কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৪৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬৯
লিআনের নিয়ম
৩৪৭৩. ইমরান ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইসলামে সর্বপ্রথম লি”আন করার নিয়ম হিলাল ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) হতে আরম্ভ হয়। কেননা, তিনি তার স্ত্রীকে শরীক ইবনে সাহমার সাথে ব্যভিচারের অপবাদ দেন এবং রসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট এসে এ সংবাদ দেন। তিনি তাকে বলেন, চারজন সাক্ষী আনো, তা না হলে তোমার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে এবং তা তোমার পিঠে পড়বে, তিনি তাকে কয়েকবার এ কথা বললেনঃ তখন হিলাল বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর শপথ, আল্লাহ জানেন আমি সত্যবাদী এবং আল্লাহ্ তাআলা আপনার উপর আদেশ অবতীর্ণ করবেন। যাতে আমার পিঠ শান্তি হতে নিষ্কৃতি পাবে।

এভাবে কথা চলছিল, এমন সময় লি”আনের আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি যিানার অপবাদ আরোপ করে, অথবা নিজেরা ব্যতীত কোন সাক্ষী নেই। তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী এবং পঞ্চমবারে সে বলবে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার উপর আল্লাহর লা’নত হোক। আর স্ত্রীর উপর হতে শাস্তি এভাবে রহিত হবে যে, যদি সে আল্লাহর নামে শপথ করে চারবার। এভাবে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যা বলছে এবং পঞ্চমবারে বলে, তার উপর আল্লাহর গযব, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয়।

এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হিলালকে ডাকলেন, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী, আর পঞ্চমবারে বলেঃ যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার উপর আল্লাহর লা’নত। এরপর স্ত্রী লোককে ডাকা হলো, সেও আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলে, ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী। বর্ণনাকারী বলেন, যখন চারবার অথবা পাঁচবার সাক্ষ্য দেওয়া হলো, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা এই মহিলাকে বিরত রাখ, কেননা, এই সাক্ষ্য ঐ রমণীর জন্য ধ্বংসের কারণ হবে, অর্থাৎ আল্লাহর গযব বৃথা যাবে না।

বর্ণনাকারী বলেনঃ তখন ঐ রমণী বিব্রত রইলো, আমাদের ধারণা হলো, সে বুঝতে পেরেছে এবং সে এখন স্বীকার করবে। কিন্তু সে বললোঃ আমি আমার সম্প্রদায়কে সর্বদার জন্য কলংকিত করবো না। এই কথা বলে সে কসম পূর্ণ করলো। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এই মহিলার প্রতি লক্ষ্য রাখ, যদি সে ফর্সা, কোঁকড়ান চুল বিকৃত গড়নের সস্তান প্রসব করে, তবে সে হবে হিলাল ইবনে উমাইয়ার সন্তান। আর যদি সে বাদামী রংয়ের এলোমেলো চুল বিশিষ্ট মধ্যম গড়নের এবং পাতলা পা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে সে সন্তান হবে শরীক ইবনে সাহমার সন্তান। রাবী বলেনঃ সে বাদামী রংয়ের সন্তান প্রসব করলো, যে কোঁকড়ান চুল, মধ্যম গড়ন পাতলা পা বিশিষ্ট ছিল, সেই সন্তান প্রসবের পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ যদি আল্লাহর কিতাবের আদেশ না হতো, তা হলে তোমরা আমাকে দেখতে, আমি তার কি অবস্থা করতাম।
بَاب كَيْفَ اللِّعَانُ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ حُسَيْنٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ إِنَّ أَوَّلَ لِعَانٍ كَانَ فِي الْإِسْلَامِ أَنَّ هِلَالَ بْنَ أُمَيَّةَ قَذَفَ شَرِيكَ بْنَ السَّحْمَاءِ بِامْرَأَتِهِ فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَةَ شُهَدَاءَ وَإِلَّا فَحَدٌّ فِي ظَهْرِكَ يُرَدِّدُ ذَلِكَ عَلَيْهِ مِرَارًا فَقَالَ لَهُ هِلَالٌ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَيَعْلَمُ أَنِّي صَادِقٌ وَلَيُنْزِلَنَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْكَ مَا يُبَرِّئُ ظَهْرِي مِنْ الْجَلْدِ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ نَزَلَتْ عَلَيْهِ آيَةُ اللِّعَانِ وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ إِلَى آخِرِ الْآيَةِ فَدَعَا هِلَالًا فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنْ الصَّادِقِينَ وَالْخَامِسَةُ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنْ الْكَاذِبِينَ ثُمَّ دُعِيَتْ الْمَرْأَةُ فَشَهِدَتْ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنْ الْكَاذِبِينَ فَلَمَّا أَنْ كَانَ فِي الرَّابِعَةِ أَوْ الْخَامِسَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقِّفُوهَا فَإِنَّهَا مُوجِبَةٌ فَتَلَكَّأَتْ حَتَّى مَا شَكَكْنَا أَنَّهَا سَتَعْتَرِفُ ثُمَّ قَالَتْ لَا أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ فَمَضَتْ عَلَى الْيَمِينِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْظُرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَبْيَضَ سَبِطًا قَضِيءَ الْعَيْنَيْنِ فَهُوَ لِهِلَالِ بْنِ أُمَيَّةَ وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ آدَمَ جَعْدًا رَبْعًا حَمْشَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِشَرِيكِ بْنِ السَّحْمَاءِ فَجَاءَتْ بِهِ آدَمَ جَعْدًا رَبْعًا حَمْشَ السَّاقَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْلَا مَا سَبَقَ فِيهَا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ لَكَانَ لِي وَلَهَا شَأْنٌ قَالَ الشَّيْخُ وَالْقَضِئُ طَوِيلُ شَعْرِ الْعَيْنَيْنِ لَيْسَ بِمَفْتُوحِ الْعَيْنِ وَلَا جَاحِظِهِمَا وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান