কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

১০. ইমামত - জামাআতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮৪
প্রজার ইমামতের সময় শাসক আসলে।
৭৮৫। কুতায়বা (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট সংবাদ পৌঁছল যে, বনু আমর ইবনে আউফ-এর মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছু লোকসহ তাদের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য বের হলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে কাজে আটকা পড়লেন। ইত্যবসরে যোহরের সময় হলো। বিলাল (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট এসে বললেনঃ হে আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তো আটকা পড়েছেন, আর এদিকে নামাযের সময় হয়েছে। আপনি কি লোকদের ইমাম হবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি তুমি ইচ্ছা কর। তখন বিলাল (রাযিঃ) ইকামত বললেন আর আবু বকর (রাযিঃ) সন্মুখে অগ্রসর হলেন। তিনি লোকদের নিয়ে নামাযের তাকবীর বললেন। এদিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হেঁটে এসে কাতারে দাঁড়ালেন। আর লোক (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপস্থিতির কথা জানানোর জন্য) হাত তালি দিতে লাগলেন।

আবু বকর (রাযিঃ) নামাযের মধ্যে এদিকে লক্ষ্য করছিলেন না। যখন লোক এগুলো বারবার করতে লাগলেন তখন তিনি লক্ষ্য করে দেখলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উপস্থিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইঙ্গিতে নামায আদায় করতে আদেশ করলেন। আবু বকর (রাযিঃ) তার হস্তদ্বয় উত্তোলন করে আল্লাহর প্রশ্নংসা করলেন এবং পেছনে সরে আসলেন এবং নামাযের কাতারে দাঁড়িয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ), সম্মুখে অগ্রসর হয়ে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করলেন।

তিনি নামায শেয করে লোকদের দিকে ফিরে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের কি হলো যে নামাযে কোন সমস্যা দেখা দিলে তোমরা হাত তালি দিতে আরম্ভ কর? হাত তালি দেওয়া তো নারীদের জন্য। নামাযে কারো কোন সমস্যা দেখা দিলে সে যেন সূবহানাল্লাহ বলে। কেননা সুবহানাল্লাহ বলতে শুনলে সকলের তার দিকে লক্ষ্য করবে। (তারপর তিনি বললেনঃ) হে আবু বকর! আমি যখন তোমার প্রতি ইঙ্গিত করলাম তখন নামায আদায় করা থেকে তোমাকে কোন বস্তু বিরত রাখলো? আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে আবু কুহাফার পূত্রের ইমামতি করা শোভা পায় না।
إذا تقدم الرجل من الرعية ثم جاء الوالي , هل يتأخر؟
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَلَغَهُ أَنَّ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ كَانَ بَيْنَهُمْ شَىْءٌ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُصْلِحَ بَيْنَهُمْ فِي أُنَاسٍ مَعَهُ فَحُبِسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَانَتِ الأُولَى فَجَاءَ بِلاَلٌ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ حُبِسَ وَقَدْ حَانَتِ الصَّلاَةُ فَهَلْ لَكَ أَنْ تَؤُمَّ النَّاسَ قَالَ نَعَمْ إِنْ شِئْتَ . فَأَقَامَ بِلاَلٌ وَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ فَكَبَّرَ بِالنَّاسِ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْشِي فِي الصُّفُوفِ حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ وَأَخَذَ النَّاسُ فِي التَّصْفِيقِ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لاَ يَلْتَفِتُ فِي صَلاَتِهِ فَلَمَّا أَكْثَرَ النَّاسُ الْتَفَتَ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُهُ أَنْ يُصَلِّيَ فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ يَدَيْهِ فَحَمِدَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَرَجَعَ الْقَهْقَرَى وَرَاءَهُ حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ فَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا لَكُمْ حِينَ نَابَكُمْ شَىْءٌ فِي الصَّلاَةِ أَخَذْتُمْ فِي التَّصْفِيقِ إِنَّمَا التَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ مَنْ نَابَهُ شَىْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَقُلْ سُبْحَانَ اللَّهِ فَإِنَّهُ لاَ يَسْمَعُهُ أَحَدٌ حِينَ يَقُولُ سُبْحَانَ اللَّهِ إِلاَّ الْتَفَتَ إِلَيْهِ يَا أَبَا بَكْرٍ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ لِلنَّاسِ حِينَ أَشَرْتُ إِلَيْكَ " . قَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا كَانَ يَنْبَغِي لاِبْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يُصَلِّيَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم