কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

১০. ইমামত - জামাআতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৮৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪৫
ইমামত - জামাআতের অধ্যায়
ক্বাযা নামাযের জামাআত
৮৪৬। আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলার পূর্বে আমাদের দিকে মূখ ফিরিয়ে বললেন। তোমরা কাতার সোজা কর এবং পরস্পর মিলে মিশে দাঁড়াও। কেননা আমি তোমাদের আমার পিঠের পেছন দিক থেকে দেখে থাকি।
كتاب الإمامة
الجماعة للفائت من الصلاة
أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِوَجْهِهِ حِينَ قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ قَبْلَ أَنْ يُكَبِّرَ فَقَالَ " أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَتَرَاصُّوا فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي " .
হাদীস নং: ৮৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪৬
ইমামত - জামাআতের অধ্যায়
ক্বাযা নামাযের জামাআত
৮৪৭। হান্নাদ ইবনে সাররী (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম হঠাৎ দলের একজন বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আরও বিলম্ব করে নামায আদায় করতেন। তিনি বললেনঃ আমি ভয় করি তোমরা নামায ছেড়ে শুয়ে পড়বে। বিলাল (রাযিঃ) বললেন আমি আপনাদের দেখাশুনা করব। তারপর সকলেই শুয়ে পড়লেন এবং নিদ্রা গেলেন। বিলাল (রাযিঃ) তার সওয়ারীর সাথে হেলান দিয়ে পিঠ লাগিয়ে রইলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাগ্রত হয়ে দেখলেন সূর্য উদিত হচ্ছে।

তিনি বললেনঃ হে বিলাল! তুমি যা বলেছিলে তা কোথায়? তিনি বললেন আমাকে এত গভীর নিদ্রা আর কখনো পায়নি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন ইচ্ছা করলেন তখন তোমাদের রুহ কবজ করে নিলেন আর যখন ইচ্ছা ফিরিয়ে দিলেন। উঠ লোকদের নামাযের আহবান কর। তারপর বিলাল (রাযিঃ) উঠে আযান দিলেন, এরপর সকলে উযু করলেন অর্থাৎ যখন সূর্য বেশ উপরে উঠলো। পরে তিনি দাঁড়িয়ে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করলেন।
كتاب الإمامة
الجماعة للفائت من الصلاة
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو زُبَيْدٍ، - وَاسْمُهُ عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ - عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ قَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ لَوْ عَرَّسْتَ بِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِنِّي أَخَافُ أَنْ تَنَامُوا عَنِ الصَّلاَةِ " . قَالَ بِلاَلٌ أَنَا أَحْفَظُكُمْ . فَاضْطَجَعُوا فَنَامُوا وَأَسْنَدَ بِلاَلٌ ظَهْرَهُ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ طَلَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَقَالَ " يَا بِلاَلُ أَيْنَ مَا قُلْتَ " . قَالَ مَا أُلْقِيَتْ عَلَىَّ نَوْمَةٌ مِثْلُهَا قَطُّ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَبَضَ أَرْوَاحَكُمْ حِينَ شَاءَ فَرَدَّهَا حِينَ شَاءَ قُمْ يَا بِلاَلُ فَآذِنِ النَّاسَ بِالصَّلاَةِ " . فَقَامَ بِلاَلٌ فَأَذَّنَ فَتَوَضَّئُوا - يَعْنِي حِينَ ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ - ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى بِهِمْ .