কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

১০. ইমামত - জামাআতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮৯
বালেগ হওয়ার পূর্বে ইমামতি।
৭৯০। মুসা ইবনে আব্দুর রহমান মাসরুকী (রাহঃ) ......... আমর ইবনে সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের নিকট আরোহী যাত্রীগণ আসতেন আমরা তাঁদের নিকট কুরআন শিক্ষা করতাম। আমার পিতা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসলে তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে যে কুরআন বেশী জানে- সেই ইমামত করবে। আমার পিতা এসে বললেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে বেশী কুরআন জানে, সেই ইমামত করবে। তারা দেখলেন, আমি কুরআন অধিক জানি, তখন আমিই তাদের ইমামত করতাম আর তখন আমি ছিলাম আট বছরের বালক।[১]

[১] নাবালেগের ফরয সালাত নফল সালাত হিসেবে গণ্য। সুতরাং তার পেছনে বয়স্ক লোক ফরয সালাতের ইকতিদা করলে তার ফরয সালাতও নফল সালাত হিসেবে গণ্য হবে। এ কারণে নাবালেগের পেছনে বয়স্ক লোকের ফরম সালাতের ইকতিদা করা জায়েয নয়। এমনকি অধিকাংশ আলিমের মতে নাবালেগের পেছনে নফল সালাতের ইকতিদা করাও জায়েয নয়। আলোচা হাদীসের জবাবে বলা হবে যে, সাহাবীগণের এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জ্ঞাতসারে হয়নি। তাঁরা ইজতিহাদবশত এরূপ করেছিলেন। তারা মনে করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নির্দেশ, সাধারণ অর্থাৎ বালেগ-নাবালেগ সকলের মধ্যে যেই অধিক কুরআন জানে, সেই ইমামতি করবে। অথচ এ নির্দেশের মর্ম ছিল এই যে, বয়স্কদের মধ্যে যে অধিক কুরআান জানে, সে-ই ইমামতি করবে। অনুবাদক
إمامة الغلام قبل أن يحتلم
أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَسْرُوقِيُّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ سَلِمَةَ الْجَرْمِيُّ، قَالَ كَانَ يَمُرُّ عَلَيْنَا الرُّكْبَانُ فَنَتَعَلَّمُ مِنْهُمُ الْقُرْآنَ فَأَتَى أَبِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لِيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا " . فَجَاءَ أَبِي فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لِيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا " . فَنَظَرُوا فَكُنْتُ أَكْثَرَهُمْ قُرْآنًا فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَأَنَا ابْنُ ثَمَانِ سِنِينَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান