কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

১১. নামায শুরু করার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১০১১
আন্তর্জাতিক নং: ১০১১
মহান আল্লাহর বাণীঃ { وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا } এর ব্যাখ্যা।
১০১৪। আহমদ ইবনে মানী ও ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম দাওরাকী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا আয়াত সম্বন্ধে তিনি বলেন, যখন এ আয়াতগুলা নাযিল হয় তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কায় চুপে চুপে কুরআন পড়তেন। তিনি যখন তার সাথীদের নিয়ে নামায আদায় করতেন, তখন তাঁর আওয়াজ বুলন্দ করতেন। ইবনে মানী বলেন, তখন উচ্চ স্বরে কুরআন পড়তেন।

আর মুশরিকরা যখন তার শব্দ শুনত তখন তারা কুরআনকে, কুরআন অবতরণ কারীকে এবং যিনি এ কুরআন নিয়ে এসেছেন তাকে গালি দিত। তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী (ﷺ)-কে বললেন, আপনার নামাযকে অর্থাৎ নামাযের কিরাআতকে উচ্চ করবেন না। কেননা, মুশরিকরা তা শুনে কুরআনকে গালি দিবে। আর আপনার সাথীদের থেকে তা চুপেচুপেও পড়বেন না। তাহলে তারা শুনতে পাবে না, এতদুভয়ের মধ্যপন্থা অবলম্বন করুন।
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، جَعْفَرُ بْنُ أَبِي وَحْشِيَّةَ - وَهُوَ ابْنُ إِيَاسٍ - عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا) قَالَ نَزَلَتْ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُخْتَفٍ بِمَكَّةَ فَكَانَ إِذَا صَلَّى بِأَصْحَابِهِ رَفَعَ صَوْتَهُ - وَقَالَ ابْنُ مَنِيعٍ يَجْهَرُ بِالْقُرْآنِ - وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا سَمِعُوا صَوْتَهُ سَبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَقَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِنَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ) أَىْ بِقِرَاءَتِكَ فَيَسْمَعُ الْمُشْرِكُونَ فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ (وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا) عَنْ أَصْحَابِكَ فَلاَ يَسْمَعُوا (وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً) .
হাদীস নং:১০১২
আন্তর্জাতিক নং: ১০১২
মহান আল্লাহর বাণীঃ { وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا } এর ব্যাখ্যা।
১০১৫। মুহাম্মাদ ইবনে কুদামাহ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) উচ্চস্বরে কুরআন পাঠ করতেন। আর মুশরিকরা যখন তার আওয়াজ শ্রবণ করত তখন কুরআনকে এবং যিনি তা আনয়ন করেছেন তাকে গালি দিত। তখন নবী (ﷺ) নিম্নস্বরে কুরআন পড়তে আরম্ভ করলেন যা সাহাবায়ে কিরাম শুনতে পেতেন না। তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন আপনি আপনার নামায উচ্চস্বরে পড়বেন না, আবার একেবারে নীরবেও পড়বেন না, বরং এতদুভয়ের মধ্যপন্থা অবলম্বন করুন।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا سَمِعُوا صَوْتَهُ سَبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْفِضُ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ مَا كَانَ يَسْمَعُهُ أَصْحَابُهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً) " .