কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১৭. ইস্তিসকার [বৃষ্টি প্রার্থনা ] অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫১৩
(হস্তদ্বয়) কিভাবে উঠাবেন?
১৫১৬। শুআয়ব ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইসতিস্কার সময় ছাড়া অন্য কোন দু'আয় হস্তদ্বয় উঠাতেন না। তিনি তখন হস্তদ্বয় এতটুকু পর্যন্ত উঠাতেন যে, তার উভয় বগলের শুভ্রতা দেখা যেত।
باب كَيْفَ يَرْفَعُ
أَخْبَرَنِي شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَىْءٍ مِنَ الدُّعَاءِ إِلاَّ فِي الاِسْتِسْقَاءِ فَإِنَّهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ إِبْطَيْهِ .
হাদীস নং:১৫১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৫১৪
(হস্তদ্বয়) কিভাবে উঠাবেন?
১৫১৭। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবিল লাহম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে “আহযারুযযায়ত” নামক স্থানে ইসতিস্কা করতে দেখে ছিলেন। তখন তিনি হস্তদ্বয় উঠিয়ে দু'আ করছিলেন।
باب كَيْفَ يَرْفَعُ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ عَنْ آبِي اللَّحْمِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ يَسْتَسْقِي وَهُوَ مُقْنِعٌ بِكَفَّيْهِ يَدْعُو .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫১৫
(হস্তদ্বয়) কিভাবে উঠাবেন?
১৫১৮। ঈসা ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) ......... শরীক ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, একদা আমরা জুমআর দিনে মসজিদে ছিলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মানুষের সামনে খুতবা দিচ্ছিলেন, একজন লোক দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! গরমের আধিক্য হেতু রাস্তা ঘাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, গবাদি পশুগুলো অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে এবং শহরে দ্রব্য মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতএব আপনি আল্লাহর সমীপে দু'আ করুন যেন তিনি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় হাত মুখমণ্ডল বরাবর উঠালেন এবং বললেন, ইয়া আল্লাহ, তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর। আল্লাহর শপথ! তিনি মিম্বর থেকে তখনও অবতরণ করেছিলেন না। ইত্যবসরে আমাদের বৃষ্টি দ্বারা পরিতৃপ্ত করে দেওয়া হলো এবং ঐ দিন থেকে পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হলো।
তখন এক ব্যক্তি দাঁড়াল, আমি জানি না যে, সে ঐ ব্যক্তি যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলেছিল ″আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণের জন্য দু'আ করুন″ না অন্য ব্যক্তি সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! পানির আধিক্যের কারণে রাস্তাঘাট তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং গবাদি পশুগুলোও অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে। অতএব আপনি আল্লাহর সমীপে দোয়া করুন যেন আমাদের উপর লোক বৃষ্টি বন্ধ করে দেন।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইয়া আল্লাহ! (তুমি বৃষ্টি) আমাদের আশে পাশে বর্ষণ কর, আমাদের উপর নয় বরং পাহাড়ের উপর এবং গাছের গোড়ায়। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই দু'আ করতেই মেঘমালা এমনভাবে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল যে, আমরা তার কিছুই দেখতে পেলাম না।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় হাত মুখমণ্ডল বরাবর উঠালেন এবং বললেন, ইয়া আল্লাহ, তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর। আল্লাহর শপথ! তিনি মিম্বর থেকে তখনও অবতরণ করেছিলেন না। ইত্যবসরে আমাদের বৃষ্টি দ্বারা পরিতৃপ্ত করে দেওয়া হলো এবং ঐ দিন থেকে পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হলো।
তখন এক ব্যক্তি দাঁড়াল, আমি জানি না যে, সে ঐ ব্যক্তি যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলেছিল ″আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণের জন্য দু'আ করুন″ না অন্য ব্যক্তি সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! পানির আধিক্যের কারণে রাস্তাঘাট তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং গবাদি পশুগুলোও অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে। অতএব আপনি আল্লাহর সমীপে দোয়া করুন যেন আমাদের উপর লোক বৃষ্টি বন্ধ করে দেন।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইয়া আল্লাহ! (তুমি বৃষ্টি) আমাদের আশে পাশে বর্ষণ কর, আমাদের উপর নয় বরং পাহাড়ের উপর এবং গাছের গোড়ায়। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই দু'আ করতেই মেঘমালা এমনভাবে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল যে, আমরা তার কিছুই দেখতে পেলাম না।
باب كَيْفَ يَرْفَعُ
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ، - وَهُوَ الْمَقْبُرِيُّ - عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ بَيْنَا نَحْنُ فِي الْمَسْجِدِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ النَّاسَ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَقَطَّعَتِ السُّبُلُ وَهَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَأَجْدَبَ الْبِلاَدُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَسْقِيَنَا . فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ حِذَاءَ وَجْهِهِ فَقَالَ " اللَّهُمَّ اسْقِنَا " . فَوَاللَّهِ مَا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمِنْبَرِ حَتَّى أُوسِعْنَا مَطَرًا وَأُمْطِرْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ إِلَى الْجُمُعَةِ الأُخْرَى فَقَامَ رَجُلٌ - لاَ أَدْرِي هُوَ الَّذِي قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَسْقِ لَنَا أَمْ لاَ - فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ انْقَطَعَتِ السُّبُلُ وَهَلَكَتِ الأَمْوَالُ مِنْ كَثْرَةِ الْمَاءِ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يُمْسِكَ عَنَّا الْمَاءَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا وَلَكِنْ عَلَى الْجِبَالِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ " . قَالَ وَاللَّهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ تَكَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ تَمَزَّقَ السَّحَابُ حَتَّى مَا نَرَى مِنْهُ شَيْئًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান