কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

১৪. জুমআ'র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৪৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩০
ঐ মুহূর্তের উল্লেখ যে মুহূর্তে জুমআর দিনে দু'আ কবুল করা হয়
১৪৩৩। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি একদা তূর নামক স্থানে আসলাম। তথায় আমি কা’ব (রাযিঃ) কে পেলাম, সেখানে আমি এবং তিনি একদিন অবস্থান করলাম। আমি তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করতাম, আর তিনি আমাকে ‘তাওরাত’ থেকে বর্ণনা করতেন। আমি তাকে বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন সর্বোৎকৃষ্ট দিন যাতে সূর্য উদিত হয়, জুমআর দিন।

সেই দিনে আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে দিনই তাঁকে জান্নাত থেকে অবতরণ করানো হয়েছে, সে দিনই তাঁর তাওবা কবুল করা হয়েছে, সে দিনই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। ভূপৃষ্ঠে বনী আদম ছাড়া এমন কোন জীব জন্তু নেই যা জুমআর দিন সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামত সংগঠিত হবার ভয়ে উৎকণ্ঠিত হয়ে না থাকে। সেই দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যে কোন মু’মিন নামাযে রত থাকা অবস্থায় তা পেয়ে আল্লাহর কাছে যদি সেই সময় কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাকে নিশ্চয় তা দিবেন।

তারপর কা’ব জিজ্ঞাসা করলেন, সেই মুহূর্তটি প্রতি বছর কি একদিনই হয়? আমি বললাম, বরং তা প্রতি জুমআর দিনেই হয়। তখন কা’ব তাওরাত থেকে পাঠ করলেন, তারপর বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সত্যই বলেছেন, তা প্রত্যেক জুমআর দিনেই হয়। তখন আমি বের হলে বসরা ইবনে আবু বসরা গিফারী (রাযিঃ) এর সাথে আমার সাক্ষাত হয়। তিনি বললেন, তুমি কোথা থেকে আসছ?

আমি বললাম, ‘তূর’ থেকে। তিনি বললেন যদি তোমার সেখানে যাওয়ার পূর্বে তোমার সাথে আমার সাক্ষাত হতো, তা হলে তুমি সেখানে যেতে না। আমি তাকে বললাম, তুমি এমন কথা কেন বলছ? আমি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনটি মসজিদ ছাড়া সফর করা যাবে না। মসজিদে হারাম, আমার মসজিদ (মসজিদে নববী) এবং মসজিদে বায়তুল মুকাদ্দাস।

তারপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করে বললাম, যদি আপনি আমাকে দেখতেন যে, আমি ’তূর’ নামক স্থানে গিয়েছি ও কা’ব (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করেছি আর আমি এবং তিনি একদিন সেখানে অবস্থান করেছি। আমি তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করে শুনাতাম আর তিনি আমাকে তাওরাত থেকে বর্ণনা করে শুনাতেন। তখন আমি তাকে বললাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সর্বোৎকৃষ্ট দিন যাতে সূর্য উদিত হয় জুমআর দিন। সেই দিন আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে দিনই তাকে জান্নাত থেকে অবতরণ করানো হয়েছে, সে দিনই তার তওবা কবুল করা হয়েছে, সে দিনই তার মৃত্যু হয়েছে এবং সে দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।

ভূ-পৃষ্ঠে বনী আদম ছাড়া এমন কোন জীব-জন্তু নেই, জুমআর দিন সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার ভয়ে উৎকর্ণ হয়ে না থাকে। সেই দিনে এমন একটি মুহৃর্ত রয়েছে যে কোন মুমিন নামাযে রত থাকা অবস্থায় তা পেযে আল্লাহর কাছে যদি সেই সময় কোন কিছু প্রার্থনা করে আল্লাহ তাকে তা নিশ্চয়ই দিবেন।

কা’ব (রাযিঃ) বলেছেন, সেই দিনটি প্রতি বছর একদিনই হয়, তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বললেন, কা’ব (রাযিঃ) সত্য বলেনি। আমি (আবু হুরায়রা) বললাম, তারপর কা’ব (রাযিঃ) পুনরায় (তাওরাত) পড়লেন। তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সত্যই বলেছেন, সেই মুহূর্তটি প্রত্যেক জুমআর দিনেই হয়। তখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, কা’ব (রাযিঃ) সত্যই বলেছেন, আমি সেই মুহূর্তটি সম্পর্কে অবশ্যই অবগত আছি। আমি বললাম, হে আমার ভাই! আপনি আমাকে সেই মুহূর্তটি সম্পর্কে বর্ণনা করুন।

তিনি বললেন, তা জুমআর দিনে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে শেষ সময়। তখন আমি বললাম, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেননি যে, কোন মুমিন ব্যক্তি নামাযে রত থাকা অবস্থায় তা পায় (এবং সে সময় কোন দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন) অথচ সে সময় তো কোন নামায নেই। তিনি বললেন, তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুননি যে, যে ব্যক্তি নামায আদায় করে এবং বসে বসে পরবর্তী নামাযের অপেক্ষায় থাকে, সে ব্যক্তি নামাযেই থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার কাছে পরবর্তী নামায উপস্থিত হয়। আমি বললাম, কেন নয়? নিশ্চয়! তিনি বললেন, এটাও সেই রকমই।
ذكر الساعة التي يستجاب فيها الدعاء يوم الجمعة
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ - عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَتَيْتُ الطُّورَ فَوَجَدْتُ ثَمَّ كَعْبًا فَمَكَثْتُ أَنَا وَهُوَ يَوْمًا أُحَدِّثُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَيُحَدِّثُنِي عَنِ التَّوْرَاةِ فَقُلْتُ لَهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهْبِطَ وَفِيهِ تِيبَ عَلَيْهِ وَفِيهِ قُبِضَ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ مَا عَلَى الأَرْضِ مِنْ دَابَّةٍ إِلاَّ وَهِيَ تُصْبِحُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مُصِيخَةً حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنَ السَّاعَةِ إِلاَّ ابْنَ آدَمَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لاَ يُصَادِفُهَا مُؤْمِنٌ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ " . فَقَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ يَوْمٌ فِي كُلِّ سَنَةٍ . فَقُلْتُ بَلْ هِيَ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ . فَقَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ ثُمَّ قَالَ صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ . فَخَرَجْتُ فَلَقِيتُ بَصْرَةَ بْنَ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيَّ فَقَالَ مِنْ أَيْنَ جِئْتَ قُلْتُ مِنَ الطُّورِ . قَالَ لَوْ لَقِيتُكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَأْتِيَهُ لَمْ تَأْتِهِ . قُلْتُ لَهُ وَلِمَ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ تُعْمَلُ الْمَطِيُّ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِي وَمَسْجِدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ " . فَلَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلاَمٍ فَقُلْتُ لَوْ رَأَيْتَنِي خَرَجْتُ إِلَى الطُّورِ فَلَقِيتُ كَعْبًا فَمَكَثْتُ أَنَا وَهُوَ يَوْمًا أُحَدِّثُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَيُحَدِّثُنِي عَنِ التَّوْرَاةِ فَقُلْتُ لَهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهْبِطَ وَفِيهِ تِيبَ عَلَيْهِ وَفِيهِ قُبِضَ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ مَا عَلَى الأَرْضِ مِنْ دَابَّةٍ إِلاَّ وَهِيَ تُصْبِحُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مُصِيخَةً حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنَ السَّاعَةِ إِلاَّ ابْنَ آدَمَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لاَ يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُؤْمِنٌ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ يَسْأَلُ اللَّهَ شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ " . قَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ يَوْمٌ فِي كُلِّ سَنَةٍ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ كَذَبَ كَعْبٌ . قُلْتُ ثُمَّ قَرَأَ كَعْبٌ فَقَالَ صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَدَقَ كَعْبٌ إِنِّي لأَعْلَمُ تِلْكَ السَّاعَةَ فَقُلْتُ يَا أَخِي حَدِّثْنِي بِهَا . قَالَ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ قَبْلَ أَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ فَقُلْتُ أَلَيْسَ قَدْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يُصَادِفُهَا مُؤْمِنٌ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ " . وَلَيْسَتْ تِلْكَ السَّاعَةَ صَلاَةٌ قَالَ أَلَيْسَ قَدْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ صَلَّى وَجَلَسَ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ لَمْ يَزَلْ فِي صَلاَتِهِ حَتَّى تَأْتِيَهُ الصَّلاَةُ الَّتِي تُلاَقِيهَا " . قُلْتُ بَلَى . قَالَ فَهُوَ كَذَلِكَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩১
ঐ মুহূর্তের উল্লেখ যে মুহূর্তে জুমআর দিনে দু'আ কবুল করা হয়
১৪৩৪। মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই জুমআর দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে কোন মুসলিম বান্দা উক্ত মুহূর্তটি পেয়ে আল্লাহর কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা নিশ্চয়ই দিবেন।
ذكر الساعة التي يستجاب فيها الدعاء يوم الجمعة
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ رَبَاحٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةً لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩২
ঐ মুহূর্তের উল্লেখ যে মুহূর্তে জুমআর দিনে দু'আ কবুল করা হয়
১৪৩৫। আমর ইবনে যুরারাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবুল কাসেম (ﷺ) বলেছেন যে, নিশ্চয়ই জুমআর দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যে, কোন মুসলিম বান্দা সেই সময়টি পেয়ে নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাকে তা দেবেন। (আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন) নবী (ﷺ) বলেছিলেন যে, এ মুহূর্তটি সংকীর্ণ।
ذكر الساعة التي يستجاب فيها الدعاء يوم الجمعة
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، قَالَ أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةً لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ " . قُلْنَا يُقَلِّلُهَا يُزَهِّدُهَا . قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ لاَ نَعْلَمُ أَحَدًا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ غَيْرَ رَبَاحٍ عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ إِلاَّ أَيُّوبَ بْنَ سُوَيْدٍ فَإِنَّهُ حَدَّثَ بِهِ عَنْ يُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدٍ وَأَبِي سَلَمَةَ وَأَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ مَتْرُوكُ الْحَدِيثِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান