কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩২২২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২২
আযাদকৃত গোলামের সাথে আরবী স্বাধীন নারীর বিবাহ
৩২২৫. কাছীর ইবনে উবায়দ (রাহঃ) ......... উবায়দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে উসমান, মারওয়ানের খেলাফতকালে বিনতে সাঈদ ইবনে যায়দকে (তিন) তালাক দিলেন, অথচ তিনি ছিলেন তখন একজন পূর্ণ যুবক। আর বিনতে সাঈদ-এর মাতা ছিলেন বিনতে কায়স। তার খালা ফাতিমা বিনতে কায়স তার নিকট সংবাদ পাঠালো, সে যেন আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমরের ঘর হতে পৃথক হয়ে যায়।

মারওয়ান এ খবর শুনে বিনতে সাঈদ-এর নিকট লোক পাঠিয়ে আদেশ করলো, সে যেন তার ঘরে প্রত্যাবর্তন করে, এবং তাকে প্রশ্ন করলো, সে ইতিপূর্বে তার ঘরে থাকা অবস্থায় তাকে কিসে তার ঘর হতে বের করলো। ঘরে থেকে ইদ্দত কেন পূর্ণ করলো না? সে খলিফার নিকট সংবাদ পাঠালো, তার খালা তাকে এ আদেশ করেছেন। ফাতিমা বিনতে কায়স মনে করলেন, সে আবু আমর ইবনে হাফসের বিবাহে রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন আলী ইবনে আবী তালিব (রাযিঃ)-কে ইয়ামনে গর্ভনর করে পাঠালেন, তখন তিনি তাঁর সাথে গিয়েছিলেন, সেখান হতে তিনি তাঁর নিকট এক তালাক পাঠালেন, যা ছিল তাঁর অবশিষ্ট তালাক এবং হারিছ ইবনে হিশাম এবং আইয়াশ ইবনে আবী রবীআকে তার খোরপোষ দিয়ে দিতে আদেশ করলেন।

ফাতিমা হারিছ এবং আইয়াশ-এর নিকট লোক পাঠিয়ে তার স্বামী তাদেরকে যে খোরপোষ দিতে বলেছিলেন, তা চেয়ে পাঠালেন। তাঁরা উভয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ আমাদের নিকট তার কোন খোরপোষ নেই; তবে যদি সে গর্ভবতী হয়। আর তার আমাদের ঘরে থাকার কোন অধিকার নেই, আমাদের অনুমতি ব্যতীত। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খেদমতে গমন করে তা বর্ণনা করলেন। তিনি (ﷺ) হারিছ এবং আইয়াশ এর কথাই বিশ্বাস করলেন।

তখন ফাতিমা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কোথায় যাব? তিনি বললেনঃ তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম, যাকে আল্লাহ্ তাআলা স্বীয় কিতাবে ’অন্ধ’ বলেছেন, তাঁর নিকট থাক। ফাতিমা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি তার নিকটই ইদ্দত পূৰ্ণ করলাম। তিনি ছিলেন দৃষ্টি শক্তিহীন ব্যক্তি। আমি তাঁর ঘরে আমার কাপড় খুলে রাখতাম। পরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে উসামা ইবনে যায়ীদ-এর নিকট বিবাহ দিলেন, মারওয়ান ইহা অবিশ্বাস করলেন। তিনি বললেন, তোমার পূর্বে এ হাদীস আমি কারও নিকট শ্রবণ করিনি। এ ব্যাপারে লোককে যা করতে দেখেছি, আমি তা-ই পালন করবো। (সংক্ষিপ্ত)
تَزَوُّجُ الْمَوْلَى الْعَرَبِيَّةَ
أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ الزُّبَيْدِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ طَلَّقَ وَهُوَ غُلَامٌ شَابٌّ فِي إِمَارَةِ مَرْوَانَ ابْنَةَ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَأُمُّهَا بِنْتُ قَيْسٍ الْبَتَّةَ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهَا خَالَتُهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ تَأْمُرُهَا بِالِانْتِقَالِ مِنْ بَيْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَسَمِعَ بِذَلِكَ مَرْوَانُ فَأَرْسَلَ إِلَى ابْنَةِ سَعِيدٍ فَأَمَرَهَا أَنْ تَرْجِعَ إِلَى مَسْكَنِهَا وَسَأَلَهَا مَا حَمَلَهَا عَلَى الِانْتِقَالِ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَعْتَدَّ فِي مَسْكَنِهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ تُخْبِرُهُ أَنَّ خَالَتَهَا أَمَرَتْهَا بِذَلِكَ فَزَعَمَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ أَبِي عَمْرِو بْنِ حَفْصٍ فَلَمَّا أَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى الْيَمَنِ خَرَجَ مَعَهُ وَأَرْسَلَ إِلَيْهَا بِتَطْلِيقَةٍ هِيَ بَقِيَّةُ طَلَاقِهَا وَأَمَرَ لَهَا الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ بِنَفَقَتِهَا فَأَرْسَلَتْ زَعَمَتْ إِلَى الْحَارِثِ وَعَيَّاشٍ تَسْأَلُهُمَا الَّذِي أَمَرَ لَهَا بِهِ زَوْجُهَا فَقَالَا وَاللَّهِ مَا لَهَا عِنْدَنَا نَفَقَةٌ إِلَّا أَنْ تَكُونَ حَامِلًا وَمَا لَهَا أَنْ تَكُونَ فِي مَسْكَنِنَا إِلَّا بِإِذْنِنَا فَزَعَمَتْ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَصَدَّقَهُمَا قَالَتْ فَاطِمَةُ فَأَيْنَ أَنْتَقِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ انْتَقِلِي عِنْدَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الْأَعْمَى الَّذِي سَمَّاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كِتَابِهِ قَالَتْ فَاطِمَةُ فَاعْتَدَدْتُ عِنْدَهُ وَكَانَ رَجُلًا قَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ فَكُنْتُ أَضَعُ ثِيَابِي عِنْدَهُ حَتَّى أَنْكَحَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهَا مَرْوَانُ وَقَالَ لَمْ أَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَحَدٍ قَبْلَكِ وَسَآخُذُ بِالْقَضِيَّةِ الَّتِي وَجَدْنَا النَّاسَ عَلَيْهَا مُخْتَصَرٌ
হাদীস নং:৩২২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৩
আযাদকৃত গোলামের সাথে আরবী স্বাধীন নারীর বিবাহ
৩২২৬. ইমরান ইবনে বাক্কার ইবনে রাশিদ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আবু হুযায়ফা ইবনে উতবা ইবনে রবীআ ইবনে আব্দ শামস ছিলেন ঐ সকল লোকের মধ্যে যারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে বদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন। তিনি সালিম নামে এক ব্যক্তিকে পুত্র বানিয়ে নিয়েছিলেন এবং তার সাথে তার ভ্রাতৃকন্যা হিন্দা বিনতে ওয়ালীল ইবনে উতবা ইবনে রবীআ ইবনে আব্দ শামস-এর বিবাহ দেন। আর সে ছিল এক আনসারী মহিলার ক্রীতদাস। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যায়দ-কে ছেলে হিসাবে গ্ৰহণ করেছিলেন।

জাহিলী যুগে নিয়ম ছিল, যদি কেউ কাউকেও পোষ্যপুত্র হিসেবে গ্রহণ করতো, লোক তাকে তার ছেলে বলেই ডাকতো এবং এ ছেলে ঐ লোকের ওয়ারিস হতো। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ

ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ

অর্থঃ তোমরা তাদের ডাক তাদের পিতৃ-পরিচয়ে, ইহা আল্লাহর দৃষ্টিতে অধিক ন্যায়সঙ্গত; যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই এবং বন্ধু। (৩৩ঃ ৫)।

এরপর যার পিতৃ পরিচয় না থাকতো, সে বন্ধু বা ধৰ্মীয় ভাই হিসেবে পরিগণিত হতো। (সংক্ষিপ্ত)
تَزَوُّجُ الْمَوْلَى الْعَرَبِيَّةَ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ رَاشِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ قَالَ أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَبَنَّى سَالِمًا وَأَنْكَحَهُ ابْنَةَ أَخِيهِ هِنْدَ بِنْتَ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ وَهُوَ مَوْلًى لِامْرَأَةٍ مِنْ الْأَنْصَارِ كَمَا تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا وَكَانَ مَنْ تَبَنَّى رَجُلًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ دَعَاهُ النَّاسُ ابْنَهُ فَوَرِثَ مِنْ مِيرَاثِهِ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي ذَلِكَ ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ فَمَنْ لَمْ يُعْلَمْ لَهُ أَبٌ كَانَ مَوْلًى وَأَخًا فِي الدِّينِ مُخْتَصَرٌ
হাদীস নং:৩২২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৪
আযাদকৃত গোলামের সাথে আরবী স্বাধীন নারীর বিবাহ
৩২২৭. মুহাম্মাদ ইবনে নসর (রাহঃ) ......... রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) এবং উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, আবু হুযায়ফা ইবনে উতবা ইবনে রবীআ ইবনে আব্দ শামস ছিলেন। ঐ সকল লোকদের একজন, যাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে বদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন, তিনি সালিম নামক এক ব্যক্তিকে পুত্ৰ বানিয়ে নেন। আর সালিম ছিলেন এক আনসারী মহিলার ক্রীতদাস।

যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যায়দ ইবনে হারিছাকে পোষ্যপুত্র হিসাবে গ্রহণ করে ছিলেন। আবু হুযায়ফা ইবনে উতবা তার ভাতিজি হিন্দা বিনতে ওয়ালীদ ইবনে উতবা ইবনে রবীআ-কে তার সাথে বিবাহ দিলেন। হিন্দা বিনতে ওয়ালীদ ইবনে উতবা ছিলেন প্রথম হিজরতকারিণীদের মধ্যে উত্তম। এরপর আল্লাহ্ তাআলা যখন যায়দ ইবনে হারিছা সম্বন্ধে আয়াত নাযিল করলেনঃ ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ

তখন প্রত্যেকেই স্বীয় পোষ্যপুত্ৰকে তার পিতার দিকে প্রত্যাবর্তিত করলো। যদি তাঁর পিতার সম্বন্ধে জানা না থাকতো, তাহলে তাকে তার মনিবের দিকে সম্বন্ধ করা হতো।
تَزَوُّجُ الْمَوْلَى الْعَرَبِيَّةَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ قَالَ قَالَ يَحْيَى يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ وَأَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَبَنَّى سَالِمًا وَهُوَ مَوْلًى لِامْرَأَةٍ مِنْ الْأَنْصَارِ كَمَا تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَأَنْكَحَ أَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ سَالِمًا ابْنَةَ أَخِيهِ هِنْدَ ابْنَةَ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَكَانَتْ هِنْدُ بِنْتُ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ مِنْ الْمُهَاجِرَاتِ الْأُوَلِ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ مِنْ أَفْضَلِ أَيَامَى قُرَيْشٍ فَلَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ رُدَّ كُلُّ أَحَدٍ يَنْتَمِي مِنْ أُولَئِكَ إِلَى أَبِيهِ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ يُعْلَمُ أَبُوهُ رُدَّ إِلَى مَوَالِيهِ