কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৬. নামাযের সময়সূচী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৮
এর বিবরণ
৫৮৯। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাযীগ (রাহঃ) ......... কাছীর ইবনে ক্বারাওয়ান্দা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) কে তাঁর পিতার সফরের নামায সম্বন্ধে জানতে চাইলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি সফরে দু’ ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করতেন কি? তখন সালিম (রাহঃ) এই ঘটনা উল্লেখ করলেন যে, সফিয়্যা বিনতে আবু উবাইদ (রাযিঃ) তাঁর (আব্দুল্লাহর) সহধর্মিনী ছিলেন। সফিয়্যা অসুস্থ হয়ে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর নিকট পত্র লিখলেন। তখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাঁর দূরবর্তী জমিনে কৃষিকাজ করছিলেন।
পত্রে লিখলেন যে, আমি মনে করি আমার পার্থিব জীবনের শেষ দিনে এবং আখিরাতের প্রথম দিনে উপনীত হয়েছি। সংবাদ পাওয়ামাত্রই তিনি অশ্বারোহণ করে দ্রুতগতিতে আসতে লাগলেন। যখন যোহরের নামাযের সময় হল, মুয়াযযিন বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! নামায। তিনি ভ্রুক্ষেপ না করে চলতে লাগলেন। যখন দুই নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে উপনীত হল, (অর্থাত যোহরের শেষ ওয়াক্ত আসরের প্রথম ওয়াক্ত) তখন অবতরণ করলেন এবং বললেন, ইকামত দাও। যখন আমি নামায সমাপ্ত করি তখন আবার ইকামত দিবে। তারপর নামায আদায় করে আরোহণ করলেন।
আবার যখন সূর্যাস্ত গেল, মুয়াযযিন তাঁকে বললেন, নামায। তিনি বললেন, ঐরূপ আমল কর যেরূপ যোহর ও আসরের নামাযে করেছিলে। আবার পথ চললেন। তারপর যখন সমুজ্জ্বল তারকা আকাশে উদ্ভাসিত হল, তখন অবতরণ করে মুয়াযযিনকে বললেন, ইকামত বল। যখন নামায সমাপ্ত করি, তখন আবার ইকামত বলবে। এবার নামায আদায় করে তাদের দিকে ফিরলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারও সামনে এমন কোন জটিল কাজ দেখা দিবে যা ফওত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে, তখন এভাবে দু’ ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করে নেবে।[১]
[১] ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে সফরে, রোগ কিংবা বৃষ্টির কারণে দুই সালাতকে একত্রে আদায় করা দুরস্ত নয়। তবে হজ্জের মওসুমে আরাফাতে যোহর ও আসরের সালাত এবং মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশার সালাতকে একত্রে আদায় করা এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
পত্রে লিখলেন যে, আমি মনে করি আমার পার্থিব জীবনের শেষ দিনে এবং আখিরাতের প্রথম দিনে উপনীত হয়েছি। সংবাদ পাওয়ামাত্রই তিনি অশ্বারোহণ করে দ্রুতগতিতে আসতে লাগলেন। যখন যোহরের নামাযের সময় হল, মুয়াযযিন বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! নামায। তিনি ভ্রুক্ষেপ না করে চলতে লাগলেন। যখন দুই নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে উপনীত হল, (অর্থাত যোহরের শেষ ওয়াক্ত আসরের প্রথম ওয়াক্ত) তখন অবতরণ করলেন এবং বললেন, ইকামত দাও। যখন আমি নামায সমাপ্ত করি তখন আবার ইকামত দিবে। তারপর নামায আদায় করে আরোহণ করলেন।
আবার যখন সূর্যাস্ত গেল, মুয়াযযিন তাঁকে বললেন, নামায। তিনি বললেন, ঐরূপ আমল কর যেরূপ যোহর ও আসরের নামাযে করেছিলে। আবার পথ চললেন। তারপর যখন সমুজ্জ্বল তারকা আকাশে উদ্ভাসিত হল, তখন অবতরণ করে মুয়াযযিনকে বললেন, ইকামত বল। যখন নামায সমাপ্ত করি, তখন আবার ইকামত বলবে। এবার নামায আদায় করে তাদের দিকে ফিরলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারও সামনে এমন কোন জটিল কাজ দেখা দিবে যা ফওত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে, তখন এভাবে দু’ ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করে নেবে।[১]
[১] ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে সফরে, রোগ কিংবা বৃষ্টির কারণে দুই সালাতকে একত্রে আদায় করা দুরস্ত নয়। তবে হজ্জের মওসুমে আরাফাতে যোহর ও আসরের সালাত এবং মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশার সালাতকে একত্রে আদায় করা এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
بيان ذلك
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ قَارَوَنْدَا، قَالَ سَأَلْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ صَلاَةِ، أَبِيهِ فِي السَّفَرِ وَسَأَلْنَاهُ هَلْ كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ شَىْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ فِي سَفَرِهِ فَذَكَرَ أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ كَانَتْ تَحْتَهُ فَكَتَبَتْ إِلَيْهِ وَهُوَ فِي زَرَّاعَةٍ لَهُ أَنِّي فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا وَأَوَّلِ يَوْمٍ مِنَ الآخِرَةِ . فَرَكِبَ فَأَسْرَعَ السَّيْرَ إِلَيْهَا حَتَّى إِذَا حَانَتْ صَلاَةُ الظُّهْرِ قَالَ لَهُ الْمُؤَذِّنُ الصَّلاَةَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ . فَلَمْ يَلْتَفِتْ حَتَّى إِذَا كَانَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ نَزَلَ فَقَالَ أَقِمْ فَإِذَا سَلَّمْتُ فَأَقِمْ . فَصَلَّى ثُمَّ رَكِبَ حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ قَالَ لَهُ الْمُؤَذِّنُ الصَّلاَةَ . فَقَالَ كَفِعْلِكَ فِي صَلاَةِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ . ثُمَّ سَارَ حَتَّى إِذَا اشْتَبَكَتِ النُّجُومُ نَزَلَ ثُمَّ قَالَ لِلْمُؤَذِّنِ أَقِمْ فَإِذَا سَلَّمْتُ فَأَقِمْ . فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الأَمْرُ الَّذِي يَخَافُ فَوْتَهُ فَلْيُصَلِّ هَذِهِ الصَّلاَةَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: