কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৩২৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৪৫
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
কোন রমণী বিবাহ পয়গাম সম্বন্ধে পুরুষের নিকট পরামর্শ চাইলে তার (প্রস্তাবকারী) সম্পর্কে জ্ঞান বিষয়কে অবহিত করবে না।
৩২৪৮. মুহাম্মাদ ইবনে সালামা এবং হারিছ ইবনে মিসকীন (রাহঃ) ......... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) বলেন, আবু আমর ইবনে হাফস তাকে তিন তালাক দিয়ে ফেললেন, আর তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। তিনি তার উকিলকে কিছু যব দিয়ে তার নিকট পাঠালেন। কিন্তু ফাতিমা এতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমাদের উপর তোমার কোন পাওনা নেই। ফাতিমা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খেদমতে এসে এসকল কথা ব্যক্ত করলে তিনি বললেন, তোমার কোন খোরাক পাওনা নেই। তিনি তাকে উম্মে শরীকের ঘরে থেকে ইদত পূর্ণ করতে আদেশ করলেন। এরপর তিনি বললেনঃ ঐ মেয়ে লোক এমন যার কাছে আমার সাহাবীগণ বেশী যাতায়াত করে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম-এর নিকট থেকে ইদ্দত পূৰ্ণ কর। সে একজন অন্ধ ব্যক্তি। তুমি তোমার উত্তম কাপড়-চোপড় খুলে রাখবে। যখন তুমি ইদ্দত পূর্ণ হয়ে যাবে, তখন আমাকে সংবাদ দেবে।
ফাতিমা (রাযিঃ) বলেনঃ যখন আমি ইদ্দত পূর্ণ করলাম, তখন তার নিকট বললামঃ মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান এবং জাহাম আমার বিবাহের পয়গাম দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ আবু জাহাম তো এমন ব্যক্তি, যে কখনও স্কন্ধ হতে লাঠি নামিয়ে রাখে না। অর্থাৎ সে স্ত্রীকে কষ্ট দেয়। আর মুআবিয়া তো নিঃস্ব, তার কোন মাল-সম্পদ নেই।তুমি বরং উসামা ইবনে যায়দ(রাযিঃ) কে বিবাহ কর। আমি তা অপছন্দ করলাম। তিনি পুনরায় বললেন উসামা ইবনে যায়দকে বিবাহ কর । এরপর ″আমি তাকে বিবাহ করলাম। আল্লাহ তাতে মঙ্গল দান করলেন। তাকে নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি।
ফাতিমা (রাযিঃ) বলেনঃ যখন আমি ইদ্দত পূর্ণ করলাম, তখন তার নিকট বললামঃ মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান এবং জাহাম আমার বিবাহের পয়গাম দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ আবু জাহাম তো এমন ব্যক্তি, যে কখনও স্কন্ধ হতে লাঠি নামিয়ে রাখে না। অর্থাৎ সে স্ত্রীকে কষ্ট দেয়। আর মুআবিয়া তো নিঃস্ব, তার কোন মাল-সম্পদ নেই।তুমি বরং উসামা ইবনে যায়দ(রাযিঃ) কে বিবাহ কর। আমি তা অপছন্দ করলাম। তিনি পুনরায় বললেন উসামা ইবনে যায়দকে বিবাহ কর । এরপর ″আমি তাকে বিবাহ করলাম। আল্লাহ তাতে মঙ্গল দান করলেন। তাকে নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি।
كتاب النكاح
بَاب إِذَا اسْتَشَارَتْ الْمَرْأَةُ رَجُلًا فِيمَنْ يَخْطُبُهَا هَلْ يُخْبِرُهَا بِمَا يَعْلَمُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لِمُحَمَّدٍ عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ طَلَّقَهَا الْبَتَّةَ وَهُوَ غَائِبٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا وَكِيلُهُ بِشَعِيرٍ فَسَخِطَتْهُ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا لَكِ عَلَيْنَا مِنْ شَيْءٍ فَجَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَيْسَ لَكِ نَفَقَةٌ فَأَمَرَهَا أَنْ تَعْتَدَّ فِي بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ قَالَ تِلْكَ امْرَأَةٌ يَغْشَاهَا أَصْحَابِي فَاعْتَدِّي عِنْدَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَإِنَّهُ رَجُلٌ أَعْمَى تَضَعِينَ ثِيَابَكِ فَإِذَا حَلَلْتِ فَآذِنِينِي قَالَتْ فَلَمَّا حَلَلْتُ ذَكَرْتُ لَهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ وَأَبَا جَهْمٍ خَطَبَانِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَلَا يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتِقِهِ وَأَمَّا مُعَاوِيَةُ فَصُعْلُوكٌ لَا مَالَ لَهُ وَلَكِنْ انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَكَرِهْتُهُ ثُمَّ قَالَ انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَنَكَحْتُهُ فَجَعَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ خَيْرًا وَاغْتَبَطْتُ بِهِ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: