কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৩৩
মুসলমান নারীর স্বামীর শোকপালনে সাজসজ্জা ত্যাগ করা (ইয়াহুদী-খ্রিস্টানের জন্য নয়)
৩৫৩৭. মুহাম্মাদ ইবনে সালামা ও হারিছ ইবনে মিসকীন (রাহঃ) ......... যয়নব বিনতে আবু সালামা (রাযিঃ) এই তিনটি হাদীস বর্ণনা করেন। যয়নব (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর স্ত্রী উম্মে হাবীব (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তাঁর পিতা আবু সুফিয়ান ইবনে হারব ইনতিকাল করেন। এ সময় উম্মে হাবীব (রাযিঃ) সুগন্ধি আনান। তিনি সর্বাগ্রে তা বাঁদীর গায়ে লাগান, পরে তিনি তা নিজের চেহারায় মাখলেন এবং বললেনঃ আল্লাহর শপথ! এখন আমার সুগন্ধি লাগাবার কোন প্রয়োজন ছিল না; কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
এরপর আমি যায়নব বিনতে জাহশ (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তার ভাই ইনতিকাল করেছিল। তিনি সুগন্ধি লাগিয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ ! এখন আমার সুগন্ধির প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
যয়নব (রাযিঃ) বলেনঃ আমি উম্মে সালামা (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে এবং তার চোখে ব্যথা, যদি আপনি অনুমতি দেন তবে আমি তার চোখে সুরমা লাগাতে পারি। তিনি বললেনঃ সুরমা লাগাবে না। এখন তো শুধু চার মাস দশদিন শোক করতে হয়, অথচ জাহিলী যুগে এরূপ নারী এক বছর পর গোবর ছিটাতো।
হুমাইদ ইবনে নাফে’ (রাহঃ) বলেন, আমি যায়নবকে জিজ্ঞাসা করলামঃ গোবর ছিটাবার অর্থ কী? যয়নব (রাযিঃ) বর্ণনা করলেন, জাহিলী যুগে যে নারীর স্বামীর মৃত্যু হতো, সে নারী এক ক্ষুদ্র অন্ধকার প্রকোষ্টে প্রবেশ করতো। আর সে নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করতো, এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সে কোন প্রকার সুগন্ধি লাগাতো না, এক বছর পর গাধা, বকরী অথবা অন্য কোন পাখি তার কাছে আনা হতো। পরে সে ঐ জানওয়ারকে নিজের শরীরে মর্দন করতো, ফলে ঐ জন্তু মারা যেত। তারপর সে বের হতো। এরপর তাকে উটের গোবর দেয়া হতো এবং সে তা ছিটাতো। পরে সুগন্ধি মাখতো, অথবা মনে যা চাইতো, তা করতো।
এরপর আমি যায়নব বিনতে জাহশ (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তার ভাই ইনতিকাল করেছিল। তিনি সুগন্ধি লাগিয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ ! এখন আমার সুগন্ধির প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
যয়নব (রাযিঃ) বলেনঃ আমি উম্মে সালামা (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে এবং তার চোখে ব্যথা, যদি আপনি অনুমতি দেন তবে আমি তার চোখে সুরমা লাগাতে পারি। তিনি বললেনঃ সুরমা লাগাবে না। এখন তো শুধু চার মাস দশদিন শোক করতে হয়, অথচ জাহিলী যুগে এরূপ নারী এক বছর পর গোবর ছিটাতো।
হুমাইদ ইবনে নাফে’ (রাহঃ) বলেন, আমি যায়নবকে জিজ্ঞাসা করলামঃ গোবর ছিটাবার অর্থ কী? যয়নব (রাযিঃ) বর্ণনা করলেন, জাহিলী যুগে যে নারীর স্বামীর মৃত্যু হতো, সে নারী এক ক্ষুদ্র অন্ধকার প্রকোষ্টে প্রবেশ করতো। আর সে নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করতো, এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সে কোন প্রকার সুগন্ধি লাগাতো না, এক বছর পর গাধা, বকরী অথবা অন্য কোন পাখি তার কাছে আনা হতো। পরে সে ঐ জানওয়ারকে নিজের শরীরে মর্দন করতো, ফলে ঐ জন্তু মারা যেত। তারপর সে বের হতো। এরপর তাকে উটের গোবর দেয়া হতো এবং সে তা ছিটাতো। পরে সুগন্ধি মাখতো, অথবা মনে যা চাইতো, তা করতো।
تَرْكُ الزِّينَةِ لِلْحَادَّةِ الْمُسْلِمَةِ دُونَ الْيَهُودِيَّةِ وَالنَّصْرَانِيَّةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ بِهَذِهِ الْأَحَادِيثِ الثَّلَاثَةِ قَالَتْ زَيْنَبُ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ فَدَعَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِطِيبٍ فَدَهَنَتْ مِنْهُ جَارِيَةً ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تَحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
قَالَتْ زَيْنَبُ ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا وَقَدْ دَعَتْ بِطِيبٍ وَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تَحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
وَقَالَتْ زَيْنَبُ سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ تَقُولُ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدْ اشْتَكَتْ عَيْنَهَا أَفَأَكْحُلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا ثُمَّ قَالَ إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عِنْدَ رَأْسِ الْحَوْلِ قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لِزَيْنَبَ وَمَا تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عِنْدَ رَأْسِ الْحَوْلِ قَالَتْ زَيْنَبُ كَانَتْ الْمَرْأَةُ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا دَخَلَتْ حِفْشًا وَلَبِسَتْ شَرَّ ثِيَابِهَا وَلَمْ تَمَسَّ طِيبًا وَلَا شَيْئًا حَتَّى تَمُرَّ بِهَا سَنَةٌ ثُمَّ تُؤْتَى بِدَابَّةٍ حِمَارٍ أَوْ شَاةٍ أَوْ طَيْرٍ فَتَفْتَضُّ بِهِ فَقَلَّمَا تَفْتَضُّ بِشَيْءٍ إِلَّا مَاتَ ثُمَّ تَخْرُجُ فَتُعْطَى بَعْرَةً فَتَرْمِي بِهَا وَتُرَاجِعُ بَعْدُ مَا شَاءَتْ مِنْ طِيبٍ أَوْ غَيْرِهِ قَالَ مَالِكٌ تَفْتَضُّ تَمْسَحُ بِهِ فِي حَدِيثِ مُحَمَّدٍ قَالَ مَالِكٌ الْحِفْشُ الْخُصُّ
قَالَتْ زَيْنَبُ ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا وَقَدْ دَعَتْ بِطِيبٍ وَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تَحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
وَقَالَتْ زَيْنَبُ سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ تَقُولُ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدْ اشْتَكَتْ عَيْنَهَا أَفَأَكْحُلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا ثُمَّ قَالَ إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عِنْدَ رَأْسِ الْحَوْلِ قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لِزَيْنَبَ وَمَا تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عِنْدَ رَأْسِ الْحَوْلِ قَالَتْ زَيْنَبُ كَانَتْ الْمَرْأَةُ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا دَخَلَتْ حِفْشًا وَلَبِسَتْ شَرَّ ثِيَابِهَا وَلَمْ تَمَسَّ طِيبًا وَلَا شَيْئًا حَتَّى تَمُرَّ بِهَا سَنَةٌ ثُمَّ تُؤْتَى بِدَابَّةٍ حِمَارٍ أَوْ شَاةٍ أَوْ طَيْرٍ فَتَفْتَضُّ بِهِ فَقَلَّمَا تَفْتَضُّ بِشَيْءٍ إِلَّا مَاتَ ثُمَّ تَخْرُجُ فَتُعْطَى بَعْرَةً فَتَرْمِي بِهَا وَتُرَاجِعُ بَعْدُ مَا شَاءَتْ مِنْ طِيبٍ أَوْ غَيْرِهِ قَالَ مَالِكٌ تَفْتَضُّ تَمْسَحُ بِهِ فِي حَدِيثِ مُحَمَّدٍ قَالَ مَالِكٌ الْحِفْشُ الْخُصُّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান