কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩৩৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৮৭
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
বাসর ঘরে হাদিয়া
৩৩৯০. কুতায়াবা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার বিবাহ করে স্ত্রীর নিকট গেলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমার মা উম্মে সুলায়ম হায়স তৈরী করলেন। তিনি বলেন, আমি তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট যেয়ে বললামঃ আমার মা আপনাকে সালাম বলেছেন এবং বলেছেন, ইহা আপনার জন্য আমাদের পক্ষ হতে যৎকিঞ্চিত হাদিয়া। তিনি বললেনঃ তা রাখ। এরপর তিনি কয়েকজন লোকের নাম নিয়ে বললেন, অমুক অমুক ব্যক্তিকে ডেকে আন, আর তোমার সাথে যার দেখা হয়, সকলকে ডেকে আন। তারপর আমি ডেকে আনি, তিনি যাদের নাম বলেন, এবং যাদের সাথে আমার দেখা হয়।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ তাদের সংখ্যা কত ছিল? তিনি বলেন, তিনশত লোকের মত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ দশ দশ জন করে গোল হয়ে বস এবং প্রত্যেকে তার নিকটস্থ স্থান হতে খেতে থাক। তারা সকলে তৃপ্তি সহকারে আহার করলো। একদল যাচ্ছিল আর একদল প্রবেশ করছিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ হে আনাস! উঠিয়ে নাও। আমি খাবার উঠিয়ে নিলাম। আমি বুঝতে পারলাম না, যখন আমি তা উঠিয়ে নিলাম তখন অধিক ছিল, না যখন রেখেছিলাম!
বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ তাদের সংখ্যা কত ছিল? তিনি বলেন, তিনশত লোকের মত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ দশ দশ জন করে গোল হয়ে বস এবং প্রত্যেকে তার নিকটস্থ স্থান হতে খেতে থাক। তারা সকলে তৃপ্তি সহকারে আহার করলো। একদল যাচ্ছিল আর একদল প্রবেশ করছিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ হে আনাস! উঠিয়ে নাও। আমি খাবার উঠিয়ে নিলাম। আমি বুঝতে পারলাম না, যখন আমি তা উঠিয়ে নিলাম তখন অধিক ছিল, না যখন রেখেছিলাম!
كتاب النكاح
الْهَدِيَّةُ لِمَنْ عَرَّسَ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ وَهُوَ ابْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ بِأَهْلِهِ قَالَ وَصَنَعَتْ أُمِّي أُمُّ سُلَيْمٍ حَيْسًا قَالَ فَذَهَبَتْ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ إِنَّ أُمِّي تُقْرِئُكَ السَّلَامَ وَتَقُولُ لَكَ إِنَّ هَذَا لَكَ مِنَّا قَلِيلٌ قَالَ ضَعْهُ ثُمَّ قَالَ اذْهَبْ فَادْعُ فُلَانًا وَفُلَانًا وَمَنْ لَقِيتَ وَسَمَّى رِجَالًا فَدَعَوْتُ مَنْ سَمَّى وَمَنْ لَقِيتُهُ قُلْتُ لِأَنَسٍ عِدَّةُ كَمْ كَانُوا قَالَ يَعْنِي زُهَاءَ ثَلَاثَ مِائَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَتَحَلَّقْ عَشَرَةٌ عَشَرَةٌ فَلْيَأْكُلْ كُلُّ إِنْسَانٍ مِمَّا يَلِيهِ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا فَخَرَجَتْ طَائِفَةٌ وَدَخَلَتْ طَائِفَةٌ قَالَ لِي يَا أَنَسُ ارْفَعْ فَرَفَعْتُ فَمَا أَدْرِي حِينَ رَفَعْتُ كَانَ أَكْثَرَ أَمْ حِينَ وَضَعْتُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৮৮
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
বাসর ঘরে হাদিয়া
৩৩৯১. আহমদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে ওয়াযির (রাহঃ) ......... হুমায়দ তবীল (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি তাঁকে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কুরায়শ এবং আনসারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন করে দিলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সা’দ ইবনে রবী’ এবং আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ)-এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করলেন। তখন সা’দ (রাযিঃ) আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-কে বললেনঃ আমার যে ধন সম্পদ রয়েছে তা আপনার এবং আমার মধ্যে আধা-আধি হিসাবে ভাগ হবে। আর আমার দু’জন স্ত্রী রয়েছে। অতএব আপনি দেখুন, তাদের কোনজন আপনার অধিক পছন্দ হয় আমি তাকে তালাক দিয়ে দেব, তার ইদ্দত পূর্ণ হলে তাকে আপনি বিবাহ করবেন।
আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা আপনার ধানে ও পরিবারে বরকত দান করুন। আমাকে রাস্তা বলে দিন অর্থাৎ বাজারের। তিনি অনেকক্ষণ পর বেশ কিছু ঘি এবং পনির সহ ফিরে আসলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার শরীরে হলুদ রং দেখে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইহা কি? আমি বললামঃ আমি এক আনসারী রমণীকে বিবাহ করেছি। তিনি বললেনঃ একটা বকরী দ্বারা হলেও ওয়ালীমা কর।
আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা আপনার ধানে ও পরিবারে বরকত দান করুন। আমাকে রাস্তা বলে দিন অর্থাৎ বাজারের। তিনি অনেকক্ষণ পর বেশ কিছু ঘি এবং পনির সহ ফিরে আসলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার শরীরে হলুদ রং দেখে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইহা কি? আমি বললামঃ আমি এক আনসারী রমণীকে বিবাহ করেছি। তিনি বললেনঃ একটা বকরী দ্বারা হলেও ওয়ালীমা কর।
كتاب النكاح
الْهَدِيَّةُ لِمَنْ عَرَّسَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ الْوَزِيرِ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ قُرَيْشٍ وَالْأَنْصَارِ فَآخَى بَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ إِنَّ لِي مَالًا فَهُوَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ شَطْرَانِ وَلِي امْرَأَتَانِ فَانْظُرْ أَيُّهُمَا أَحَبُّ إِلَيْكَ فَأَنَا أُطَلِّقُهَا فَإِذَا حَلَّتْ فَتَزَوَّجْهَا قَالَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ دُلُّونِي أَيْ عَلَى السُّوقِ فَلَمْ يَرْجِعْ حَتَّى رَجَعَ بِسَمْنٍ وَأَقِطٍ قَدْ أَفْضَلَهُ قَالَ وَرَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيَّ أَثَرَ صُفْرَةٍ فَقَالَ مَهْيَمْ فَقُلْتُ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنْ الْأَنْصَارِ فَقَالَ أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ