কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৩. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৫৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৭৮
হৃদয় আকৃষ্ট করার জন্য দান করা
২৫৮০. হান্নাদ ইবনুস সারি (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আলী (রাযিঃ) ইয়ামেনে অবস্থানকালীন মাটি মিশ্ৰিত কিছু স্বর্ণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেগুলো চারজন ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করে দিলেন, আকরা’ ইবনে হাবিস হানযালী, উওয়ায়না ইবনে বদর ফাযারী, আলকামা ইবনে উলাছা আমিরী পরবর্তীতে কিলাবী, এবং যায়ীদ ত্বায়ী (রাযিঃ) পরবর্তীতে নারহানী। তখন কুরায়শ বংশের লোকজন রাগান্বিত হয়ে গেলেন। রাবী অন্যত্র বলেছেন, কুরায়শের সর্দারগণ রাগান্বিত হলেন। তারা বললেন যে, আপনি নাজদের সর্দারদেরকে দিচ্ছেন আর আমাদেরকে বাদ দিচ্ছেন? তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) বললেন যে, আমি এরকম করেছি তাদের হৃদয় আকৃষ্ট করার জন্য।
এমন সময় ঘন শ্মাশ্রু, উন্নত চোয়াল, কোটেরাগত চক্ষু, উঁচু ললাট এবং মুণ্ডিত মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি এসে বলল যে, হে মুহাম্মাদ। আপনি আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় করেন। তিনি বললেন যে, যদি আমিই আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হই, তাহলে আর কে আল্লাহ্ তাআলার বাধ্য হবে? আল্লাহ আঁআলা আমাকে পৃথিবীতে বিশ্বস্ত করে পাঠিয়েছেন আর তোমরা আমাকে বিশ্বস্ত মনে করছ না?
অতঃপর সে ব্যক্তি চলে গেল এবং উপস্থিত লোকদের থেকে একজন তাকে হত্যা করার জন্য অনুমতি চাইলেন। লোকের ধারণা যে, অনুমতি প্রার্থনাকারী ছিলেন খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ)। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন যে, এই ব্যক্তির ঔরসে এমন কিছু লোক জন্মগ্রহণ করতে পারে যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠ অতিক্রম করবে না। তারা মুসলমানদেরকে হত্যা করবে এবং প্রতিমা পূজারীদেরকে ছেড়ে দেবে। তারা ইসলাম থেকে এরকমভাবে দূরে সরে যাবে, যে রকম তীর কামান থেকে দূরে সরে যায়। আমি যদি তাদেরকে পেতাম তাহলে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করতাম, যে রকমভাবে ’আদ গোত্রের লোকদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।
এমন সময় ঘন শ্মাশ্রু, উন্নত চোয়াল, কোটেরাগত চক্ষু, উঁচু ললাট এবং মুণ্ডিত মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি এসে বলল যে, হে মুহাম্মাদ। আপনি আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় করেন। তিনি বললেন যে, যদি আমিই আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হই, তাহলে আর কে আল্লাহ্ তাআলার বাধ্য হবে? আল্লাহ আঁআলা আমাকে পৃথিবীতে বিশ্বস্ত করে পাঠিয়েছেন আর তোমরা আমাকে বিশ্বস্ত মনে করছ না?
অতঃপর সে ব্যক্তি চলে গেল এবং উপস্থিত লোকদের থেকে একজন তাকে হত্যা করার জন্য অনুমতি চাইলেন। লোকের ধারণা যে, অনুমতি প্রার্থনাকারী ছিলেন খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ)। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন যে, এই ব্যক্তির ঔরসে এমন কিছু লোক জন্মগ্রহণ করতে পারে যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠ অতিক্রম করবে না। তারা মুসলমানদেরকে হত্যা করবে এবং প্রতিমা পূজারীদেরকে ছেড়ে দেবে। তারা ইসলাম থেকে এরকমভাবে দূরে সরে যাবে, যে রকম তীর কামান থেকে দূরে সরে যায়। আমি যদি তাদেরকে পেতাম তাহলে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করতাম, যে রকমভাবে ’আদ গোত্রের লোকদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।
الْمُؤَلَّفَةُ قُلُوبُهُمْ
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ بَعَثَ عَلِيٌّ وَهُوَ بِالْيَمَنِ بِذُهَيْبَةٍ بِتُرْبَتِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ الْأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيِّ وَعُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيِّ وَعَلْقَمَةَ بْنِ عُلَاثَةَ الْعَامِرِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي كِلَابٍ وَزَيْدٍ الطَّائِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي نَبْهَانَ فَغَضِبَتْ قُرَيْشٌ وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى صَنَادِيدُ قُرَيْشٍ فَقَالُوا تُعْطِي صَنَادِيدَ نَجْدٍ وَتَدَعُنَا قَالَ إِنَّمَا فَعَلْتُ ذَلِكَ لِأَتَأَلَّفَهُمْ فَجَاءَ رَجُلٌ كَثُّ اللِّحْيَةِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ نَاتِئُ الْجَبِينِ مَحْلُوقُ الرَّأْسِ فَقَالَ اتَّقِ اللَّهَ يَا مُحَمَّدُ قَالَ فَمَنْ يُطِيعُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِنْ عَصَيْتُهُ أَيَأْمَنُنِي عَلَى أَهْلِ الْأَرْضِ وَلَا تَأْمَنُونِي ثُمَّ أَدْبَرَ الرَّجُلُ فَاسْتَأْذَنَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ فِي قَتْلِهِ يَرَوْنَ أَنَّهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَقْتُلُونَ أَهْلَ الْإِسْلَامِ وَيَدَعُونَ أَهْلَ الْأَوْثَانِ يَمْرُقُونَ مِنْ الْإِسْلَامِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنْ الرَّمِيَّةِ لَئِنْ أَدْرَكْتُهُمْ لَأَقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ عَادٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: