কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১৫. সফরে নামাজ সংক্ষিপ্তকরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৩৬। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইয়ালা ইবনে উমাইয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে বললামঃ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا، مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا অর্থাৎ “যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে, কাফিরগণ তোমাদের জন্য ফিত্না সৃষ্টি করবে তবে, নামায সংক্ষিপ্ত করলে তোমাদের কোন দোষ নেই। (১৯ঃ ৪)” এখন তো মানুষ (কাফিরদের ফিতনা থেকে) নিরাপদ আছে।
তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, আমিও সে ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ করেছি, তুমি যে ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ করেছ। তাই আমি সে ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, এ হল একটি দান বিশেষ যা আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রদান করেছেন। অতএব, তার দানকে কবুল করে নাও।
তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, আমিও সে ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ করেছি, তুমি যে ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ করেছ। তাই আমি সে ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, এ হল একটি দান বিশেষ যা আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রদান করেছেন। অতএব, তার দানকে কবুল করে নাও।
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَيْهِ، عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، قَالَ قُلْتُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ (لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا، مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا) فَقَدْ أَمِنَ النَّاسُ . فَقَالَ عُمَرُ رضى الله عنه عَجِبْتُ مِمَّا عَجِبْتَ مِنْهُ فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " صَدَقَةٌ تَصَدَّقَ اللَّهُ بِهَا عَلَيْكُمْ فَاقْبَلُوا صَدَقَتَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৪৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৪
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৩৭। কুতায়বা (রাহঃ) ......... উমাইয়্যাহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে বললেন, আমরা তো বাড়ীতে অবস্থানকালীন সময়ের নামাযের উল্লেখ কুরআনে দেখতে পাই, কিন্তু সফরকালীন নামাযের উল্লেখ কুরআনে দেখতে পাই না। তখন ইবনে উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, হে আমার ভাতিজা। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আমাদের কাছে রাসুল (ﷺ)-কে পাঠিয়েছেন এমতাবস্থায় যে, আমরা তখন কিছুই জানতাম না। আমরা তদ্রূপই করি যে রূপ রাসুল (ﷺ) কে করতে দেখতাম।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدٍ، أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ إِنَّا نَجِدُ صَلاَةَ الْحَضَرِ وَصَلاَةَ الْخَوْفِ فِي الْقُرْآنِ وَلاَ نَجِدُ صَلاَةَ السَّفَرِ فِي الْقُرْآنِ . فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ يَا ابْنَ أَخِي إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ بَعَثَ إِلَيْنَا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم وَلاَ نَعْلَمُ شَيْئًا وَإِنَّمَا نَفْعَلُ كَمَا رَأَيْنَا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৫
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৩৮। কুতায়বা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মক্কা থেকে মদীনা অভিমুখে বের হলেন, তিনি রাব্বুল আলামীন ব্যতীত আর কাউকে ভয় করতেন না। (এতদসত্ত্বেও) তিনি নামায দু’রাকআতই আদায় করতেন।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ لاَ يَخَافُ إِلاَّ رَبَّ الْعَالَمِينَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৬
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৩৯। মুহাম্মাদ আব্দুল আলা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে মক্কা এবং মদীনার মধ্যে সফর করতাম, তখন আমরা আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করতাম না। এতদসত্ত্বেও আমরা নামায দু’রাকআতই আদায় করতাম।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنَّا نَسِيرُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ لاَ نَخَافُ إِلاَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ نُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৭
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৪০। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনুস সিমত (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) যুল হুলাইফাতে নামায দু’রাকআত আদায় করতে দেখেছি। তখন আমি তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, আমি তদ্রূপই করছি যেরূপ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে করতে দেখেছি।
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ حَبِيبَ بْنَ عُبَيْدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ السِّمْطِ، قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يُصَلِّي بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ إِنَّمَا أَفْعَلُ كَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৮
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৪১। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে মদীনা থেকে মক্কা অভিমুখে বের হলাম। তিনি প্রত্যাবর্তন করা পর্যন্ত সর্বদাই নামায সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করতেন। তিনি মক্কায় দশ দিন অবস্থান করেছিলেন।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ فَلَمْ يَزَلْ يَقْصُرُ حَتَّى رَجَعَ فَأَقَامَ بِهَا عَشْرًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৯
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৪২। মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে এক সফরে নামায দু’রাকআত আদায় করলাম, আর আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ)-এর সাথেও (সফরে) দু’রাকআত আদায় করেছি।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ أَبِي أَنْبَأَنَا أَبُو حَمْزَةَ، - وَهُوَ السُّكَّرِيُّ - عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ رَكْعَتَيْنِ وَمَعَ عُمَرَ رَكْعَتَيْنِ رضى الله عنهما .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৪০
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৪৩। হুমায়দ ইবনে মাসআদা (রাহঃ) ......... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জুমআর নামায দু’রাকআত, ঈদুল ফিতরের নামায দু’রাকআত, ঈদুল আযহার নামায দু’রাকআত আর সফরের নামায দু’রাকআতই পরিপূর্ণ, অসম্পূর্ণ নয়। নবী (ﷺ)-এর ভাষ্য মতে।
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، - وَهُوَ ابْنُ حَبِيبٍ - عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عُمَرَ، قَالَ صَلاَةُ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَانِ وَالْفِطْرِ رَكْعَتَانِ وَالنَّحْرِ رَكْعَتَانِ وَالسَّفَرِ رَكْعَتَانِ تَمَامٌ غَيْرُ قَصْرٍ عَلَى لِسَانِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
হাদীস নং:১৪৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৪১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৪৪। মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের নবী (ﷺ)-এর ভাষ্য মতে বাড়ীতে অবস্থানকালীন নামায চার রাকআত, আর সফরকালীন নামায দু’রাকআত, এবং শঙ্কাকালীন সময়ের নামায এক রাকআত ফরয করা হয়েছে।
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ الرَّحِيمِ، قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدٌ، عَنْ أَيُّوبَ، - وَهُوَ ابْنُ عَائِذٍ - عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنْ مُجَاهِدٍ أَبِي الْحَجَّاجِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ فُرِضَتْ صَلاَةُ الْحَضَرِ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعًا وَصَلاَةُ السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَصَلاَةُ الْخَوْفِ رَكْعَةً .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৪২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৪৪৫। ইয়াকুব ইবনে মাহান (রাহঃ) ......... ইবনে অববাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের নবী (ﷺ)-এর ভাষ্য মতে আল্লাহ তাআলা বাড়ীতে অবস্থানকালীন সময়ে চার রাকআত, সফরকালীন দু’রাকআত এবং শঙ্কাকালীন এক রাকআত নামায ফরয করেছেন।
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مَاهَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَائِذٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَرَضَ الصَّلاَةَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَضَرِ أَرْبَعًا وَفِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَفِي الْخَوْفِ رَكْعَةً .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান