কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

৩৬. স্ত্রী-পরিবারের সাথে উত্তম আচরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৯৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৫
আত্মাভিমান
৩৯৫৭. মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মু’মিনদের মাতাদের কোন এক মাতার ঘরে ছিলেন। অপর এক মাতা খাদ্যভর্তি এক পেয়ালা পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যার কাছে অবস্থান করছিলেন, তিনি বাহকের হাতে আঘাত করলেন। এতে পেয়ালা হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দু’টি ভাঙ্গা টুকরা নিয়ে একটি আরেকটির সাথে জোড়া দিলেন এবং তার মধ্যে খানা জমা করতে লাগলেন এবং বললেন (উপস্থিত সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেন) : তোমাদের মাতার আত্মাভিমানে লেগেছে (অন্য মাতা তার কাছে কিছু পাঠানোর কারণে)। তোমরা খাও। তারা খেলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)ও তা নিজে ধরে রাখলেন। এরপরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যার কাছে ছিলেন তিনি একটি পেয়ালা আনলেন। অক্ষত পেয়ালাটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বাহককে দিয়ে দিলেন আর ভাঙ্গা পেয়ালাটি যিনি ভেঙেছেন তার ঘরে রাখলেন।
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسٌ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ فَأَرْسَلَتْ أُخْرَى بِقَصْعَةٍ فِيهَا طَعَامٌ فَضَرَبَتْ يَدَ الرَّسُولِ فَسَقَطَتْ الْقَصْعَةُ فَانْكَسَرَتْ فَأَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكِسْرَتَيْنِ فَضَمَّ إِحْدَاهُمَا إِلَى الْأُخْرَى فَجَعَلَ يَجْمَعُ فِيهَا الطَّعَامَ وَيَقُولُ غَارَتْ أُمُّكُمْ كُلُوا فَأَكَلُوا فَأَمْسَكَ حَتَّى جَاءَتْ بِقَصْعَتِهَا الَّتِي فِي بَيْتِهَا فَدَفَعَ الْقَصْعَةَ الصَّحِيحَةَ إِلَى الرَّسُولِ وَتَرَكَ الْمَكْسُورَةَ فِي بَيْتِ الَّتِي كَسَرَتْهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৬
আত্মাভিমান
৩৯৫৮. রবী ইবনে সুলায়মান (রাহঃ) ......... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি একবার থালায় করে কিছু খানা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবায়ে কিরামের কাছে পেশ করলেন। ইত্যবসরে আয়েশা (রাযিঃ) চাদর জড়িয়ে আসলেন। তার হাতে একটি পাথর ছিল। পাথরটি দিয়ে থালাটি ভেঙ্গে দিলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থালার ভাঙ্গা টুকরো দু’টি একত্র করলেন এবং বললেন, তোমরা খাও। তোমাদের মাতার আত্মমর্যাদাবােধে লেগেছে। এ কথাটি দু’বার বললেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আয়েশা (রাযিঃ)-এর থালা নিয়ে উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠালেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর (ভাঙা) থালাটি আয়েশা (রাযিঃ)-কে দিয়ে দিলেন।
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّهَا يَعْنِي أَتَتْ بِطَعَامٍ فِي صَحْفَةٍ لَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ فَجَاءَتْ عَائِشَةُ مُتَّزِرَةً بِكِسَاءٍ وَمَعَهَا فِهْرٌ فَفَلَقَتْ بِهِ الصَّحْفَةَ فَجَمَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ فِلْقَتَيْ الصَّحْفَةِ وَيَقُولُ كُلُوا غَارَتْ أُمُّكُمْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَحْفَةَ عَائِشَةَ فَبَعَثَ بِهَا إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ وَأَعْطَى صَحْفَةَ أُمِّ سَلَمَةَ عَائِشَةَ
হাদীস নং:৩৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৭
আত্মাভিমান
৩৯৫৯. মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সফিয়্যার মত ভাল খানা তৈরী করতে পারে এরকম কাউকে দেখি নি। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এক থালা খাবার হাদিয়া পাঠালেন। তখন আমি নিজেকে আর আয়ত্বে রাখতে পারিনি; এমনকি থালাটি ভেঙ্গে দিলাম। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে তার কাফফারার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, থালার পরিবর্তে থালা, খানার পরিবর্তে খানা।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ فُلَيْتٍ عَنْ جَسْرَةَ بِنْتِ دَجَاجَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا رَأَيْتُ صَانِعَةَ طَعَامٍ مِثْلَ صَفِيَّةَ أَهْدَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَاءً فِيهِ طَعَامٌ فَمَا مَلَكْتُ نَفْسِي أَنْ كَسَرْتُهُ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كَفَّارَتِهِ فَقَالَ إِنَاءٌ كَإِنَاءٍ وَطَعَامٌ كَطَعَامٍ
হাদীস নং:৩৯৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৮
আত্মাভিমান
৩৯৬০. হাসান ইবনে মুহাম্মাদ জা’ফরানী (রাহঃ) ......... উবায়দ ইবনে উমায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কিছুক্ষণ যয়নব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ) এর কাছে অবস্থান করতেন এবং তাঁর কাছে মধু পান করতেন, আমি এবং হাফসা পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, তিনি আমাদের যার কাছেই আসবেন, সেই বলবেঃ আপনি ’মাগাফীর’ পান করেছেন। (মাগাফীর এক প্রকার বিশেষ দুর্গন্ধ যুক্ত আঠাকে বলা হয়)।

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও তাদের একজনের কাছে প্রবেশ করলে যা বলার সিদ্ধান্ত ছিল তা বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, আমি যয়নব বিনতে জাহাশ-এর কাছে মধুই তো পান করলাম এবং বললেন, আর কোন দিন তা করব না। অর্থাৎ মধু পান করব না। এ কারণে নাযিল হলঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) ″হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন তা আপনি নিজের জন্য হারাম করেছেন কেন? (إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ) ″তোমরা উভয়ে যদি তওবা কর″ এটা আয়িশা এবং হাফসা (রাযিঃ) এর উদ্দেশ্যে নাযিল করেছেনঃ (وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا) ″যখন নবী তার একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপন করলেন″ এটা তার উক্তি ’আমি মধু পান করেছি এবং আর করব না।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে।
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَزْعُمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْكُثُ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَيَشْرَبُ عِنْدَهَا عَسَلًا فَتَوَاصَيْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ أَنَّ أَيَّتُنَا دَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْتَقُلْ إِنِّي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ مَغَافِيرَ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَدَخَلَ عَلَى إِحْدَاهُمَا فَقَالَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَا بَلْ شَرِبْتُ عَسَلًا عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَلَنْ أَعُودَ لَهُ فَنَزَلَتْ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ لِعَائِشَةَ وَحَفْصَةَ وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا لِقَوْلِهِ بَلْ شَرِبْتُ عَسَلًا
হাদীস নং:৩৯৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৯
আত্মাভিমান
৩৯৬১. ইবরাহীম ইবনে ইউনুস ইবনে মুহাম্মাদ হারামী (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে একটি বাদি ছিল যার সাথে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সহবাস করতেন। এতে আয়েশা (রাযিঃ) এবং হাফসা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে লেগে থাকলেন। পরিশেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই বদিটিকে নিজের জন্য হারাম করে নিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ্ পাক নাযিল করেনঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ)
অর্থঃ “হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন তা আপনি নিজের জন্য কেন হারাম করে নিয়েছেন (সূরা তাহরীমঃ ১) ।
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ حَرَمِيٌّ هُوَ لَقَبُهُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ لَهُ أَمَةٌ يَطَؤُهَا فَلَمْ تَزَلْ بِهِ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ حَتَّى حَرَّمَهَا عَلَى نَفْسِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ إِلَى آخِرِ الْآيَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬০
আত্মাভিমান
৩৯৬২. কুতায়বা (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে খুঁজতে গিয়ে আমার হাত তার চুলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমার কাছে শয়তান এসেছে। (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অন্য স্ত্রীর কাছে চলে গেছেন এই ধারণা সৃষ্টি করে দিচ্ছে)। আমি বললাম, আপনার জন্য কি শয়তান নেই? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উত্তর দিলেন, থাকবে না কেন? আল্লাহর শপথ, তবে আল্লাহ্ পাক তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করেছেন; ফলে সে আমার অনুগত হয়ে গেছে।
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يَحْيَى هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ الْتَمَسْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَدْخَلْتُ يَدِي فِي شَعْرِهِ فَقَالَ قَدْ جَاءَكِ شَيْطَانُكِ فَقُلْتُ أَمَا لَكَ شَيْطَانٌ فَقَالَ بَلَى وَلَكِنَّ اللَّهَ أَعَانَنِي عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ
হাদীস নং:৩৯৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬১
আত্মাভিমান
৩৯৬৩. ইবরাহীম ইবনে আল-হাসান আল-মিকসামী (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বিছানায় পেলাম না। মনে করলাম, তিনি তাঁর অন্য কোন স্ত্রীর কাছে গমন করেছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে পেলাম যে, তিনি রুকু ও সিজদায় রত আছেন এবং বলছেনঃ হে আল্লাহ্! তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, তুমি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই। এতে আমি বললাম, আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আপনি এক অবস্থায় আছেন আর আমি অন্য এক অবস্থায় আছি।
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْمِقْسَمِيُّ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ فَقَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ ذَهَبَ إِلَى بَعْضِ نِسَائِهِ فَتَجَسَّسْتُهُ فَإِذَا هُوَ رَاكِعٌ أَوْ سَاجِدٌ يَقُولُ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ فَقُلْتُ بِأَبِي وَأُمِّي إِنَّكَ لَفِي شَأْنٍ وَإِنِّي لَفِي شَأْنٍ آخَرَ
হাদীস নং:৩৯৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬২
আত্মাভিমান
৩৯৬৪. ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে (বিছানায়) পেলাম না। মনে করলাম, তিনি তাঁর অন্য কোন স্ত্রীর কাছে গমন করেছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে পেলাম যে, তিনি রুকূ ও সিজদায় রত আছেন এবং বলছেনঃ হে আল্লাহ্! তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। তুমি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই। এতে আমি বললাম, আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আপনি এক অবস্থায় আছেন আর আমি অন্য এক অবস্থায় আছি।
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ افْتَقَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ ذَهَبَ إِلَى بَعْضِ نِسَائِهِ فَتَجَسَّسْتُ ثُمَّ رَجَعْتُ فَإِذَا هُوَ رَاكِعٌ أَوْ سَاجِدٌ يَقُولُ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ فَقُلْتُ بِأَبِي وَأُمِّي إِنَّكَ لَفِي شَأْنٍ وَإِنِّي لَفِي آخَرَ
হাদীস নং:৩৯৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৩
আত্মাভিমান
৩৯৬৫. সুলায়মান ইবনে দাউদ (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং আমার ব্যাপারে কি তোমাদেরকে বর্ণনা করব না? আমরা বললাম, কেন করবেন না? তিনি বললেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)আমার পালার রাতে (ইশার নামায আদায়ের পর) ফিরে আসলেন। তারপর তার জুতা পায়ের দিকে রাখলেন, তাঁর চাদর রেখে দিলেন এবং তাঁর একটি লুঙ্গি বিছানার উপর বিছালেন।

তারপর তিনি মাত্র এতটুকু সময় অবস্থান করলেন যতক্ষণে তাঁর ধারণা হল যে, আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। তারপর উঠে আস্তে করে জুতা পরলেন এবং আস্তে করে তার চাদর নিলেন। তারপর আস্তে করে দরজা খুললেন এবং বের হয়ে আস্তে দরজা চাপিয়ে দিলেন। আর আমি মাথার উপর দিয়ে কামিজটি পরিধান করলাম, ওড়না পরলাম এবং চাদরটি গায়ে আবৃত করলাম ও তার পিছনে চললাম, তিনি বাকীতে আসলেন এবং তিনবার হাত উঠালেন ও বহুক্ষণ দাঁড়ালেন, তারপর ফিরে আসছিলেন। আমিও ফিরে আসছিলাম। তিনি একটু তীব্রগতিতে চললেন, আমিও তীব্রগতিতে চললাম, তিনি দৌড়ালেন, আমিও দৌড়ালাম। তিনি পৌছে গেলেন, তবে আমি তার আগে পৌছে গেলাম।

ঘরে প্রবেশ করেই শুয়ে পড়লাম। তিনিও প্রবেশ করলেন এবং বললেনঃ হে আয়েশা! কি হয়েছে তোমার পেট যে ফুলে গেছে। বর্ণনাকারী সুলায়মান বলেন, ইবনে ওয়াহাব (رابية) এর পরিবর্তে (حشيا) দ্রুত চলার কারণে হ্যাঁপিয়ে ওঠা শব্দটি বলেছেন বলে ধারণা করছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, ঘটনা কি বল, নচেৎ আল্লাহ্ যিনি সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত, তিনিই আমাকে খবর দিবেন।

আমি বললাম, আমার পিতামাতা আপনার প্রতি উৎসর্গ হোক এবং ঘটনাটির বর্ণনা দিলাম। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বললেন, তাহলে তুমিই সেই (ছায়ামূর্তি) যা আমি আমার সামনে দেখছিলাম? আমি বললাম, হ্যাঁ। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার বক্ষে একটি মুষ্ঠাঘাত করলেন যা আমাকে ব্যথা দিল। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কি ধারণা করেছ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর যুলুম করবে? আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, লোক যতই গোপন করুক না কেন, আল্লাহ্ তা নিশ্চিত জানেন।

রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি যখন আমাকে দেখছিলে তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমার কাছে এসেছিলেন। তুমি যে (শুয়ে যাওয়ায়) কাপড় খুলে ফেলেছ। তাই জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) প্রবেশ করেননি। তোমার থেকে গোপন করে আমাকে ডাকলেন, আমিও তোমার থেকে গোপন করে উত্তর দিলাম। মনে করলাম, তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ। তোমাকে জাগিয়ে দেওয়াটা পছন্দ করলাম না এবং এ ভয়ও ছিল যে, (আমি চলে যাওয়ার কারণে) তুমি নিঃসঙ্গতা বােধ করবে। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে নির্দেশ দিলে বাকীতে অবস্থানকারীদের কাছে যাই এবং তাদের রবের কাছে তাদের জন্য ক্ষমা চাই।
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَثِيرٍ أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ قَيْسٍ يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ أَلَا أُحَدِّثُكُمْ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَنِّي قُلْنَا بَلَى قَالَتْ لَمَّا كَانَتْ لَيْلَتِي انْقَلَبَ فَوَضَعَ نَعْلَيْهِ عِنْدَ رِجْلَيْهِ وَوَضَعَ رِدَاءَهُ وَبَسَطَ إِزَارَهُ عَلَى فِرَاشِهِ وَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا رَيْثَمَا ظَنَّ أَنِّي قَدْ رَقَدْتُ ثُمَّ انْتَعَلَ رُوَيْدًا وَأَخَذَ رِدَاءَهُ رُوَيْدًا ثُمَّ فَتَحَ الْبَابَ رُوَيْدًا وَخَرَجَ وَأَجَافَهُ رُوَيْدًا وَجَعَلْتُ دِرْعِي فِي رَأْسِي فَاخْتَمَرْتُ وَتَقَنَّعْتُ إِزَارِي وَانْطَلَقْتُ فِي إِثْرِهِ حَتَّى جَاءَ الْبَقِيعَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ انْحَرَفَ وَانْحَرَفْتُ فَأَسْرَعَ فَأَسْرَعْتُ فَهَرْوَلَ فَهَرْوَلْتُ فَأَحْضَرَ فَأَحْضَرْتُ وَسَبَقْتُهُ فَدَخَلْتُ وَلَيْسَ إِلَّا أَنْ اضْطَجَعْتُ فَدَخَلَ فَقَالَ مَا لَكِ يَا عَائِشُ رَابِيَةً قَالَ سُلَيْمَانُ حَسِبْتُهُ قَالَ حَشْيَا قَالَ لَتُخْبِرِنِّي أَوْ لَيُخْبِرَنِّي اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ قَالَ أَنْتِ السَّوَادُ الَّذِي رَأَيْتُ أَمَامِي قُلْتُ نَعَمْ قَالَتْ فَلَهَدَنِي لَهْدَةً فِي صَدْرِي أَوْجَعَتْنِي قَالَ أَظَنَنْتِ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ قَالَتْ مَهْمَا يَكْتُمْ النَّاسُ فَقَدْ عَلِمَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَام أَتَانِي حِينَ رَأَيْتِ وَلَمْ يَكُنْ يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ فَنَادَانِي فَأَخْفَى مِنْكِ فَأَجَبْتُهُ وَأَخْفَيْتُهُ مِنْكِ وَظَنَنْتُ أَنَّكِ قَدْ رَقَدْتِ فَكَرِهْتُ أَنْ أُوقِظَكِ وَخَشِيتُ أَنْ تَسْتَوْحِشِي فَأَمَرَنِي أَنْ آتِيَ أَهْلَ الْبَقِيعِ فَأَسْتَغْفِرَ لَهُمْ خَالَفَهُ حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ فَقَالَ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ
হাদীস নং:৩৯৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৪
আত্মাভিমান
৩৯৬৬. ইউসুফ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে কায়স ইবনে মাখরামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং আমার ব্যাপারে কি তোমাদের কাছে বর্ণনা করব না? আমরা বললাম, করবেন না কেন? তিনি বললেনঃ যে রাতে তাঁর অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর আমার কাছে থাকার কথা, সেই রাত যখন আসল, তিনি (ইশার নামায আদায়ের পর) ফিরে আসলেন। তারপর তাঁর জুতাগুলো পায়ের দিকে রাখলেন। চাদর খুলে রাখলেন। ইযারের এক পার্শ্ব বিছানার উপর বিছালেন।

তারপর মাত্র এতটুকু সময় অবস্থান করলেন, যতক্ষণে তার ধারণা হল আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। তারপর আস্তে করে জুতা পরলেন, আস্তে চাদর নিলেন, তারপর আস্তে করে দরজা খুললেন এবং আস্তে করে বের হলেন এবং আস্তে করে দরজা বন্ধ করলেন। আর আমি মাথার দিক থেকে আমার কামিজটি পরিধান করলাম, ওড়না পরলাম, চাদরটি গায়ে দিয়ে আবৃত হলাম, তারপর তার পিছনে চলতে লাগলাম। তিনি বাকী পর্যন্ত আসলেন এবং তিনবার হাত উঠালেন, বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন, তারপর ফিরে আসছিলেন।

আমিও ফিরে আসছিলাম, তিনি তীব্রগতিতে হ্যাঁটলে আমিও তীব্র গতিতে চললাম। তিনি একটু দৌড়ে চললেন, আমিও একটু দৌড়ে চললাম। পরিশেষে তিনি বাড়িতে পৌছে গেলেন। তবে আমি তার একটু আগে পৌছলাম। ঘরে প্রবেশ করেই শুয়ে গেলাম। তিনিও প্রবেশ করলেন এবং বললেনঃ হে আয়েশা! তোমার কি হয়েছে, পেট ফোলা দেখা যাচ্ছে ও হ্যাঁপাচ্ছ যে? আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, না তো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হয় তুমি আমাকে বলবে, নয়ত আমাকে সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত সত্তা জানিয়ে দিবেনই।

আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার পিতামাতা আপনার উপর উৎসর্গ হোক এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে ঘটনাটি খুলে বললাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাহলে তুমিই সেই ছায়ামূর্তি যা আমি আমার আগে আগে দেখছিলাম। আয়েশা (রাযিঃ) বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বলেন, তখন তিনি আমার বুকের উপর এমন এক মুষ্ঠাঘাত করলেন, যা আমাকে ব্যথা দিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কি মনে করেছ যে, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর যুলুম করবেন? আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, লোক যতই গোপন করুক না কেন, আল্লাহ্ তা নিশ্চিত জানেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ।

তারপর বললেন, তুমি যখন আমাকে দেখছিলে তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমার কাছে এসেছিলেন, তখন তুমি পোশাক রেখে দিয়েছিলে বলে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) প্রবেশ করেনি। তিনি তোমার থেকে গোপন করে আমাকে ডাকলেন, আমিও তোমাকে না শুনিয়ে উত্তর দিলাম। আমি ধারণা করলাম, তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ এবং শংকিত ছিলাম যে, (তোমাকে জাগিয়ে দিলে একাকীত্ব অনুভব করার কারণে) তুমি ভয় পাবে। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে বাকীতে অবস্থানকারীদের (মৃত ব্যক্তিদের) কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন, যেন তাদের জন্য ক্ষমা চাই।
بَاب الْغَيْرَةِ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ الْمِصِّيصِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تُحَدِّثُ قَالَتْ أَلَا أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي وَعَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْنَا بَلَى قَالَتْ لَمَّا كَانَتْ لَيْلَتِي الَّتِي هُوَ عِنْدِي تَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْقَلَبَ فَوَضَعَ نَعْلَيْهِ عِنْدَ رِجْلَيْهِ وَوَضَعَ رِدَاءَهُ وَبَسَطَ طَرَفَ إِزَارِهِ عَلَى فِرَاشِهِ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا رَيْثَمَا ظَنَّ أَنِّي قَدْ رَقَدْتُ ثُمَّ انْتَعَلَ رُوَيْدًا وَأَخَذَ رِدَاءَهُ رُوَيْدًا ثُمَّ فَتَحَ الْبَابَ رُوَيْدًا وَخَرَجَ وَأَجَافَهُ رُوَيْدًا وَجَعَلْتُ دِرْعِي فِي رَأْسِي وَاخْتَمَرْتُ وَتَقَنَّعْتُ إِزَارِي فَانْطَلَقْتُ فِي إِثْرِهِ حَتَّى جَاءَ الْبَقِيعَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ انْحَرَفَ فَانْحَرَفْتُ فَأَسْرَعَ فَأَسْرَعْتُ فَهَرْوَلَ فَهَرْوَلْتُ فَأَحْضَرَ فَأَحْضَرْتُ وَسَبَقْتُهُ فَدَخَلْتُ فَلَيْسَ إِلَّا أَنْ اضْطَجَعْتُ فَدَخَلَ فَقَالَ مَا لَكِ يَا عَائِشَةُ حَشْيَا رَابِيَةً قَالَتْ لَا قَالَ لَتُخْبِرِنِّي أَوْ لَيُخْبِرَنِّي اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ قَالَ فَأَنْتِ السَّوَادُ الَّذِي رَأَيْتُهُ أَمَامِي قَالَتْ نَعَمْ قَالَتْ فَلَهَدَنِي فِي صَدْرِي لَهْدَةً أَوْجَعَتْنِي ثُمَّ قَالَ أَظَنَنْتِ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ قَالَتْ مَهْمَا يَكْتُمْ النَّاسُ فَقَدْ عَلِمَهُ اللَّهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَام أَتَانِي حِينَ رَأَيْتِ وَلَمْ يَكُنْ يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ فَنَادَانِي فَأَخْفَى مِنْكِ فَأَجَبْتُهُ فَأَخْفَيْتُ مِنْكِ فَظَنَنْتُ أَنْ قَدْ رَقَدْتِ وَخَشِيتُ أَنْ تَسْتَوْحِشِي فَأَمَرَنِي أَنْ آتِيَ أَهْلَ الْبَقِيعِ فَأَسْتَغْفِرَ لَهُمْ رَوَاهُ عَاصِمٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ عَنْ عَائِشَةَ عَلَى غَيْرِ هَذَا اللَّفْظِ
হাদীস নং:৩৯৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৫
আত্মাভিমান
৩৯৬৭. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমির ইবনে রবীয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এক রাত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বিছানায় পেলাম না। তারপর তিনি পূর্ণ হাদীসটির বর্ণনা দেন।
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ أَنْبَأَنَا شَرِيكٌ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ فَقَدْتُهُ مِنْ اللَّيْلِ وَسَاقَ الْحَدِيثَ