কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৫. জিহাদ-শাহাদাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩০৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৫
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৮৯. আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সাল্লাম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে মক্কা হতে বহিষ্কার করা হলো, তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ তারা তাদের নবীকে বের করে দিল ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন’ তারা নিশ্চয় ধ্বংস হবে, তখন নাযিল হলোঃ (أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ) ″যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদের-যারা আক্রান্ত হয়েছে, কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে, আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের সাহায্য করতে সম্যক সক্ষম। (সূরা হজ্জঃ ৩৯)। তখন আমি বুঝলাম, শীঘ্রই জিহাদ আরম্ভ হবে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, জিহাদের ব্যাপারে এটিই প্রথম আয়াত।
كِتَاب الْجِهَاد بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ الْأَزْرَقُ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَمَّا أُخْرِجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَخْرَجُوا نَبِيَّهُمْ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ لَيَهْلِكُنَّ فَنَزَلَتْ أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ سَيَكُونُ قِتَالٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَهِيَ أَوَّلُ آيَةٍ نَزَلَتْ فِي الْقِتَالِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৬
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯০. মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে হাসান ইবনে শাকীক (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) তার কয়েকজন বন্ধুসহ মক্কায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা মুশরিক অবস্থায় সম্মানিত ছিলাম এখন যখন আমরা ঈমান এনেছি অসম্মানিত হয়ে পড়লাম। তিনি বললেন আমাকে ক্ষমা করার আদেশ করা হয়েছে, অতএব তোমরা যুদ্ধ করবে না। এরপর যখন আল্লাহ তায়ালা আমাদের মদীনায় নিয়ে গেলেন, তখন আমাদেরকে জিহাদের নির্দেশ দিলেন। কিন্তু তারা জিহাদ থেকে বিরত থাকলেন। তখন আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাযিল করলেনঃ (أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ قِيلَ لَهُمْ كُفُّوا أَيْدِيَكُمْ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ) আপনি কি তাদের প্রতি লক্ষ করেন নি, যাদেরকে বলা হয়েছিল, তোমরা তোমাদের হস্ত সংবরণ কর, এবং নামায কায়েম কর। (সূরা নিসাঃ ৭৭)।
بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ قَالَ أَنْبَأَنَا أَبِي قَالَ أَنْبَأَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ وَأَصْحَابًا لَهُ أَتَوْا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا فِي عِزٍّ وَنَحْنُ مُشْرِكُونَ فَلَمَّا آمَنَّا صِرْنَا أَذِلَّةً فَقَالَ إِنِّي أُمِرْتُ بِالْعَفْوِ فَلَا تُقَاتِلُوا فَلَمَّا حَوَّلَنَا اللَّهُ إِلَى الْمَدِينَةِ أَمَرَنَا بِالْقِتَالِ فَكَفُّوا فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ قِيلَ لَهُمْ كُفُّوا أَيْدِيَكُمْ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৭
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯১. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা, আহমদ ইবনে আমর ইবনে সারাহ ও হারিস ইবনে মিসকীন (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ শব্দ কম কিন্তু অধিক অর্থবােধক বাক্যাবলীসহ আমি প্রেরিত হয়েছি। আর আমাকে ঐশী প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। আর এক সময় আমি ঘুমন্ত ছিলাম, তখন পার্থিব ধনাগারের চাবি আমাকে প্রদান করা হলো। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পৃথিবী থেকে চলে গেছেন, আর তোমরা সে সম্পদ আহরণ করে ভোগ করছে।
بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ سَمِعْتُ مَعْمَرًا عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ قُلْتُ عَنْ سَعِيدٍ قَالَ نَعَمْ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ح وَأَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لِأَحْمَدَ قَالَا حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدِي قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْتُمْ تَنْتَثِلُونَهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৮
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯২. হারূন ইন সায়ীদ (রাহঃ) ......... আবু সালামা (রাহঃ) কর্তৃক আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে অনুরূপ বলতে শুনেছি।
كِتَاب الْجِهَاد بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ نِزَارٍ قَالَ أَخْبَرَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مَبْرُورٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৯
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯৩. কাছীর ইবনে উবায়দ (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব এবং আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আমি শব্দ কম কিন্তু অধিক অর্থবোধক বাক্যাবলীসহ প্রেরিত হয়েছি। আর আমাকে ঐশী প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, আর আমি নিদ্রাবস্থায় ছিলাম, এমন সময় আমার হাতে পৃথিবীর ধনাগারের চাবি দান করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) চলে গেছেন, আর তোমরা সে সম্পদ আহরণ করে ভোগ করছো।
كِتَاب الْجِهَاد بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ الزُّبَيْدِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدِي فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقَدْ ذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْتُمْ تَنْتَثِلُونَهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯০
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯৪. ইউনুস ইবনে আব্দুল আ’লা ও হারিস ইন মিসকীন (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত বলেন, ’লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই) এ (তাওহীদ বাক্য) যে, রাসূল যতক্ষণ না বলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই যে ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আমার পক্ষ থেকে সে তার সম্পদ ও প্রাণের নিরাপত্তা লাভ করবে, তবে ইসলামের হক ব্যতীত আর এর হিসাব আল্লাহর নিকট।
كِتَاب الْجِهَاد بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ عَنْ ابْنِ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَمَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ
হাদীস নং:৩০৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯১
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯৫. কাছীর ইবনে উবায়দ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাত হলো এবং আবু বকর (রাযিঃ)-কে খলীফা নিযুক্ত করা হলো, তখন আরবের কিছু লোক কাফির হয়ে গেল। উমর (রাযিঃ) তাকে বললেনঃ হে আবু বকর! আপনি কিরূপে এমন লোকদের সাথে যুদ্ধ করবেন অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যতক্ষণ লোকেরা ’লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ না বলবে, ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। তারপর যে ব্যক্তি ’লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে, সে আমার পক্ষ হতে তার জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করবে। তবে ইসলামী বিধানে কারো জান-মাল হালাল হলে-তা স্বতন্ত্র ব্যপার। আর আল্লাহর কাছেই এর হিসাব।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি সে ব্যক্তির সাথে যুদ্ধ করব, যে ব্যক্তি নামায এবং যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে। কেননা, যাকাত মালের হক। আল্লাহর শপথ! যদি তারা আমাকে একটি বকরীর বাচ্চা দিতেও অসম্মত হয়, যা তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দিত, তাহলে তাদের এ অসম্মতির জন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। আল্লাহর শপথ! এ আর কিছু না, বরং আমি বুঝলাম যে, আল্লাহ্ তায়ালা আবু বকরের অন্তর যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি অনুধাবন করলাম যে, তার ফয়সালাই সঠিক।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি সে ব্যক্তির সাথে যুদ্ধ করব, যে ব্যক্তি নামায এবং যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে। কেননা, যাকাত মালের হক। আল্লাহর শপথ! যদি তারা আমাকে একটি বকরীর বাচ্চা দিতেও অসম্মত হয়, যা তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দিত, তাহলে তাদের এ অসম্মতির জন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। আল্লাহর শপথ! এ আর কিছু না, বরং আমি বুঝলাম যে, আল্লাহ্ তায়ালা আবু বকরের অন্তর যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি অনুধাবন করলাম যে, তার ফয়সালাই সঠিক।
كِتَاب الْجِهَاد بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ الزُّبَيْدِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنْ الْعَرَبِ قَالَ عُمَرُ يَا أَبَا بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَمَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ عَصَمَ مِنِّي نَفْسَهُ وَمَالَهُ إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ قَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَاللَّهِ لَأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا كَانُوا يُؤَدُّونَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِلْقِتَالِ وَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ
হাদীস নং:৩০৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯২
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯৬. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মুগীরা ও কাছীর ইবনে উবায়দ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওফাত হলো, তারপর খলীফা হলেন আবু বকর (রাযিঃ)। ’আরবের কেউ কেউ কাফির হয়ে গেল। তখন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ হে আবু বকর! আপনি কিরূপে এ সকল লোকের সাথে যুদ্ধ করবেন, অথচ রাসূলুল্লহ (ﷺ) বলেছেন, লোকেরা যতক্ষণ লাইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ না বলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? আর যখন তারা “লাইলাহা ইল্লাল্লাহ বললো, তখন তারা আমার পক্ষ হতে তাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করলো। তবে ইসলামের হক ব্যতীত, আর এর মীমাংসা আল্লাহর কাছে? আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ যে ব্যক্তি নামায এবং যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে, আমি তার সাথে নিশ্চয়ই যুদ্ধ করব। কেননা, যাকাত মালের হক। আল্লাহর শপথ! তারা যে বকরীর বাচ্চা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময় যাকাত হিসেবে আদায় করতো, যদি তা আমাকে না দেয়, তবে তা না দেওয়ার অপরাধে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! এ আর কিছু নয়, বরং আমি অনুধাবন করলাম যে, আল্লাহ্ তায়ালা আবু বকরের অন্তর যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি বুঝতে পারলাম, এটাই সত্য। এ বর্ণনার শব্দ আহমদ (রাহঃ)-এর।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! এ আর কিছু নয়, বরং আমি অনুধাবন করলাম যে, আল্লাহ্ তায়ালা আবু বকরের অন্তর যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি বুঝতে পারলাম, এটাই সত্য। এ বর্ণনার শব্দ আহমদ (রাহঃ)-এর।
كِتَاب الْجِهَاد بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُغِيرَةَ قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعَيْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ ح وَأَنْبَأَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ عَنْ شُعَيْبٍ قَالَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَهُ وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنْ الْعَرَبِ قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَا أَبَا بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَمَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ قَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لَأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا كَانُوا يُؤَدُّونَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا قَالَ عُمَرُ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ وَاللَّفْظُ لِأَحْمَدَ
হাদীস নং:৩০৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৩
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯৭. আহমদ ইবনে সুলায়মান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আবু বকর (রাযিঃ) যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন, তখন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ হে আবু বকর! আপনি লোকের সাথে কিরূপে যুদ্ধে লিপ্ত হবেন, অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যতক্ষণ লোকেরা ’লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ না বলবে, ততক্ষণ আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। যখন তারা তা বলবে, তখন তারা আমার পক্ষ হতে তাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করবে। তবে ইসলামের হক ব্যতীত।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ যে ব্যক্তি নামায এবং যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে, আমি নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। আল্লাহর শপথ! তারা যে বকরীর বাচ্চা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দিত, তা আমাকে দিতে অস্বীকার করলে তাদের এই না দেওয়ার কারণে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। উমর (রাযিঃ) বলেন, এ আর কিছু নয়, বরং আমি বুঝলাম যে, আল্লাহু তাআলা আবৃ বকরের অন্তর যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন এবং আমি বুঝলাম, এটাই হক্ব।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ যে ব্যক্তি নামায এবং যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে, আমি নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। আল্লাহর শপথ! তারা যে বকরীর বাচ্চা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দিত, তা আমাকে দিতে অস্বীকার করলে তাদের এই না দেওয়ার কারণে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। উমর (রাযিঃ) বলেন, এ আর কিছু নয়, বরং আমি বুঝলাম যে, আল্লাহু তাআলা আবৃ বকরের অন্তর যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন এবং আমি বুঝলাম, এটাই হক্ব।
بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ قَالَ حَدَّثَنِي شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَذَكَرَ آخَرَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا جَمَعَ أَبُو بَكْرٍ لِقِتَالِهِمْ فَقَالَ عُمَرُ يَا أَبَا بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَإِذَا قَالُوهَا عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا قَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لَأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا كَانُوا يُؤَدُّونَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِقِتَالِهِمْ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ
হাদীস নং:৩০৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৪
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯৮. মুহাম্মাদ ইন বাশার (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাত হলে আরবের কতিপয় লোক মুরতাদ হয়ে গেল। উমর (রাযিঃ) বললেনঃ হে আবু বকর! আপনি কিরূপে আরবের লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন? আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেনঃ ″আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল″ এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া পর্যন্ত এবং নামায কায়িম করা ও যাকাত আদায় করা পর্যন্ত আমি লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহর শপথ! তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে যা প্রদান করতো, তা থেকে একটি বকবীর বাচ্চা দান করতে যদি অস্বীকার করে, তবে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ তখন আমি আবু বকরের অভিমত উপলব্ধি করলাম, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর অন্তুর উন্মুক্ত করেছেন। আমি বুঝতে পারলাম, তার অভিমতই সঠিক।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ তখন আমি আবু বকরের অভিমত উপলব্ধি করলাম, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর অন্তুর উন্মুক্ত করেছেন। আমি বুঝতে পারলাম, তার অভিমতই সঠিক।
بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ قَالَ حَدَّثَنَا عِمْرَانُ أَبُو الْعَوَّامِ الْقَطَّانُ قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْتَدَّتْ الْعَرَبُ قَالَ عُمَرُ يَا أَبَا بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ الْعَرَبَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا مِمَّا كَانُوا يُعْطُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَيْهِ قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَلَمَّا رَأَيْتُ رَأْيَ أَبِي بَكْرٍ قَدْ شُرِحَ عَلِمْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ عِمْرَانُ الْقَطَّانُ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ وَهَذَا الْحَدِيثُ خَطَأٌ وَالَّذِي قَبْلَهُ الصَّوَابُ حَدِيثُ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ
হাদীস নং:৩০৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৫
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩০৯৯. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মুগীরা (রাহঃ) ও আমর ইবনে উছমান ইবনে সায়ীদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে মুসায়্যার (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ লোকেরা যতক্ষণ ’লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ না বলবে, ততক্ষণ আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। যে ব্যক্তি তা বললো, সে আমার পক্ষ হতে তার জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করলো তবে ইসলামের হক ব্যতীত। তার হিসাব আল্লাহর কাছে।
كِتَاب الْجِهَاد بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ عَنْ شُعَيْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ ح وَأَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَمَنْ قَالَهَا فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي نَفْسَهُ وَمَالَهُ إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ
হাদীস নং:৩০৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৬
১. জিহাদ ওয়াজিব হওয়া
৩১০০. হারূন ইবনে আব্দুল্লাহ ও মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধে তোমাদের মাল, তোমাদের হাত এবং তোমাদের জিহ্বা দ্বারা জিহাদ কর ।
كِتَاب الْجِهَاد بَاب وُجُوبِ الْجِهَادِ
خْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ قَالَ أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ جَاهِدُوا الْمُشْرِكِينَ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ وَأَلْسِنَتِكُمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান