কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১৮. ভয়কালীন / যুদ্ধাবস্থায় নামায - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৫২৯
ভয়কালীন নামায
১৫৩২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ছালাবা ইবনে যাহদাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা তাবারিস্তানে সাঈদ ইবনে আসী (রাযিঃ) এর সাথে ছিলাম। আর আমাদের সাথে হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ভয়কালীন নামায আদায় করেছে? তখন হুযায়ফা (রাযিঃ) বললেন, আমি। আর তিনি সেই নামাযের বর্ণনা দিতে গিয়ে বললেন, রাসুলূল্লাহ (ﷺ) এক গ্রুপের সাথে ভয়কালীন এক রাকআত নামায আদায় করলেন।
ঐ গ্রুপ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আর দ্বিতীয় গ্রুপ তার এবং শত্রুদের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল। আর যে গ্রুপ তার পিছনে ছিল তাদের সাথে এক রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর এরা তাদের (যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও শত্রুর মাঝে দাড়ঁয়েছিল) কাতারবন্দী হওয়ার স্থানে ফিরে গেল। এবং তারা (যারা নামায আদায় করেনি) আসল। তখন তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন।
ঐ গ্রুপ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আর দ্বিতীয় গ্রুপ তার এবং শত্রুদের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল। আর যে গ্রুপ তার পিছনে ছিল তাদের সাথে এক রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর এরা তাদের (যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও শত্রুর মাঝে দাড়ঁয়েছিল) কাতারবন্দী হওয়ার স্থানে ফিরে গেল। এবং তারা (যারা নামায আদায় করেনি) আসল। তখন তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন।
باب
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَشْعَثِ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ زَهْدَمٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِي بِطَبَرِسْتَانَ وَمَعَنَا حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ فَقَالَ أَيُّكُمْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَقَالَ حُذَيْفَةُ أَنَا فَوَصَفَ فَقَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ بِطَائِفَةٍ رَكْعَةً صَفٍّ خَلْفَهُ وَطَائِفَةٍ أُخْرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالطَّائِفَةِ الَّتِي تَلِيهِ رَكْعَةً ثُمَّ نَكَصَ هَؤُلاَءِ إِلَى مَصَافِّ أُولَئِكَ وَجَاءَ أُولَئِكَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩০
ভয়কালীন নামায
১৫৩৩। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... ছা’লাবা ইবনে যাহদাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সাইদ ইবনে আসী (রাযিঃ)-এর সাথে তাবারিস্তানে ছিলাম, তখন তিনি বলেন, তোমাদের মাঝে কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ভয়কালীন নামায আদায় করেছ? হুযাইফা (রাযিঃ) বললেন, আমি। তারপর তিনি দাঁড়ালেন ও মানুষ তার পেছনে দু’কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। এক গ্রুপ তার তার পেছনে ও অন্য কাতার শক্রর মুখোমুখি। তখন তিনি যারা তার পেছনে ছিল তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর এরা (শক্রর মুখোমুখি) জায়গায় চলে গেল এবং ওরা আসল। তখন তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন এবং তারা (ইমামের সাথে দ্বিতীয় রাকআত) আদায় করেনি।
باب
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَشْعَثُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ زَهْدَمٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِي بِطَبَرِسْتَانَ فَقَالَ أَيُّكُمْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَقَالَ حُذَيْفَةُ أَنَا . فَقَامَ حُذَيْفَةُ فَصَفَّ النَّاسُ خَلْفَهُ صَفَّيْنِ صَفًّا خَلْفَهُ وَصَفًّا مُوَازِيَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّذِي خَلْفَهُ رَكْعَةً ثُمَّ انْصَرَفَ هَؤُلاَءِ إِلَى مَكَانِ هَؤُلاَءِ وَجَاءَ أُولَئِكَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً وَلَمْ يَقْضُوا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩১
ভয়কালীন নামায
১৫৩৪। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হুযাইফা (রাযিঃ)-এর নামাযের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي الرُّكَيْنُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ حَسَّانٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ صَلاَةِ حُذَيْفَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩২
ভয়কালীন নামায
১৫৩৫। কুতায়বা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর ভাষ্য মতে আল্লাহ তাআলা নামায আবাসে অবস্থানকালে চার রাকআত এবং সফরে দু’রাকআত আর ভয়কালীন সময়ে (ইমামের সাথে) এক রাকআত ফরয করেছেন।
باب
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ فَرَضَ اللَّهُ الصَّلاَةَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَضَرِ أَرْبَعًا وَفِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَفِي الْخَوْفِ رَكْعَةً .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৩
ভয়কালীন নামায
১৫৩৬। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ’যি করদ’ নামক স্থানে নামাযে দাঁড়ালেন এবং অন্যান্য লোকেরাও তার পেছনে দু’কাতারে দাঁড়িয়ে গেল, এক কাতার তার পেছনে ও অন্য কাতার শক্রর মুখোমুখী, তখন তিনি যে কাতার তার পেছনে তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর এরা ওদের স্থানে ফিরে গেল এবং ওরা এসে গেল। তখন তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন এবং তারা (ইমামের সাথে দ্বিতীয় রাকআত) আদায় করেনি।
باب
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الْجَهْمِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِذِي قَرَدٍ وَصَفَّ النَّاسُ خَلْفَهُ صَفَّيْنِ صَفًّا خَلْفَهُ وَصَفًّا مُوَازِيَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّذِينَ خَلْفَهُ رَكْعَةً ثُمَّ انْصَرَفَ هَؤُلاَءِ إِلَى مَكَانِ هَؤُلاَءِ وَجَاءَ أُولَئِكَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً وَلَمْ يَقْضُوا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৪
ভয়কালীন নামায
১৫৩৭। আমর ইবনে উসমান (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একবার) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে দাঁড়ালেন এবং অন্যান্য মানুষেরাও তার সাথে দাঁড়িয়ে গেল, তিনি তাকবীর বললেন আর তারাও তাকবীর বলল, তারপর তিনি রুকু করলে তাদের কিছু লোকও রুকু করল, তারপর তিনি সিজদা করলে তারাও সিজদা করলো, এরপর তিনি দ্বিতীয় রাকআতে দাঁড়ালেন। যারা তার সাথে সিজদা করেছিল তারা সরে গেল এবং তাদের ভাইদেরকে পাহারা দিতে লাগল। তারপর দ্বিতীয় গ্রুপ এসে গেল ও নবী (ﷺ)-এর সাথে রুকু করল এবং সিজদা করল। আর সমস্ত মানুষ নামাযে তাকবীর বলছিল কিন্তু তারা কতক কতককে পাহারা দিচ্ছিল।
باب
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ فَكَبَّرَ وَكَبَّرُوا ثُمَّ رَكَعَ وَرَكَعَ أُنَاسٌ مِنْهُمْ ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدُوا ثُمَّ قَامَ إِلَى الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ فَتَأَخَّرَ الَّذِينَ سَجَدُوا مَعَهُ وَحَرَسُوا إِخْوَانَهُمْ وَأَتَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَرَكَعُوا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَسَجَدُوا وَالنَّاسُ كُلُّهُمْ فِي صَلاَةٍ يُكَبِّرُونَ وَلَكِنْ يَحْرُسُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৫
ভয়কালীন নামায
১৫৩৮। উবাইদুল্লাহ ইবনে সা’দ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ভয়কালীন নামায দু’টি সিজদা ভিন্ন কিছুই ছিল না। তোমাদের এই ইমামদের পেছনে তোমাদের এই পাহারাদারদের আজকের নামাযের ন্যায়। হ্যাঁ, তা একদলের পর অরেকদল পালাক্রমে আদায় করত। তাদের এক দল শক্রর মুখোমুখী দাঁড়াত এবং এরা সকলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে থাকত। তাদের একদল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সিজদা করত।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়ালে তারাও সকলে তার সাথে দাঁড়াত। তারপর তিনি রুকু করলে তারাও সকলে তার সাথে রুকু করত। তারপর তিনি সিজদা করলে যারা প্রথমে তার সাথে দাঁড়িয়েছিল, তারা তার সাথে সিজদা করত। তারপর যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসতেন এবং যারা তার সাথে তাদের নামাযের শেষে সিজদা করেছিল তারা সিজদা করত যারা (নামাযের শেষে) তাদের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। অতঃপর তারা বসে যেত, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সালাম দ্বারা একত্রিত করে ফেলতেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়ালে তারাও সকলে তার সাথে দাঁড়াত। তারপর তিনি রুকু করলে তারাও সকলে তার সাথে রুকু করত। তারপর তিনি সিজদা করলে যারা প্রথমে তার সাথে দাঁড়িয়েছিল, তারা তার সাথে সিজদা করত। তারপর যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসতেন এবং যারা তার সাথে তাদের নামাযের শেষে সিজদা করেছিল তারা সিজদা করত যারা (নামাযের শেষে) তাদের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। অতঃপর তারা বসে যেত, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সালাম দ্বারা একত্রিত করে ফেলতেন।
باب
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَا كَانَتْ صَلاَةُ الْخَوْفِ إِلاَّ سَجْدَتَيْنِ كَصَلاَةِ أَحْرَاسِكُمْ هَؤُلاَءِ الْيَوْمَ خَلْفَ أَئِمَّتِكُمْ هَؤُلاَءِ إِلاَّ أَنَّهَا كَانَتْ عُقَبًا قَامَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ وَهُمْ جَمِيعًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَجَدَتْ مَعَهُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَامُوا مَعَهُ جَمِيعًا ثُمَّ رَكَعَ وَرَكَعُوا مَعَهُ جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ فَسَجَدَ مَعَهُ الَّذِينَ كَانُوا قِيَامًا أَوَّلَ مَرَّةٍ فَلَمَّا جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِينَ سَجَدُوا مَعَهُ فِي آخِرِ صَلاَتِهِمْ سَجَدَ الَّذِينَ كَانُوا قِيَامًا لأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ جَلَسُوا فَجَمَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالتَّسْلِيمِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৬
ভয়কালীন নামায
১৫৩৯। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... সহল ইবনে আবু হাছমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (একবার) তাদের নিয়ে ভয়কালীন নামায আদায় করছিলেন। তাঁর পেছনে একদল কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্যদল শক্রর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর এরা চলে গেল এবং (যারা শক্রর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল) তারা আসল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর এক দলের পর আর এক দল দাঁড়িয়ে গেল এবং এক রাকআত এক রাকআত নামায আদায় করে নিল।
باب
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمْ صَلاَةَ الْخَوْفِ فَصَفَّ صَفًّا خَلْفَهُ وَصَفًّا مُصَافُّو الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلاَءِ وَجَاءَ أُولَئِكَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ قَامُوا فَقَضَوْا رَكْعَةً رَكْعَةً .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৭
ভয়কালীন নামায
১৫৪০। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... ঐ সাহাবী যিনি যাতুর রিকার জিহাদের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ভয়কালীন নামায আদায় করেছিলেন, তার থেকে বর্ণিত যে, একদল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। আর একদল শক্রর মুখোমুখী (দাঁড়িয়ে গেল) যারা তার সাথে ছিল তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন এবং তারা নিজেদের নামায পূর্ণ করে নিল। তারপর তারা ফিরে গিয়ে শক্রর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল আর দ্বিতীয় দল এসে গেলে তিনি তাদের নিয়ে ঐ রাকআত আদায় করে নিলেন, যে রাকআত তার নামায থেকে অবশিষ্ট রয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি ঠায় বসে রইলেন এবং তারা নিজেদের অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করে নিল। তারপর তিনি তাদের নিয়ে সালাম ফিরালেন।
باب
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَمَّنْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلاَةَ الْخَوْفِ أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ وُجَاهَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا وَأَتَمُّوا لأَنْفُسَهِمْ ثُمَّ انْصَرَفُوا فَصَفُّوا وُجَاهَ الْعَدُوِّ وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمُ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ مِنْ صَلاَتِهِ ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৮
ভয়কালীন নামায
১৫৪১। ইসমাঈল ইবনে মাসউদ (রাহঃ) ......... সালিমের পিতা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুই দলের একটির সাথে এক রাকআত নামায আদায় করলেন, আর একদল শক্রর মুখোমুখী। তারপর এরা চলে গেল এবং ওদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল, এবং ওরা এসে গেল, তখন তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন, তারপর তাদের নিয়ে সালাম ফিরালেন। তারপর এরা দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের রাকআত পূর্ণ করে নিল, তারপর (যারা শক্রর মুখোমুখি ছিল) তারা এসে নিজেদের রাকআত পূর্ণ করে নিল।
باب
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَةً وَالطَّائِفَةُ الأُخْرَى مُوَاجِهَةُ الْعَدُوِّ ثُمَّ انْطَلَقُوا فَقَامُوا فِي مَقَامِ أُولَئِكَ وَجَاءَ أُولَئِكَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً أُخْرَى ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ فَقَامَ هَؤُلاَءِ فَقَضُوا رَكْعَتَهُمْ وَقَامَ هَؤُلاَءِ فَقَضُوا رَكْعَتَهُمْ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৯
ভয়কালীন নামায
১৫৪২। কাছীর ইবনে উবাইদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নজদের দিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে এক জিহাদে গিয়েছিলাম। যখন আমরা শক্রর মুখোমুখী হলাম এবং তাদের সামনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। তার সাথে আমাদের একদলও দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্য দল শক্রর সামনে চলে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার সাথে যারা ছিল তারা একটি রুকু এবং একটি সিজদা করল।
তারপর এরা চলে গেল, তাদের স্থানে যারা নামায আদায় করেনি। আর ঐগ্রুপ আসল যারা নামায আদায় করেছিলেন। তখন তিনি তাদের নিয়ে একটি রুকু এবং একটি সিজদা আদায় করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাম ফিরালেন। তখন প্রত্যেক মুসলমান দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের একটি রুকু ও একটি সিজদা আদায় করে নিল।
তারপর এরা চলে গেল, তাদের স্থানে যারা নামায আদায় করেনি। আর ঐগ্রুপ আসল যারা নামায আদায় করেছিলেন। তখন তিনি তাদের নিয়ে একটি রুকু এবং একটি সিজদা আদায় করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাম ফিরালেন। তখন প্রত্যেক মুসলমান দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের একটি রুকু ও একটি সিজদা আদায় করে নিল।
باب
أَخْبَرَنِي كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ بَقِيَّةَ، عَنْ شُعَيْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ نَجْدٍ فَوَازَيْنَا الْعَدُوَّ وَصَافَفْنَاهُمْ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِنَا فَقَامَتْ طَائِفَةٌ مِنَّا مَعَهُ وَأَقْبَلَ طَائِفَةٌ عَلَى الْعَدُوِّ فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ مَعَهُ رَكْعَةً وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفُوا فَكَانُوا مَكَانَ أُولَئِكَ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي لَمْ تُصَلِّ فَرَكَعَ بِهِمْ رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَرَكَعَ لِنَفْسِهِ رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪০
ভয়কালীন নামায
১৫৪৩। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণনা করতেন যে, তিনি (একবার) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ভয়কালীন নামায আদায় করেছিলেন। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) তাকবীর বললেন এবং তার পেছনে আমাদের একটি গেল কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। আর একদল শক্রর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিয়ে একটি রুকু এবং একটি সিজদা করলেন।
তারপর এরা ফিরে গেল এবং শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর দ্বিতীয় দল এসে গেল এবং নবী (ﷺ)-এর সাথে নামায আদায় করল ও অনুরূপ করলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। তারপর উভয় গ্রুপের প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের একটি রুকু এবং একটি সিজদা আদায় করে নিল।
তারপর এরা ফিরে গেল এবং শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর দ্বিতীয় দল এসে গেল এবং নবী (ﷺ)-এর সাথে নামায আদায় করল ও অনুরূপ করলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। তারপর উভয় গ্রুপের প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের একটি রুকু এবং একটি সিজদা আদায় করে নিল।
باب
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحِيمِ الْبَرْقِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، قَالَ أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُحَدِّثُ أَنَّهُ صَلَّى صَلاَةَ الْخَوْفِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَبَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَصَفَّ خَلْفَهُ طَائِفَةٌ مِنَّا وَأَقْبَلَتْ طَائِفَةٌ عَلَى الْعَدُوِّ فَرَكَعَ بِهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفُوا وَأَقْبَلُوا عَلَى الْعَدُوِّ وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَصَلُّوا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَامَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ فَصَلَّى لِنَفْسِهِ رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪১
ভয়কালীন নামায
১৫৪৪। ইমরান ইবনে বাক্কার (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (একবার) ভয়কালীন নামায আদায় করলেন, তিনি দাঁড়ালেন ও তাকবীর বললেন তখন তার পেছনে আমাদের একদল নামায আদায় করল। আর অন্যদল শক্রর মুখোমুখী। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিয়ে একটি রুকু ও দু’টি সিজদা করলেন। তারপর এরা ফিরে গেল এবং সালাম ফিরাল না ও শক্রর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর তাদের স্থানে কাতারবন্দী হয়ে গেল।
আর দ্বিতীয় দল এসে গেল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পেছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিয়ে একটি রুকু এবং দু’টি সিজদা আদায় করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাম ফিরালেন ইত্যবসরে তিনি দু’টি রুকু এবং চারটি সিজদা পূর্ণ করে ফেলেছিলেন। তারপর উভয় দল দাঁড়িয়ে গেল এবং তাদের প্রত্যেকে নিজেদের একটি একটি রুকু এবং দু’টি সিজদা আদায় করে নিল।
আর দ্বিতীয় দল এসে গেল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পেছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিয়ে একটি রুকু এবং দু’টি সিজদা আদায় করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাম ফিরালেন ইত্যবসরে তিনি দু’টি রুকু এবং চারটি সিজদা পূর্ণ করে ফেলেছিলেন। তারপর উভয় দল দাঁড়িয়ে গেল এবং তাদের প্রত্যেকে নিজেদের একটি একটি রুকু এবং দু’টি সিজদা আদায় করে নিল।
باب
أَخْبَرَنِي عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَ أَنْبَأَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ، وَأَبِي، أَيُّوبَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ قَامَ فَكَبَّرَ فَصَلَّى خَلْفَهُ طَائِفَةٌ مِنَّا وَطَائِفَةٌ مُوَاجِهَةَ الْعَدُوِّ فَرَكَعَ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفُوا وَلَمْ يُسَلِّمُوا وَأَقْبَلُوا عَلَى الْعَدُوِّ فَصَفُّوا مَكَانَهُمْ وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَصَفُّوا خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أَتَمَّ رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ ثُمَّ قَامَتِ الطَّائِفَتَانِ فَصَلَّى كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ لِنَفْسِهِ رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ . قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ السُّنِّيِّ الزُّهْرِيُّ سَمِعَ مِنِ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثَيْنِ وَلَمْ يَسْمَعْ هَذَا مِنْهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪২
ভয়কালীন নামায
১৫৪৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াসিল (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন একদিন ভয়কালীন নামায আদায় করেন। তখন তার সাথে একদল দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্য আর একদল শক্রর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। তখন তিনি যারা তার সাথে ছিল তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর তাঁরা চলে গেল এবং অন্য দল এসে গেল। তখন তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন, তারপর উভয় দল এক এক রাকআত নামায পূর্ণ করে নিল।
باب
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ وَاصِلِ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ فَقَامَتْ طَائِفَةٌ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ بِإِزَاءِ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ذَهَبُوا وَجَاءَ الآخَرُونَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ قَضَتِ الطَّائِفَتَانِ رَكْعَةً رَكْعَةً .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৩
ভয়কালীন নামায
১৫৪৬। উবাইদুল্লাহ ইবনে ফাদালাহ এবং মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... মারওয়ান ইবনে হাকাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করলেন যে, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ভয়কালীন নামায আদায় করেছিলেন? তখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ; তিনি প্রশ্ন করলেন, কখন? তিনি বললেন, নজদের জিহাদের বৎসর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের নামাযে দাঁড়ালেন এবং তার সাথে একটি দল দাঁড়িয়ে গেল। আর অন্য দল শক্রর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর তাদের পিঠ কিবলামুখে ছিল।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন। যারা তার সাথে ছিল তারাও সকলে তাকবীর বলল। আর যারা শক্রর মুখোমুখী ছিল তারাও। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি রুকু আদায় করলেন এবং যারা তার সাথে ছিল তারাও তার সাথে একটি রুকু আদায় করল। তারপর তিনি সিজদা করলেন এবং যে দল তার সাথে ছিল তারাও সিজদা করল। আর দ্বিতীয় দল শক্রর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে রইল।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং যে দল তার সাথে ছিল তারাও দাঁড়িয়ে গেল এবং শক্রর অভিমুখে চলে গেল এবং তাদের মুখোমুখী হলো। আর যে দল শক্রর মুখোমুখী ছিল তারা এসে গেল এবং রুকু ও সিজদা করল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেরূপ ছিলেন সেরূপ দাঁড়িয়ে রইলেন। তারপর তারাও দাঁড়িয়ে গেল তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দ্বিতীয় আরও একটি রুকু আদায় করলেন, আর তারাও তার সাথে একটি রুকু আদায় করলেন এবং তিনি সিজদা করলেন তো তারাও তার সাথে সিজদা করল।
তারপর ঐ গ্রুপ আসল যারা শক্রর মুখোমুখী ছিল। তারা রুকু করল ও সিজদা করল, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং যারা তার সাথে ছিল তারা বসে রইল। তারপর সালাম ফিরানো বাকী থাকলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাম ফিরালেন এবং সকলে সালাম ফিরালেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দু’রাকআত আদায় হয়েছিল আর উভয় দলের প্রত্যেকেরও দু’ দু’রাকআত আদায় হয়েছিল।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন। যারা তার সাথে ছিল তারাও সকলে তাকবীর বলল। আর যারা শক্রর মুখোমুখী ছিল তারাও। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি রুকু আদায় করলেন এবং যারা তার সাথে ছিল তারাও তার সাথে একটি রুকু আদায় করল। তারপর তিনি সিজদা করলেন এবং যে দল তার সাথে ছিল তারাও সিজদা করল। আর দ্বিতীয় দল শক্রর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে রইল।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং যে দল তার সাথে ছিল তারাও দাঁড়িয়ে গেল এবং শক্রর অভিমুখে চলে গেল এবং তাদের মুখোমুখী হলো। আর যে দল শক্রর মুখোমুখী ছিল তারা এসে গেল এবং রুকু ও সিজদা করল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেরূপ ছিলেন সেরূপ দাঁড়িয়ে রইলেন। তারপর তারাও দাঁড়িয়ে গেল তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দ্বিতীয় আরও একটি রুকু আদায় করলেন, আর তারাও তার সাথে একটি রুকু আদায় করলেন এবং তিনি সিজদা করলেন তো তারাও তার সাথে সিজদা করল।
তারপর ঐ গ্রুপ আসল যারা শক্রর মুখোমুখী ছিল। তারা রুকু করল ও সিজদা করল, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং যারা তার সাথে ছিল তারা বসে রইল। তারপর সালাম ফিরানো বাকী থাকলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাম ফিরালেন এবং সকলে সালাম ফিরালেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দু’রাকআত আদায় হয়েছিল আর উভয় দলের প্রত্যেকেরও দু’ দু’রাকআত আদায় হয়েছিল।
باب
أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ فَضَالَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، ح وَأَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، وَذَكَرَ، آخَرَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، يُحَدِّثُ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ هَلْ صَلَّيْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ . قَالَ مَتَى قَالَ عَامَ غَزْوَةِ نَجْدٍ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِصَلاَةِ الْعَصْرِ وَقَامَتْ مَعَهُ طَائِفَةٌ وَطَائِفَةٌ أُخْرَى مُقَابِلَ الْعَدُوِّ وَظُهُورُهُمْ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرُوا جَمِيعًا الَّذِينَ مَعَهُ وَالَّذِينَ يُقَابِلُونَ الْعَدُوَّ ثُمَّ رَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً وَاحِدَةً وَرَكَعَتْ مَعَهُ الطَّائِفَةُ الَّتِي تَلِيهِ ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي تَلِيهِ وَالآخَرُونَ قِيَامٌ مُقَابِلَ الْعَدُوِّ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَامَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي مَعَهُ فَذَهَبُوا إِلَى الْعَدُوِّ فَقَابَلُوهُمْ وَأَقْبَلَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي كَانَتْ مُقَابِلَ الْعَدُوِّ فَرَكَعُوا وَسَجَدُوا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ كَمَا هُوَ ثُمَّ قَامُوا فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً أُخْرَى وَرَكَعُوا مَعَهُ وَسَجَدَ وَسَجَدُوا مَعَهُ ثُمَّ أَقْبَلَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي كَانَتْ مُقَابِلَ الْعَدُوِّ فَرَكَعُوا وَسَجَدُوا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ وَمَنْ مَعَهُ ثُمَّ كَانَ السَّلاَمُ فَسَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَلَّمُوا جَمِيعًا فَكَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَانِ وَلِكُلِّ رَجُلٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَتَانِ رَكْعَتَانِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৪
ভয়কালীন নামায
১৫৪৭। আব্বাস ইবনে আব্দুল আজীম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুশরিকদের অবরোধ করে দাজনান পর্বত এবং উসফান নামক স্থানের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করছিলেন। তখন মুশরিকরা বলল যে, এদের জন্য এমন একটি নামায (আসর) রয়েছে, যা তাদের কাছে তাদের সন্তান-সন্ততি এবং কুমারী স্ত্রী হতেও বেশী প্রিয়। তোমরা দৃঢ় সিদ্ধান্ত নাও। তারপর তাদের উপর একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়।
তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসে তাকে বললেন যেন তিনি তার সাহাবাদের দু’দলে বিভক্ত করে দেন এবং তাদের একদলকে নিয়ে নামায আদায় করেন ও আর একদল যেন তাদের শক্রর মুখোমুখী থাকে। তারা সতর্ক ও সশস্ত্র থাকবে আর তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করবেন। তারপর এরা পিছে সরে যাবে এবং তারা (অন্য দল) সামনে আসবে এবং তাদের নিয়ে তিনি এক রাকআত নামায আদায় করবেন। তাদের জন্য হবে এক এক রাকআত করে আর নবী (ﷺ)-এর হবে দু’রাকআত।
তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসে তাকে বললেন যেন তিনি তার সাহাবাদের দু’দলে বিভক্ত করে দেন এবং তাদের একদলকে নিয়ে নামায আদায় করেন ও আর একদল যেন তাদের শক্রর মুখোমুখী থাকে। তারা সতর্ক ও সশস্ত্র থাকবে আর তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করবেন। তারপর এরা পিছে সরে যাবে এবং তারা (অন্য দল) সামনে আসবে এবং তাদের নিয়ে তিনি এক রাকআত নামায আদায় করবেন। তাদের জন্য হবে এক এক রাকআত করে আর নবী (ﷺ)-এর হবে দু’রাকআত।
باب
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْهُنَائِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَقِيقٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَازِلاً بَيْنَ ضَجْنَانَ وَعُسْفَانَ مُحَاصِرَ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ إِنَّ لِهَؤُلاَءِ صَلاَةً هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ أَبْنَائِهِمْ وَأَبْكَارِهِمْ أَجْمِعُوا أَمْرَكُمْ ثُمَّ مِيلُوا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً فَجَاءَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَأَمَرَهُ أَنْ يَقْسِمَ أَصْحَابَهُ نِصْفَيْنِ فَيُصَلِّيَ بِطَائِفَةٍ مِنْهُمْ وَطَائِفَةٌ مُقْبِلُونَ عَلَى عَدُوِّهِمْ قَدْ أَخَذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ فَيُصَلِّيَ بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ يَتَأَخَّرَ هَؤُلاَءِ وَيَتَقَدَّمَ أُولَئِكَ فَيُصَلِّيَ بِهِمْ رَكْعَةً تَكُونُ لَهُمْ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً رَكْعَةً وَلِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَانِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৫
ভয়কালীন নামায
১৫৪৮। ইবরাহীম ইবনে হাসান (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (একবার) তাদের সাথে ভয়কালীন নামায আদায় করলেন। তখন তার সামনে এক কাতার এবং তার পেছনে অন্য আর এক কাতার দাঁড়িয়ে গেল। তিনি যারা তাঁর পেছনে ছিল তাদের নিয়ে একটি রুকু এবং দু’টি সিজদা আদায় করলেন। তারপর এরা সামনে এসে গেল এবং তাদের সাথীদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। আর তারা এসে গেল এবং এদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিয়েও একটি রুকু এবং দুটো সিজদা আদায় করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দু’রাকআত এবং তাদের হল এক এক রাকআত।
باب
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمْ صَلاَةَ الْخَوْفِ فَقَامَ صَفٌّ بَيْنَ يَدَيْهِ وَصَفٌّ خَلْفَهُ صَلَّى بِالَّذِينَ خَلْفَهُ رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَقَدَّمَ هَؤُلاَءِ حَتَّى قَامُوا فِي مَقَامِ أَصْحَابِهِمْ وَجَاءَ أُولَئِكَ فَقَامُوا مَقَامَ هَؤُلاَءِ وَصَلَّى بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ فَكَانَتْ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَانِ وَلَهُمْ رَكْعَةٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৬
ভয়কালীন নামায
১৫৪৯। আহমদ ইবনে মিকদাম (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম, তখন নামাযের ইকামত দেওয়া হলো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তার পেছনে একটি দল দাঁড়িয়ে গেল। আর একটি দল শক্রর মুখোমুখী। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যারা তার পেছনে ছিল তাদের নিয়ে একটি রুকু এবং দু’টা সিজদা করলেন। তারপর এরা চলে গেল এবং যারা শক্রর মুখোমুখী ছিল, তাদের স্থানে ফিরে গেল। আর ঐ দল যারা শক্রর মুখোমুখী ছিল, তারা এসে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিয়ে একটি রুকু এবং দু’টি সিজদা করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাম ফিরিয়ে ফেললেন, যারা তার পেছনে ছিল তারাও সালাম ফিরিয়ে ফেলল এবং অন্য দলও সালাম ফিরিয়ে ফেলল।
باب
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَسْعُودِيُّ، قَالَ أَنْبَأَنِي يَزِيدُ الْفَقِيرُ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَامَتْ خَلْفَهُ طَائِفَةٌ وَطَائِفَةٌ مُوَاجِهَةَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّذِينَ خَلْفَهُ رَكْعَةً وَسَجَدَ بِهِمْ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ إِنَّهُمُ انْطَلَقُوا فَقَامُوا مَقَامَ أُولَئِكَ الَّذِينَ كَانُوا فِي وَجْهِ الْعَدُوِّ وَجَاءَتْ تِلْكَ الطَّائِفَةُ فَصَلَّى بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً وَسَجَدَ بِهِمْ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَلَّمَ فَسَلَّمَ الَّذِينَ خَلْفَهُ وَسَلَّمَ أُولَئِكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৭
ভয়কালীন নামায
১৫৫০। আলী ইবনে হাসান দিরহামী ইসমাঈল ইবনে মাসউদ (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ভয়কালীন নামাযে উপস্থিত ছিলাম। আমরা তার পেছনে কাতারে দাঁড়িয়ে গেলাম, আর শক্র বাহিনী আমাদের এবং কিবলার মধ্যবর্তী স্থানে ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন আর আমরাও তাকবীর বললাম। তিনি রুকু করলেন আর আমরাও রুকু করলাম। তিনি মাথা উঠালেন আর আমরাও মাথা উঠালাম।
যখন তিনি সিজদায় যাওয়ার জন্য মাথা নত করলেন তখন তিনি সিজদা করলেন এবং তার কাছে যারা ছিল তারাও। যখন তিনি এবং ঐ কাতার যারা তার কাছে ছিল মাথা উঠালেন। তখন দ্বিতীয় কাতার দাঁড়িয়ে গেল। তারপর দ্বিতীয় কাতার সিজদা করল নিজেদের স্থানেই যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা উঠালেন। তারপর ঐ কাতার পেছনে সরে গেল, যা নবী (ﷺ)-এর কাছে ছিল। আর অন্য কাতার আগে বেড়ে গেল এবং তারা তাদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। এরা অন্য গ্রুপের স্থানে যথাযথভাবে দাঁড়িয়ে গেল। আর নবী (ﷺ) রুকু করলেন তো আমরাও রুকু করলাম। অতঃপর তিনি মাথা উঠালেন তো আমরাও মাথা উঠালাম। আর যখন তিনি সিজদার জন্য আনত মস্তক হলেন, যারা তার কাছে ছিল তারাও সিজদা করল এবং অন্যরা দাঁড়িয়ে রইল। আর যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা উঠালেন এবং তার সাথে যারা ছিল তারাও মাথা উঠালেন, অন্য গ্রুপ সিজদা করল। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন।
যখন তিনি সিজদায় যাওয়ার জন্য মাথা নত করলেন তখন তিনি সিজদা করলেন এবং তার কাছে যারা ছিল তারাও। যখন তিনি এবং ঐ কাতার যারা তার কাছে ছিল মাথা উঠালেন। তখন দ্বিতীয় কাতার দাঁড়িয়ে গেল। তারপর দ্বিতীয় কাতার সিজদা করল নিজেদের স্থানেই যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা উঠালেন। তারপর ঐ কাতার পেছনে সরে গেল, যা নবী (ﷺ)-এর কাছে ছিল। আর অন্য কাতার আগে বেড়ে গেল এবং তারা তাদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। এরা অন্য গ্রুপের স্থানে যথাযথভাবে দাঁড়িয়ে গেল। আর নবী (ﷺ) রুকু করলেন তো আমরাও রুকু করলাম। অতঃপর তিনি মাথা উঠালেন তো আমরাও মাথা উঠালাম। আর যখন তিনি সিজদার জন্য আনত মস্তক হলেন, যারা তার কাছে ছিল তারাও সিজদা করল এবং অন্যরা দাঁড়িয়ে রইল। আর যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা উঠালেন এবং তার সাথে যারা ছিল তারাও মাথা উঠালেন, অন্য গ্রুপ সিজদা করল। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন।
باب
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ الدِّرْهَمِيُّ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ شَهِدْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَقُمْنَا خَلْفَهُ صَفَّيْنِ وَالْعَدُوُّ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرْنَا وَرَكَعَ وَرَكَعْنَا وَرَفَعَ وَرَفَعْنَا فَلَمَّا انْحَدَرَ لِلسُّجُودِ سَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِينَ يَلُونَهُ وَقَامَ الصَّفُّ الثَّانِي حِينَ رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالصَّفُّ الَّذِينَ يَلُونَهُ ثُمَّ سَجَدَ الصَّفُّ الثَّانِي حِينَ رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أَمْكِنَتِهِمْ ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الَّذِينَ كَانُوا يَلُونَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الآخَرُ فَقَامَ فِي مَقَامِهِمْ وَقَامَ هَؤُلاَءِ فِي مَقَامِ الآخَرِينَ قِيَامًا وَرَكَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعْنَا ثُمَّ رَفَعَ وَرَفَعْنَا فَلَمَّا انْحَدَرَ لِلسُّجُودِ سَجَدَ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَالآخَرُونَ قِيَامٌ فَلَمَّا رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِينَ يَلُونَهُ سَجَدَ الآخَرُونَ ثُمَّ سَلَّمَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৮
ভয়কালীন নামায
১৫৫১। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার নবী (ﷺ)-এর সাথে ’নাখল’ নামক স্থানে ছিলাম। আর শক্র বাহিনী আমাদের এবং কিবলার মধ্যবর্তী স্থানে ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন আর সকলে তাকবীর বলল। তারপর তিনি রুকু করলেন এবং সকলে রুকু করল। তারপর নবী (ﷺ) সিজদা করলেন এবং তার কাছে যারা ছিল তারাও, আর অন্যদল দাঁড়িয়ে তাদের পাহারা দিচ্ছিল। যখন তারা দাঁড়িয়ে গেল অন্য দল তাদের ঐ স্থানেই সিজদা করল যেখানে তাঁরা ছিল। তারপর এরা তাদের কাতার বন্দী স্থানে সম্মুখে অগ্রসর হলো। আর তিনি রুকু করলেন এবং সবাই রুকু করল। তিনি মাথা উঠালেন তো সবাই মাথা উঠাল। তারপর নবী (ﷺ) সিজদা করলেন এবং ঐ কাতারও যারা তার কাছে ছিল। আর অন্য দল তাদের পাহারা দিচ্ছিল। যখন এরা সিজদা করল ও বসে গেল তখন অন্য দল তাদের স্থানেই সিজদা করে নিল। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। জাবির বলেন, যেরূপ তোমাদের আমীরগণ করে থাকে।
باب
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَخْلٍ وَالْعَدُوُّ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرُوا جَمِيعًا ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَالآخَرُونَ قِيَامٌ يَحْرُسُونَهُمْ فَلَمَّا قَامُوا سَجَدَ الآخَرُونَ مَكَانَهُمُ الَّذِينَ كَانُوا فِيهِ ثُمَّ تَقَدَّمَ هَؤُلاَءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلاَءِ فَرَكَعَ فَرَكَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ رَفَعَ فَرَفَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَالصَّفُّ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَالآخَرُونَ قِيَامٌ يَحْرُسُونَهُمْ فَلَمَّا سَجَدُوا وَجَلَسُوا سَجَدَ الآخَرُونَ مَكَانَهُمْ ثُمَّ سَلَّمَ . قَالَ جَابِرٌ كَمَا يَفْعَلُ أُمَرَاؤُكُمْ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান