কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১২. তাত্ববীক্ব [রুকুতে দুইহাত হাঁটুদ্বয়ের মাঝে রাখা] এবং অবশিষ্ট নামাযের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৩৬
সিজদায় তাসবীহ পরিত্যাগ করার অনুমতি।
১১৩৯। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ মুকরী (রাহঃ) ......... রিফাআ ইবনে রাফি (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উপবিষ্ট ছিলেন আর আমরা তাঁর আশেপাশে বসা ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি প্রবেশ করে কিবলার দিকে এসে নামায আদায় করল। সে নামায শেষ করে এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে সালাম করল এবং দলের অন্যদেরকেও। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, যাও, নামায আদায় কর। কেননা, তুমি নামায আদায় করনি। সে ব্যক্তি গিয়ে আবার নামায আদায় করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখছিলেন।
সে ব্যক্তি বুঝতে পারল না, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এতে কী ভুল ধরেছেন। সে এবারও নামায শেষ করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে তাঁকে এবং দলের অন্যদেরকে সালাম করল। এবারও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, যাও, নামায আদায় কর। কেননা, তুমি নামায আদায় করনি। সে ব্যক্তি এভাবে দু’বার কি তিনবার নামায পুনঃ আদায় করলেন। তারপর সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার নামাযে কী ভুল পেলেন?
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের কারও নামায হবে না যতক্ষণ না সে আল্লাহ তাআলা যেরূপ উযু করতে আদেশ করেছেন সেরূপ উযু না করে। অর্থাৎ সে তার চেহারা এবং উভয় হাত কনূই পর্যন্ত ধৌত না করে এবং তার মাথা মাসাহ্ না করে এবং তার উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত না করে। তারপর আল্লাহর তাকবীর না বলে (তাকবীর তাহরীমা না বলে) এবং তার তাহমীদ ও তামজীদ না করে (ছানা না পড়ে)। তারপর কুরআনের যতটুকু সম্ভব পড়বে, আল্লাহ তাকে যতটুকু শিক্ষাদান করেছেন এবং যার অনুমতি দান করেছেন। তারপর তাকবীর বলে রুকু করবে যেন তার সকল অঙ্গ স্থির হয়ে যায়।
তারপর বলবে سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ তারপর সোজা হয়ে দাড়াবে যেন তার পিঠ সোজা হয়ে যায়। পরে তাকবীর বলে সিজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয়। আর তার সকল অঙ্গ সোজা হয়ে হয়ে যায়। এরপর তাকবীর বলবে এবং মাথা তুলে সোজা হয়ে বসবে বসার অঙ্গের উপর। আর পিঠ সোজা রাখবে। তারপর তাকবীর বলে সিজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয় এবং স্থির হয়ে যায়। যখন এরূপ না করবে তার নামায পুর্ণ হবে না।
সে ব্যক্তি বুঝতে পারল না, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এতে কী ভুল ধরেছেন। সে এবারও নামায শেষ করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে তাঁকে এবং দলের অন্যদেরকে সালাম করল। এবারও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, যাও, নামায আদায় কর। কেননা, তুমি নামায আদায় করনি। সে ব্যক্তি এভাবে দু’বার কি তিনবার নামায পুনঃ আদায় করলেন। তারপর সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার নামাযে কী ভুল পেলেন?
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের কারও নামায হবে না যতক্ষণ না সে আল্লাহ তাআলা যেরূপ উযু করতে আদেশ করেছেন সেরূপ উযু না করে। অর্থাৎ সে তার চেহারা এবং উভয় হাত কনূই পর্যন্ত ধৌত না করে এবং তার মাথা মাসাহ্ না করে এবং তার উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত না করে। তারপর আল্লাহর তাকবীর না বলে (তাকবীর তাহরীমা না বলে) এবং তার তাহমীদ ও তামজীদ না করে (ছানা না পড়ে)। তারপর কুরআনের যতটুকু সম্ভব পড়বে, আল্লাহ তাকে যতটুকু শিক্ষাদান করেছেন এবং যার অনুমতি দান করেছেন। তারপর তাকবীর বলে রুকু করবে যেন তার সকল অঙ্গ স্থির হয়ে যায়।
তারপর বলবে سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ তারপর সোজা হয়ে দাড়াবে যেন তার পিঠ সোজা হয়ে যায়। পরে তাকবীর বলে সিজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয়। আর তার সকল অঙ্গ সোজা হয়ে হয়ে যায়। এরপর তাকবীর বলবে এবং মাথা তুলে সোজা হয়ে বসবে বসার অঙ্গের উপর। আর পিঠ সোজা রাখবে। তারপর তাকবীর বলে সিজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয় এবং স্থির হয়ে যায়। যখন এরূপ না করবে তার নামায পুর্ণ হবে না।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ أَبُو يَحْيَى، بِمَكَّةَ - وَهُوَ بَصْرِيٌّ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدِ بْنِ مَالِكِ بْنِ رَافِعِ بْنِ مَالِكٍ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ، رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَنَحْنُ حَوْلَهُ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَأَتَى الْقِبْلَةَ فَصَلَّى فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ اذْهَبْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَذَهَبَ فَصَلَّى فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْمُقُ صَلاَتَهُ وَلاَ يَدْرِي مَا يَعِيبُ مِنْهَا فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ اذْهَبْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَأَعَادَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا عِبْتَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهَا لَمْ تَتِمَّ صَلاَةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَيَغْسِلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَيَمْسَحَ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُكَبِّرَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَحْمَدَهُ وَيُمَجِّدَهُ " . قَالَ هَمَّامٌ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ " وَيَحْمَدَ اللَّهَ وَيُمَجِّدَهُ وَيُكَبِّرَهُ " . قَالَ فَكِلاَهُمَا قَدْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ قَالَ " وَيَقْرَأَ مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ مِمَّا عَلَّمَهُ اللَّهُ وَأَذِنَ لَهُ فِيهِ ثُمَّ يُكَبِّرَ وَيَرْكَعَ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ثُمَّ يَقُولَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ يَسْتَوِيَ قَائِمًا حَتَّى يُقِيمَ صُلْبَهُ ثُمَّ يُكَبِّرَ وَيَسْجُدَ حَتَّى يُمَكِّنَ وَجْهَهُ " . وَقَدْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ " جَبْهَتَهُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ وَيُكَبِّرَ فَيَرْفَعَ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا عَلَى مَقْعَدَتِهِ وَيُقِيمَ صُلْبَهُ ثُمَّ يُكَبِّرَ فَيَسْجُدَ حَتَّى يُمَكِّنَ وَجْهَهُ وَيَسْتَرْخِيَ فَإِذَا لَمْ يَفْعَلْ هَكَذَا لَمْ تَتِمَّ صَلاَتُهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: