কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১৩. নামাযে সাহু তথা ভূলের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩১৩
সর্বনিম্ন পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত করণ যদ্বারা নামায শুদ্ধ হয়ে যায়।
১৩১৬। কুতায়বা (রাহঃ) ......... ইয়াহয়ার চাচা (রিফা’আ ইবনে রাফি (রাযিঃ) তিনি বদরী সাহাবী ছিলেন) থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি একদা মসজিদে প্রবেশ করে নামায আদায় করতে লাগল আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার প্রতি লক্ষ্য রাখছিলেন অথচ আমরা তা জানতামও না। সে ব্যক্তি নামায শেষ করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে সালাম করলে তিনি বললেন, ফিরে পুনরায় নামায আদায় কর। কেননা, তুমি নামায আদায় করনি। সে ব্যক্তি গিয়ে পুনরায় নামায আদায় করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে আসলে তিনি বললেন, তুমি গিয়ে পুনরায় নামায আদায় কর। কেননা তুমি নামায আদায় করনি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ তিনবার কি চার বার করলে ঐ ব্যক্তি তাকে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সেই আল্লাহর শপথ, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন, আমি তো খুব চেষ্টা করে দেখলাম, আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তখন তিনি বললেন, যখন নামায আদায়ের ইচ্ছা কর, তখন উত্তমরূপে ওযু করবে। তারপর কিবলামুখী হয়ে তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন পাঠ করে তাকবীর বলে রুকুতে যাবে এবং খুব স্থিরতার সাথে রুকু করবে। তারপর মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তারপর সিজদা করবে এবং স্থিরতার সাথে সিজদা করে মাথা উঠাবে। পরে মাথা উঠিয়ে স্থিরতার সাথে বসবে। পুনরায় সিজদা করবে এবং স্থিরতার সাথে সিজদা করে মাথা উঠাবে। তারপর তুমি এরূপ করে স্বীয় নামায সমাপ্ত করবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ তিনবার কি চার বার করলে ঐ ব্যক্তি তাকে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সেই আল্লাহর শপথ, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন, আমি তো খুব চেষ্টা করে দেখলাম, আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তখন তিনি বললেন, যখন নামায আদায়ের ইচ্ছা কর, তখন উত্তমরূপে ওযু করবে। তারপর কিবলামুখী হয়ে তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন পাঠ করে তাকবীর বলে রুকুতে যাবে এবং খুব স্থিরতার সাথে রুকু করবে। তারপর মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তারপর সিজদা করবে এবং স্থিরতার সাথে সিজদা করে মাথা উঠাবে। পরে মাথা উঠিয়ে স্থিরতার সাথে বসবে। পুনরায় সিজদা করবে এবং স্থিরতার সাথে সিজদা করে মাথা উঠাবে। তারপর তুমি এরূপ করে স্বীয় নামায সমাপ্ত করবে।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَلِيٍّ، - وَهُوَ ابْنُ يَحْيَى - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمٍّ، لَهُ بَدْرِيٍّ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْمُقُهُ وَنَحْنُ لاَ نَشْعُرُ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَرَجَعَ فَصَلَّى ثُمَّ أَقْبَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا . فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ جَهِدْتُ فَعَلِّمْنِي فَقَالَ " إِذَا قُمْتَ تُرِيدُ الصَّلاَةَ فَتَوَضَّأْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ ثُمَّ ارْكَعْ فَاطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ قَاعِدًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ ثُمَّ افْعَلْ كَذَلِكَ حَتَّى تَفْرُغَ مِنْ صَلاَتِكَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩১৪
সর্বনিম্ন পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত করণ যদ্বারা নামায শুদ্ধ হয়ে যায়।
১৩১৭। সুওয়ায়দ ইবনে নসর (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া ইবনে খাল্লাদ এর চাচা (রিফাআ ইবনে রাফি) (যিনি বদরী সাহাবী ছিলেন) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে মসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে দু’রাকআত নামায আদায় করল। তারপর এসে নবী (ﷺ) কে সালাম করল। নবী (ﷺ) তাঁর নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখছিলেন। তিনি তাঁর সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, তুমি ফিরে গিয়ে পুনরায় নামায আদায় কর, যেহেতু তুমি নামায আদায় করনি। তারপর সে ফিরে গিয়ে নামায আদায় করলো।
পরে এসে নবী (ﷺ)-কে সালাম করলো। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, তুমি ফিরে গিয়ে নামায আদায় কর। কারণ তুমি নামায আদায় করনি। এমনিভাবে তৃতীয় অথবা চতুর্থ বারে সে বলল, সেই আল্লাহর শপথ, যিনি আপনার উপর কিতাব (কুরআন) অবর্তীর্ণ করেছেন, আমি তো খুব চেষ্টা করে দেখলাম এবং আমি নামায আদায় করতে চাইও, আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন।
তখন তিনি বললেন, তুমি যখন নামায আদায় করতে ইচ্ছা কর তখন উত্তম রূপে উযু করবে, তারপর কিবলার দিকে মুখ করে তাকবীর বলবে, তারপর কুরআন পড়ে (তাকবীর বলে) রুকুতে যাবে। রুকুতে স্থির হবে। তারপর মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তারপর সিজদায় গিয়ে স্থিরভাবে সিজদা করবে তারপর সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে স্থিরভাবে বসবে। আবার সিজদায় গিয়ে স্থিরভাবে সিজদা করবে। তারপর মাথা উঠাবে। যদি তুমি এই নিয়মে তোমার নামায শেষ কর, তবে তোমার নামাযপূর্ণ হবে। আর যদি এই নিয়মে কোন ক্রটি হয় তবে তোমার নামাযও ততটূকু ক্রটিযুক্ত হবে।
পরে এসে নবী (ﷺ)-কে সালাম করলো। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, তুমি ফিরে গিয়ে নামায আদায় কর। কারণ তুমি নামায আদায় করনি। এমনিভাবে তৃতীয় অথবা চতুর্থ বারে সে বলল, সেই আল্লাহর শপথ, যিনি আপনার উপর কিতাব (কুরআন) অবর্তীর্ণ করেছেন, আমি তো খুব চেষ্টা করে দেখলাম এবং আমি নামায আদায় করতে চাইও, আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন।
তখন তিনি বললেন, তুমি যখন নামায আদায় করতে ইচ্ছা কর তখন উত্তম রূপে উযু করবে, তারপর কিবলার দিকে মুখ করে তাকবীর বলবে, তারপর কুরআন পড়ে (তাকবীর বলে) রুকুতে যাবে। রুকুতে স্থির হবে। তারপর মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তারপর সিজদায় গিয়ে স্থিরভাবে সিজদা করবে তারপর সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে স্থিরভাবে বসবে। আবার সিজদায় গিয়ে স্থিরভাবে সিজদা করবে। তারপর মাথা উঠাবে। যদি তুমি এই নিয়মে তোমার নামায শেষ কর, তবে তোমার নামাযপূর্ণ হবে। আর যদি এই নিয়মে কোন ক্রটি হয় তবে তোমার নামাযও ততটূকু ক্রটিযুক্ত হবে।
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدِ بْنِ رَافِعِ بْنِ مَالِكٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَمٍّ، لَهُ بَدْرِيٍّ قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَرْمُقُهُ فِي صَلاَتِهِ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ قَالَ لَهُ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَرَجَعَ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ قَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . حَتَّى كَانَ عِنْدَ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ فَقَالَ وَالَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ لَقَدْ جَهِدْتُ وَحَرَصْتُ فَأَرِنِي وَعَلِّمْنِي . قَالَ " إِذَا أَرَدْتَ أَنْ تُصَلِّيَ فَتَوَضَّأْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ قَاعِدًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ فَإِذَا أَتْمَمْتَ صَلاَتَكَ عَلَى هَذَا فَقَدْ تَمَّتْ وَمَا انْتَقَصْتَ مِنْ هَذَا فَإِنَّمَا تَنْتَقِصُهُ مِنْ صَلاَتِكَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩১৫
সর্বনিম্ন পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত করণ যদ্বারা নামায শুদ্ধ হয়ে যায়।
১৩১৮। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে হিশাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিতর নামায সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেন, আমরা তাঁর জন্য মিসওয়াক প্রস্তুত রাখতাম এবং ওযুর পানি রাখতাম। তারপর যখন রাতে আল্লাহর ইচ্ছা হত তাঁকে তুলে দিতেন, তখন তিনি মিসওয়াক করে ওযু করতেন এবং আট রাকআত নামায আদায় করতেন। তাতে তিনি অষ্টম রাকআতের শেষে বসতেন, এবং আল্লাহর যিক্র ও দোয়া করতেন। তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমরা শুনতে পেতাম।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، قَالَ قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ وَتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطُهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ لِمَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ فِيهِنَّ إِلاَّ عِنْدَ الثَّامِنَةِ فَيَجْلِسُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَدْعُو ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান