কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩৬. ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৭৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৬৮
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩৬. একজনের কথা অপরজনকে না বলা- সম্পর্কে।
৪৭৯২. আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি কিছু বলে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন তা আমানত-স্বরূপ। (অর্থাৎ সে কথা অন্য কারো কাছে প্রকাশ করা ঠিক নয়।)
كتاب الأدب
باب فِي نَقْلِ الْحَدِيثِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا حَدَّثَ الرَّجُلُ بِالْحَدِيثِ ثُمَّ الْتَفَتَ فَهِيَ أَمَانَةٌ " .
হাদীস নং: ৪৭৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৬৯
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩৬. একজনের কথা অপরজনকে না বলা- সম্পর্কে।
৪৭৯৩. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ব্যক্তি তার মজলিসের কথোপকথনের ব্যাপারে আমানতদার। তবে তিন সময় তা প্রকাশ করা যায়। তা হলোঃ

(১) যেখানে না-হকভাবে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,
(২) ইযযত ও সম্ভ্রমহানীকর আলোচনা-কূপরামর্শ হয়ে থাকে, এবং
(৩) যেখানে না-হকভাবে কারো সম্পদ লুন্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। (অর্থাৎ এরূপ কারণ ঘটলে তা প্রকাশে দোষ নেই; বরং এতে মুসলমানের জান-মাল রক্ষা পায় এবং নিরাপত্তা বিধিত হয়)
كتاب الأدب
باب فِي نَقْلِ الْحَدِيثِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ ابْنِ أَخِي، جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمَجَالِسُ بِالأَمَانَةِ إِلاَّ ثَلاَثَةَ مَجَالِسَ سَفْكُ دَمٍ حَرَامٍ أَوْ فَرْجٌ حَرَامٌ أَوِ اقْتِطَاعُ مَالٍ بِغَيْرِ حَقٍّ " .
হাদীস নং: ৪৭৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৭০
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩৬. একজনের কথা অপরজনকে না বলা- সম্পর্কে।
৪৭৯৪. মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবনে সা’দ (রাহঃ) বলেনঃ আমি আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ)-কে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সব চাইতে বড় আমানতের খিয়ানত হলোঃ কোন পু্রুষ তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং স্ত্রীও তার স্বামীর সাথে মিলিত হয়, এরপর সে পুরষ তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়।
كتاب الأدب
باب فِي نَقْلِ الْحَدِيثِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُمَرَ، - قَالَ إِبْرَاهِيمُ هُوَ عُمَرُ بْنُ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَعْظَمِ الأَمَانَةِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِي إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِي إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا " .