কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৩৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৮০
সফরে সহবাস
৩৩৮৩. যিয়াদ ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) খায়বারের যুদ্ধ করলেন, আমরা তাঁর সাথে ফজরের নামায আদায় করলাম কিছু অন্ধকারে থাকতে। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সওয়ার হলেন, এবং আবু তালহাও আরোহণ করলেন, আর আমি ছিলাম আবু তালহার পিছনে উপবিষ্ট। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বারের পথ ধরলেন। আমার হাঁটুদ্ধয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উরুদ্বয়ে ছিল। আর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর উরুর শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করছিলাম। তিনি যখন সেখানকার জনপদে প্রবেশ করলেন, তখন ″আল্লাহ আকবার″ বললেন, এবং তিনবার বললেনঃ
خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ
অর্থঃ খায়বার বরবাদ হয়েছে। আমরা যখন কোন কওমের আঙ্গীনায় অবতরণ করি, তখন সতর্কীকৃতদের প্রভাত কতই না মন্দ হয়ে থাকে!
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর যখন লোকেরা তাদের কাজে বের হলো, আব্দুল আযীয (রাহঃ) বলেন, তখন তারা বললোঃ মুহাম্মাদ! আব্দুল আযীয (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের কোন সাথী বললোঃ আর সেনাবাহিনীও। যেহেতু আমরা যুদ্ধ করে খায়বার জয় করেছিলাম, তাই সমস্ত কয়েদী একত্রিত করা হলো। দাহিয়া (রাযিঃ) এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে একটি বাঁদী দান করুন। তিনি বললেনঃ যাও, একটা বেছে নাও। তিনি সফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ)-কে বেছে নিলেন।
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খেদমতে এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! বনী নযীর ও কুরাইযার সর্দার সফিয়া বিনতে হুয়ায়কে দাহিয়া (রাযিঃ)-কে দিলেন? তিনি তো আপনার জন্য ব্যতীত কারও জন্য উপযুক্ত নয়। তিনি বললেনঃ তাকে ডাক, ফলে তিনি তাকে নিয়ে আসলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে দৃষ্টিপাত করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি একে ব্যতীত অন্য একটা বাঁদী কয়েদীদের মধ্য হতে বেছে নাও।
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে মুক্ত করে দিয়ে বিবাহ করলেন। সাবিত (রাহঃ) তাকে বললেনঃ হে আবু হামযা! তাকে কি মোহর দেয়া হয়েছিল? তিনি বললেনঃ তার নিজেকেই, কেননা, তিনি তাকে আযাদ করেন এবং পরে তাকে বিবাহ করেন। তিনি বলেন, এমনকি, পথেই উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) তাকে নববধূর সাজে সজ্জিত করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত করেন। ভোরে তাঁরা বর কনে হিসেবে বের হলেন। তিনি (ﷺ) বললেনঃ যার নিকট কিছু আছে সে যেন তা নিয়ে আসে এবং তিনি একটি চামড়ার দস্তরখান বিছিয়ে দিলেন। তখন কেউ পনির নিয়ে আসলো, কোন ব্যক্তি খুরমা নিয়ে আসলো, কেউ ঘি আনলো। এটা দ্বারা হায়াসা (এক প্রকার সুস্বাদু খাদ্য) তৈরী করলেন। এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ওয়ালীমা করা হল।
خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ
অর্থঃ খায়বার বরবাদ হয়েছে। আমরা যখন কোন কওমের আঙ্গীনায় অবতরণ করি, তখন সতর্কীকৃতদের প্রভাত কতই না মন্দ হয়ে থাকে!
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর যখন লোকেরা তাদের কাজে বের হলো, আব্দুল আযীয (রাহঃ) বলেন, তখন তারা বললোঃ মুহাম্মাদ! আব্দুল আযীয (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের কোন সাথী বললোঃ আর সেনাবাহিনীও। যেহেতু আমরা যুদ্ধ করে খায়বার জয় করেছিলাম, তাই সমস্ত কয়েদী একত্রিত করা হলো। দাহিয়া (রাযিঃ) এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে একটি বাঁদী দান করুন। তিনি বললেনঃ যাও, একটা বেছে নাও। তিনি সফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ)-কে বেছে নিলেন।
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খেদমতে এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! বনী নযীর ও কুরাইযার সর্দার সফিয়া বিনতে হুয়ায়কে দাহিয়া (রাযিঃ)-কে দিলেন? তিনি তো আপনার জন্য ব্যতীত কারও জন্য উপযুক্ত নয়। তিনি বললেনঃ তাকে ডাক, ফলে তিনি তাকে নিয়ে আসলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে দৃষ্টিপাত করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি একে ব্যতীত অন্য একটা বাঁদী কয়েদীদের মধ্য হতে বেছে নাও।
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে মুক্ত করে দিয়ে বিবাহ করলেন। সাবিত (রাহঃ) তাকে বললেনঃ হে আবু হামযা! তাকে কি মোহর দেয়া হয়েছিল? তিনি বললেনঃ তার নিজেকেই, কেননা, তিনি তাকে আযাদ করেন এবং পরে তাকে বিবাহ করেন। তিনি বলেন, এমনকি, পথেই উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) তাকে নববধূর সাজে সজ্জিত করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত করেন। ভোরে তাঁরা বর কনে হিসেবে বের হলেন। তিনি (ﷺ) বললেনঃ যার নিকট কিছু আছে সে যেন তা নিয়ে আসে এবং তিনি একটি চামড়ার দস্তরখান বিছিয়ে দিলেন। তখন কেউ পনির নিয়ে আসলো, কোন ব্যক্তি খুরমা নিয়ে আসলো, কেউ ঘি আনলো। এটা দ্বারা হায়াসা (এক প্রকার সুস্বাদু খাদ্য) তৈরী করলেন। এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ওয়ালীমা করা হল।
الْبِنَاءُ فِي السَّفَرِ
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا خَيْبَرَ فَصَلَّيْنَا عِنْدَهَا الْغَدَاةَ بِغَلَسٍ فَرَكِبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَكِبَ أَبُو طَلْحَةَ وَأَنَا رَدِيفُ أَبِي طَلْحَةَ فَأَخَذَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي زُقَاقِ خَيْبَرَ وَإِنَّ رُكْبَتِي لَتَمَسُّ فَخِذَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنِّي لَأَرَى بَيَاضَ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا دَخَلَ الْقَرْيَةَ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ قَالَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ قَالَ وَخَرَجَ الْقَوْمُ إِلَى أَعْمَالِهِمْ قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ فَقَالُوا مُحَمَّدٌ قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ وَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِنَا وَالْخَمِيسُ وَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً فَجَمَعَ السَّبْيَ فَجَاءَ دِحْيَةُ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَعْطِنِي جَارِيَةً مِنْ السَّبْيِ قَالَ اذْهَبْ فَخُذْ جَارِيَةً فَأَخَذَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَعْطَيْتَ دِحْيَةَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ سَيِّدَةَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ مَا تَصْلُحُ إِلَّا لَكَ قَالَ ادْعُوهُ بِهَا فَجَاءَ بِهَا فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خُذْ جَارِيَةً مِنْ السَّبْيِ غَيْرَهَا قَالَ وَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا فَقَالَ لَهُ ثَابِتٌ يَا أَبَا حَمْزَةَ مَا أَصْدَقَهَا قَالَ نَفْسَهَا أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا قَالَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالطَّرِيقِ جَهَّزَتْهَا لَهُ أُمُّ سُلَيْمٍ فَأَهْدَتْهَا إِلَيْهِ مِنْ اللَّيْلِ فَأَصْبَحَ عَرُوسًا قَالَ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَيْءٌ فَلْيَجِئْ بِهِ قَالَ وَبَسَطَ نِطَعًا فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالْأَقِطِ وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالتَّمْرِ وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالسَّمْنِ فَحَاسُوا حَيْسَةً فَكَانَتْ وَلِيمَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৩৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৮১
সফরে সহবাস
৩৩৮৪. মুহাম্মাদ ইবনে নসর (রাহঃ) ......... হুমায়াদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আনাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বারের পথে হুয়াই ইবনে আখতাবের কন্যা সফিয়া (রাযিঃ)-এর সাথে তিন দিন অতিবাহিত করেন। এরপর তিনি ঐ সকল লোকের মধ্যে পরিগণিত হন, যাদের ব্যাপারে পর্দা করা হতো।
الْبِنَاءُ فِي السَّفَرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ عَنْ يَحْيَى عَنْ حُمَيْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقَامَ عَلَى صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ بِطَرِيقِ خَيْبَرَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ حِينَ عَرَّسَ بِهَا ثُمَّ كَانَتْ فِيمَنْ ضُرِبَ عَلَيْهَا الْحِجَابُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৩৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৮২
সফরে সহবাস
৩৩৮৫. আলী ইবনে হুজুর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি আনাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বার এবং মদীনার মধ্যস্থলে তিনদিন সফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ)-এর সঙ্গে কাটান। আমি তার ওয়ালীমার জন্য মুসলমানদের দাওয়াত দিলাম, আর তাতে গোশত ও রুটি কিছুই ছিল না। তিনি চামড়ার দস্তরখান বিছাতে আদেশ করলেন, লোকেরা তার উপর খেজুর, পনির, ঘি রাখতে লাগলো, এটাই ছিল তাঁর ওয়ালীমা। মুসলমানগণ বলতে লাগলো, তিনি উম্মাহাতুল মু'মিনীনের একজন না তাঁর দাসীদের একজন? তারা বললোঃ যদি তার সামনে পর্দা লটকান হয়, তবে তিনি উম্মাহাতুল মু’মিনীনদের অন্তর্ভুক্ত। আর যদি পর্দা না করা হয়, তবে তিনি বাঁদীদের একজন। যখন প্রত্যাবর্তনের সময় হলো, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সওয়ারীর হাওদার পেছনে তাঁর বসার ব্যবস্থা করা হলো এবং অন্যান্য লোক ও তার মধ্যে পর্দা ঝুলানো হলো।
الْبِنَاءُ فِي السَّفَرِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ قَالَ أَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ خَيْبَرَ وَالْمَدِينَةِ ثَلَاثًا يَبْنِي بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِينَ إِلَى وَلِيمَتِهِ فَمَا كَانَ فِيهَا مِنْ خُبْزٍ وَلَا لَحْمٍ أَمَرَ بِالْأَنْطَاعِ وَأَلْقَى عَلَيْهَا مِنْ التَّمْرِ وَالْأَقِطِ وَالسَّمْنِ فَكَانَتْ وَلِيمَتَهُ فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ أَوْ مِمَّا مَلَكَتْ يَمِينُهُ فَقَالُوا إِنْ حَجَبَهَا فَهِيَ مِنْ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ وَإِنْ لَمْ يَحْجُبْهَا فَهِيَ مِمَّا مَلَكَتْ يَمِينُهُ فَلَمَّا ارْتَحَلَ وَطَّأَ لَهَا خَلْفَهُ وَمَدَّ الْحِجَابَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ النَّاسِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান