কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২২. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ২১০৪
আন্তর্জাতিক নং: ২১০৪
রোযার অধ্যায়
মা’মার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
২১০৮। আবু বকর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) ফরয ব্যতীত রমযানের তারাবীহর নামায আদায় করার জন্যও উৎসাহিত করতেন। তিনি বলতেন যে, যখন রমযান আগমন করে জান্নাতের দরজাসমূহ খূলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى مَعْمَرٍ فِيهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ عَزِيمَةٍ وَقَالَ " إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ وَسُلْسِلَتْ فِيهِ الشَّيَاطِينُ " . أَرْسَلَهُ ابْنُ الْمُبَارَكِ .
হাদীস নং: ২১০৫
আন্তর্জাতিক নং: ২১০৫
রোযার অধ্যায়
মা’মার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
২১০৯। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন রমযান আগমন করে তখন রহমতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى مَعْمَرٍ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى، - خُرَاسَانِيٌّ - قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الرَّحْمَةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ " .
হাদীস নং: ২১০৬
আন্তর্জাতিক নং: ২১০৬
রোযার অধ্যায়
মা’মার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
২১১০। বিশর ইবনে হিলাল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, তোমাদের নিকট রমযান উপস্থিত হয়েছে, যা একটি বরকতময় মাস। তোমাদের উপরে আল্লাহ তাআলা অত্র মাসের রোযা ফরয করেছেন। এ মাস আগমনে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, আর আল্লাহর অবাধ্য শয়তানদের গলায় লোহার বেড়ী পরানো হয়। এ মাসে একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি সে রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল সে প্রকৃত বঞ্চিত রয়ে গেল।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى مَعْمَرٍ فِيهِ
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتَاكُمْ رَمَضَانُ شَهْرٌ مُبَارَكٌ فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَتُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ وَتُغَلُّ فِيهِ مَرَدَةُ الشَّيَاطِينِ لِلَّهِ فِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَ خَيْرَهَا فَقَدْ حُرِمَ " .
হাদীস নং: ২১০৭
আন্তর্জাতিক নং: ২১০৭
রোযার অধ্যায়
মা’মার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
২১১১। মুহাম্মাদ ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... আরফাজা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমরা উতবা ইবনে ফারকাদের অসুস্থতা দেখতে গিয়ে আমরা সেখানে রমযান মাস সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি ব্যাপারে আলোচনা করছ? আমরা বললাম, রমযান মাস সম্পর্কে। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, রমযান মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের গলায় লোহার শিকল পরানো হয়। এবং প্রত্যেক রাতে একজন আহবানকারী ডাক দিয়ে বলে, হে কল্যাণকামীগণ তোমরা নেক কাজ কর, হে পাপিষ্ঠগণ তোমরা পাপকর্ম থেকে বিরত থাকো।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى مَعْمَرٍ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَرْفَجَةَ، قَالَ عُدْنَا عُتْبَةَ بْنَ فَرْقَدٍ فَتَذَاكَرْنَا شَهْرَ رَمَضَانَ فَقَالَ مَا تَذْكُرُونَ قُلْنَا شَهْرَ رَمَضَانَ . قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَتُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ النَّارِ وَتُغَلُّ فِيهِ الشَّيَاطِينُ وَيُنَادِي مُنَادٍ كُلَّ لَيْلَةٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ هَلُمَّ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذَا خَطَأٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২১০৮
আন্তর্জাতিক নং: ২১০৮
রোযার অধ্যায়
মা’মার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
২১১২। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আরফাজা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একটি ঘরে অবস্থান করছিলাম যেখানে উতবা ইবনে ফারকাদ (রাযিঃ) ছিলেন। আমি একটি হাদীস বর্ণনা করতে চাইলাম, কিন্তু সেখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে একজন সাহাবীও উপস্থিত ছিলেন, যিনি হাদীস বর্ণনার ব্যাপারে আমার চেয়ে অধিক অভিজ্ঞ ছিলেন। তিনি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযান মাসের ব্যাপারে বলেছেন, রমযান মাসে আসমানের দরজাসমূহ খূলে দেয়া হয়, আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, আর প্রত্যেক শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। প্রত্যেক রাতে একজন আহবানকারী আহবান করতে থাকে, হে কল্যাণকামীগণ তোমরা নেক কাজ কর, হে পাপিষ্ঠগণ তোমরা পাপ হতে বিরত থাকো।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى مَعْمَرٍ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَرْفَجَةَ، قَالَ كُنْتُ فِي بَيْتٍ فِيهِ عُتْبَةُ بْنُ فَرْقَدٍ فَأَرَدْتُ أَنْ أُحَدِّثَ بِحَدِيثٍ وَكَانَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَأَنَّهُ أَوْلَى بِالْحَدِيثِ مِنِّي فَحَدَّثَ الرَّجُلُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فِي رَمَضَانَ تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَتُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ النَّارِ وَيُصَفَّدُ فِيهِ كُلُّ شَيْطَانٍ مَرِيدٍ وَيُنَادِي مُنَادٍ كُلَّ لَيْلَةٍ يَا طَالِبَ الْخَيْرِ هَلُمَّ وَيَا طَالِبَ الشَّرِّ أَمْسِكْ " .
তাহকীক: