কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৩২. হিবা / উপহার প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৬৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৮
শরীকী বস্তু হিবা করা
৩৬৮৯. আমর ইবনে যায়দ (রাহঃ) ......... আমর ইবনে শুআয়ব (রাহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, (একদা) আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট ছিলাম, এমন সময় হাওয়াযিন গােত্রের এক প্রতিনিধি দল তার নিকট এসে বললোঃ হে মুহাম্মাদ! আমরা আরবের একটি গােত্র। আমাদের উপর যে বিপদ আপতিত হয়েছে, তা আপনার নিকট গােপন নয়। অতএব আপনি আমাদের উপর অনুগ্রহ করুন। আল্লাহ আপনার উপর অনুগ্রহ করবেন। তিনি বললেনঃ তোমরা দুইটার যে কোন একটা গ্রহণ কর। হয়তো তোমাদের মাল-দৌলত নিয়ে যাও, অথবা তোমাদের নারী ও সন্তানদের নিয়ে যেতে পার। তারা বললোঃ আপনি আমাদেরকে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী যে কোন একটা গ্রহণ করতে বলেছেন। অতএব আমরা আমাদের নারী ও সন্তানদের নিতে চাই।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ (গনিমতের মালে) আমার এবং আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানদের যে অংশ রয়েছে, আমি তা তোমাদেরকে দিয়ে দিলাম। কিন্তু আমি যোহরের নামায আদায় করলে তোমরা দাঁড়িয়ে বলবে যে, আমরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর উসীলায় মুমিনদের (অথবা মুসলমানদের) নিকট আমাদের নারী এবং সম্পদের ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করছি। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা যোহরের নামায আদায় করলে তারা ঐরূপই বললো। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ যা আমার এবং আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানদের অংশ রয়েছে, তা তোমাদের।
এ কথা শুনে মুহাজিরগণ বললেনঃ আমাদের অংশ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য। আনসারগণও বললেন, আমাদের অংশও রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর জন্য। আকরা’ ইবনে হাবিস (রাযিঃ) বললেনঃ আমি এবং বনু তামীম এতে রাযী নই। উয়ায়না ইবনে হিসন (রাযিঃ) বললেনঃ আমি এবং বনু ফারাও এতে সম্মত নই। আব্বাস ইবনে মিরদাস (রাযিঃ) বললেনঃ আমি এবং বনু সুলায়ম এতে নেই।
তখন বনু সুলায়ম-এর লোক দাঁড়িয়ে বলল, তুমি মিথ্যা বলছ, আমাদের যা কিছু রয়েছে তা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর জন্য। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেনঃ হে লোক সকল! তাদের নারীদের এবং সন্তানদের ফেরত দিয়ে দাও। আর যে ব্যক্তি বিনিময় ব্যতীত দিতে না চায়, মহান মহীয়ান আল্লাহ্ আমাদের সর্বপ্রথম যে গনিমত দিবেন তা থেকে তাকে ছয়টি উট দেয়া হবে। এই বলে তিনি তাঁর বাহনে আরোহণ করলেন। কিন্তু লোকেরা তার পিছু নিল (এবং ঘেরাও করে রাখল) এবং তারা বলতে লাগলোঃ আমাদের গনিমতের মাল বণ্টন করে দিন।
লোকেরা তাকে একটি গাছের নিকট নিয়ে গেল এবং গাছে তাঁর চাদর আটকে দিল। তিনি বললেনঃ হে লোকসকল! আমার চাদর আমাকে ফিরিয়ে দাও। আল্লাহর শপথ! যদি তিহামার (মরু আরবের) গাছের সমসংখ্যক জন্তু আমার নিকট থাকে, তবে তা আমি তোমাদের মাঝে বণ্টন করে দেব। তোমরা আমাকে কৃপণ, ভীরু ও মিথ্যাবাদী পাবে না। পরে তিনি একটি উটের নিকট এসে তার কুঁজের পশম তুলে নিয়ে বললেনঃ শোন, আমি তোমাদের এই গনিমতের মালের কিছুই নেব না, এমনকি পশমও নেব না; শুধু খুমুসই (পঞ্চমাংশ) নিতে চাই আর এই খুমুস বা পঞ্চমাংশও তোমাদের জন্যই ব্যয় হবে।
একথা শুনে এক ব্যক্তি হাতে কিছু চুলের গুচ্ছ নিয়ে তার নিকট এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এটা এইজন্য নিয়েছি, যেন এর দ্বারা আমি আমার উটের চাদর ঠিক করতে পারি। তিনি বললেনঃ যা আমার এবং আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানদের, তা তোমার। সে ব্যক্তি বললোঃ যখন ব্যাপারটি এই পর্যন্ত পৌঁছেছে, তখন আমার এর প্রয়োজন নেই। সে চুলের গুচ্ছ ফেলে দিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের যার কাছে যা আছে, এমন কি সুঁই-সুতা পর্যন্ত ফেরত দাও। কেননা গনিমতের মাল চুরি করা লজ্জার ব্যাপার; আর কিয়ামতের দিন তা তার (চোরের) জন্য লজ্জা ও অপমানের কারণ হবে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ (গনিমতের মালে) আমার এবং আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানদের যে অংশ রয়েছে, আমি তা তোমাদেরকে দিয়ে দিলাম। কিন্তু আমি যোহরের নামায আদায় করলে তোমরা দাঁড়িয়ে বলবে যে, আমরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর উসীলায় মুমিনদের (অথবা মুসলমানদের) নিকট আমাদের নারী এবং সম্পদের ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করছি। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা যোহরের নামায আদায় করলে তারা ঐরূপই বললো। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ যা আমার এবং আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানদের অংশ রয়েছে, তা তোমাদের।
এ কথা শুনে মুহাজিরগণ বললেনঃ আমাদের অংশ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য। আনসারগণও বললেন, আমাদের অংশও রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর জন্য। আকরা’ ইবনে হাবিস (রাযিঃ) বললেনঃ আমি এবং বনু তামীম এতে রাযী নই। উয়ায়না ইবনে হিসন (রাযিঃ) বললেনঃ আমি এবং বনু ফারাও এতে সম্মত নই। আব্বাস ইবনে মিরদাস (রাযিঃ) বললেনঃ আমি এবং বনু সুলায়ম এতে নেই।
তখন বনু সুলায়ম-এর লোক দাঁড়িয়ে বলল, তুমি মিথ্যা বলছ, আমাদের যা কিছু রয়েছে তা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর জন্য। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেনঃ হে লোক সকল! তাদের নারীদের এবং সন্তানদের ফেরত দিয়ে দাও। আর যে ব্যক্তি বিনিময় ব্যতীত দিতে না চায়, মহান মহীয়ান আল্লাহ্ আমাদের সর্বপ্রথম যে গনিমত দিবেন তা থেকে তাকে ছয়টি উট দেয়া হবে। এই বলে তিনি তাঁর বাহনে আরোহণ করলেন। কিন্তু লোকেরা তার পিছু নিল (এবং ঘেরাও করে রাখল) এবং তারা বলতে লাগলোঃ আমাদের গনিমতের মাল বণ্টন করে দিন।
লোকেরা তাকে একটি গাছের নিকট নিয়ে গেল এবং গাছে তাঁর চাদর আটকে দিল। তিনি বললেনঃ হে লোকসকল! আমার চাদর আমাকে ফিরিয়ে দাও। আল্লাহর শপথ! যদি তিহামার (মরু আরবের) গাছের সমসংখ্যক জন্তু আমার নিকট থাকে, তবে তা আমি তোমাদের মাঝে বণ্টন করে দেব। তোমরা আমাকে কৃপণ, ভীরু ও মিথ্যাবাদী পাবে না। পরে তিনি একটি উটের নিকট এসে তার কুঁজের পশম তুলে নিয়ে বললেনঃ শোন, আমি তোমাদের এই গনিমতের মালের কিছুই নেব না, এমনকি পশমও নেব না; শুধু খুমুসই (পঞ্চমাংশ) নিতে চাই আর এই খুমুস বা পঞ্চমাংশও তোমাদের জন্যই ব্যয় হবে।
একথা শুনে এক ব্যক্তি হাতে কিছু চুলের গুচ্ছ নিয়ে তার নিকট এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এটা এইজন্য নিয়েছি, যেন এর দ্বারা আমি আমার উটের চাদর ঠিক করতে পারি। তিনি বললেনঃ যা আমার এবং আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানদের, তা তোমার। সে ব্যক্তি বললোঃ যখন ব্যাপারটি এই পর্যন্ত পৌঁছেছে, তখন আমার এর প্রয়োজন নেই। সে চুলের গুচ্ছ ফেলে দিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের যার কাছে যা আছে, এমন কি সুঁই-সুতা পর্যন্ত ফেরত দাও। কেননা গনিমতের মাল চুরি করা লজ্জার ব্যাপার; আর কিয়ামতের দিন তা তার (চোরের) জন্য লজ্জা ও অপমানের কারণ হবে।
هِبَةُ الْمُشَاعِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ أَتَتْهُ وَفْدُ هَوَازِنَ، فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّا أَصْلٌ وَعَشِيرَةٌ، وَقَدْ نَزَلَ بِنَا مِنَ الْبَلَاءِ مَا لَا يَخْفَى عَلَيْكَ، فَامْنُنْ عَلَيْنَا مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ، فَقَالَ: «اخْتَارُوا مِنْ أَمْوَالِكُمْ أَوْ مِنْ نِسَائِكُمْ وَأَبْنَائِكُمْ»، فَقَالُوا: قَدْ خَيَّرْتَنَا بَيْنَ أَحْسَابِنَا وَأَمْوَالِنَا بَلْ نَخْتَارُ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكُمْ، فَإِذَا صَلَّيْتُ الظُّهْرَ فَقُومُوا، فَقُولُوا: إِنَّا نَسْتَعِينُ بِرَسُولِ اللَّهِ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَوِ الْمُسْلِمِينَ فِي نِسَائِنَا وَأَبْنَائِنَا " فَلَمَّا صَلَّوْا الظُّهْرَ قَامُوا فَقَالُوا ذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَمَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكُمْ»، فَقَالَ الْمُهَاجِرُونَ: وَمَا كَانَ لَنَا فَهُوَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: مَا كَانَ لَنَا فَهُوَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ: أَمَّا أَنَا وَبَنُو تَمِيمٍ فَلَا، وَقَالَ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ: أَمَّا أَنَا وَبَنُو فَزَارَةَ فَلَا، وَقَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ: أَمَّا أَنَا وَبَنُو سُلَيْمٍ فَلَا، فَقَامَتْ بَنُو سُلَيْمٍ فَقَالُوا: كَذَبْتَ، مَا كَانَ لَنَا فَهُوَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، رُدُّوا عَلَيْهِمْ نِسَاءَهُمْ وَأَبْنَاءَهُمْ، فَمَنْ تَمَسَّكَ مِنْ هَذَا الْفَيْءِ بِشَيْءٍ فَلَهُ سِتُّ فَرَائِضَ مِنْ أَوَّلِ شَيْءٍ يُفِيئُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْنَا»، وَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَرَكِبَ النَّاسُ اقْسِمْ عَلَيْنَا فَيْئَنَا، فَأَلْجَئُوهُ إِلَى شَجَرَةٍ فَخَطِفَتْ رِدَاءَهُ، فَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، رُدُّوا عَلَيَّ رِدَائِي، فَوَاللَّهِ لَوْ أَنَّ لَكُمْ شَجَرَ تِهَامَةَ نَعَمًا قَسَمْتُهُ عَلَيْكُمْ ثُمَّ لَمْ تَلْقَوْنِي بَخِيلًا وَلَا جَبَانًا وَلَا كَذُوبًا»، ثُمَّ أَتَى بَعِيرًا فَأَخَذَ مِنْ سَنَامِهِ وَبَرَةً بَيْنَ أُصْبُعَيْهِ ثُمَّ يَقُولُ: «هَا إِنَّهُ لَيْسَ لِي مِنَ الْفَيْءِ شَيْءٌ وَلَا هَذِهِ إِلَّا خُمُسٌ، وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ فِيكُمْ» فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ بِكُبَّةٍ مِنْ شَعْرٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخَذْتُ هَذِهِ لِأُصْلِحَ بِهَا بَرْدَعَةَ بَعِيرٍ لِي فَقَالَ: أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكَ، فَقَالَ: «أَوَبَلَغَتْ هَذِهِ؟ فَلَا أَرَبَ لِي فِيهَا»، فَنَبَذَهَا وَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، أَدُّوا الْخِيَاطَ وَالْمَخِيطَ، فَإِنَّ الْغُلُولَ يَكُونُ عَلَى أَهْلِهِ عَارًا وَشَنَارًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: