কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৪০২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০২
এতে অনুমতি
৩৪০৫. মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) ......... মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে শিহাব আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, সাহল ইবনে সা’দ সাঈদী তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, উওয়াইমির আজলানী আসিম ইবনে আদীর নিকট আগমন করলো এবং বললোঃ হে আসিম! তুমি কি মনে কর, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়, তাহলে সে কি তাকে হত্যা করবে? যদ্দরুন লোকেরাও তাকে হত্যা করবে অথবা কি করবে? হে আসিম! তুমি আমার পক্ষ হয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর। তখন আসিম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রশ্নকারীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলেন এবং ঐ স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করলেন। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) থেকে যা শুনলেন, তা আসিম অতিশয় গুরুতর মনে করলো। আসিম ঘরে ফিরে আসলে উওয়াইমির (রাযিঃ) তার নিকট এসে বললোঃ হে আসিম ! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তোমাকে কি বলেছেন? আসিম উওয়াইমির (রাযিঃ)-কে বললেনঃ তুমি তো আমার নিকট ভাল খবর নিয়ে আসোনি, আমি যা জিজ্ঞাসা করেছি, তাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
উওয়াইমির বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে তা জিজ্ঞাসা না করে ক্ষান্ত হবে না। এরপর উওয়াইমির লোকের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট আগমন করে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে কী বলেন, যে তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়। সে কি তাকে হত্যা করবে, ফলে আপনারাও তাকে হত্যা করবেন অথবা সে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমার এবং তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে ফয়সালা নাযিল হয়েছে। অতএব তুমি গিয়ে তাকে নিয়ে এসো। সাহল (রাযিঃ) বলেন, এরপর উভয়ে এসে লি আন’ করলো। আর তখন আমি অন্যান্য লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ছিলাম। যখন উওয়াইমির লিআন[১] শেষ করলো। তখন সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমি তাকে রাখি, তাহলে লোকেরা বলবে, আমি তার উপর মিথ্যা তোহমাত লাগিয়ে ছিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আদেশ করার পূর্বেই সে তাকে তিন তালাক দিল।
[১] লিআন শব্দের অর্থ- একে অপরের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ ও ক্রোধের বদ্ দু'আ করা। শরীআতের পরিভাষায় স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে চরিত্রহীনতা ও যিনার অভিযোগ উত্থাপন করার ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর উভয়কে বিশেষ পদ্ধতিতে শপথ দেয়াকে লিআন বলা হয়। (লি'আন অধ্যায় দ্রষ্টব্য)
উওয়াইমির বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে তা জিজ্ঞাসা না করে ক্ষান্ত হবে না। এরপর উওয়াইমির লোকের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট আগমন করে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে কী বলেন, যে তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়। সে কি তাকে হত্যা করবে, ফলে আপনারাও তাকে হত্যা করবেন অথবা সে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমার এবং তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে ফয়সালা নাযিল হয়েছে। অতএব তুমি গিয়ে তাকে নিয়ে এসো। সাহল (রাযিঃ) বলেন, এরপর উভয়ে এসে লি আন’ করলো। আর তখন আমি অন্যান্য লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ছিলাম। যখন উওয়াইমির লিআন[১] শেষ করলো। তখন সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমি তাকে রাখি, তাহলে লোকেরা বলবে, আমি তার উপর মিথ্যা তোহমাত লাগিয়ে ছিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আদেশ করার পূর্বেই সে তাকে তিন তালাক দিল।
[১] লিআন শব্দের অর্থ- একে অপরের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ ও ক্রোধের বদ্ দু'আ করা। শরীআতের পরিভাষায় স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে চরিত্রহীনতা ও যিনার অভিযোগ উত্থাপন করার ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর উভয়কে বিশেষ পদ্ধতিতে শপথ দেয়াকে লিআন বলা হয়। (লি'আন অধ্যায় দ্রষ্টব্য)
بَاب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُوَيْمِرًا الْعَجْلَانِيَّ جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ أَرَأَيْتَ يَا عَاصِمُ لَوْ أَنَّ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَيَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَسَأَلَ عَاصِمٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا حَتَّى كَبُرَ عَلَى عَاصِمٍ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمٌ إِلَى أَهْلِهِ جَاءَهُ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ يَا عَاصِمُ مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ عَاصِمٌ لِعُوَيْمِرٍ لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ قَدْ كَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتَ عَنْهَا فَقَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللَّهِ لَا أَنْتَهِي حَتَّى أَسْأَلَ عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسْطَ النَّاسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَزَلَ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا قَالَ سَهْلٌ فَتَلَاعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا فَرَغَ عُوَيْمِرٌ قَالَ كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا فَطَلَّقَهَا ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৪০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৩
এতে অনুমতি
৩৪০৬. আহমদ ইবনে ইয়াহইয়া (রাহঃ) ......... শা’বী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললামঃ আমি আলে খালিদের কন্যা। আর আমার স্বামী অমুক আমার নিকট তালাকের খবর পাঠিয়েছে। আমি তার অভিভাবকের নিকট খোরপোষ এবং বাসস্থান চাইলে তারা তা আমাকে দিতে অস্বীকার করেছে। ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তারা বললোঃ সে তার নিকট তিন তালাকের খবর পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ খোরপোষ এবং বাসস্থান স্ত্রীর জন্য ঐ সময় দেওয়া হবে যখন তাকে ফিরিয়ে আনার অধিকার স্বামীর থাকে।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ الْأَحْمَسِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا الشَّعْبِيُّ قَالَ حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ قَالَتْ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ أَنَا بِنْتُ آلِ خَالِدٍ وَإِنَّ زَوْجِي فُلَانًا أَرْسَلَ إِلَيَّ بِطَلَاقِي وَإِنِّي سَأَلْتُ أَهْلَهُ النَّفَقَةَ وَالسُّكْنَى فَأَبَوْا عَلَيَّ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ قَدْ أَرْسَلَ إِلَيْهَا بِثَلَاثِ تَطْلِيقَاتٍ قَالَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا النَّفَقَةُ وَالسُّكْنَى لِلْمَرْأَةِ إِذَا كَانَ لِزَوْجِهَا عَلَيْهَا الرَّجْعَةُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৪০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৪
এতে অনুমতি
৩৪০৭. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন তালাকপ্ৰাপ্ত নারীর জন্য কোন খোরপোষ ও বাসস্থান নেই।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سَلَمَةَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُطَلَّقَةُ ثَلَاثًا لَيْسَ لَهَا سُكْنَى وَلَا نَفَقَةٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৪০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৫
এতে অনুমতি
৩৪০৮. আমর ইবনে উসমান (রাহঃ) ......... আবু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার কাছে ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আবু আমর ইবনে হাফস মাখযুমী তাকে তিন তালাক দিলে খালিদ ইবনে ওয়ালীদ বনী মাখযুমের সাথে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবু আমর ইবনে হাফস (রাযিঃ) ফাতিমাকে তিন তালাক দিয়েছে, এখন কি সে খোরপোষ পাবে? তখন তিনি বললেনঃ তার জন্য কোন খোরপোষ এবং বাসস্থান নেই।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ قَالَ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ عَنْ أَبِي عَمْرٍو وَهُوَ الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ قَالَ حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ الْمَخْزُومِيَّ طَلَّقَهَا ثَلَاثًا فَانْطَلَقَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي نَفَرٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ طَلَّقَ فَاطِمَةَ ثَلَاثًا فَهَلْ لَهَا نَفَقَةٌ فَقَالَ لَيْسَ لَهَا نَفَقَةٌ وَلَا سُكْنَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: