربة / تحريم الدم
مَنْ شَهَرَ سَيْفَهُ ثُمَّ وَضَعَهُ فِي النَّاسِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بِهَذَا الْإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৯৯
কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে
যে ব্যক্তি তলোয়ার খাপমুক্ত করে, তারপর মানুষের মধ্যে তা চালনা করে
৪১০০. আবু দাউদ (রাহঃ) ......... ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি অস্ত্র উঠিয়ে চালাবে তার রক্ত বৃথা যাবে।
كتاب المحاربة / تحريم الدم
مَنْ شَهَرَ سَيْفَهُ ثُمَّ وَضَعَهُ فِي النَّاسِ
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ مَنْ رَفَعَ السِّلَاحَ ثُمَّ وَضَعَهُ فَدَمُهُ هَدَرٌ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১০০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০০
কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে
যে ব্যক্তি তলোয়ার খাপমুক্ত করে, তারপর মানুষের মধ্যে তা চালনা করে
৪১০১. আহমদ ইবনে আমর ইবনে সারহ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে আমাদের উপর অস্ত্র চালায়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
كتاب المحاربة / تحريم الدم
مَنْ شَهَرَ سَيْفَهُ ثُمَّ وَضَعَهُ فِي النَّاسِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ أَنَّ نَافِعًا أَخْبَرَهُمْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ فَلَيْسَ مِنَّا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১০১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০১
কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে
যে ব্যক্তি তলোয়ার খাপমুক্ত করে, তারপর মানুষের মধ্যে তা চালনা করে
৪১০২. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট ইয়ামন থেকে কিছু মাটি মিশ্রিত সোনা পাঠান, তিনি তা আকরা ইবনে হাবিস হানযালী মুজাশি’ঈ, উয়ায়না ইবনে বদর আল-ফাযারী, আলকামা ইবনে উলায়া আরিমী কিলাবী ও যায়দ খায়ল তায়ী নাবহানীর মধ্যে বণ্টন করে দেন। এতে কুরায়শ এবং আনসারীগণ ক্রোধান্বিত হল এবং তারা বললোঃ তিনি নজদের নেতাদের দেন, আমাদের দেন না। তিনি বললেনঃ (যেহেতু তারা নতুন ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাই তাদেরকে দিয়ে) তাদের মনোরঞ্জন করছি মাত্র (আর তোমরা তোমরা পূর্বে মুসলমান হয়েছে)। এমন ব্যক্তি এগিয়ে আসল, যার চক্ষু কোটরাগত, গণ্ডদ্বয় ফোলা, ঘন দাড়িবিশিষ্ট ও মাথা মুড়ানো ছিল।
সে বললোঃ হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় কর। তিনি বললেনঃ যদি আমিই আল্লাহর নাফরমানী করি, তবে আর কে তার আনুগত্য করবে? আল্লাহ তাআলা আমাকে জগতবাসীদের মধ্যে আমীনরূপে সৃষ্টি করেছেন, আর তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর না! এমন সময় লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইলে তিনি নিষেধ করলেন।
যখন সে ব্যক্তি চলে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তার বংশে এমন কিছু লোক জন্ম নিবে, যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে, কিন্তু কুরআন তাদের গলার নীচে নামবে না, তারা ধর্ম থেকে এভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর জন্তুর শরীর ভেদ করে বের হয়ে যায়। তারা মুসলমানদের হত্যা করবে এবং মূর্তিপূজকদের ছেড়ে দেবে। আমি যদি তাদেরকে পাই, তবে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করবো, যেমন আদ বংশের লোকদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
সে বললোঃ হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় কর। তিনি বললেনঃ যদি আমিই আল্লাহর নাফরমানী করি, তবে আর কে তার আনুগত্য করবে? আল্লাহ তাআলা আমাকে জগতবাসীদের মধ্যে আমীনরূপে সৃষ্টি করেছেন, আর তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর না! এমন সময় লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইলে তিনি নিষেধ করলেন।
যখন সে ব্যক্তি চলে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তার বংশে এমন কিছু লোক জন্ম নিবে, যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে, কিন্তু কুরআন তাদের গলার নীচে নামবে না, তারা ধর্ম থেকে এভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর জন্তুর শরীর ভেদ করে বের হয়ে যায়। তারা মুসলমানদের হত্যা করবে এবং মূর্তিপূজকদের ছেড়ে দেবে। আমি যদি তাদেরকে পাই, তবে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করবো, যেমন আদ বংশের লোকদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
كتاب المحاربة / تحريم الدم
مَنْ شَهَرَ سَيْفَهُ ثُمَّ وَضَعَهُ فِي النَّاسِ
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ أَنْبَأَنَا الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ بَعَثَ عَلِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْيَمَنِ بِذُهَيْبَةٍ فِي تُرْبَتِهَا فَقَسَمَهَا بَيْنَ الْأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي مُجَاشِعٍ وَبَيْنَ عُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيِّ وَبَيْنَ عَلْقَمَةَ بْنِ عُلَاثَةَ الْعَامِرِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي كِلَابٍ وَبَيْنَ زَيْدِ الْخَيْلِ الطَّائِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي نَبْهَانَ قَالَ فَغَضِبَتْ قُرَيْشٌ وَالْأَنْصَارُ وَقَالُوا يُعْطِي صَنَادِيدَ أَهْلِ نَجْدٍ وَيَدَعُنَا فَقَالَ إِنَّمَا أَتَأَلَّفُهُمْ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ غَائِرَ الْعَيْنَيْنِ نَاتِئَ الْوَجْنَتَيْنِ كَثَّ اللِّحْيَةِ مَحْلُوقَ الرَّأْسِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ اتَّقِ اللَّهَ قَالَ مَنْ يُطِعْ اللَّهَ إِذَا عَصَيْتُهُ أَيَأْمَنُنِي عَلَى أَهْلِ الْأَرْضِ وَلَا تَأْمَنُونِي فَسَأَلَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ قَتْلَهُ فَمَنَعَهُ فَلَمَّا وَلَّى قَالَ إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا قَوْمًا يَخْرُجُونَ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْ الدِّينِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنْ الرَّمِيَّةِ يَقْتُلُونَ أَهْلَ الْإِسْلَامِ وَيَدَعُونَ أَهْلَ الْأَوْثَانِ لَئِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُمْ لَأَقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ عَادٍ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১০২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০২
কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে
যে ব্যক্তি তলোয়ার খাপমুক্ত করে, তারপর মানুষের মধ্যে তা চালনা করে
৪১০৩. মুহাম্মাদ ইবনে বাশার (রাহঃ) ......... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ শেষ যুগে এমন কিছু লোক জন্ম নেবে যারা হবে অল্পবয়স্ক এবং জ্ঞানহীন। প্রকাশ্যে তারা ভাল কথা বলবে, কিন্তু ঈমান তাদের গলার নীচে যাবে না। তারা ধর্ম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর লক্ষ্যস্থল ভেদ করে যায়। তোমরা তাদেরকে দেখতে পেলে হত্যা করবে। কেননা তাদের হত্যা করা হলে কিয়ামতের দিন তাদের হত্যাকারীদের জন্য প্রতিদান থাকবে।
كتاب المحاربة / تحريم الدم
مَنْ شَهَرَ سَيْفَهُ ثُمَّ وَضَعَهُ فِي النَّاسِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ خَيْثَمَةَ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَخْرُجُ قَوْمٌ فِي آخِرِ الزَّمَانِ أَحْدَاثُ الْأَسْنَانِ سُفَهَاءُ الْأَحْلَامِ يَقُولُونَ مِنْ خَيْرِ قَوْلِ الْبَرِيَّةِ لَا يُجَاوِزُ إِيمَانُهُمْ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنْ الرَّمِيَّةِ فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ فَإِنَّ قَتْلَهُمْ أَجْرٌ لِمَنْ قَتَلَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০৩
কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে
যে ব্যক্তি তলোয়ার খাপমুক্ত করে, তারপর মানুষের মধ্যে তা চালনা করে
৪১০৪. মুহাম্মাদ ইবনে মা’মারবসরী হাররানী (রাহঃ) ......... শারীক ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কোন সাহাবীর সাথে মিলিত হবাে এবং খারিজীদের ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করবো। ঘটনাক্রমে ঈদের দিন আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ)-কে তার কয়েকজন সাথীর সাথে দেখলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি খারিজীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট কিছু শুনেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমি নিজের কানে শুনেছি, চক্ষে দেখেছি।
একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট কিছু মাল আসে। তা তাঁর ডানদিকের এবং বামদিকের লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দেন এবং যারা তার পিছনে ছিল, তাদেরকে কিছুই দিলেন না। তখন তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললোঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি ইনসাফের সাথে বণ্টন করেন নি। সে ছিল কাল রংবিশিষ্ট, মুড়ানো মাথা এবং সাদা কাপড় পরিহিত। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অতিশয় রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ আল্লাহর শপথ! তোমরা কাউকে আমার পরে আমার থেকে অধিক ইনসাফকারী দেখতে পাবে না।
পরে তিনি বললেনঃ শেষ যুগে এমন কতক লোকের আবির্ভাব হবে, মনে হয় এই ব্যক্তি তাদের একজন। যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে, কিন্তু কুরআন তাদের গলার নীচে ঢুকবে না। তারা ইসলাম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার হতে বের হয়ে যায়। তাদের চিহ্ন হলো তাদের মাথা মুড়ানো থাকবে। তারা এভাবে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং তাদের শেষ দলটি দাজ্জালের সাথে বের হবে। যদি তোমরা তাদের পাও, তবে তাদের হত্যা করবে। কেননা তারা সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে নিকৃষ্ট।
একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট কিছু মাল আসে। তা তাঁর ডানদিকের এবং বামদিকের লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দেন এবং যারা তার পিছনে ছিল, তাদেরকে কিছুই দিলেন না। তখন তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললোঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি ইনসাফের সাথে বণ্টন করেন নি। সে ছিল কাল রংবিশিষ্ট, মুড়ানো মাথা এবং সাদা কাপড় পরিহিত। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অতিশয় রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ আল্লাহর শপথ! তোমরা কাউকে আমার পরে আমার থেকে অধিক ইনসাফকারী দেখতে পাবে না।
পরে তিনি বললেনঃ শেষ যুগে এমন কতক লোকের আবির্ভাব হবে, মনে হয় এই ব্যক্তি তাদের একজন। যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে, কিন্তু কুরআন তাদের গলার নীচে ঢুকবে না। তারা ইসলাম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার হতে বের হয়ে যায়। তাদের চিহ্ন হলো তাদের মাথা মুড়ানো থাকবে। তারা এভাবে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং তাদের শেষ দলটি দাজ্জালের সাথে বের হবে। যদি তোমরা তাদের পাও, তবে তাদের হত্যা করবে। কেননা তারা সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে নিকৃষ্ট।
كتاب المحاربة / تحريم الدم
مَنْ شَهَرَ سَيْفَهُ ثُمَّ وَضَعَهُ فِي النَّاسِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ الْبَصْرِيُّ الْحَرَّانِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ الْأَزْرَقِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ شَرِيكِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ كُنْتُ أَتَمَنَّى أَنْ أَلْقَى رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ عَنْ الْخَوَارِجِ فَلَقِيتُ أَبَا بَرْزَةَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقُلْتُ لَهُ هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ الْخَوَارِجَ فَقَالَ نَعَمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُذُنِي وَرَأَيْتُهُ بِعَيْنِي أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَالٍ فَقَسَمَهُ فَأَعْطَى مَنْ عَنْ يَمِينِهِ وَمَنْ عَنْ شِمَالِهِ وَلَمْ يُعْطِ مَنْ وَرَاءَهُ شَيْئًا فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ وَرَائِهِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ مَا عَدَلْتَ فِي الْقِسْمَةِ رَجُلٌ أَسْوَدُ مَطْمُومُ الشَّعْرِ عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَبْيَضَانِ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَضَبًا شَدِيدًا وَقَالَ وَاللَّهِ لَا تَجِدُونَ بَعْدِي رَجُلًا هُوَ أَعْدَلُ مِنِّي ثُمَّ قَالَ يَخْرُجُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ كَأَنَّ هَذَا مِنْهُمْ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْ الْإِسْلَامِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنْ الرَّمِيَّةِ سِيمَاهُمْ التَّحْلِيقُ لَا يَزَالُونَ يَخْرُجُونَ حَتَّى يَخْرُجَ آخِرُهُمْ مَعَ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ رَحِمَهُ اللَّهُ شَرِيكُ بْنُ شِهَابٍ لَيْسَ بِذَلِكَ الْمَشْهُورِ
তাহকীক: