কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

৬. নামাযের সময়সূচী - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫২২
আন্তর্জাতিক নং: ৫২২
মাগরিবের শেষ সময়।
৫২৩। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। শু’বা (রাহঃ) বলেন, কাতাদা (রাযিঃ) এই হাদীস কখনও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে মারফু’ রূপে বর্ণনা করেন, কখনও এরূপ বর্ণনা করেন না। তিনি [আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ)] বলেনঃ যোহরের শেষ সময় যতক্ষণ পর্যন্ত আসর উপস্থিত না হয়, আর আসরের সময় যতক্ষণ পর্যন্ত সুর্য হলুদ বর্ণ না হয় এবং মাগরিবের শেষ সময় যতক্ষণ পর্যন্ত শাফাক অদৃশ্য না হয়। ইশার শেষ সময় অর্ধ রাত্রের পূর্ব পর্যন্ত এবং ফজরের শেষ সময় সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত।
آخر وقت المغرب
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أَيُّوبَ الأَزْدِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، - قَالَ شُعْبَةُ كَانَ قَتَادَةُ يَرْفَعُهُ أَحْيَانًا وَأَحْيَانًا لاَ يَرْفَعُهُ - قَالَ " وَقْتُ صَلاَةِ الظُّهْرِ مَا لَمْ تَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَوَقْتُ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَسْقُطْ ثَوْرُ الشَّفَقِ وَوَقْتُ الْعِشَاءِ مَا لَمْ يَنْتَصِفِ اللَّيْلُ وَوَقْتُ الصُّبْحِ مَا لَمْ تَطْلُعِ الشَّمْسُ " .
হাদীস নং:৫২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৩
মাগরিবের শেষ সময়।
৫২৪। আব্দা ইবনে আব্দুল্লাহ ও আহমদ ইবনে সুলায়মান (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বিলাল (রাযিঃ)-কে নামাযের প্রস্তুতির জন্য আদেশ করলেন। প্রভাতের সময় বিলাল (রাযিঃ) ফজরের ইকামত বললেন।[১] যখন সুর্য ঢলে পড়ল তখন তিনি বিলালকে নির্দেশ দিলেন এবং তিনি যোহরের ইকামত বললেন। কেউ বলতো (এই মাত্র) দ্বিপ্রহর হল না কি? অথচ তিনি অবগত ছিলেন। পুনরায় আদেশ করলেন, অতঃপর সুর্য উর্ধাকাশে থাকতেই আসরের ইকামত বললেন। পুনরায় আদেশ করলেন এবং সুর্য অস্ত যাওয়ার পরই মাগরিবের ইকামত বললেন। এরপর শাফাক অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর ইশার নামাযের ইকামত বললেন।

পরদিন ফজরের নামায এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, নামায শেষে প্রত্যাবর্তনের সময় কেউ (সন্দেহ করে) বললো, সূর্যোদয় হয়ে গেছে।[২] পরে যোহরের নামাযকে এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, গতকালের আসরের সময়ের নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিল। আসরের নামাযকে এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, প্রত্যাবর্তনের সময় (সন্দিহান হয়ে) কেউ বললো, সুর্য রক্তিম বর্ণ হয়ে গেছে। পুনরায় মাগরিবের নামাযকে এত বিলম্বে করে আদায় করলেন যে, শাফাক অদৃশ্য হওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিলো। তিনি ইশার নামাযকে রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করে আদায় করলেন। পুনরায় বললেন, এই দুই দিনের দুই ধরনের ওয়াক্তের মধ্যখানেই নামাযের ওয়াক্ত।

[১] যোহরের সালাত সূর্য ঢলে পড়ামাত্র এত শীঘ্র আদায় করতেন যে, কেউ সূর্য দেখে মনে করতো যে, এখন ঠিক দ্বিপ্রহর। অথচ নবী (ﷺ) অবগত ছিলেন যে, সূর্য ঢলে গিয়েছে এবং সালাতের প্রথম ওয়াক্ত হয়েছে।
[১] অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন ফজরের সালাত এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, সূর্যোদয় হয়েছে বলে কারো কারো সন্দেহ হয়েছিল।
آخر وقت المغرب
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ بَدْرِ بْنِ عُثْمَانَ، قَالَ إِمْلاَءً عَلَىَّ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَائِلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ بِالْفَجْرِ حِينَ انْشَقَّ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالظُّهْرِ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَالْقَائِلُ يَقُولُ انْتَصَفَ النَّهَارُ وَهُوَ أَعْلَمُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْمَغْرِبِ حِينَ غَرَبَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْعِشَاءِ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَخَّرَ الْفَجْرَ مِنَ الْغَدِ حِينَ انْصَرَفَ وَالْقَائِلُ يَقُولُ طَلَعَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَخَّرَ الظُّهْرَ إِلَى قَرِيبٍ مِنْ وَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعَصْرَ حَتَّى انْصَرَفَ وَالْقَائِلُ يَقُولُ احْمَرَّتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ حَتَّى كَانَ عِنْدَ سُقُوطِ الشَّفَقِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ ثُمَّ قَالَ " الْوَقْتُ فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৪
মাগরিবের শেষ সময়।
৫২৫। আহমদ ইবনে সুলায়মান (রাহঃ) ......... বশীর ইবনে সাল্লাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের আমলে আমি এবং মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাযিঃ) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামায সম্পর্কে অবগত করুন। তিনি [জাবির (রাযিঃ)] বললেন, যখন সুর্য ঢলে পড়ল এবং ছায়া জুতার ফিতার সমান হল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজ গৃহ থেকে বের হয়ে যোহরের নামায আদায় করলেন। পুনরায় যখন ছায়া জুতার ফিতা পরিমাণ ও মানুষের ছায়ার সমপরিমাণ হল, তখন আসরের নামায আদায় করলেন। সুর্য অস্তমিত হলে মাগরিবের নামায আদায় করলেন। শাফাক অদৃশ্য হলে ইশার নামায আদায় করলেন। প্রভাত হলে (প্রথম ওয়াক্তে) ফজরের নামায আদায় করলেন।

পরদিন লোকের ছায়া তার সমান হলে যোহরের নামায আদায় করলেন। মানুষের ছায়া যখন তার দ্বিগুণ হল এবং সূর্যাস্তের পূর্বে এতটুকু সময় বাকী রইল যে, একজন দ্রুতগামী আরোহী (মদীনা থেকে) যুল হুলাইফা পর্যন্ত পৌছতে পারে, তখন তিনি আসরের নামায আদায় করলেন। সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামায আদায় করলেন। রাত এক-তৃতীয়াংশ অথবা অর্ধাংশ শেষ হওয়ার পূর্বে (বর্ণনাকারী যায়দ সন্দেহ করলেন) ইশার নামায আদায় করলেন। তারপর ফজরের নামায আদায় করলেন যখন ফর্সা হয়ে গেল।
آخر وقت المغرب
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، قَالَ حَدَّثَنَا خَارِجَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ بَشِيرِ بْنِ سَلاَّمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَمُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ، عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ فَقُلْنَا لَهُ أَخْبِرْنَا عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَاكَ زَمَنُ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ . قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى الظُّهْرَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَكَانَ الْفَىْءُ قَدْرَ الشِّرَاكِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ الْفَىْءُ قَدْرَ الشِّرَاكِ وَظِلِّ الرَّجُلِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْغَدِ الظُّهْرَ حِينَ كَانَ الظِّلُّ طُولَ الرَّجُلِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّ الرَّجُلِ مِثْلَيْهِ قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ سَيْرَ الْعَنَقِ إِلَى ذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفِ اللَّيْلِ - شَكَّ زَيْدٌ - ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ فَأَسْفَرَ .