কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৫. জিহাদ-শাহাদাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩১৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮০
৪৪. যে ব্যক্তি যোদ্ধার জন্য সামান দান করে
৩১৮০. সুলায়মান ইবনে দাউদ এবং হারিছ ইবনে মিসকীন (রাহঃ) .... যায়িদ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ই বলেছেন : যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তার কোন যোদ্ধাকে সামান দান করবে, সে যেন নিজেই যুদ্ধ করলো। আর যে ব্যক্তি কোন যোদ্ধার পরিবারে তার মঙ্গলের জন্য স্থলাভিষিক্ত হলো, সেও যেন যুদ্ধে যোগদান করলো।
فَضْلُ مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ عَنْ ابْنِ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَدْ غَزَا وَمَنْ خَلَفَهُ فِي أَهْلِهِ بِخَيْرٍ فَقَدْ غَزَا
হাদীস নং:৩১৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮১
৪৪. যে ব্যক্তি যোদ্ধার জন্য সামান দান করে
৩১৮৪. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে খালিদ জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন যোদ্ধাকে যুদ্ধের সামান দান করলো, সে যেন যুদ্ধ করলো, আর যে ব্যক্তি কোন যোদ্ধার পরিবারে তার স্থলাভিষিক্ত হলো পরিবারের মঙ্গলের জন্য; সেও যেন যুদ্ধ করলো।
فَضْلُ مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فَقَدْ غَزَا وَمَنْ خَلَفَ غَازِيًا فِي أَهْلِهِ بِخَيْرٍ فَقَدْ غَزَا
হাদীস নং:৩১৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮২
৪৪. যে ব্যক্তি যোদ্ধার জন্য সামান দান করে
৩১৮৫. ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আহনাফ ইন কায়স (রাহঃ) বলেন, আমরা হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মদীনায় উপনীত হলাম। হজ্জে গমনের জন্য আমরা আমাদের মনযিলে পৌঁছে আমাদের হাওদা নামাচ্ছিলাম, এমন সময় আমাদের নিকট এক আগন্তুকের আবির্ভাব হলো। সে বললোঃ লোক মসজিদে একত্রিত হয়েছে। তারা ভীত হয়ে পড়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে দেখলাম, একদল লোকের চতুর্দিকে কিছু লোক একত্রিত হয়ে আছে মসজিদের মধ্যস্থলে। তাদের মধ্যে আলী, যুবায়র, তালহা এবং সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) রয়েছেন। আমরা এ অবস্থায় ছিলাম, এমন সময় উছমান (রাযিঃ) আগমন করলেন, তার পরনে রয়েছে হলুদ বর্ণের একখানা কাপড়, তা দ্বারা তিনি তাঁর মাথা ঢেকে রেখেছেন। তিনি বললেনঃ এখানে কি তালহা (রাযিঃ) আছেন? এখানে কি যুবায়র (রাযিঃ) আছেন? এখানে কি সা’দ (রাযিঃ) আছেন? সকলে বললেনঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ আমি ঐ আল্লাহর কসম দিয়ে তোমদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অমুক গোত্রের উট বাঁধার বা খেজুর শুকাবার স্থানটি যে খরীদ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন। এরপর আমি তা বিশ হাজার অথবা পঁচিশ হাজায় টাকার খরিদ করেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে এসে তাঁকে তার সংবাদ দিলে তিনি বললেনঃ তা আমাদের মসজিদের জন্য দান কর, আর এর সওয়াব তোমারই থাকবে। তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ।
তিনি আবার বললেনঃ যে আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, সেই আল্লাহর কসম দিয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রুমা নামক কূপটি খরিদ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন? আমি তা এত এত মূল্যে খরিদ করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে তাকে সংবাদ দিলে তিনি বললেনঃ তুমি তা মুসলমানদের পানি-পানের স্থান করে দাও, তার সওয়াব হবে তোমার। তারা বললেনঃ আল্লাহুম্মা, হ্যাঁ।
তিনি আবার বললেনঃ তোমাদের ঐ আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উপস্থিত লোকদের দিকে লক্ষ্য করে বললেনঃ এ জায়শে - উসরাতকে (তাবুকের সেনাবাহিনীকে) যে ব্যক্তি যুদ্ধের সামান দিয়ে সজ্জিত করবে, তাকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন? আমি তাদেরকে এমনভাবে সজ্জিত করলাম যে, কেউ উটের একটি রশিও কম পায়নি। তারা বললেনঃ আল্লাহর কসম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্। তুমি সাক্ষী থাক; হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক; হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক।
তিনি বললেনঃ আমি ঐ আল্লাহর কসম দিয়ে তোমদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অমুক গোত্রের উট বাঁধার বা খেজুর শুকাবার স্থানটি যে খরীদ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন। এরপর আমি তা বিশ হাজার অথবা পঁচিশ হাজায় টাকার খরিদ করেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে এসে তাঁকে তার সংবাদ দিলে তিনি বললেনঃ তা আমাদের মসজিদের জন্য দান কর, আর এর সওয়াব তোমারই থাকবে। তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ।
তিনি আবার বললেনঃ যে আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, সেই আল্লাহর কসম দিয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রুমা নামক কূপটি খরিদ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন? আমি তা এত এত মূল্যে খরিদ করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে তাকে সংবাদ দিলে তিনি বললেনঃ তুমি তা মুসলমানদের পানি-পানের স্থান করে দাও, তার সওয়াব হবে তোমার। তারা বললেনঃ আল্লাহুম্মা, হ্যাঁ।
তিনি আবার বললেনঃ তোমাদের ঐ আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উপস্থিত লোকদের দিকে লক্ষ্য করে বললেনঃ এ জায়শে - উসরাতকে (তাবুকের সেনাবাহিনীকে) যে ব্যক্তি যুদ্ধের সামান দিয়ে সজ্জিত করবে, তাকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন? আমি তাদেরকে এমনভাবে সজ্জিত করলাম যে, কেউ উটের একটি রশিও কম পায়নি। তারা বললেনঃ আল্লাহর কসম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্। তুমি সাক্ষী থাক; হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক; হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক।
فَضْلُ مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ سَمِعْتُ حُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ جَاوَانَ عَنْ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ خَرَجْنَا حُجَّاجًا فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَنَحْنُ نُرِيدُ الْحَجَّ فَبَيْنَا نَحْنُ فِي مَنَازِلِنَا نَضَعُ رِحَالَنَا إِذْ أَتَانَا آتٍ فَقَالَ إِنَّ النَّاسَ قَدْ اجْتَمَعُوا فِي الْمَسْجِدِ وَفَزِعُوا فَانْطَلَقْنَا فَإِذَا النَّاسُ مُجْتَمِعُونَ عَلَى نَفَرٍ فِي وَسَطِ الْمَسْجِدِ وَفِيهِمْ عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فَإِنَّا لَكَذَلِكَ إِذْ جَاءَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَيْهِ مُلَاءَةٌ صَفْرَاءُ قَدْ قَنَّعَ بِهَا رَأْسَهُ فَقَالَ أَهَاهُنَا طَلْحَةُ أَهَاهُنَا الزُّبَيْرُ أَهَاهُنَا سَعْدٌ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَإِنِّي أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ بِعِشْرِينَ أَلْفًا أَوْ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ اجْعَلْهُ فِي مَسْجِدِنَا وَأَجْرُهُ لَكَ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ بِئْرَ رُومَةَ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ قَدْ ابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا قَالَ اجْعَلْهَا سِقَايَةً لَلْمُسْلِمِينَ وَأَجْرُهَا لَكَ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَقَالَ مَنْ يُجَهِّزُ هَؤُلَاءِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ يَعْنِي جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى لَمْ يَفْقِدُوا عِقَالًا وَلَا خِطَامًا فَقَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: