কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৬. ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৯২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০৯
৯২. কবিতা সস্পর্কে।
৪৯২৫. আবু ওয়ালীদ তায়ালিনী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কারো পেট বমির দ্বারা পূর্ণ হওয়া, কবিতার দ্বারা পূর্ণ হওয়ার চাইতে উত্তম। (অর্থাৎ এমন কবিতা পাঠ না করা, যাতে ঈমান নষ্ট নয়।)
রাবী আবু আলী (রাহঃ) বলেনঃ আবু উবাইদ (রাহঃ) থেকে জানতে পেরেছি, যিনি বলেছেনঃ এ হাদীসের মর্ম হলোঃ সে ব্যক্তি কুরআন-হাদীস ও আল্লাহর যিক্র বাদ দিয়ে কেবল কবিতার চর্চায় লিপ্ত থাকে। যদি সে ব্যক্তি কুরআন ও দীনি ইলম অধিক শিক্ষা করে এবং কবিতার চর্চা কম করে, তবে সে ব্যক্তি এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
আর ঐ উক্তি যে, ’কোন কোন বর্ণনায় যাদুকরী প্রভাব আছে’, এর অর্থ হলোঃ যে ব্যক্তির বর্ণনা এ স্তরে পৌছবে যে, সে কারো প্রশংসা এতো বাড়িয়ে ও সুন্দরভাবে করে, যাতে লোকদের অন্তর তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর যদি সে তার বদনাম করে, তখন লোকদের অন্তরে তার প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হয়। কাজেই, এ ধরনের বর্ণনার মধ্যে যাদুকরী প্রভাব থাকে।
রাবী আবু আলী (রাহঃ) বলেনঃ আবু উবাইদ (রাহঃ) থেকে জানতে পেরেছি, যিনি বলেছেনঃ এ হাদীসের মর্ম হলোঃ সে ব্যক্তি কুরআন-হাদীস ও আল্লাহর যিক্র বাদ দিয়ে কেবল কবিতার চর্চায় লিপ্ত থাকে। যদি সে ব্যক্তি কুরআন ও দীনি ইলম অধিক শিক্ষা করে এবং কবিতার চর্চা কম করে, তবে সে ব্যক্তি এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
আর ঐ উক্তি যে, ’কোন কোন বর্ণনায় যাদুকরী প্রভাব আছে’, এর অর্থ হলোঃ যে ব্যক্তির বর্ণনা এ স্তরে পৌছবে যে, সে কারো প্রশংসা এতো বাড়িয়ে ও সুন্দরভাবে করে, যাতে লোকদের অন্তর তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর যদি সে তার বদনাম করে, তখন লোকদের অন্তরে তার প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হয়। কাজেই, এ ধরনের বর্ণনার মধ্যে যাদুকরী প্রভাব থাকে।
باب مَا جَاءَ فِي الشِّعْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا " . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ بَلَغَنِي عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ أَنَّهُ قَالَ وَجْهُهُ أَنْ يَمْتَلِئَ قَلْبُهُ حَتَّى يَشْغَلَهُ عَنِ الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللَّهِ فَإِذَا كَانَ الْقُرْآنُ وَالْعِلْمُ الْغَالِبُ فَلَيْسَ جَوْفُ هَذَا عِنْدَنَا مُمْتَلِئًا مِنَ الشِّعْرِ وَإِنَّ مِنَ الْبَيَانِ لَسِحْرًا . قَالَ كَأَنَّ الْمَعْنَى أَنْ يَبْلُغَ مِنْ بَيَانِهِ أَنْ يَمْدَحَ الإِنْسَانَ فَيَصْدُقَ فِيهِ حَتَّى يَصْرِفَ الْقُلُوبَ إِلَى قَوْلِهِ ثُمَّ يَذُمَّهُ فَيَصْدُقَ فِيهِ حَتَّى يَصْرِفَ الْقُلُوبَ إِلَى قَوْلِهِ الآخَرِ فَكَأَنَّهُ سَحَرَ السَّامِعِينَ بِذَلِكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৯২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫০১০
৯২. কবিতা সস্পর্কে।
৪৯২৬. আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ..... উবাই্যা ইবনে কা’ব (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ কোন কোন কবিতা জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপূর্ণ!
باب مَا جَاءَ فِي الشِّعْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حِكْمَةً " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৯২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫০১১
৯২. কবিতা সস্পর্কে।
৪৯২৭. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা একজন বেদুঈন আরব রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে লালিত্যপূর্ণ ভাষা ও ছন্দে কথা বলতে থাকে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ নিশ্চয় কোন কোন বর্ণনায় যাদুকরী প্রভাব আছে এবং কোন কোন কবিতা হিকমত পূর্ণ।
باب مَا جَاءَ فِي الشِّعْرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ يَتَكَلَّمُ بِكَلاَمٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا وَإِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৯২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫০১২
৯২. কবিতা সস্পর্কে।
৪৯২৮. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে বুরায়দা (রাহঃ) তার পিতা থেকে, তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় কোন কোন বর্ণনায় যাদুকরী প্রভাব আছে; আর কোন কোন জ্ঞান অজ্ঞতার নামান্তর। আর নিশ্চয় কোন কোন কবিতা হিকমতপূর্ণ, আর কোন কোন কথা বোঝাস্বরূপ।
একথা শুনে সা’সা ইবনে সাওহান (রাহঃ) বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) সত্য বলেছেন। আর তাঁর কথাঃ নিশ্চয় কোন কোন বর্ণনায় যাদুকরী প্রভাব থাকে; এর উদাহরণ ঐ ব্যক্তির মত, যার উপর অন্যের হক (দেনা) আছে, আর সে লোকদের সামনে এমন ভাবে কথা বলে, যাতে পাওনাদারের দেনা না দেওয়া লাগে।
আর নবী (ﷺ)-এর কথাঃ ’কোন কোন জ্ঞান অজ্ঞতার নামান্তর’; এর অর্থ হলোঃ আলিম তার কথাকে এমন ভাবে বর্ণনা করবে, যার অর্থ সে নিজেই জানে না, তখন সে মূর্খের ন্যায় হয়ে যায়।
আর নবী (ﷺ)-এর বক্তব্যঃ ’কোন কোন কবিতা হিকমতপূর্ণ’, এর অর্থ হলোঃ সে সব কবিতা নসীহত ও উদাহরণে পরিপূর্ণ, যা থেকে লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। আর নবী (ﷺ)-এর কথাঃ ’কোন কোন কথা বোঝা স্বরূপ’ এর অর্থ হলোঃ তুমি অন্যের কাছে তোমার কথা এমনভাবে পেশ করবে, যার যোগ্য সে নয়, আর সে এরূপ কথা শুনতেও চায় না।
একথা শুনে সা’সা ইবনে সাওহান (রাহঃ) বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) সত্য বলেছেন। আর তাঁর কথাঃ নিশ্চয় কোন কোন বর্ণনায় যাদুকরী প্রভাব থাকে; এর উদাহরণ ঐ ব্যক্তির মত, যার উপর অন্যের হক (দেনা) আছে, আর সে লোকদের সামনে এমন ভাবে কথা বলে, যাতে পাওনাদারের দেনা না দেওয়া লাগে।
আর নবী (ﷺ)-এর কথাঃ ’কোন কোন জ্ঞান অজ্ঞতার নামান্তর’; এর অর্থ হলোঃ আলিম তার কথাকে এমন ভাবে বর্ণনা করবে, যার অর্থ সে নিজেই জানে না, তখন সে মূর্খের ন্যায় হয়ে যায়।
আর নবী (ﷺ)-এর বক্তব্যঃ ’কোন কোন কবিতা হিকমতপূর্ণ’, এর অর্থ হলোঃ সে সব কবিতা নসীহত ও উদাহরণে পরিপূর্ণ, যা থেকে লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। আর নবী (ﷺ)-এর কথাঃ ’কোন কোন কথা বোঝা স্বরূপ’ এর অর্থ হলোঃ তুমি অন্যের কাছে তোমার কথা এমনভাবে পেশ করবে, যার যোগ্য সে নয়, আর সে এরূপ কথা শুনতেও চায় না।
باب مَا جَاءَ فِي الشِّعْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو جَعْفَرٍ النَّحْوِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَابِتٍ، قَالَ حَدَّثَنِي صَخْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا وَإِنَّ مِنَ الْعِلْمِ جَهْلاً وَإِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا وَإِنَّ مِنَ الْقَوْلِ عِيَالاً " . فَقَالَ صَعْصَعَةُ بْنُ صُوحَانَ صَدَقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَّا قَوْلُهُ " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا " . فَالرَّجُلُ يَكُونُ عَلَيْهِ الْحَقُّ وَهُوَ أَلْحَنُ بِالْحُجَجِ مِنْ صَاحِبِ الْحَقِّ فَيَسْحَرُ الْقَوْمَ بِبَيَانِهِ فَيَذْهَبُ بِالْحَقِّ وَأَمَّا قَوْلُهُ " إِنَّ مِنَ الْعِلْمِ جَهْلاً " . فَيَتَكَلَّفُ الْعَالِمُ إِلَى عِلْمِهِ مَا لاَ يَعْلَمُ فَيُجَهِّلُهُ ذَلِكَ وَأَمَّا قَوْلُهُ " إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا " . فَهِيَ هَذِهِ الْمَوَاعِظُ وَالأَمْثَالُ الَّتِي يَتَّعِظُ بِهَا النَّاسُ وَأَمَّا قَوْلُهُ " إِنَّ مِنَ الْقَوْلِ عِيَالاً " . فَعَرْضُكَ كَلاَمَكَ وَحَدِيثَكَ عَلَى مَنْ لَيْسَ مِنْ شَأْنِهِ وَلاَ يُرِيدُهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৯২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫০১৩
৯২. কবিতা সস্পর্কে।
৪৯২৯. ইবনে আবু খালফ (রাহঃ) ....... সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমর (রাযিঃ) হাসসান ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-এর পাশ দিয়ে গমনকালে তাঁর দিকে বক্র দৃষ্টিতে তাকান, যখন তিনি কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। তখন হাসসান (রাযিঃ) বলেনঃ আমি মসজিদে সে সময়ও কবিতা আবৃতি করতাম, যখন সেখানে আপনার চাইতে উত্তম ব্যক্তি (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ) উপস্থিত ছিলেন।
باب مَا جَاءَ فِي الشِّعْرِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، قَالَ مَرَّ عُمَرُ بِحَسَّانَ وَهُوَ يُنْشِدُ فِي الْمَسْجِدِ فَلَحَظَ إِلَيْهِ فَقَالَ قَدْ كُنْتُ أُنْشِدُ وَفِيهِ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৯৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৫০১৪
৯২. কবিতা সস্পর্কে।
৪৯৩০. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ অর্থে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এখানে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণিত হয়েছে যে, উমর (রাযিঃ) এরূপ আশঙ্কা করেন যে, যদি তিনি হাসসান (রাযিঃ) কে কবিতা পাঠ করতে নিষেধ করেন, তবে সে দলীল পেশ করে বলবেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে কবিতা পাঠের অনুমতি দেন।
باب مَا جَاءَ فِي الشِّعْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِمَعْنَاهُ زَادَ فَخَشِيَ أَنْ يَرْمِيَهُ، بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَجَازَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৯৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৫০১৫
৯২. কবিতা সস্পর্কে।
৪৯৩১. মুহাম্মাদ ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাসসান ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-এর জন্য মসজিদে মিম্বর স্থাপন করতেন, যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ঐ সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ কবিতা আবৃত্তি করতেন, যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কালে বে-আদবী সূচক কথা বলতো। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যতক্ষণ হাসসান (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পক্ষ নিয়ে বাক-যুদ্ধে লিপ্ত থাকে, ততক্ষণ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তার সাথে থাকেন।
باب مَا جَاءَ فِي الشِّعْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمِصِّيصِيُّ، لُوَيْنٌ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ، وَهِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ لِحَسَّانَ مِنْبَرًا فِي الْمَسْجِدِ فَيَقُومُ عَلَيْهِ يَهْجُو مَنْ قَالَ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ رُوحَ الْقُدُسِ مَعَ حَسَّانَ مَا نَافَحَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৯৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৫০১৬
৯২. কবিতা সস্পর্কে।
৪৯৩২. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর এ বাণীঃ কবিদের অনুসরণ তারা করে, যারা গুমরাহ হয়েছে। এর থেকে ঐ সব ব্যক্তিরা আলাদা হয়ে গেছে, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেনঃ তবে যারা ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে এবং আল্লাহর যিক্র বেশী-বেশী করে থাকে। (অর্থাৎ এরা পথভ্রষ্ট নয়।)
باب مَا جَاءَ فِي الشِّعْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ( وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ ) فَنَسَخَ مِنْ ذَلِكَ وَاسْتَثْنَى فَقَالَ ( إِلاَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيرًا ) .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান