কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৫৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৫২
বায়িন তালাকপ্ৰাপ্তা গর্ভবতী মহিলার খোরপোষ
৩৫৫৬. আমর ইবনে উসমান ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... উবায়দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা (রাযিঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে উসমান সাঈদ ইবনে যায়দ এর কন্যাকে তালাক দিল, সেই কন্যার মাতার নাম ছিল হামনা বিনতে কায়স। তিনি তাকে এমন তালাক দিলেন, যা দ্বারা সম্পর্ক একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অর্থাৎ তিন তালাক। সেই মহিলার খালা ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) তাকে বললেনঃ তুমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমার-এর ঘরে চলে যাও। মারওয়ান একথা শুনে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে উসমানের স্ত্রীকে নির্দেশ দিলেনঃ তোমার ইদ্দত পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তুমি নিজের গৃহে অবস্থান কর। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর-এর স্ত্রী মারওয়ানের কাছে লোক পাঠিয়ে জানালেন যে, আমাকে আমার খালা ফাতিমা ঘর হতে চলে যাওয়ার আদেশ করেছেন। আর তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে ঐ সময় ঘর হতে বের হয়ে যাওয়ার আদেশ করেন, যখন তাকে তার স্বামী আবু আমর ইবনে হাফস তালাক দিয়েছিলেন।

মারওয়ান যখন এ ঘটনা জানতে পারলো, তখন তিনি কাবীসা ইবনে যুবায়রকে ফাতিমা (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠালেন। এ ব্যাপারে ফাতিমাকে কাবীসা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ আমার স্বামী আবু আমার আলী (রাযিঃ)-এর সাথে চলে যান, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে ইয়ামনের শাসক নিযুক্ত করেন। সেখানে গিয়ে আমার স্বামী এক তালাক দিয়ে পাঠান, আর তা ছিল ঐ তালাক, যা অবশিষ্ট ছিল। তখন হারিস ইবনে হিশাম, এবং আইয়াশ ইবনে আবু রবীআকে বলে পাঠান আমাকে খোরপোেষ দেয়ার জন্য। আমি আমার খরচ চাওয়ার জন্য তাদের নিকট লোক পাঠালাম, যা আমার স্বামী আমাকে দিতে বলেছিল। তারা উভয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমাদের নিকট তার জন্য কোন খোরপোেষ নেই। তবে যদি সে গৰ্ভবতী হতো, তা হলে তার জন্য খোরপোষ ছিল। আর আমরা যতক্ষণ না বলি, সে যেন আমাদের ঘরে না থাকে।

ফাতিমা (রাযিঃ) বলেনঃ তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে এ ঘটনা জানালাম। তিনি তাদের উভয়কে সত্যবাদী মনে করলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি এখন কোথায় যাব? তিনি বললেনঃ ইবনে উম্মে মাকতুমের নিকট চলে যাও, ইবনে উম্মে মাকতুম অন্ধ লোক, যার জন্য আল্লাহ তাআলা তার কিতাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। আমি তাঁর নিকট চলে গেলাম। আমি তাঁর নিকট গায়ের কাপড় ফেলে দিতাম। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উসামা ইবনে যায়ীদ (রাযিঃ)-এর সাথে আমার বিবাহ দেন।
نَفَقَةُ الْحَامِلِ الْمَبْتُوتَةِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ شُعَيْبٍ قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ طَلَّقَ ابْنَةَ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَأُمُّهَا حَمْنَةُ بِنْتُ قَيْسٍ الْبَتَّةَ فَأَمَرَتْهَا خَالَتُهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ بِالِانْتِقَالِ مِنْ بَيْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَسَمِعَ بِذَلِكَ مَرْوَانُ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَأَمَرَهَا أَنْ تَرْجِعَ إِلَى مَسْكَنِهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ تُخْبِرُهُ أَنَّ خَالَتَهَا فَاطِمَةَ أَفْتَتْهَا بِذَلِكَ وَأَخْبَرَتْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْتَاهَا بِالِانْتِقَالِ حِينَ طَلَّقَهَا أَبُو عَمْرِو بْنُ حَفْصٍ الْمَخْزُومِيُّ فَأَرْسَلَ مَرْوَانُ قَبِيصَةَ بْنَ ذُؤَيْبٍ إِلَى فَاطِمَةَ فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَزَعَمَتْ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ أَبِي عَمْرٍو لَمَّا أَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى الْيَمَنِ خَرَجَ مَعَهُ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا بِتَطْلِيقَةٍ وَهِيَ بَقِيَّةُ طَلَاقِهَا فَأَمَرَ لَهَا الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ بِنَفَقَتِهَا فَأَرْسَلَتْ إِلَى الْحَارِثِ وَعَيَّاشٍ تَسْأَلُهُمَا النَّفَقَةَ الَّتِي أَمَرَ لَهَا بِهَا زَوْجُهَا فَقَالَا وَاللَّهِ مَا لَهَا عَلَيْنَا نَفَقَةٌ إِلَّا أَنْ تَكُونَ حَامِلًا وَمَا لَهَا أَنْ تَسْكُنَ فِي مَسْكَنِنَا إِلَّا بِإِذْنِنَا فَزَعَمَتْ فَاطِمَةُ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَصَدَّقَهُمَا قَالَتْ فَقُلْتُ أَيْنَ أَنْتَقِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ انْتَقِلِي عِنْدَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ وَهُوَ الْأَعْمَى الَّذِي عَاتَبَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كِتَابِهِ فَانْتَقَلْتُ عِنْدَهُ فَكُنْتُ أَضَعُ ثِيَابِي عِنْدَهُ حَتَّى أَنْكَحَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَعَمَتْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ