কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৬. ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৪৯৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬২
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
১০৬. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।
৪৯৭৮. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার ফাতিমা (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর কাছে এসে এ মর্মে অভিযোগ পেশ করেন যে, যাঁতা ঘুরাতে ঘুরাতে তার হাতে ফোঁসকা পড়ে গেছে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে কিছু যুদ্ধ বন্দী আসলে, ফাতিমা (রাযিঃ) তা থেকে একটা দাসী চাওয়ার জন্য আসেন। নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে দেখা না হওয়ায়, তিনি ব্যাপারটি আয়িশা (রাযিঃ)-কে জানিয়ে যান।
পরে নবী (ﷺ) সে সময় আমাদের কাছে আসেন, যখন আমরা শুয়ে পড়েছিলাম। আমরা উঠতে চাইলে, তিনি বলেনঃ তোমরা দু’জন শুয়ে থাক। এরপর তিনি এসে আমাদের মাঝখানে বসে পড়েন, এমন কি আমি তাঁর পায়ের ঠাণ্ডা আমার বুকের মধ্যে অনুভব করতে থাকি। তারপর তিনি বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এর চাইতে উত্তম বিষয় সম্পর্কে অবহিত করবো না, যা তোমরা চেয়েছো-তার চাইতে? আর তা হলোঃ যখন তোমরা শয়ন করবে, তখন সুবহানাল্লাহ-৩৩ বার, আল-হামদুলিল্লাহ-৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার-৩৪ বার পাঠ করব। এটি তোমাদের জন্য দাস-দাসী থেকেও উত্তম।
পরে নবী (ﷺ) সে সময় আমাদের কাছে আসেন, যখন আমরা শুয়ে পড়েছিলাম। আমরা উঠতে চাইলে, তিনি বলেনঃ তোমরা দু’জন শুয়ে থাক। এরপর তিনি এসে আমাদের মাঝখানে বসে পড়েন, এমন কি আমি তাঁর পায়ের ঠাণ্ডা আমার বুকের মধ্যে অনুভব করতে থাকি। তারপর তিনি বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এর চাইতে উত্তম বিষয় সম্পর্কে অবহিত করবো না, যা তোমরা চেয়েছো-তার চাইতে? আর তা হলোঃ যখন তোমরা শয়ন করবে, তখন সুবহানাল্লাহ-৩৩ বার, আল-হামদুলিল্লাহ-৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার-৩৪ বার পাঠ করব। এটি তোমাদের জন্য দাস-দাসী থেকেও উত্তম।
كتاب الأدب
باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، - الْمَعْنَى - عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، - قَالَ مُسَدَّدٌ - قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ شَكَتْ فَاطِمَةُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا تَلْقَى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحَى فَأُتِيَ بِسَبْىٍ فَأَتَتْهُ تَسْأَلُهُ فَلَمْ تَرَهُ فَأَخْبَرَتْ بِذَلِكَ عَائِشَةَ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ فَأَتَانَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْنَا لِنَقُومَ فَقَالَ " عَلَى مَكَانِكُمَا " . فَجَاءَ فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي فَقَالَ " أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا فَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৩
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
১০৬. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।
৪৯৭৯. মুআম্মাল ইবনে হিশাম (রাহঃ) ..... আবু ওরদ ইবনে ছুমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আলী (রাযিঃ) ইবনে আবুদ (রাহঃ)-কে বলেন যে, আমি কি তোমাকে আমার ও ফাতিমা বিনতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ঘটনাটি বলবো না? যিনি তাঁর পরিবারের মধ্যে, তাঁর কাছে সবচাইতে প্রিয় ছিলেন, আর যিনি আমার কাছে থাকতেন, (অর্থাৎ আমার স্ত্রী ছিলেন।) যাঁতায় গম পেষার কারণে তাঁর হাতে ফোঁসকা পড়েছিল এবং মশকে পানি ভরার কারণে বুকে ব্যথা হয়েছিল, আর ঘর ঝাড়ু দেয়ার কারণে তাঁর কাপড়-চোপড় ধূলা-বালিতে ভরে যেত, আর রান্না-বান্না করার কারণে তাঁর কাপড় কাল হয়ে গিয়েছিল। এ সব কাজ নিজে করার কারণে তাঁর খুবই কষ্ট হতো। আমি শুনতে পাই যে, নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট কিছু দাস-দাসী এসেছে। তখন আমি ফাতিমাকে বলিঃ তুমি যদি তোমার পিতার কাছে যেতে এবং তাঁর কাছে একটা দাস চেতে, তবে তোমার খিদমতের জন্য সে যথেষ্ট হতো।
এ কথা শুনে ফাতিমা (রাযিঃ) নবী (ﷺ)-এর কাছে যায়, কিন্তু সে তাঁকে লোকদের সাথে কথাবার্তা বলতে দেখে, লজ্জায় কিছু না বলে ফিরে আসে। পরদিন সকালে নবী (ﷺ) আমাদের কাছে আসেন, আর এ সময় আমরা লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে ছিলাম। তিনি ফাতিমা (রাযিঃ)-এর মাথার কাছে বসেন। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ হে মুহাম্মাদের পরিবার! গতকাল তুমি কিসের প্রয়োজনে আমার কাছে গিয়েছিলে? ফাতিমা (রাযিঃ) দুবার এ কথা শুনে চুপ থাকে। তখন আলী (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার কাছে বর্ণনা করবো। আমার ঘরে যাঁতায় গম-পেষার কারণে তাঁর হাতে ফোঁসকা পড়ে গেছে, মশক ভরে পানি টানতে টানতে তার বুকে ব্যথা হয়েছে, ঘর ঝাড়ু দেয়ার কারণে তাঁর কাপড় ময়লা হয়ে গেছে এবং রান্না-বান্না করার কারণে তাঁর বস্ত্র কাল হয়ে গেছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনার কাছে কিছু দাস-দাসী এসেছে; তাই একটা দাসী চাওয়ার জন্য আমি তাকে আপনার কাছে পাঠাই। এরপর তিনি হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন, যা উপরে বর্ণিত হয়েছে।
এ কথা শুনে ফাতিমা (রাযিঃ) নবী (ﷺ)-এর কাছে যায়, কিন্তু সে তাঁকে লোকদের সাথে কথাবার্তা বলতে দেখে, লজ্জায় কিছু না বলে ফিরে আসে। পরদিন সকালে নবী (ﷺ) আমাদের কাছে আসেন, আর এ সময় আমরা লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে ছিলাম। তিনি ফাতিমা (রাযিঃ)-এর মাথার কাছে বসেন। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ হে মুহাম্মাদের পরিবার! গতকাল তুমি কিসের প্রয়োজনে আমার কাছে গিয়েছিলে? ফাতিমা (রাযিঃ) দুবার এ কথা শুনে চুপ থাকে। তখন আলী (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার কাছে বর্ণনা করবো। আমার ঘরে যাঁতায় গম-পেষার কারণে তাঁর হাতে ফোঁসকা পড়ে গেছে, মশক ভরে পানি টানতে টানতে তার বুকে ব্যথা হয়েছে, ঘর ঝাড়ু দেয়ার কারণে তাঁর কাপড় ময়লা হয়ে গেছে এবং রান্না-বান্না করার কারণে তাঁর বস্ত্র কাল হয়ে গেছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনার কাছে কিছু দাস-দাসী এসেছে; তাই একটা দাসী চাওয়ার জন্য আমি তাকে আপনার কাছে পাঠাই। এরপর তিনি হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন, যা উপরে বর্ণিত হয়েছে।
كتاب الأدب
باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ الْيَشْكُرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْوَرْدِ بْنِ ثُمَامَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ لاِبْنِ أَعْبَدَ أَلاَ أُحَدِّثُكَ عَنِّي وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ أَحَبَّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ وَكَانَتْ عِنْدِي فَجَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ بِيَدِهَا وَاسْتَقَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا وَقَمَّتِ الْبَيْتَ حَتَّى اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا وَأَوْقَدَتِ الْقِدْرَ حَتَّى دَكِنَتْ ثِيَابُهَا وَأَصَابَهَا مِنْ ذَلِكَ ضُرٌّ فَسَمِعْنَا أَنَّ رَقِيقًا أُتِيَ بِهِمْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَوْ أَتَيْتِ أَبَاكِ فَسَأَلْتِيهِ خَادِمًا يَكْفِيكِ . فَأَتَتْهُ فَوَجَدَتْ عِنْدَهُ حُدَّاثًا فَاسْتَحْيَتْ فَرَجَعَتْ فَغَدَا عَلَيْنَا وَنَحْنُ فِي لِفَاعِنَا فَجَلَسَ عِنْدَ رَأْسِهَا فَأَدْخَلَتْ رَأْسَهَا فِي اللِّفَاعِ حَيَاءً مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ " مَا كَانَ حَاجَتُكِ أَمْسِ إِلَى آلِ مُحَمَّدٍ " . فَسَكَتَتْ مَرَّتَيْنِ فَقُلْتُ أَنَا وَاللَّهِ أُحَدِّثُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذِهِ جَرَّتْ عِنْدِي بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ فِي يَدِهَا وَاسْتَقَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا وَكَسَحَتِ الْبَيْتَ حَتَّى اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا وَأَوْقَدَتِ الْقِدْرَ حَتَّى دَكِنَتْ ثِيَابُهَا وَبَلَغَنَا أَنَّهُ قَدْ أَتَاكَ رَقِيقٌ أَوْ خَدَمٌ فَقُلْتُ لَهَا سَلِيهِ خَادِمًا . فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ الْحَكَمِ وَأَتَمَّ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৪
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
১০৬. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।
৪৯৮০. আব্বাস আনবারী (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) হতে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ আমি একথাগুলো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে যখন বর্ণনা করতে শুনেছি, তখন থেকে তা পাঠ করতে ভুলিনি, তবে সিফফীনের-যুদ্ধের রাতে তা পড়তে ভুলে যাই। কিন্তু শেষ রাতে স্মরণ হওয়ায়, তখন আমি তা পাঠ করি।
كتاب الأدب
باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنْ شَبَثِ بْنِ رِبْعِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فِيهِ قَالَ عَلِيٌّ فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ لَيْلَةَ صِفِّينَ فَإِنِّي ذَكَرْتُهَا مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَقُلْتُهَا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৫
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
১০৬. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।
৪৯৮১. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ দু’টি বিষয় এমন, যদি কোন মুসলমান সব সময় তা হিফাযত করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ দু’টি ব্যাপার (কাজ) খুবই সহজ, কিন্তু এর উপর আমলকারীর সংখ্যা খুবই কম! তা হলোঃ প্রত্যেক নামাযের পর ১০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০ বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ১০ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করা। যা সারা দিনে মোট ১৫০ বার হয়ে থাকে মুখে পাঠ করাতে। আর কিয়ামতের দিন এর সাওয়াব মীযানে ১৫০০ বার পাঠের সম-পরিমাণ হবে।
(তিনি আরো বলেনঃ) আর শয়নকালে আল্লাহু আকবর- ৩৪ বার, আলহামদুলিল্লাহ-৩৩ বার এবং সুবহানাল্লাহ- ৩৩ বার মুখে ১০০ বার পাঠ করার বিনিময়, কিয়ামতের দিন মীযানে ১০০০ বার পাঠের সাওয়াবের অনুরূপ হবে।
রাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি দেখেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ তাসবীহ তাঁর হাতের আঙ্গুলে আদায় করতেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ দু’টি কাজ তো সহজ, কিন্তু এর আমলকারীর সংখ্যা কম কেন হবে? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ শয়নকালে শয়তান তোমাদের কাছে আসে এবং তা পাঠের আগেই সে তোমাদের তদ্রাচ্ছন্ন করে দেয়। আর নামায আদায়কালে সে নামাযীর কাছে উপস্থিত হয়ে ঐ তাসবীহগুলো পাঠের আগেই তাকে কোন কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (যার ফলে সে আর তা পাঠ করতে পারে না।)
(তিনি আরো বলেনঃ) আর শয়নকালে আল্লাহু আকবর- ৩৪ বার, আলহামদুলিল্লাহ-৩৩ বার এবং সুবহানাল্লাহ- ৩৩ বার মুখে ১০০ বার পাঠ করার বিনিময়, কিয়ামতের দিন মীযানে ১০০০ বার পাঠের সাওয়াবের অনুরূপ হবে।
রাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি দেখেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ তাসবীহ তাঁর হাতের আঙ্গুলে আদায় করতেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ দু’টি কাজ তো সহজ, কিন্তু এর আমলকারীর সংখ্যা কম কেন হবে? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ শয়নকালে শয়তান তোমাদের কাছে আসে এবং তা পাঠের আগেই সে তোমাদের তদ্রাচ্ছন্ন করে দেয়। আর নামায আদায়কালে সে নামাযীর কাছে উপস্থিত হয়ে ঐ তাসবীহগুলো পাঠের আগেই তাকে কোন কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (যার ফলে সে আর তা পাঠ করতে পারে না।)
كتاب الأدب
باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لاَ يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ وَيَحْمَدُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ فَذَلِكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ " . فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ قَالَ " يَأْتِي أَحَدَكُمْ - يَعْنِي الشَّيْطَانَ - فِي مَنَامِهِ فَيُنَوِّمُهُ قَبْلَ أَنْ يَقُولَهُ وَيَأْتِيهِ فِي صَلاَتِهِ فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةً قَبْلَ أَنْ يَقُولَهَا " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৬
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
১০৬. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।
৪৯৮২. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ......... উম্মু হাকাম অথবা দুবাআ বিনতে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এদের একজন বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে কিছু বন্দী আসে। তখন আমি, আমার বোন এবং ফাতিমা বিনতে নবী (ﷺ)-রাসূলাল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট যাই এবং আমাদের কষ্টের কথা তাঁকে বলি। আমরা তাকে আমাদের জন্য অনুরোধ করি। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের আগে বদর যুদ্ধে শহীদ সাহাবীদের ইয়াতীম মেয়েরা এসেছিল; (তাদের মধ্যে সব বন্টিত হয়ে গেছে।) এরপর তাসবীহ পাঠের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেনঃ এ হাদীসে প্রত্যেক নামাযের পর তাসবীহ পাঠের বিষয় উল্লেখ হয়েছে, তবে শোবার সময় তাসবীহ পাঠের বিষয়টি এখানে উল্লেখ নেই।
كتاب الأدب
باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عُقْبَةَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ حَسَنٍ الضَّمْرِيِّ، أَنَّ ابْنَ أُمِّ الْحَكَمِ، أَوْ ضُبَاعَةَ ابْنَتَىِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ عَنْ إِحْدَاهُمَا، أَنَّهَا قَالَتْ أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْيًا فَذَهَبْتُ أَنَا وَأُخْتِي وَفَاطِمَةُ بِنْتُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَحْنُ فِيهِ وَسَأَلْنَاهُ أَنْ يَأْمُرَ لَنَا بِشَىْءٍ مِنَ السَّبْىِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَبَقَكُنَّ يَتَامَى بَدْرٍ " . ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ التَّسْبِيحِ قَالَ عَلَى أَثَرِ كُلِّ صَلاَةٍ لَمْ يَذْكُرِ النَّوْمَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: