কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৩৭. কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪০৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৫৭
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৫৮. আবু আযহার আহমদ ইবনে আযহার নিশাপুরী (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ তিন কারণ ব্যতীত কোন মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ নয়ঃ
(১) যে ব্যক্তি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ব্যভিচার করে, তাকে রজম করা হবে;
(২) যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অন্যকে হত্যা করে, তার কিসাস নেয়া হবে;
(৩) যে ইসলাম গ্রহণ করার পর মুরতাদ হয়, তাকে হত্যা করা হবে।
(১) যে ব্যক্তি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ব্যভিচার করে, তাকে রজম করা হবে;
(২) যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অন্যকে হত্যা করে, তার কিসাস নেয়া হবে;
(৩) যে ইসলাম গ্রহণ করার পর মুরতাদ হয়, তাকে হত্যা করা হবে।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْأَزْهَرِ أَحْمَدُ بْنُ الْأَزْهَرِ النَّيْسَابُورِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّازِيُّ قَالَ أَنْبَأَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُثْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانِهِ فَعَلَيْهِ الرَّجْمُ أَوْ قَتَلَ عَمْدًا فَعَلَيْهِ الْقَوَدُ أَوْ ارْتَدَّ بَعْدَ إِسْلَامِهِ فَعَلَيْهِ الْقَتْلُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৫৮
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৫৯. মুয়াম্মাল ইবনে ইহাব (রাহঃ) ......... উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ তিনটি কারণ ব্যতীত কোন মুসলমানের রক্ত বৈধ হয় না : যদি সে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, বা যদি কোন লোককে হত্যা করে তবে তাকে হত্যা করা হবে, অথবা যদি ইসলাম গ্রহণের পর মুরতাদ হয়ে যায়, তখন তাকে হত্যা করা হবে।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِثَلَاثٍ أَنْ يَزْنِيَ بَعْدَ مَا أُحْصِنَ أَوْ يَقْتُلَ إِنْسَانًا فَيُقْتَلَ أَوْ يَكْفُرَ بَعْدَ إِسْلَامِهِ فَيُقْتَلَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪০৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৫৯
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬০. ইমরান ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে তার দ্বীন (ইসলাম) পরিবর্তন করে, তাকে হত্যা কর।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬০
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬১. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রাহঃ) ......... ইকরিমা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, কিছু লোক ইসলাম থেকে মুরতাদ হয়ে যায়, তখন আলী (রাযিঃ) তাদের আগুনে জ্বালিয়ে দেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, যদি আমি তার স্থলে হতাম, তবে তাদেরকে কখনও জ্বালাতাম না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কাউকে আল্লাহ তাআলার আযাব দ্বারা আযাব দিও না। আমি হলে তাদেরকে হত্যা করতাম। কারণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি স্বীয় দীন পরিবর্তন করে, তাকে হত্যা কর।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّ نَاسًا ارْتَدُّوا عَنْ الْإِسْلَامِ فَحَرَّقَهُمْ عَلِيٌّ بِالنَّارِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَوْ كُنْتُ أَنَا لَمْ أُحَرِّقْهُمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُعَذِّبُوا بِعَذَابِ اللَّهِ أَحَدًا وَلَوْ كُنْتُ أَنَا لَقَتَلْتُهُمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬১
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬২. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দ্বীন পরিবর্তন করে, তাকে হত্যা কর।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَنْبَأَنَا إِسْمَعِيلُ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬২
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬৩. হিলাল ইবনে ’আলা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দ্বীন পরিবর্তন করে, তাকে হত্যা কর।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنِي هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زُرَارَةَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬৩
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬৪. মুসা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ......... হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দ্বীন পরিবর্তন করে, তাকে হত্যা কর।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ وَهَذَا أَوْلَى بِالصَّوَابِ مِنْ حَدِيثِ عَبَّادٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪০৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬৪
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬৫. হুসাইন ইবনে ঈসা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দ্বীন পরিবর্তন করে, তাকে হত্যা কর।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬৫
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬৬. মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) এর নিকট ’যুত’ পাহাড়ের কিছু লোক আনা হলো, যারা মূর্তিপূজা করতো। তিনি তাদেরকে আগুনে জ্বালিয়ে দিলেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দ্বীন পরিবর্তন করে, তাকে হত্যা করে ফেল।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ عَلِيًّا أُتِيَ بِنَاسٍ مِنْ الزُّطِّ يَعْبُدُونَ وَثَنًا فَأَحْرَقَهُمْ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬৬
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬৭. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ও হাম্মাদ ইবনে মা’আদা (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) তাঁকে ইয়ামনে (সুবেদার করে) পাঠান। পরে তিনি মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ)-কে পাঠান। যখন তিনি সেখানে পৌঁছলেন, তখন বললেনঃ হে জনগণ! আমি তোমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর দূত হিসেবে এসেছি। আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) তার বসার জন্য একটি তাকিয়া স্থাপন করলেন। এমন সময় এক ব্যক্তিকে আনা হলো, যে প্রথমে ইয়াহুদী ছিল, পরে ইসলাম গ্রহণ করে পরে আবার কাফির হয়ে যায়। মু’আয (রাযিঃ) বললেনঃ এই ব্যক্তিকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী হত্যা না করা পর্যন্ত আমি বসবাে না। তিনি তিনবার এরূপ বলেন। এরপর যখন তাকে হত্যা করা হয়, তখন তিনি বসেন।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَحَدَّثَنِي حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ قَالَا حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ ثُمَّ أَرْسَلَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ بَعْدَ ذَلِكَ فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ إِلَيْكُمْ فَأَلْقَى لَهُ أَبُو مُوسَى وِسَادَةً لِيَجْلِسَ عَلَيْهَا فَأُتِيَ بِرَجُلٍ كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ ثُمَّ كَفَرَ فَقَالَ مُعَاذٌ لَا أَجْلِسُ حَتَّى يُقْتَلَ قَضَاءُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَلَمَّا قُتِلَ قَعَدَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪০৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬৭
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬৭. কাসিম ইবনে যাকারিয়া ইবনে দীনার (রাহঃ) ......... মুস’আব ইবনে সা’দ তার পিতা থেকে। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সকলকে নিরাপত্তা দান করেন, কিন্তু চারজন পুরুষ এবং দু’জন নারী ব্যতীত। তিনি তাদের সম্পর্কে বলেনঃ তাদেরকে যেখানেই পাবে হত্যা করবে; যদিও তারা কাবার পর্দা ধরে থাকে। তারা হলো, ইকরিমা ইবনে আবু জাহল, আব্দুল্লাহ্ ইবনে খাতাল, মিকয়াস ইবনে সুবাবা, আব্দুল্লাহ্ ইবনে সা’দ ইবনে আবু সারহ। আব্দুল্লাহ ইবনে খাতালকে কাবার গিলাফের সাথে লটকে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেল এবং তাকে হত্যা করার জন্য দুই ব্যক্তি ছুটে গেল। একজন হলো সাঈদ ইবনে হুরায়স, অন্যজন আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাযিঃ)। সাঈদ ছিলেন জওয়ান, তিনি আগে গিয়ে তাকে হত্যা করলেন। আর মিকয়াস ইবনে সুবাবাকে লোকেরা বাজারে পেল এবং তারা তাকে হত্যা করলো।
আর ইকরিমা ইবনে আবু জাহল নৌযানে সমুদ্র পার হতে গেলে ঝড়ের কবলে পড়লো। জাহাজের লোক বললো, এখন তোমরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাক। কেননা তোমরা যে মূর্তির পূজা কর তারা তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে না। ইকরিমা বললেনঃ আল্লাহর কসম! যদি সমুদ্রে তিনি ব্যতীত আমাকে আর কেউ রক্ষা করতে না পারেন; তবে স্থলভাগেও তিনি ছাড়া আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবেন না। আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ওয়াদা করছি, যদি আপনি আমাকে এই মুসীবত হতে নাজাত দেন তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হবো এবং আমি তাঁর নিকট বায়’আত গ্রহণ করবো। আমার ধারণা, তিনি আমায় ক্ষমা করবেন এবং রহম করবেন। পরে তিনি এসে মুসলমান হয়ে যান।
আব্দুল্লাহ ইবনে আবু সারাহ্ উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে লুকিয়ে থাকলেন। যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদের বায়’আত-এর জন্য আহবান করলেন, তখন উসমান (রাযিঃ) তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট হাযির করে দিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহু ! আব্দুল্লাহর বায়আত গ্রহণ করুন। তিনি মাথা উঠিয়ে তিনবার আব্দুল্লাহর প্রতি দৃষ্টি করলেন। তিনবারের পর তিনি তার বায়’আত গ্রহণ করলেন। এরপর তিনি সাহাবায়ে কিরামের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কোন বুদ্ধিমান লোক কি ছিল না যে, যখন আমি তার বায়’আত গ্রহণ করছিলাম না, তখন এসে তাকে হত্যা করতো? সাহাবায়ে কিরাম বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার মনের কথা আমরা কি করে জানবো? আপনি চক্ষু দ্বারা কেন ইশারা করলেন না। তিনি বললেনঃ (বাহ্যত চুপ থেকে) চোখে ইঙ্গিত করা নবীর পক্ষে শোভন নয়।
আর ইকরিমা ইবনে আবু জাহল নৌযানে সমুদ্র পার হতে গেলে ঝড়ের কবলে পড়লো। জাহাজের লোক বললো, এখন তোমরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাক। কেননা তোমরা যে মূর্তির পূজা কর তারা তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে না। ইকরিমা বললেনঃ আল্লাহর কসম! যদি সমুদ্রে তিনি ব্যতীত আমাকে আর কেউ রক্ষা করতে না পারেন; তবে স্থলভাগেও তিনি ছাড়া আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবেন না। আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ওয়াদা করছি, যদি আপনি আমাকে এই মুসীবত হতে নাজাত দেন তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হবো এবং আমি তাঁর নিকট বায়’আত গ্রহণ করবো। আমার ধারণা, তিনি আমায় ক্ষমা করবেন এবং রহম করবেন। পরে তিনি এসে মুসলমান হয়ে যান।
আব্দুল্লাহ ইবনে আবু সারাহ্ উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে লুকিয়ে থাকলেন। যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদের বায়’আত-এর জন্য আহবান করলেন, তখন উসমান (রাযিঃ) তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট হাযির করে দিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহু ! আব্দুল্লাহর বায়আত গ্রহণ করুন। তিনি মাথা উঠিয়ে তিনবার আব্দুল্লাহর প্রতি দৃষ্টি করলেন। তিনবারের পর তিনি তার বায়’আত গ্রহণ করলেন। এরপর তিনি সাহাবায়ে কিরামের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কোন বুদ্ধিমান লোক কি ছিল না যে, যখন আমি তার বায়’আত গ্রহণ করছিলাম না, তখন এসে তাকে হত্যা করতো? সাহাবায়ে কিরাম বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার মনের কথা আমরা কি করে জানবো? আপনি চক্ষু দ্বারা কেন ইশারা করলেন না। তিনি বললেনঃ (বাহ্যত চুপ থেকে) চোখে ইঙ্গিত করা নবীর পক্ষে শোভন নয়।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ مُفَضَّلٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ قَالَ زَعَمَ السُّدِّيُّ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ أَمَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ إِلَّا أَرْبَعَةَ نَفَرٍ وَامْرَأَتَيْنِ وَقَالَ اقْتُلُوهُمْ وَإِنْ وَجَدْتُمُوهُمْ مُتَعَلِّقِينَ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَطَلٍ وَمَقِيسُ بْنُ صُبَابَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي السَّرْحِ فَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَطَلٍ فَأُدْرِكَ وَهُوَ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فَاسْتَبَقَ إِلَيْهِ سَعِيدُ بْنُ حُرَيْثٍ وَعَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ فَسَبَقَ سَعِيدٌ عَمَّارًا وَكَانَ أَشَبَّ الرَّجُلَيْنِ فَقَتَلَهُ وَأَمَّا مَقِيسُ بْنُ صُبَابَةَ فَأَدْرَكَهُ النَّاسُ فِي السُّوقِ فَقَتَلُوهُ وَأَمَّا عِكْرِمَةُ فَرَكِبَ الْبَحْرَ فَأَصَابَتْهُمْ عَاصِفٌ فَقَالَ أَصْحَابُ السَّفِينَةِ أَخْلِصُوا فَإِنَّ آلِهَتَكُمْ لَا تُغْنِي عَنْكُمْ شَيْئًا هَاهُنَا فَقَالَ عِكْرِمَةُ وَاللَّهِ لَئِنْ لَمْ يُنَجِّنِي مِنْ الْبَحْرِ إِلَّا الْإِخْلَاصُ لَا يُنَجِّينِي فِي الْبَرِّ غَيْرُهُ اللَّهُمَّ إِنَّ لَكَ عَلَيَّ عَهْدًا إِنْ أَنْتَ عَافَيْتَنِي مِمَّا أَنَا فِيهِ أَنْ آتِيَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَضَعَ يَدِي فِي يَدِهِ فَلَأَجِدَنَّهُ عَفُوًّا كَرِيمًا فَجَاءَ فَأَسْلَمَ وَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي السَّرْحِ فَإِنَّهُ اخْتَبَأَ عِنْدَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَلَمَّا دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ إِلَى الْبَيْعَةِ جَاءَ بِهِ حَتَّى أَوْقَفَهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَايِعْ عَبْدَ اللَّهِ قَالَ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَنَظَرَ إِلَيْهِ ثَلَاثًا كُلَّ ذَلِكَ يَأْبَى فَبَايَعَهُ بَعْدَ ثَلَاثٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَمَا كَانَ فِيكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ يَقُومُ إِلَى هَذَا حَيْثُ رَآنِي كَفَفْتُ يَدِي عَنْ بَيْعَتِهِ فَيَقْتُلُهُ فَقَالُوا وَمَا يُدْرِينَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا فِي نَفْسِكَ هَلَّا أَوْمَأْتَ إِلَيْنَا بِعَيْنِكَ قَالَ إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِنَبِيٍّ أَنْ يَكُونَ لَهُ خَائِنَةُ أَعْيُنٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: