কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২৯. ওয়াক্ফ (আল্লাহর জন্য মাল দান করা) অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৬০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬০৬
মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা
৩৬০৭. ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... হুসায়ন ইবনে আব্দুর রহমান বনী তামীমের আমর ইবনে জাওয়ান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন এ প্রসঙ্গে যে, আমি তাকে বললাম, আপনি আহনাফ ইবনে কায়স (রাযিঃ)-এর (সাহাবিগণের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব) পৃথক থাকা সম্পর্কে আপনার অভিমত বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আমি আহনাকে বলতে শুনেছি, আমি হজ্জ উপলক্ষে মদীনায় আসলাম। আমরা আমাদের মনযিলে ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললোঃ লোক মসজিদে একত্রিত হচ্ছে। আমি গিয়ে দেখলাম, লোক মসজিদে একত্রিত রয়েছে। তাদের মাঝে রয়েছেন- আলী ইবনে আবু তালিব, যুবায়র, তালহা এবং সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ)। আমি যখন তাদের নিকট দাঁড়ালাম তখন বলা হলঃ এই যে, উসমান ইবনে আফফান এসে গেছেন। তার গায়ে ছিল একখানা হলুদ বর্ণের চাদর।

রাবী বলেন, আমি আমার সাথীকে বললাম, তুমি এখানে অবস্থান কর, দেখি উসমান (রাযিঃ) কি বলেন। উসমান (রাযিঃ) বললেনঃ এখানে কি আলী (রাযিঃ) আছেন? এখানে কি যুবায়র (রাযিঃ) আছেন? এখানে কি তালহা (রাযিঃ) আছেন? এবং এখানে কি সা’দ (রাযিঃ) আছেন? তারা বললেনঃ হ্যাঁ (আমরা এখানে আছি)। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্ তাআলার কসম দিয়ে বলছি, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই, তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি অমুক অমুক গােত্রের (উটের) বাথান ক্রয় করবে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি তা ক্রয় করে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর নিকট এসে বললামঃ আমি অমুক (উটের) বাথান খরিদ করেছি। তিনি বললেনঃ এখন তুমি তা আমাদের মসজিদের জন্য (ওয়াকফ করে) দিয়ে দাও, তাহলে এর সওয়াব তুমি পাবে। তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ।

তিনি আবার বললেন : আমি তোমাদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি ’রূমা’ কূপ ক্রয় করবে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি (তা ক্রয় করে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট এসে বললামঃ আমি 'রূমা’ কূপ ক্রয় করেছি। তখন তিনি বললেনঃ এখন তা তুমি মুসলমানদের পানি পান করার জন্য (ওয়াকফ করে) দিয়ে দাও, আর এর সওয়াব তুমি পাবে। তারা বললেনঃ হ্যাঁ।

তিনি আবার বললেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তোমরা কি জান, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি অনটনগ্রস্ত (তাবুক) যুদ্ধের বাহিনীর যুদ্ধোপকরণের ব্যবস্থা করে দেবে, আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। এরপর আমি তাদের জন্য এমন যুদ্ধোপকরণের ব্যবস্থা করে দেই যে, ঐ বাহিনীর কোন লোকের একটি রশির বা একটি লাগামেরও অভাব হয়নি? তারা বললেনঃ হ্যাঁ। উসমান (রাযিঃ) এরপর বলেনঃ হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন! হে আল্লাহ্! আপনি সাক্ষী থাকুন! হে আল্লাহ্! আপনি সাক্ষী থাকুন।
بَاب وَقْفِ الْمَسَاجِدِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عُمَرَ بْنِ جَاوَانَ رَجُلٍ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَذَاكَ أَنِّي قُلْتُ لَهُ أَرَأَيْتَ اعْتِزَالَ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ مَا كَانَ قَالَ سَمِعْتُ الْأَحْنَفَ يَقُولُ أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ وَأَنَا حَاجٌّ فَبَيْنَا نَحْنُ فِي مَنَازِلِنَا نَضَعُ رِحَالَنَا إِذْ أَتَى آتٍ فَقَالَ قَدْ اجْتَمَعَ النَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ فَاطَّلَعْتُ فَإِذَا يَعْنِي النَّاسَ مُجْتَمِعُونَ وَإِذَا بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ نَفَرٌ قُعُودٌ فَإِذَا هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ فَلَمَّا قُمْتُ عَلَيْهِمْ قِيلَ هَذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ قَدْ جَاءَ قَالَ فَجَاءَ وَعَلَيْهِ مُلَيَّةٌ صَفْرَاءُ فَقُلْتُ لِصَاحِبِي كَمَا أَنْتَ حَتَّى أَنْظُرَ مَا جَاءَ بِهِ فَقَالَ عُثْمَانُ أَهَاهُنَا عَلِيٌّ أَهَاهُنَا الزُّبَيْرُ أَهَاهُنَا طَلْحَةُ أَهَاهُنَا سَعْدٌ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ إِنِّي ابْتَعْتُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ قَالَ فَاجْعَلْهُ فِي مَسْجِدِنَا وَأَجْرُهُ لَكَ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ بِئْرَ رُومَةَ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ قَدْ ابْتَعْتُ بِئْرَ رُومَةَ قَالَ فَاجْعَلْهَا سِقَايَةً لِلْمُسْلِمِينَ وَأَجْرُهَا لَكَ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يُجَهِّزُ جَيْشَ الْعُسْرَةِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى مَا يَفْقِدُونَ عِقَالًا وَلَا خِطَامًا قَالُوا نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৬০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬০৭
মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা
৩৬০৮. ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... উমর ইবনে জাওয়ান (রাহঃ) সূত্রে আহনাফ ইবনে কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (বাড়ি হতে) হজ্জ করার জন্য (বের হয়ে) মদীনায় পৌঁছলাম। আমরা আমাদের মনযিলে পৌছে আমাদের মাল-সামান যখন নামিয়ে রাখছিলাম, তখন এক ব্যক্তি এসে বললেনঃ লোকজন মসজিদে একত্রিত হয়েছে এবং তারা ভীত-সন্ত্রস্ত। এরপর আমরা গিয়ে দেখলাম যে, মসজিদের মাঝখানে কয়েকজনকে ঘিরে কিছু লোক একত্রিত রয়েছে এবং এঁদের মধ্যে আছেন আলী, যুবায়র, তালহা এবং সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ)। আমরা তাদের সঙ্গে বসলাম। এমতাবস্থায় উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) উপস্থিত হলেন এবং তাঁর গায়ে একখানা হলুদ রংের চাদর ছিল, যা দিয়ে তিনি তাঁর মাথা ঢেকে রেখেছিলেন।

এরপর তিনি বললেনঃ এখানে কি আলী (রাযিঃ) আছেন, এখানে কি তালহা (রাযিঃ) আছেন, এখানে কি যুবায়র (রাযিঃ) আছেন, এখানে কি সা’দ (রাযিঃ) আছেন? তারা বললেন, হ্যাঁ, (আমরা এখানে উপস্থিত আছি)। উসমান (রাযিঃ) বললেনঃ আমি তোমাদেরকে ঐ আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ অমুক গােত্রের (উটের) বাথান যে ক্রয় করবে আল্লাহ্ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি ঐ স্থানটি বিশ হাজার বা পঁচিশ হাজার (দিরহাম) দিয়ে ক্রয় করি। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁকে এ খবর দেই। তখন তিনি বললেনঃ তুমি তা আমাদের মসজিদের জন্য (ওয়াকফ করে) দিয়ে দাও। এর সওয়াব তুমি পাবে। তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ সাক্ষী।

উসমান (রাযিঃ) আবার বললেনঃ আমি তোেমাদেরকে ঐ আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি-যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ’রূমা’ কূপ যে ক্রয় করবে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। তখন আমি তা এত এত মূল্যে ক্রয় করি এবং আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলি, আমি তা এত এত মূল্যে ক্রয় কর। তিনি বললেনঃ তুমি তা মুসলমানদের পানি পান করার জন্য (ওয়াকফ করে) দিয়ে দাও, আর এর সওয়াব তুমি পাবে। তখন তারা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ সাক্ষী!

তিনি আবার বললেনঃ আমি তোমাদেরকে ঐ আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তোমরা কি জান, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) লোকদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ যে এদের যুদ্ধের সামান অর্থাৎ অনটনগ্রস্ত (তাবুক) বাহিনীর ব্যবস্থা করে দেবে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। তখন আমি তাদের জন্য এমন সামানের ব্যবস্থা করলাম যে, তারা একটি রশি বা লাগামের অভাব অনুভব করল না। তারা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ সাক্ষী! তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ আপনি সাক্ষী থাকুন! আল্লাহ্ আপনি সাক্ষী থাকুন!
بَاب وَقْفِ الْمَسَاجِدِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ سَمِعْتُ حُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يُحَدِّثُ عَنْ عُمَرَ بْنِ جَاوَانَ عَنْ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ خَرَجْنَا حُجَّاجًا فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَنَحْنُ نُرِيدُ الْحَجَّ فَبَيْنَا نَحْنُ فِي مَنَازِلِنَا نَضَعُ رِحَالَنَا إِذْ أَتَانَا آتٍ فَقَالَ إِنَّ النَّاسَ قَدْ اجْتَمَعُوا فِي الْمَسْجِدِ وَفَزِعُوا فَانْطَلَقْنَا فَإِذَا النَّاسُ مُجْتَمِعُونَ عَلَى نَفَرٍ فِي وَسَطِ الْمَسْجِدِ وَإِذَا عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فَإِنَّا لَكَذَلِكَ إِذْ جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَيْهِ مُلَاءَةٌ صَفْرَاءُ قَدْ قَنَّعَ بِهَا رَأْسَهُ فَقَالَ أَهَاهُنَا عَلِيٌّ أَهَاهُنَا طَلْحَةُ أَهَاهُنَا الزُّبَيْرُ أَهَاهُنَا سَعْدٌ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَإِنِّي أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ بِعِشْرِينَ أَلْفًا أَوْ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ اجْعَلْهَا فِي مَسْجِدِنَا وَأَجْرُهُ لَكَ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ بِئْرَ رُومَةَ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ بِكَذَا وَكَذَا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ قَدْ ابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا قَالَ اجْعَلْهَا سِقَايَةً لِلْمُسْلِمِينَ وَأَجْرُهَا لَكَ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَقَالَ مَنْ جَهَّزَ هَؤُلَاءِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ يَعْنِي جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى مَا يَفْقِدُونَ عِقَالًا وَلَا خِطَامًا قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৬০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬০৮
মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা
৩৬০৯. যিয়াদ ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) ......... ছুমামা ইবনে হাযন কুশায়রী বলেন, আমি উসমান (রাযিঃ)-এর (অবরুদ্ধ হওয়ার সময় তাঁর) বাড়িতে উপস্থিত ছিলাম, যখন তিনি উপর হতে নীচের দিকে লক্ষ্য করে লোকদের বললেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহ এবং ইসলামের দোহাই দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, তোমাদের কি এ কথা জানা আছে যে, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মদীনায় আগমন করেন, তখন সেখানে সুপেয় পানি ছিল না- ‘রূমা’ কূপ ব্যতীত। তিনি বললেনঃ 'রূমা' কূপ কে ক্রয় করবে এইরূপে যে, তাতে তার বালতি মুসলমানদের বালতিগুলোর সমতুল্য করে দিবে (অর্থাৎ সে মুসলমানদের সাথে নিজেও তা থেকে পানি উঠাবে, অর্থাৎ তা মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করে দেবে, যে ব্যক্তি এরূপ করবে,) সে জান্নাতে এর চাইতে উত্তম বিনিময় পাবে। তখন আমি তা আমার নিজের ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে ক্রয় তাতে আমার বালতিকে মুসলমানদের বালতির সমতুল্য করে দেই (মুসলমানদের পানি পানের জন্য দান করে দেই)। অথচ তোমরা আজ আমাকে সেই পানি পান করতে বাধা দিচ্ছ, আর আমি সমুদ্রের (লোনা) পানি পান করছি। তারা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ সাক্ষী!

তিনি আবার বললেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্ এবং ইসলামের দোহাই দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, তোমারা কি জানো যে, আমি সংকটাপন্ন (তাবুক যুদ্ধের) মুজাহিদদের সামান আমার মাল দ্বারা ক্রয় করে দিয়েছিলাম? তারা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ্ সাক্ষী! তিনি আবার বললেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্ এবং ইসলামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, তোমারা কি জানো যে, মসজিদে স্থান সংকুলান হচ্ছিল না (লোকের অনেক কষ্ট হচ্ছিল)। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ অমুক গােত্রের জমিখণ্ড কে ক্রয় করবে? আর তা মসজিদ সম্প্রসারণে দান করবে? আল্লাহ্ তাআলা তাকে জান্নাতে এর চাইতে উত্তম বিনিময় দান করবেন। তখন আমি তা নিজের ব্যক্তিগত মাল দ্বারা ক্রয় করি এবং মসজিদের সম্প্রসারণের জন্য দান করি। অথচ এখন তোমরা আমাকে তাতেই দুই রাকআত নামায পড়তে বাধা দিচ্ছ? তারা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ সাক্ষী!

তিনি আবার বললেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্ এবং ইসলামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কার সাবীর পাহাড়ের উপর ছিলেন, তখন তার সাথে ছিলেন আবু বকর, উমর এবং আমি। তখন পাহাড় নড়াচড়া করলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পাহাড়ে পদাঘাত করে বলেনঃ হে সাবীর! থামো, তোমার উপর একজন নবী, এক সিদ্দীক এবং দুই শহীদ রয়েছেন। তারা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ্ সাক্ষী! তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহু আকবার। তারা আমার পক্ষে সাক্ষ্য দান করেছেঃ কাবার মালিকের কসম অর্থাৎ আমি শহীদ।
بَاب وَقْفِ الْمَسَاجِدِ
أَخْبَرَنِي زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ حَزْنٍ الْقُشَيْرِيِّ قَالَ شَهِدْتُ الدَّارَ حِينَ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانُ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَبِالْإِسْلَامِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَلَيْسَ بِهَا مَاءٌ يُسْتَعْذَبُ غَيْرَ بِئْرِ رُومَةَ فَقَالَ مَنْ يَشْتَرِي بِئْرَ رُومَةَ فَيَجْعَلُ فِيهَا دَلْوَهُ مَعَ دِلَاءِ الْمُسْلِمِينَ بِخَيْرٍ لَهُ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ صُلْبِ مَالِي فَجَعَلْتُ دَلْوِي فِيهَا مَعَ دِلَاءِ الْمُسْلِمِينَ وَأَنْتُمْ الْيَوْمَ تَمْنَعُونِي مِنْ الشُّرْبِ مِنْهَا حَتَّى أَشْرَبَ مِنْ مَاءِ الْبَحْرِ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالْإِسْلَامِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنِّي جَهَّزْتُ جَيْشَ الْعُسْرَةِ مِنْ مَالِي قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالْإِسْلَامِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ الْمَسْجِدَ ضَاقَ بِأَهْلِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ يَشْتَرِي بُقْعَةَ آلِ فُلَانٍ فَيَزِيدُهَا فِي الْمَسْجِدِ بِخَيْرٍ لَهُ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ صُلْبِ مَالِي فَزِدْتُهَا فِي الْمَسْجِدِ وَأَنْتُمْ تَمْنَعُونِي أَنْ أُصَلِّيَ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالْإِسْلَامِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عَلَى ثَبِيرٍ ثَبِيرِ مَكَّةَ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَأَنَا فَتَحَرَّكَ الْجَبَلُ فَرَكَضَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرِجْلِهِ وَقَالَ اسْكُنْ ثَبِيرُ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ شَهِدُوا لِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ يَعْنِي أَنِّي شَهِيدٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৬০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬০৯
মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা
৩৬১০. ইমরান ইবনে বাক্কার ইবনে রাশিদ (রাহঃ) ......... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) হতে বর্ণিত। যেদিন লোক উসমান (রাযিঃ)-কে অবরুদ্ধ করেছিল, সেদিন তিনি তার ঘরের উপর হতে তাদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ আল্লাহর নামে কসম দিয়ে আমি ঐ ব্যক্তির নিকট জিজ্ঞাসা করছি, যে ব্যক্তি পাহাড়ের দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শোনে, যখন পাহাড় নড়াচড়া দিয়ে উঠে। তখন তিনি তাঁর পা দিয়ে পাহাড়ে আঘাত করে বলেনঃ হে পাহাড় থাম, তোমার উপর একজন নবী, একজন সিদ্দীক এবং দুইজন শহীদ রয়েছেন। তখন আমি তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলাম। লোকেরা তাঁর এ কথার সত্যায়ন করলে তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর কসম দিয়ে ঐ ব্যক্তির নিকট জিজ্ঞাসা করছি, যে ব্যক্তি বায়আতে রিদওয়ানে উপস্থিত ছিল এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিল। বলেছিলেনঃ ইহা আল্লাহর হাত, আর ইহা উসমানের হাত। লোকেরা এ কথার সত্যায়ন করলো।

তিনি আবার বললেনঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করছি, যে ব্যক্তি সংকটাপন্ন (তাবুক যুদ্ধের) বাহিনী প্রেরণের দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শোনে, এমন কে আছে, যে ব্যক্তি কবুলযোগ্য সম্পদ খরচ করতে পারে? আমি (তাঁর এই ইচ্ছা শ্রবণ করে) অর্ধ বাহিনীর সকল খরচ নিজের মালদ্বারা করে দেই। লোকেরা তা স্বীকার করলো।

তিনি আবার বললেনঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করছি, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেঃ কোন ব্যক্তি এমন আছে, যে ব্যক্তি এই মসজিদ সম্প্রসারণ করবে, জান্নাতের একখানা ঘরের বিনিময়ে? তখন আমি আমার সম্পদ দিয়ে তা কিনে দেই। লোক এর সত্যায়ন করল। এরপর তিনি বললেনঃ আমি ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি যে, রূমা কূপ ক্রয়কালে উপস্থিত ছিল। আমি তা নিজের টাকায় ক্রয় করি এবং তা পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেই। উপস্থিত লোকেরা তাঁর এ কথারও সত্যায়ন করলো।
بَاب وَقْفِ الْمَسَاجِدِ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ رَاشِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا خَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ قَالَ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عُثْمَانَ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ حِينَ حَصَرُوهُ فَقَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ الْجَبَلِ حِينَ اهْتَزَّ فَرَكَلَهُ بِرِجْلِهِ وَقَالَ اسْكُنْ فَإِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدَانِ وَأَنَا مَعَهُ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ يَقُولُ هَذِهِ يَدُ اللَّهِ وَهَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ جَيْشِ الْعُسْرَةِ يَقُولُ مَنْ يُنْفِقُ نَفَقَةً مُتَقَبَّلَةً فَجَهَّزْتُ نِصْفَ الْجَيْشِ مِنْ مَالِي فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ يَزِيدُ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ فَاشْتَرَيْتُهُ مِنْ مَالِي فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا شَهِدَ رُومَةَ تُبَاعُ فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ مَالِي فَأَبَحْتُهَا لِابْنِ السَّبِيلِ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৬১০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬১০
মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা
৩৬১১. মুহাম্মাদ ইবনে মাওহীব (রাহঃ) ......... আবু আব্দুর রহমান সালামী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন উসমান (রাযিঃ) নিজের ঘরে অবরুদ্ধ হলেন এবং লোক তার ঘরের চারদিকে একত্রিত হল, তখন তিনি উপর থেকে তাদের দিকে তাকালেন। রাবী পূর্ণ হাদীস পর্যন্ত বর্ণনা করেন।
بَاب وَقْفِ الْمَسَاجِدِ
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ الرَّحِيمِ قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السَّلَمِيِّ قَالَ لَمَّا حُصِرَ عُثْمَانُ فِي دَارِهِ اجْتَمَعَ النَّاسُ حَوْلَ دَارِهِ قَالَ فَأَشْرَفَ عَلَيْهِمْ وَسَاقَ الْحَدِيثَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান