কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১০. ইমামত - জামাআতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩২
বসে নামায আদায়কারী ইমামের পেছনে ইকতিদা করা।
৮৩৩। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ঘোড়ায় আরোহণ করলেন এবং তা থেকে পড়ে তার ডান পাঁজরে আঘাত পেলেন। এরপর এক ওয়াক্ত নামায বসে আদায় করলেন আমরাও তার পেছনে বসে নামায আদায় করি। নামায শেষ করে তিনি বললেনঃ ইমাম নিযুক্ত হয় তার অনুসরণ করার জন্য। ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামায আদায় করেন, তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে। যখন ইমাম سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তখন তোমরা বলবে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ আর যখন ইমান বসে নামায আদায় করবে তখন তোমরাও বসে নামায আদায় করবে।
الائتمام بالإمام يصلي قاعدا
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكِبَ فَرَسًا فَصُرِعَ عَنْهُ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ فَصَلَّى صَلاَةً مِنَ الصَّلَوَاتِ وَهُوَ قَاعِدٌ فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৩
বসে নামায আদায়কারী ইমামের পেছনে ইকতিদা করা।
৮৩৪। মুহাম্মাদ ইবনুল আ’লা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রোগ যখন বেড়ে গেল, তখন বিলাল (রাযিঃ) তাকে নামাযের খবর দিতে আসলেন। তিনি বললেনঃ আবু বকর (রাযিঃ)-কে বল, সে যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করে। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আবু বকর একজন কোমল হৃদয়ের মানুষ। তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, তখন তিনি লোকদের কির’আত শোনাতে পারবেন না।
অতএব যদি আপনি উমর (রাযিঃ)-কে আদেশ করতেন তবে ভাল হত। তিনি বললেনঃ আবু বকর (রাযিঃ)-কে বল, যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করে। তারপর আমি হাফসা (রাযিঃ)-কে আমার কথা বলার জন্য বললাম। তিনিও তাঁকে তা বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা (পীড়াপীড়ি করার ব্যাপারে) ঐ সকল নারীর ন্যায় যারা ইউসূফ (আলাইহিস সালাম) এর ব্যাপারে জড়িত ছিল। আবু বকর (রাযিঃ)-কে বল, লোকদের নিয়ে নামায আদায় করতে।
তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বলেনঃ তাঁকে অনুরোধ করা হলে যখন তিনি নামায আরম্ভ করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছুটা স্বস্তিবোধ করলেন, তিনি দাঁড়িয়ে দু’জন লোকের সহায়তায় চললেন আর তার পদদ্বয় মাটিতে হেঁচড়াচ্ছিল। যখন তিনি মসজিদে প্রবেশ করলেন, আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর আগমন অনুভব করে পেছনে হটতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে ইঙ্গিতে নিজ অবস্থায় থাকতে বললেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে আবু বকর (রাযিঃ)-এর বামদিকে দাঁড়ালেন এবং লোকদের সাথে বসে নামায আদায় করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের নিয়ে নামায আদায় করছিলেন বসে, আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন দাঁড়ানো। আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইক্তিদা করছিলেন আর অন্য লোকেরা ইক্তিদা করছিল আবু বকর (রাযিঃ)-এর নামাযের।
অতএব যদি আপনি উমর (রাযিঃ)-কে আদেশ করতেন তবে ভাল হত। তিনি বললেনঃ আবু বকর (রাযিঃ)-কে বল, যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করে। তারপর আমি হাফসা (রাযিঃ)-কে আমার কথা বলার জন্য বললাম। তিনিও তাঁকে তা বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা (পীড়াপীড়ি করার ব্যাপারে) ঐ সকল নারীর ন্যায় যারা ইউসূফ (আলাইহিস সালাম) এর ব্যাপারে জড়িত ছিল। আবু বকর (রাযিঃ)-কে বল, লোকদের নিয়ে নামায আদায় করতে।
তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বলেনঃ তাঁকে অনুরোধ করা হলে যখন তিনি নামায আরম্ভ করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছুটা স্বস্তিবোধ করলেন, তিনি দাঁড়িয়ে দু’জন লোকের সহায়তায় চললেন আর তার পদদ্বয় মাটিতে হেঁচড়াচ্ছিল। যখন তিনি মসজিদে প্রবেশ করলেন, আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর আগমন অনুভব করে পেছনে হটতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে ইঙ্গিতে নিজ অবস্থায় থাকতে বললেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে আবু বকর (রাযিঃ)-এর বামদিকে দাঁড়ালেন এবং লোকদের সাথে বসে নামায আদায় করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের নিয়ে নামায আদায় করছিলেন বসে, আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন দাঁড়ানো। আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইক্তিদা করছিলেন আর অন্য লোকেরা ইক্তিদা করছিল আবু বকর (রাযিঃ)-এর নামাযের।
الائتمام بالإمام يصلي قاعدا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَ بِلاَلٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ وَإِنَّهُ مَتَى يَقُومُ فِي مَقَامِكَ لاَ يُسْمِعُ النَّاسَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ . فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ فَقَالَتْ لَهُ . فَقَالَ " إِنَّكُنَّ لأَنْتُنَّ صَوَاحِبَاتُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . قَالَتْ فَأَمَرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلَمَّا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ وَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً - قَالَتْ - فَقَامَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلاَهُ تَخُطَّانِ فِي الأَرْضِ فَلَمَّا دَخَلَ الْمَسْجِدَ سَمِعَ أَبُو بَكْرٍ حِسَّهُ فَذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ قُمْ كَمَا أَنْتَ قَالَتْ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى قَامَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ جَالِسًا فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ جَالِسًا وَأَبُو بَكْرٍ قَائِمًا يَقْتَدِي أَبُو بَكْرٍ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ يَقْتَدُونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৪
বসে নামায আদায়কারী ইমামের পেছনে ইকতিদা করা।
৮৩৫। আব্বাস ইবনে আব্দুল আযীম আম্বারী (রাহঃ) ......... উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, আপনি কি আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রোগ সম্বন্ধে অবহিত করবেন না? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রোগ যখন বেড়ে গেল তখন তিনি বললেন, লোকেরা কি নামায আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললামঃ না, আপনার অপেক্ষা করছে ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন আমার জন্য পাত্রে কিছু পানি রাখ। আমরা তা করলে তিনি গোসল করলেন এবং মসজিদে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন। ইত্যবসরে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। তারপর কিছুটা সূস্থ হয়ে বললেন, লোকগণ কি নামায আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা আপনার অপেক্ষা করছে। তিনি বললেন আমার জন্য পাত্রে কিছু পানি রাখ। আমরা যখন পানি রাখলাম তিনি গোসল করলেন। তারপর দাঁড়াবার ইচ্ছা করলে আবার তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এরপর তৃতীয়বারও তিনি ঐরূপ বললেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তখন লোকেরা মসজিদে ইশার নামাযের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অপেক্ষায় অবস্থান করছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ) এর নিকট লোক পাঠিয়ে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করতে বললেন। সেই লোক এসে তাঁকে সংবাদ দিল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করতে বলেছেন। আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি উমর (রাযিঃ)-কে বললেন, হে উমর! লোকদের নিয়ে নামায আদায় করুন। তিনি বললেন, এ কাজের জন্য আপনিই উপযুক্ত। তারপর আবু বকর (রাযিঃ) এই কয়দিন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করলেন।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছুটা সুস্থতা অনুভব করলেন এবং তিনি দু’জন লোকের সাহায্য নিয়ে যোহরের নামাযের জন্য আসলেন। তাদের একজন ছিলেন আব্বাস (রাযিঃ)। যখন আবু বকর (রাযিঃ) তাঁকে দেখলেন তখন তিনি পিছে হটতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইঙ্গিতে পিছু হটতে নিষেধ করলেন এবং ঐ ব্যক্তিকে আদেশ করলে তাঁরা তাঁকে আবু বকর (রাযিঃ) এর পাশে বসিয়ে দিলেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন আর লোকগণ আবু বকরের ইক্তিদা করছিলেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসে নামায আদায় করছিলেন।
বর্ণনাকারী বলেনঃ তারপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট গিয়ে বললাম, আয়িশা (রাযিঃ) আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রোগ সম্বন্ধে যা বলেছেন, তা কি আপনার নিকট বর্ণনা করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি তাঁর নিকট বর্ণনা করলাম। তিনি তার কোন কিছুই অস্বীকার করলেন না। কিন্তু তিনি বললেন তিনি তোমার নিকট ঐ ব্যক্তির নাম বলেছেন কি, যিনি আব্বাসের সঙ্গে ছিলেন? আমি বললাম, না। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, তিনি ছিলেন আলী (রাযিঃ)।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তখন লোকেরা মসজিদে ইশার নামাযের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অপেক্ষায় অবস্থান করছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ) এর নিকট লোক পাঠিয়ে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করতে বললেন। সেই লোক এসে তাঁকে সংবাদ দিল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করতে বলেছেন। আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি উমর (রাযিঃ)-কে বললেন, হে উমর! লোকদের নিয়ে নামায আদায় করুন। তিনি বললেন, এ কাজের জন্য আপনিই উপযুক্ত। তারপর আবু বকর (রাযিঃ) এই কয়দিন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করলেন।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছুটা সুস্থতা অনুভব করলেন এবং তিনি দু’জন লোকের সাহায্য নিয়ে যোহরের নামাযের জন্য আসলেন। তাদের একজন ছিলেন আব্বাস (রাযিঃ)। যখন আবু বকর (রাযিঃ) তাঁকে দেখলেন তখন তিনি পিছে হটতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইঙ্গিতে পিছু হটতে নিষেধ করলেন এবং ঐ ব্যক্তিকে আদেশ করলে তাঁরা তাঁকে আবু বকর (রাযিঃ) এর পাশে বসিয়ে দিলেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন আর লোকগণ আবু বকরের ইক্তিদা করছিলেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসে নামায আদায় করছিলেন।
বর্ণনাকারী বলেনঃ তারপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট গিয়ে বললাম, আয়িশা (রাযিঃ) আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রোগ সম্বন্ধে যা বলেছেন, তা কি আপনার নিকট বর্ণনা করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি তাঁর নিকট বর্ণনা করলাম। তিনি তার কোন কিছুই অস্বীকার করলেন না। কিন্তু তিনি বললেন তিনি তোমার নিকট ঐ ব্যক্তির নাম বলেছেন কি, যিনি আব্বাসের সঙ্গে ছিলেন? আমি বললাম, না। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, তিনি ছিলেন আলী (রাযিঃ)।
الائتمام بالإمام يصلي قاعدا
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ أَلاَ تُحَدِّثِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَصَلَّى النَّاسُ " . فَقُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ " . فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ " أَصَلَّى النَّاسُ " . قُلْنَا لاَ هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ " . فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ فِي الثَّالِثَةِ مِثْلَ قَوْلِهِ قَالَتْ وَالنَّاسُ عُكُوفٌ فِي الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِصَلاَةِ الْعِشَاءِ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَبِي بَكْرٍ " أَنْ صَلِّ بِالنَّاسِ " . فَجَاءَهُ الرَّسُولُ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُكَ أَنْ تُصَلِّيَ بِالنَّاسِ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَجُلاً رَقِيقًا فَقَالَ يَا عُمَرُ صَلِّ بِالنَّاسِ . فَقَالَ أَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ . فَصَلَّى بِهِمْ أَبُو بَكْرٍ تِلْكَ الأَيَّامَ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَجَاءَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا الْعَبَّاسُ لِصَلاَةِ الظُّهْرِ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ يَتَأَخَّرَ وَأَمَرَهُمَا فَأَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِهِ فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي قَاعِدًا . فَدَخَلْتُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ أَلاَ أَعْرِضُ عَلَيْكَ مَا حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ . فَحَدَّثْتُهُ فَمَا أَنْكَرَ مِنْهُ شَيْئًا غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ أَسَمَّتْ لَكَ الرَّجُلَ الَّذِي كَانَ مَعَ الْعَبَّاسِ قُلْتُ لاَ . قَالَ هُوَ عَلِيٌّ كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَهُ .