কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১৬. চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৬
গ্রহণকালীন নামাযে সিজদায় কথা বলা
১৪৯৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায আদায় করলেন, আর দাঁড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর রুকু করলেন আর রুকুকেও দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর মাথা উঠালেন এবং তাও (দাঁড়ানো) দীর্ঘায়িত করলেন। রাবী শুবা (রাহঃ) বলেন, আমি মনে করি যে, তিনি সিজদার ব্যাপারেও অনুরূপ বলেছেন এবং তিনি সিজদায় ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদতে লাগলেন। বলতে লাগলেন, হে রব! আমি তোমার কাছে মাগফিরাত চাওয়াকালীন তুমি তো এরূপ আযাবের ওয়াদা করনি? আমি তাদের মাঝে অবস্থানকালীন তুমি তো আমার কাছে এরূপ আযাবের প্রতিশ্রতি করনি।
যখন তিনি নামায আদায় করে নিলেন তখন বললেন, আমার সামনে জান্নাত উপস্থাপন করা হলো, এমনকি যদি আমি হাত প্রসারিত করতাম তাহলে তার ফল স্পর্শ করতে পারতাম। আমার সামনে জাহান্নামও উপস্থাপন করা হলো, আমি তাতে এই ভয়ে ফুঁক দিতে লাগলাম যে, তার তাপ তোমাদের গ্রাস করে ফেলে। আমি তাতে আমার (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর) দুই উটনীর চোরকেও দেখলাম, আর আমি তাতে দা’দা গোত্রের এক ব্যক্তিকেও দেখলাম, যে হাজীদের মাল চুরি করত। যখন তার শান্তি অনুভব হলো তখন সে বললো, এতো হল বক্র লাঠির কাজ।
আমি তাতে এক কুষ্ণবর্ণের মহিলাকেও দেখলাম, তাকে এক বিড়ালের ব্যাপারে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। সে বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল। তাকে সে খাদ্যও খাওয়াত না এবং পানিও পান করাত না এবং ছেড়েও দিত না সে যমীনের পোকা-মাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করতে পারতো। এমনিভাবে বিড়ালটি মারা গিয়েছিল। আর চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণ কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে হয় না বরং তারা হয় আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। অতএব, যখন তাদের কারো গ্রহণ লেগে যায় অথবা বলেছেন যে, তাদের কারো এমন ধরনের কিছু ঘটে যায় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও।
যখন তিনি নামায আদায় করে নিলেন তখন বললেন, আমার সামনে জান্নাত উপস্থাপন করা হলো, এমনকি যদি আমি হাত প্রসারিত করতাম তাহলে তার ফল স্পর্শ করতে পারতাম। আমার সামনে জাহান্নামও উপস্থাপন করা হলো, আমি তাতে এই ভয়ে ফুঁক দিতে লাগলাম যে, তার তাপ তোমাদের গ্রাস করে ফেলে। আমি তাতে আমার (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর) দুই উটনীর চোরকেও দেখলাম, আর আমি তাতে দা’দা গোত্রের এক ব্যক্তিকেও দেখলাম, যে হাজীদের মাল চুরি করত। যখন তার শান্তি অনুভব হলো তখন সে বললো, এতো হল বক্র লাঠির কাজ।
আমি তাতে এক কুষ্ণবর্ণের মহিলাকেও দেখলাম, তাকে এক বিড়ালের ব্যাপারে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। সে বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল। তাকে সে খাদ্যও খাওয়াত না এবং পানিও পান করাত না এবং ছেড়েও দিত না সে যমীনের পোকা-মাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করতে পারতো। এমনিভাবে বিড়ালটি মারা গিয়েছিল। আর চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণ কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে হয় না বরং তারা হয় আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। অতএব, যখন তাদের কারো গ্রহণ লেগে যায় অথবা বলেছেন যে, তাদের কারো এমন ধরনের কিছু ঘটে যায় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও।
باب الْقَوْلِ فِي السُّجُودِ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمِسْوَرِ الزُّهْرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ - قَالَ شُعْبَةُ وَأَحْسَبُهُ قَالَ فِي السُّجُودِ نَحْوَ ذَلِكَ - وَجَعَلَ يَبْكِي فِي سُجُودِهِ وَيَنْفُخُ وَيَقُولُ " رَبِّ لَمْ تَعِدْنِي هَذَا وَأَنَا أَسْتَغْفِرُكَ لَمْ تَعِدْنِي هَذَا وَأَنَا فِيهِمْ " . فَلَمَّا صَلَّى قَالَ " عُرِضَتْ عَلَىَّ الْجَنَّةُ حَتَّى لَوْ مَدَدْتُ يَدِي تَنَاوَلْتُ مِنْ قُطُوفِهَا وَعُرِضَتْ عَلَىَّ النَّارُ فَجَعَلْتُ أَنْفُخُ خَشْيَةَ أَنْ يَغْشَاكُمْ حَرُّهَا وَرَأَيْتُ فِيهَا سَارِقَ بَدَنَتَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَأَيْتُ فِيهَا أَخَا بَنِي دُعْدُعٍ سَارِقَ الْحَجِيجِ فَإِذَا فُطِنَ لَهُ قَالَ هَذَا عَمَلُ الْمِحْجَنِ وَرَأَيْتُ فِيهَا امْرَأَةً طَوِيلَةً سَوْدَاءَ تُعَذَّبُ فِي هِرَّةٍ رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَسْقِهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ وَإِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ فَإِذَا انْكَسَفَتْ إِحْدَاهُمَا - أَوْ قَالَ فَعَلَ أَحَدُهُمَا شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ - فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান