কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৫৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৫৪
তিন তালাকের পর ফিরে আসার বিধান রহিত হওয়া সম্পর্কে
৩৫৫৮. যাকারিয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে (مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا) এ আয়াতের তাফসীরে বর্ণিত যে, ″আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা ভুলিয়ে দিলে, তা হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আনি। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এরপর অন্য একটি আয়াত বর্ণনা করেন, (وَإِذَا بَدَّلْنَا آيَةً مَكَانَ آيَةٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُنَزِّلُ) যখন আমি এক আয়াতের বদলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি, আল্লাহ যা নাযিল করেন, তা তিনি-ই ভাল জানেন, তখন তারা বলে, তুমি তো কেবল মিথ্যা উদ্ভাবনকারী। আল্লাহর বাণীঃ ’আল্লাহর যা ইচ্ছা তা নিশ্চিহ্ন করেন এবং যা ইচ্ছা তা প্রতিষ্ঠিত রাখেন, আর তারই নিকট আছে কিতাবের মূল।’ এরপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ সর্বপ্রথম কুরআনে যা রহিত হয়েছিল, তা ছিল কিবলা।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আরো বলেনঃ আল্লাহর বাণীঃ (وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ) ’মহিলারা তিন হায়য পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, আর তাদের জন্য বৈধ হবে না, আল্লাহ্ তাআলা তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা।’ যদি তারা আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান রাখে। আর তাদের স্বামীগণ এই অবস্থায় তাদের ফিরিয়ে রাখার অধিক হকদার। যদি তারা অপেক্ষা করার ইচ্ছা রাখে।’ তিনি এই আয়াত বৰ্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এই অবস্থা এইরূপ ছিল, যখন কোন লোক স্বীয় স্ত্রীকে তালাক দিত, তবে সে-ই তার রজআত করার অধিকারী ছিল, যদিও সে তাকে তিন তালাক দিত। আল্লাহ্ তাআলা তা রহিত করে বলেনঃ তালাক দু’বার। এরপর স্ত্রীকে হয় বিধিমত রেখে দেবে, অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দেবে।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আরো বলেনঃ আল্লাহর বাণীঃ (وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ) ’মহিলারা তিন হায়য পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, আর তাদের জন্য বৈধ হবে না, আল্লাহ্ তাআলা তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা।’ যদি তারা আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান রাখে। আর তাদের স্বামীগণ এই অবস্থায় তাদের ফিরিয়ে রাখার অধিক হকদার। যদি তারা অপেক্ষা করার ইচ্ছা রাখে।’ তিনি এই আয়াত বৰ্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এই অবস্থা এইরূপ ছিল, যখন কোন লোক স্বীয় স্ত্রীকে তালাক দিত, তবে সে-ই তার রজআত করার অধিকারী ছিল, যদিও সে তাকে তিন তালাক দিত। আল্লাহ্ তাআলা তা রহিত করে বলেনঃ তালাক দু’বার। এরপর স্ত্রীকে হয় বিধিমত রেখে দেবে, অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দেবে।
بَاب نَسْخِ الْمُرَاجَعَةِ بَعْدَ التَّطْلِيقَاتِ الثَّلَاثِ
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ النَّحْوِيُّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا وَقَالَ وَإِذَا بَدَّلْنَا آيَةً مَكَانَ آيَةٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُنَزِّلُ الْآيَةَ وَقَالَ يَمْحُو اللَّهُ مَا يَشَاءُ وَيُثْبِتُ وَعِنْدَهُ أُمُّ الْكِتَابِ فَأَوَّلُ مَا نُسِخَ مِنْ الْقُرْآنِ الْقِبْلَةُ وَقَالَ وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ إِلَى قَوْلِهِ إِنْ أَرَادُوا إِصْلَاحًا وَذَلِكَ بِأَنَّ الرَّجُلَ كَانَ إِذَا طَلَّقَ امْرَأَتَهُ فَهُوَ أَحَقُّ بِرَجْعَتِهَا وَإِنْ طَلَّقَهَا ثَلَاثًا فَنَسَخَ ذَلِكَ وَقَالَ الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান