কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৩ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৬৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৫৮
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৮৩. আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (আহলে সুন্নাহ ওয়াল) জামাআত থেকে এক বিঘতও সরে যাবে, সে তার গর্দান থেকে ইসলামের রশি নিক্ষেপ করবে।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ وَمَنْدَلٌ عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِي جَهْمٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ وَهْبَانَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : " مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الإِسْلاَمِ مِنْ عُنُقِهِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৫৯
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৮৪. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার পরে সে সময় তোমাদের অবস্থা কিরূপ হবে, যখন শাসনকর্তা গনিমতের মালকে নিজের মাল হিসাবে মনে করবে? আমি বলিঃ ঐ জাতের কসম! যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসাবে পাঠিয়েছেন, তখন আমি আমার তরবারি কাঁধে ঝুলিয়ে রাখবো এবং তা দিয়ে জিহাদ করবো- যতক্ষণ না আমি আপনার সাথে মিলিত হই। নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি কি তোমাকে এর চাইতে কোন উত্তম পন্থা জানিয়ে দেব না? আর তা হলো, তুমি আমার সাথে মেলার আগ পর্যন্ত সবর করবে।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفُ بْنُ طَرِيفٍ، عَنْ أَبِي الْجَهْمِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ وَهْبَانَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : " كَيْفَ أَنْتُمْ وَأَئِمَّةٌ مِنْ بَعْدِي يَسْتَأْثِرُونَ بِهَذَا الْفَىْءِ " . قُلْتُ : إِذًا وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ أَضَعُ سَيْفِي عَلَى عَاتِقِي، ثُمَّ أَضْرِبُ بِهِ حَتَّى أَلْقَاكَ أَوْ أَلْحَقَكَ . قَالَ : " أَوَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ تَصْبِرُ حَتَّى تَلْقَانِي " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬০
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৮৫. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... নবী করীম (ﷺ)-এর স্ত্রী উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অতিসত্ত্বর তোমাদের উপর এমন শাসক নিযুক্ত হবে যার- কাজকর্ম ভাল হবে এবং মন্দও হবে। সে সময় যে ব্যক্তি তার মন্দ-কাজের প্রতিবাদ মুখ দিয়ে করবে, সে দোষমুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি তা অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবে, সে ও দোষমুক্ত হবে; আর যে ব্যক্তি তার কাজ-কর্মকে অস্বীকার করবে, সে নাজাত প্রাপ্ত হবে। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি তার অনুসরণ করবে, সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখন সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি তাদের হত্যা করবো না? তিনি বলেনঃ না, যতক্ষণ তারা নামায আদায় করতে থাকবে।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْمُعَلَّى بْنِ زِيَادٍ، وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ ضَبَّةَ بْنِ مِحْصَنٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : " سَتَكُونُ عَلَيْكُمْ أَئِمَّةٌ تَعْرِفُونَ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُونَ فَمَنْ أَنْكَرَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ هِشَامٌ : " بِلِسَانِهِ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ كَرِهَ بِقَلْبِهِ فَقَدْ سَلِمَ وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ " . فَقِيلَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نَقْتُلُهُمْ قَالَ ابْنُ دَاوُدَ : " أَفَلاَ نُقَاتِلُهُمْ " . قَالَ : " لاَ مَا صَلَّوْا " .
হাদীস নং:৪৬৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬১
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৮৬. ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... উম্মে সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন। নবী (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাকে খারাপ মনে করবে, সে দোষমুক্ত হবে; আর যে তাকে অস্বীকার করবে, সে নাজাত প্রাপ্ত হবে।

রাবী কাতাদা (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাকে অন্তর দিয়ে খারাপ জানবে এবং অস্বীকার করবে।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ ضَبَّةَ بْنِ مِحْصَنٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ : " فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ " . قَالَ قَتَادَةُ : يَعْنِي مَنْ أَنْكَرَ بِقَلْبِهِ، وَمَنْ كَرِهَ بِقَلْبِهِ .
হাদীস নং:৪৬৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬২
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৮৭. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আরফাজা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ অতিসত্ত্বর আমার উম্মতের মধ্যে ফিতনা-ফ্যাসাদ হবে ফিতনার সৃষ্টি, ফ্যাসাদ হবে। এ সময় যে ব্যক্তি মুসলমানদের ঐক্যে ফাঁটল সৃষ্টি করতে চাবে, সে যে-ই হোক না কেন, তোমরা তাকে তরবারি দিয়ে হত্যা করবে।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عَلاَقَةَ، عَنْ عَرْفَجَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : " سَتَكُونُ فِي أُمَّتِي هَنَاتٌ وَهَنَاتٌ وَهَنَاتٌ، فَمَنْ أَرَادَ أَنْ يُفَرِّقَ أَمْرَ الْمُسْلِمِينَ وَهُمْ جَمِيعٌ فَاضْرِبُوهُ بِالسَّيْفِ كَائِنًا مَنْ كَانَ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬৩
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৮৮. মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ (রাহঃ) ...... উবাইদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আলী (রাযিঃ) নাহরাওয়ানের লোকদের সম্পর্কে বলেনঃ তাদের মাঝে এক ব্যক্তি ছোট হাত বিশিষ্ট হবে। যদি তোমরা আমার কথা মানতে, তবে মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর যবাণীতে তাদের হত্যা করলে যে সাওয়াবের কথা বলেছেনঃ সে সম্বন্ধে আমি তোমাদের অবহিত করতাম।

রাবী বলেন, তখন আমি আলী (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ আপনি কি তা নবী (ﷺ) থেকে শুনেছেন। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ! কাবার রবের শপথ! (আমি তা তাঁর কাছ থেকে শুনেছি।)
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، : أَنَّ عَلِيًّا، ذَكَرَ أَهْلَ النَّهْرَوَانِ فَقَالَ : فِيهِمْ رَجُلٌ مُودَنُ الْيَدِ أَوْ مُخْدَجُ الْيَدِ، أَوْ مَثْدُونُ الْيَدِ لَوْلاَ أَنْ تَبْطَرُوا لَنَبَّأْتُكُمْ مَا وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ يَقْتُلُونَهُمْ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم . قَالَ قُلْتُ : أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْهُ قَالَ : إِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬৪
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৮৯. মুহাম্মাদ ইবনে কাছীর (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আলী (রাযিঃ) নবী (ﷺ)-এর নিকট কিছু মাটি মিশ্রিত সোনা পাঠান, যা তিনি আকরা ইবনে হাবিস হানযালী (রাযিঃ), উয়াইনা ইবনে বদর ফাযারী (রাযিঃ), বনু নাবহানের এক ব্যক্তি যায়দ খায়ল তায়ী (রাযিঃ) এবং বনু কিলাবের এক ব্যক্তি ইবনে উলাছা আমিরী (রাযিঃ) এ চার ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করে দেন।

রাবী বলেনঃ এতে কুরাইশ ও আনসারগণ রাগান্বিত হন এবং বলেনঃ আপনি নজদের অধিপতিদের দিচ্ছেন, অথচ আমাদের কিছুই দিচ্ছেন না! তিনি বলেনঃ আমি এ দিয়ে তাদের দিলকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করছি। এ সময় সেখানে এমন এক ব্যক্তি আসে- যার চোখ কোঠরাগত, চোয়াল উঁচু, কপাল উন্নত, ঘন দাড়ি-বিশিষ্ট ও মস্তক মুণ্ডিত ছিল। সে বলেঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি আল্লাহকে ভয় কর। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি যদি আল্লাহর নাফরমানী করি, তবে আর কে তাঁর ফরমাবরদার হবে? মহান আল্লাহ যমীনের উপর আমাকে আমানতদার বানিয়েছেন, অথচ তুমি আমাকে আমানতদার মনে কর না।

রাবী বলেনঃ তখন এক ব্যক্তি, আমার ধারণায় তিনি হলেন- খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) তাকে কতল করার জন্য অনুমতি চাইলে নবী (ﷺ) নিষেধ করেন।

রাবী বলেনঃ সে ব্যক্তি চলে যাওয়ার পর নবী (ﷺ) বলেনঃ এ ব্যক্তির বংশে এমন কিছু লোক জন্ম নেবে, যারা কুরআন পাঠ করবে সত্য, তবে তা তাদের গলার নীচে যাবে না, (অর্থাৎ তা তাদের অন্তরে কোন আছর করবে না।) তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, যেরূপ ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। তারা মুসলমানদের হত্যা করবে এবং মূর্তি-পূজারীদের ছেড়ে দেবে। যদি আমি তাদের পাই, তবে আমি তাদের ’কওমে আদের’ মত (পাইকারীহারে) কতল করবো।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ : بَعَثَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذُهَيْبَةٍ فِي تُرْبَتِهَا، فَقَسَّمَهَا بَيْنَ أَرْبَعَةٍ بَيْنَ : الأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيِّ ثُمَّ الْمُجَاشِعِيِّ، وَبَيْنَ عُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيِّ وَبَيْنَ زَيْدِ الْخَيْلِ الطَّائِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي نَبْهَانَ وَبَيْنَ عَلْقَمَةَ بْنِ عُلاَثَةَ الْعَامِرِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي كِلاَبٍ قَالَ فَغَضِبَتْ قُرَيْشٌ وَالأَنْصَارُ وَقَالَتْ : يُعْطِي صَنَادِيدَ أَهْلِ نَجْدٍ وَيَدَعُنَا . فَقَالَ : " إِنَّمَا أَتَأَلَّفُهُمْ " . قَالَ : فَأَقْبَلَ رَجُلٌ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ نَاتِئُ الْجَبِينِ كَثُّ اللِّحْيَةِ مَحْلُوقٌ قَالَ : اتَّقِ اللَّهَ يَا مُحَمَّدُ . فَقَالَ : " مَنْ يُطِعِ اللَّهَ إِذَا عَصَيْتُهُ أَيَأْمَنُنِي اللَّهُ عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَلاَ تَأْمَنُونِي " . قَالَ : فَسَأَلَ رَجُلٌ قَتْلَهُ أَحْسِبُهُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ - قَالَ - فَمَنَعَهُ . قَالَ : فَلَمَّا وَلَّى قَالَ : " إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا أَوْ فِي عَقِبِ هَذَا قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يَقْتُلُونَ أَهْلَ الإِسْلاَمِ وَيَدَعُونَ أَهْلَ الأَوْثَانِ لَئِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُمْ قَتَلْتُهُمْ قَتْلَ عَادٍ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬৫
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৯০. নসর ইবনে আসিম (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী ও আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে মত-পাথর্ক্য ও মতানৈক্য সৃষ্টির ফলে এমন কিছু ফিরকার সৃষ্টি হবে, যারা ভাল কথা বলবে, কিন্তু খারাপ কাজ করবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের গলার নীচে যাবে না। বস্তুত তারা দীন থেকে এরূপ বেরিয়ে, যাবে যেরূপ ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায় এবং তারা তাদের রাস্তা (মতবাদ) থেকে ফিরে আসবে না, যেরূপ নিক্ষিপ্ত তীর নিক্ষেপের স্থানে ফিরে আসে না। তারা সমস্ত মাখলূকের মাঝে এবং সমস্ত মানুষের মধ্যে নিকৃষ্টতম হবে। এরপর যারা তাদের হত্যা করবে, বা তাদের হাতে নিহত হবে- তারা সৌভাগ্যবান। তারা লোকদের আল্লাহর কিতাবের প্রতি আহবান করবে, কিন্তু এর (কুরআনের) সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। আমার উম্মতের মধ্যে যারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, তারা আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়পাত্র হবে। তখন সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাদের পরিচয় কি? তিনি বলেনঃ তারা হবে মাথা মুণ্ডনকারী।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، وَمُبَشِّرٌ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيَّ عَنْ أَبِي عَمْرٍو، قَالَ - يَعْنِي الْوَلِيدَ - حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنِي قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ : " سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي اخْتِلاَفٌ وَفُرْقَةٌ، قَوْمٌ يُحْسِنُونَ الْقِيلَ وَيُسِيئُونَ الْفِعْلَ وَيَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ لاَ يَرْجِعُونَ حَتَّى يَرْتَدَّ عَلَى فُوقِهِ هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ طُوبَى لِمَنْ قَتَلَهُمْ وَقَتَلُوهُ، يَدْعُونَ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَلَيْسُوا مِنْهُ فِي شَىْءٍ، مَنْ قَاتَلَهُمْ كَانَ أَوْلَى بِاللَّهِ مِنْهُمْ " . قَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا سِيمَاهُمْ قَالَ : " التَّحْلِيقُ " .
হাদীস নং:৪৬৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬৬
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৯১. হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ তাদের পরিচয় হলো তারা হবে মস্তকমুণ্ডনকারী এবং চুল পরিষ্কারকারী। আর তোমরা যখন তাদের দেখবে, তখন অবশ্যই তাদের কতল করবে।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ قَالَ : " سِيمَاهُمُ التَّحْلِيقُ وَالتَّسْبِيدُ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمْ فَأَنِيمُوهُمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ : التَّسْبِيدُ اسْتِئْصَالُ الشَّعْرِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬৭
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৯২. মুহাম্মাদ ইবনে কাছীর (রাহঃ) ......... সুওয়াদ ইবনে গাফলা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যখন তোমাদের কাছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করি, তখন তাঁর হাদীস সম্পর্কে মিথ্যা বলার চাইতে আসমান থেকে পতিত হওয়াকে আমি শ্রেয় মনে করি। আর আমি যখন তোমাদের কাছে আমার নিজের পক্ষ থেকে কিছু বর্ণনা করি, তখন বুঝবে যে যুদ্ধের অপর নাম তো কৌশল অবলম্বন করা।

আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ শেষ যামানায় এমন কিছু লোক জন্ম নেবে, যাদের বয়স কম হবে এবং বুদ্ধি ও কম হবে। তারা সমস্ত মাখলূকের মধ্যে উত্তম কথাবার্তা বলবে, কিন্তু তারা ইসলাম থেকে এরূপ বেরিয়ে যাবে, যেরূপ ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান তাদের গলার নীচে যাবে না। কাজেই তোমরা এ ধরনের লোকদের যেখানেই পাবে, সেখানেই হত্যা করবে। কেননা, যারা তাদের হত্যা করবে, তারা কিয়ামত পর্যন্ত এর সাওয়াব পেতে থাকবে।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ : إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا فَلأَنْ أَخِرَّ مِنَ السَّمَاءِ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَكْذِبَ عَلَيْهِ وَإِذَا حَدَّثْتُكُمْ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ فَإِنَّمَا الْحَرْبُ خُدْعَةٌ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : " يَأْتِي فِي آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ حُدَثَاءُ الأَسْنَانِ سُفَهَاءُ الأَحْلاَمِ، يَقُولُونَ مِنْ قَوْلِ خَيْرِ الْبَرِيَّةِ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، لاَ يُجَاوِزُ إِيمَانُهُمْ حَنَاجِرَهُمْ، فَأَيْنَمَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ، فَإِنَّ قَتْلَهُمْ أَجْرٌ لِمَنْ قَتَلَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
হাদীস নং:৪৬৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬৮
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৯৩. হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... যায়দ ইবনে ওয়াহাব যুহানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আলী (রাযিঃ)-এর ঐ সেনাবাহিনীর সাথে ছিলাম, যারা খারিজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য গিয়েছিল। তখন আলী (রাযিঃ) বলেনঃ হে লোকগণ! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা কুরআন এমন সুন্দরভাবে পড়বে যে, তাদের তুলনায় তোমাদের কিরাত কিছুই হবে না। তাদের নামাযের তুলনায় তোমাদের নামায কিছুই হবে না এবং তাদের রোযার তুলনায় তোমাদের রোযা কিছুই হবে না। বস্তুত তারা এ মনে করে কুরআন পড়ে যে, তারা এর সাওয়াব পাবে, কিন্তু আসলে তারা এর কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে। তাদের নামায তাদের গলার নীচে নামবে না এবং তারা ইসলাম থেকে এরূপ বেরিয়ে যাবে, যেরূপ ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়।

যারা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, তাদের বিনিময় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা তার নবীর যবাণীতে যা বর্ণনা করেছেন, তা যদি তারা জানতো, তবে তারা সব ধরনের আমল ছেড়ে দিত। তাদের পরিচয় এই যে, তাদের মাঝে এমন এক ব্যক্তি থাকবে, যার বাহুমূল থাকবে, কিন্তু তার হাত থাকবে না। তার সে বাহুতে স্তনের বোঁটার মত থাকবে, যার উপর সাদা পশম হবে। কী ব্যাপার! তোমরা মুআবিয়া এবং শামবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যাচ্ছ, অথচ তোমরা তাদেরকে তোমাদের মাল ও সন্তান-সন্ততিদের কাছে রেখে যাচ্ছ! (যারা তাদের ক্ষতি করবে।) আল্লাহর শপথ! আমার মনে হয়, এরাই তারা, (যাদের সম্পর্কে নবী (ﷺ) বলেছেন), যারা হারাম রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং লোকদের চারণভূমি লুন্ঠন করেছে। কাজেই, তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গমন কর।

রাবী সালামা ইবনে কুহায়ল (রাহঃ) বলেনঃ যায়দ ইবনে ওয়াহাব (রাহঃ) আমাকে এমন একস্থানে নিয়ে যান, যেখানে আমরা একটা পুলের উপর দিয়ে যাই; সেখানে দু’পক্ষের সৈন্যরা মুখোমুখি হয় এবং সেখানে খারিজীদের নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াহাবও উপস্থিত ছিল। সে তার সেনাবাহিনীর প্রতি এরূপ নির্দেশ দেয়ঃ তোমরা বল্লম ফেলে দাও এবং খাপ থেকে তরবারি বের কর। কেননা, আমার আশঙ্কা হচ্ছে, এরা তোমাদের সেরূপ বিচ্ছিন্ন করবে, যেরূপ ’হারুরার’* দিন করেছিল।

রাবী বলেনঃ তার এ নির্দেশ পাওয়ার পর সৈন্যরা তাদের বল্লম ফেলে দিয়ে তরবারি ধারণ করে। তখন মুসলমানরা বল্লম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং তাদের হত্যা করে গাদা দিয়ে রাখে।

রাবী বলেনঃ এ দিনের যুদ্ধে আলী (রাযিঃ)-এর পক্ষে মাত্র দু’জন শহীদ হন। এরপর আলী (রাযিঃ) এরূপ নির্দেশ দেনঃ লাশের স্তুপের মধ্য থেকে মাখদাজ অর্থাৎ ছোট হাত-বিশিষ্ট ব্যক্তির লাশ বের কর। কিন্তু সৈন্যরা তার লাশের সন্ধান পায় না।

রাবী বলেনঃ অবশেষে আলী (রাযিঃ) সেখানে যান, যেখানে লাশ গাদা দেয়া ছিল এবং বলেনঃ এদের আলাদা করে রাখ। এরপর সমস্ত লাশকে আলাদা করে রাখার পর দেখা যায় যে, সে ব্যক্তির লাশ সবার নীচে মাটির উপর পড়ে আছে। এ সময় তিনি ’আল্লাহ আকবর’ ধ্বনি দিয়ে বলেনঃ মহান আল্লাহ সত্য বলেছেন এবং তাঁর রাসূল তা আমাদের কাছে পৌছে দিয়েছেন। একথা শুনে উবাইদা সালমানী (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বলেনঃ ইয়া আমীরুল মু’মিনীন। ঐ জাতের কসম! যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, আপনি কি ইহা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছেন? জবাবে তিনি বলেনঃ ঐ আল্লাহ যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, আমি ইহা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি। বাকী তিনবার শপথপূর্বক এর জবাব দেন।

* ‘হারুরা' একটি স্থানের নাম যেখানে খারিজীরা সর্বপ্রথম একত্রিত হয়েছিল। এ সময় আলী (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-কে তাদের কাছে পাঠান বুঝাবার জন্য। ফলে, কিছু লোক তার কথা মানে এবং কতক অমান্য করে। এরপর তারা নাহরাওন নামক স্থানে গিয়ে একত্রিত হয়। - অনুবাদক
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ الْجُهَنِيُّ، : أَنَّهُ كَانَ فِي الْجَيْشِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ الَّذِينَ سَارُوا إِلَى الْخَوَارِجِ فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ : أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : " يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِي يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَيْسَتْ قِرَاءَتُكُمْ إِلَى قِرَاءَتِهِمْ شَيْئًا وَلاَ صَلاَتُكُمْ إِلَى صَلاَتِهِمْ شَيْئًا وَلاَ صِيَامُكُمْ إِلَى صِيَامِهِمْ شَيْئًا، يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَحْسَبُونَ أَنَّهُ لَهُمْ وَهُوَ عَلَيْهِمْ، لاَ تُجَاوِزُ صَلاَتُهُمْ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، لَوْ يَعْلَمُ الْجَيْشُ الَّذِينَ يُصِيبُونَهُمْ مَا قُضِيَ لَهُمْ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم لَنَكَلُوا عَلَى الْعَمَلِ، وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّ فِيهِمْ رَجُلاً لَهُ عَضُدٌ وَلَيْسَتْ لَهُ ذِرَاعٌ، عَلَى عَضُدِهِ مِثْلُ حَلَمَةِ الثَّدْىِ عَلَيْهِ شَعَرَاتٌ بِيضٌ " . أَفَتَذْهَبُونَ إِلَى مُعَاوِيَةَ وَأَهْلِ الشَّامِ وَتَتْرُكُونَ هَؤُلاَءِ يَخْلُفُونَكُمْ فِي ذَرَارِيِّكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَكُونُوا هَؤُلاَءِ الْقَوْمَ، فَإِنَّهُمْ قَدْ سَفَكُوا الدَّمَ الْحَرَامَ، وَأَغَارُوا فِي سَرْحِ النَّاسِ فَسِيرُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ . قَالَ : سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ : فَنَزَّلَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ مَنْزِلاً مَنْزِلاً حَتَّى مَرَّ بِنَا عَلَى قَنْطَرَةٍ قَالَ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا وَعَلَى الْخَوَارِجِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ الرَّاسِبِيُّ فَقَالَ لَهُمْ : أَلْقُوا الرِّمَاحَ وَسُلُّوا السُّيُوفَ مِنْ جُفُونِهَا، فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يُنَاشِدُوكُمْ كَمَا نَاشَدُوكُمْ يَوْمَ حَرُورَاءَ قَالَ : فَوَحَّشُوا بِرِمَاحِهِمْ وَاسْتَلُّوا السُّيُوفَ وَشَجَرَهُمُ النَّاسُ بِرِمَاحِهِمْ - قَالَ - وَقَتَلُوا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضِهِمْ . قَالَ : وَمَا أُصِيبَ مِنَ النَّاسِ يَوْمَئِذٍ إِلاَّ رَجُلاَنِ فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ : الْتَمِسُوا فِيهِمُ الْمُخْدَجَ فَلَمْ يَجِدُوا قَالَ : فَقَامَ عَلِيٌّ رضى الله عنه بِنَفْسِهِ حَتَّى أَتَى نَاسًا قَدْ قُتِلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ فَقَالَ : أَخْرِجُوهُمْ فَوَجَدُوهُ مِمَّا يَلِي الأَرْضَ فَكَبَّرَ وَقَالَ : صَدَقَ اللَّهُ وَبَلَّغَ رَسُولُهُ . فَقَامَ إِلَيْهِ عَبِيدَةُ السَّلْمَانِيُّ فَقَالَ : يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَقَدْ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ : إِي وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ حَتَّى اسْتَحْلَفَهُ ثَلاَثًا وَهُوَ يَحْلِفُ .
হাদীস নং:৪৬৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬৯
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৯৪. মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ (রাহঃ) ..... আবু ওযযী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আলী (রাযিঃ) সে যুদ্ধের সময় বলেনঃ তোমরা মাখদাজকে অনুসন্ধান কর। এরপর তিনি এ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ তখন লোকেরা তার লাশকে মৃতদের লাশের নীচে যমীন থেকে উদ্ধার করে।

রাবী আবু ওযযী (রাহঃ) বলেনঃ আমি যেন এখনো তার লাশকে দেখছি। সে একটা হাবশী কুর্তা (জামা) পরে ছিল এবং তার একটা বাহু স্ত্রীলোকের স্তনের বোঁটার মত ছিল, যার উপর বুনো ইদুরের চুলের মত পশম ছিল।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ جَمِيلِ بْنِ مُرَّةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَضِيءِ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ : اطْلُبُوا الْمُخْدَجَ . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فَاسْتَخْرَجُوهُ مِنْ تَحْتِ الْقَتْلَى فِي طِينٍ، قَالَ أَبُو الْوَضِيءِ : فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ حَبَشِيٌّ عَلَيْهِ قُرَيْطَقٌ لَهُ إِحْدَى يَدَيْنِ مِثْلُ ثَدْىِ الْمَرْأَةِ عَلَيْهَا شُعَيْرَاتٌ مِثْلُ شُعَيْرَاتِ الَّتِي تَكُونُ عَلَى ذَنَبِ الْيَرْبُوعِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৭০
২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।
৪৬৯৫. বিশর ইবনে খালিদ (রাহঃ) ..... নু’আয়ম ইবনে হাকীম (রাহঃ) আবু মারয়াম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ এই মাখদাজ একদা আমাদের সাথে মসজিদে উপস্থিত ছিল এবং সে দিন-রাত মসজিদেই বসে থাকতো। সে ফকীর ছিল এবং আমি তাকে ফকীরদের সাথে আনতে দেখেছি। একদা আলী (রাযিঃ) যখন খানা খাচ্ছিলেন, তখন আমি তাকে একখানা কাপড় দেই।

রাবী আবু মারয়াম (রাহঃ) এ-ও বলেছেনঃ নাফি (রাহঃ) তার নাম দিয়েছিল- ’যূ-ছাদিয়া অর্থাৎ স্তন-বিশিষ্ট ব্যক্তি। কেননা, তার হাতে স্ত্রীলোকদের স্তনের মত স্তন ছিল। যার অগ্রভাগে স্ত্রীলোকদের স্তনের বোঁটার মত বোঁটাও ছিল এবং তার উপর বিড়ালের গোঁফের মত পশমও ছিল।
باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ : إِنْ كَانَ ذَلِكَ الْمُخْدَجَ لَمَعَنَا يَوْمَئِذٍ فِي الْمَسْجِدِ نُجَالِسُهُ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَكَانَ فَقِيرًا وَرَأَيْتُهُ مَعَ الْمَسَاكِينِ يَشْهَدُ طَعَامَ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ مَعَ النَّاسِ وَقَدْ كَسَوْتُهُ بُرْنُسًا لِي . قَالَ أَبُو مَرْيَمَ : وَكَانَ الْمُخْدَجُ يُسَمَّى نَافِعًا ذَا الثُّدَيَّةِ، وَكَانَ فِي يَدِهِ مِثْلُ ثَدْىِ الْمَرْأَةِ عَلَى رَأْسِهِ حَلَمَةٌ مِثْلُ حَلَمَةِ الثَّدْىِ عَلَيْهِ شُعَيْرَاتٌ مِثْلُ سِبَالَةِ السِّنَّوْرِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান