কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১৩. নামাযে সাহু তথা ভূলের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৮৩
নামাযে হস্তদ্বয় উঠানো এবং হামদ (আলহামদুলিল্লাহ) ও সানা পাঠ করা।
১১৮৬। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাযী (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সাদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু আমর ইবনে আউফে (কোন সংকট) মীমাংসার জন্য গেলেন। এরপর নামাযের সময় হলে মুয়াযযিন আবু বকর (রাযিঃ)-এর কাছে এসে সাহাবীগণকে একত্র করে তাদের ইমামতি করতে অনুরোধ করলেন। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে কাতার ফাঁক করে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে গেলেন। সাহাবীগণ আবু বকর (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আগমন সম্পর্কে অবহিত করার জন্য হাতে তালি দিলেন।
আবু বকর (রাযিঃ) নামাযে (একাগ্রতার কারণে) অন্য দিকে লক্ষ্য করতেন না। যখন হাত তালির মাত্রা বেড়ে গেল তিনি বুঝতে পারলেন যে, তাদের নামাযে কোন কিছু ঘটেছে। তিনি লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আগমন সম্বন্ধে অবহিত হলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে ইশারা করলেন যে, তুমি নিজ অবস্থায় থাক।
তখন আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এ কথার জন্য তার হস্তদ্বয় উত্তোলন পূর্বক আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তার গুণগান করলেন এবং পিছু হটে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অগ্রসর হয়ে নামায আদায় করলেন। নামায শেষ করে তিনি আবু বকর (রাযিঃ)-কে বললেন, আমি যখন তোমার প্রতি ইশারা করেছিলাম তখন তোমাকে নামায আদায় করতে কিসে বারণ করেছিল?
তিনি বললেন, ইবনে আবু কোহাফার (আবু বকর) জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে ইমামতি করা সমীচীন ছিল না। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীগণকে বললেন, তোমাদের কি হয়েছিল? তোমরা হাতে তালি দিয়েছিলে কেন? হাতে তালিতো দেওয়া তো নারীদের জন্য। এরপর বললেন, যদি তোমাদের নামাযে কিছু ঘটে যায় তবে তোমরা তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) পড়বে।
আবু বকর (রাযিঃ) নামাযে (একাগ্রতার কারণে) অন্য দিকে লক্ষ্য করতেন না। যখন হাত তালির মাত্রা বেড়ে গেল তিনি বুঝতে পারলেন যে, তাদের নামাযে কোন কিছু ঘটেছে। তিনি লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আগমন সম্বন্ধে অবহিত হলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে ইশারা করলেন যে, তুমি নিজ অবস্থায় থাক।
তখন আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এ কথার জন্য তার হস্তদ্বয় উত্তোলন পূর্বক আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তার গুণগান করলেন এবং পিছু হটে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অগ্রসর হয়ে নামায আদায় করলেন। নামায শেষ করে তিনি আবু বকর (রাযিঃ)-কে বললেন, আমি যখন তোমার প্রতি ইশারা করেছিলাম তখন তোমাকে নামায আদায় করতে কিসে বারণ করেছিল?
তিনি বললেন, ইবনে আবু কোহাফার (আবু বকর) জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে ইমামতি করা সমীচীন ছিল না। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীগণকে বললেন, তোমাদের কি হয়েছিল? তোমরা হাতে তালি দিয়েছিলে কেন? হাতে তালিতো দেওয়া তো নারীদের জন্য। এরপর বললেন, যদি তোমাদের নামাযে কিছু ঘটে যায় তবে তোমরা তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) পড়বে।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - وَهُوَ ابْنُ عُمَرَ - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ انْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصْلِحُ بَيْنَ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَجَاءَ الْمُؤَذِّنُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَأَمَرَهُ أَنْ يَجْمَعَ النَّاسَ وَيَؤُمَّهُمْ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَقَ الصُّفُوفَ حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ وَصَفَّحَ النَّاسُ بِأَبِي بَكْرٍ لِيُؤْذِنُوهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لاَ يَلْتَفِتُ فِي الصَّلاَةِ فَلَمَّا أَكْثَرُوا عَلِمَ أَنَّهُ قَدْ نَابَهُمْ شَىْءٌ فِي صَلاَتِهِمْ فَالْتَفَتَ فَإِذَا هُوَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىْ كَمَا أَنْتَ فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ يَدَيْهِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ رَجَعَ الْقَهْقَرَى وَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ لأَبِي بَكْرٍ " مَا مَنَعَكَ إِذْ أَوْمَأْتُ إِلَيْكَ أَنْ تُصَلِّيَ " . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه مَا كَانَ يَنْبَغِي لاِبْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يَؤُمَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ " مَا بَالُكُمْ صَفَّحْتُمْ إِنَّمَا التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ " . ثُمَّ قَالَ " إِذَا نَابَكُمْ شَىْءٌ فِي صَلاَتِكُمْ فَسَبِّحُوا " .