কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৬. নামাযের সময়সূচী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬২১
আন্তর্জাতিক নং: ৬২১
কিভাবে ক্বাযা নামায আদায় করতে হয়
৬২২। হান্নাদ ইবনে সাররী (রাহঃ) ......... আবু মারয়াম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সারা রাত্র সফর করলাম। পরে রাতের শেষাংশে ফজরের নিকটবর্তী সময়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক স্থানে অবতরণ করলেন এবং কিছুক্ষণ পরই ঘুমিয়ে পড়লেন। তার সঙ্গীগণও ঘুমিয়ে পড়লেন। সূর্যের আলোকরশ্মি স্পর্শ না করা পর্যন্ত কেউই জাগ্রত হলেন না। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুয়াযযিনকে আযান দিতে আদেশ করলেন। মুয়াযযিন আযান দিলে তিনি দুই রাক’আত ফজরের সুন্নত নামায আদায় করলেন। আবার ইকামত বললে তিনি সাহাবীদের নিয়ে ফরয আদায় করলেন। তারপর আমাদেরকে কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিতব্য বড় বড় ঘটনাবলীর কথা বর্ণনা করলেন।
كيف يقضى الفائت من الصلاة
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَسْرَيْنَا لَيْلَةً فَلَمَّا كَانَ فِي وَجْهِ الصُّبْحِ نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَامَ وَنَامَ النَّاسُ فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ إِلاَّ بِالشَّمْسِ قَدْ طَلَعَتْ عَلَيْنَا فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُؤَذِّنَ فَأَذَّنَ ثُمَّ صَلَّى الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ ثُمَّ حَدَّثَنَا بِمَا هُوَ كَائِنٌ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৬২২
আন্তর্জাতিক নং: ৬২২
কিভাবে ক্বাযা নামায আদায় করতে হয়
৬২৩। সুওয়ায়দ ইবনে নসর (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। যোহর, আসর, মাগরিব ও ঈশা। এই চার ওয়াক্তের নামায আদায় করা হতে আমরা বাধাপ্রাপ্ত হলাম। এটা আমার নিকট কষ্টদায়ক হলো। মনে মনে ভাবলাম, আমরা তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে থেকে আল্লাহর পথে জিহাদ করছি (এরপরও কি আমাদের এরূপ দুর্ভাগ্য?) তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিলাল (রাযিঃ)-কে ইকামত দিতে আদেশ করলেন। ইকামত বললে আমাদের নিয়ে যোহরের নামায আদায় করলেন। আবার ইকামত বললে আসরের নামায আদায় করলেন। আবার ইকামত বললে মাগরিবের নামায আদায় করলেন। পূনরায় ইকামত বললে ঈশার নামায আদায় করলেন। তারপর আমাদের উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেনঃ ভূপৃষ্টে তোমাদের ছাড়া এমন কোন জামাআত নেই যারা আল্লাহ তা আলাকে স্মরণ করে।
كيف يقضى الفائت من الصلاة
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحُبِسْنَا عَنْ صَلاَةِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَالْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَىَّ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِلاَلاً فَأَقَامَ فَصَلَّى بِنَا الظُّهْرَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى بِنَا الْعَصْرَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى بِنَا الْمَغْرِبَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى بِنَا الْعِشَاءَ ثُمَّ طَافَ عَلَيْنَا فَقَالَ " مَا عَلَى الأَرْضِ عِصَابَةٌ يَذْكُرُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ غَيْرُكُمْ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৩
কিভাবে ক্বাযা নামায আদায় করতে হয়
৬২৪। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সারারাত সফর করার পর শেষরাতে অবতরণ করি এবং ঘুমিয়ে পড়ি। সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কারো নিদ্রাভঙ্গ হলো না। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের বললেনঃ প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাহনের লাগাম ধরে এ স্থান ত্যাগ কর। কেননা এ স্থানে শয়তান আমাদের কাছে হাযির হয়েছে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেনঃ আমরা এরূপই করলাম। তারপর গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পানি আনিয়ে উযু করলেন। এরপর দূ রাক’আত ফজরের সুন্নত আদায় করলেন। তারপর ইকামত হলে ফজরের ফরয আদায় করলেন।
كيف يقضى الفائت من الصلاة
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ عَرَّسْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِيَأْخُذْ كُلُّ رَجُلٍ بِرَأْسِ رَاحِلَتِهِ فَإِنَّ هَذَا مَنْزِلٌ حَضَرَنَا فِيهِ الشَّيْطَانُ " . قَالَ فَفَعَلْنَا فَدَعَا بِالْمَاءِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى الْغَدَاةَ .
হাদীস নং:৬২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৪
কিভাবে ক্বাযা নামায আদায় করতে হয়
৬২৫। আবু আসিম খুশায়শ ইবনে আসরাম (রাহঃ) ......... জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কে আমাদের আজ রাতে পাহারা দেবে? যাতে ফজরের নামাযের সময় ঘুমিয়ে না থাকি। বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমি। এই বলে তিনি সূর্যের উদয়-অন্ত অভিমুখী হয়ে রইলেন। কিন্তু তাদেরকে নিদ্রাগ্রস্ত করে দেওয়া হল। পরিশেষে সূর্যের কিরণ তাদের জাগ্রত করল। তখন সকলে সরে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা উযু কর। পরে বিলাল (রাযিঃ) আযান দিলেন। তিনি দু রাক’আত সূন্নত আদায় করলেন এবং অন্যরাও দু রাক’আত সূন্নত আদায় করলেন। তারপর সকলে দু রাক’আত ফজরের ফরয আদায় করলেন।
كيف يقضى الفائت من الصلاة
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، خُشَيْشُ بْنُ أَصْرَمَ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي سَفَرٍ لَهُ " مَنْ يَكْلَؤُنَا اللَّيْلَةَ لاَ نَرْقُدَ عَنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ " . قَالَ بِلاَلٌ أَنَا . فَاسْتَقْبَلَ مَطْلَعَ الشَّمْسِ فَضُرِبَ عَلَى آذَانِهِمْ حَتَّى أَيْقَظَهُمْ حَرُّ الشَّمْسِ فَقَامُوا فَقَالَ " تَوَضَّئُوا " . ثُمَّ أَذَّنَ بِلاَلٌ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَصَلَّوْا رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ صَلَّوُا الْفَجْرَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৬২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৫
কিভাবে ক্বাযা নামায আদায় করতে হয়
৬২৬। আবু আসিম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রে সফর করলেন এবং শেষরাতে একস্থানে অবতরণ করে ঘুমিয়ে পড়লেন। এমতাবস্থায় সূর্যোদয় হলো অথবা সূর্যের কিয়দাংশ উদিত হলো। তারপর পূর্ণরূপে সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করলেন না। তারপর নামায আদায় করলেন। এই নামায ছিল উসতা বা মধ্যবর্তী নামায।
كيف يقضى الفائت من الصلاة
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ هَرِمٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَدْلَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ عَرَّسَ فَلَمْ يَسْتَيْقِظْ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ أَوْ بَعْضُهَا فَلَمْ يُصَلِّ حَتَّى ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى وَهِيَ صَلاَةُ الْوُسْطَى .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান