কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৬৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭২৯
২০. মহান আল্লাহর দীদার সম্পর্কে।
৪৬৫৪. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ..... জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বসেছিলাম। এ সময় তিনি পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেনঃ অচিরেই তোমরা তোমাদের রবকে দেখবে, যেরূপ তোমরা এ চাঁদকে দেখছো। তোমাদের রবের দর্শনে তোমাদের কোন কষ্ট হবে না। কাজেই, যদি তোমাদের জন্য সম্ভব হয়, তবে তোমরা সূর্য উঠার আগের এবং সুর্য ডুবার আগের নামায (ফজর ও আসর) যথাযথভাবে আদায় করবে। এরপর নবী (ﷺ) এ আয়াত পাঠ করেনঃ পবিত্রতা বর্ণনা কর তোমার রবের, সূর্য উঠার আগে এবং সূর্য ডুবার আগে।
باب فِي الرُّؤْيَةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَوَكِيعٌ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جُلُوسًا فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَيْلَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ فَقَالَ " إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا لاَ تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لاَ تُغْلَبُوا عَلَى صَلاَةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا " . ثُمَّ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ ( فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا )

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩০
২০. মহান আল্লাহর দীদার সম্পর্কে।
৪৬৫৫. ইসহাক ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি আমাদের মহান রবকে কিয়ামতের দিন দেখতে পাব? তিনি বলেনঃ যখন আকাশে কোন মেঘ থাকে না, তখন দুপুরের সূর্য দেখতে তোমাদের কি কোন অসুবিধা হয়? তারা বলেনঃ না এরপর নবী (ﷺ) বলেনঃ পূর্ণিমার রাতে আকাশে যখন কোন মেঘ থাকে না, তখন ঐ চাঁদকে দেখতে তোমাদের কি কোন অসুবিধা হয়? তারা বলেনঃ না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যাঁর নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন, তাঁর শপথ! সূর্য ও চাঁদ দেখতে তোমাদের যেমন অসুবিধা হয় না, এরূপ মহান আল্লাহর দর্শনে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না।
باب فِي الرُّؤْيَةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ نَاسٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ " هَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ فِي الظَّهِيرَةِ لَيْسَتْ فِي سَحَابَةٍ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " هَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَيْسَ فِي سَحَابَةٍ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ إِلاَّ كَمَا تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ أَحَدِهِمَا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩১
২০. মহান আল্লাহর দীদার সম্পর্কে।
৪৬৫৬. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আবু রাযীন (রাহঃ) বলেনঃ মুসা আকীলী (রাহঃ) বলেছেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করিঃ কিয়ামতের দিন সবাই কি তার রবকে দেখবে? এর উদাহরণ কিরূপ? নবী (ﷺ) বলেনঃ হে আবু রাযীন! তোমরা সবাই কি চাঁদকে দেখতে পাও না? তিনি বলেনঃ পূর্ণিমার রাতের চাঁদকে দেখতে পায় না? তিনি বলেনঃ পূর্ণিমার রাতের চাঁদকে!
এরপর দু’জন রাবী একত্র হয়ে বর্ণনা করেন, আমরা বলিঃ হ্যাঁ। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ তো মহান। এরপর আবু রাযীন (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ চাঁদ তো তাঁরই সৃষ্ট একটি বস্তু, (তা যখন দেখতে পাও), তখন মহান আল্লাহর শান তো অনেক বড়, (কাজেই, কিয়ামতের দিন জান্নাতীদের তাকে দেখতে কোন অসুবিধা হবে না।)
এরপর দু’জন রাবী একত্র হয়ে বর্ণনা করেন, আমরা বলিঃ হ্যাঁ। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ তো মহান। এরপর আবু রাযীন (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ চাঁদ তো তাঁরই সৃষ্ট একটি বস্তু, (তা যখন দেখতে পাও), তখন মহান আল্লাহর শান তো অনেক বড়, (কাজেই, কিয়ামতের দিন জান্নাতীদের তাকে দেখতে কোন অসুবিধা হবে না।)
باب فِي الرُّؤْيَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، - الْمَعْنَى - عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعٍ، - قَالَ مُوسَى - ابْنُ عُدُسٍ عَنْ أَبِي رَزِينٍ، - قَالَ مُوسَى الْعُقَيْلِيُّ - قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكُلُّنَا يَرَى رَبَّهُ قَالَ ابْنُ مُعَاذٍ مُخْلِيًا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ قَالَ " يَا أَبَا رَزِينٍ أَلَيْسَ كُلُّكُمْ يَرَى الْقَمَرَ " . قَالَ ابْنُ مُعَاذٍ " لَيْلَةَ الْبَدْرِ مُخْلِيًا بِهِ " . ثُمَّ اتَّفَقَا قُلْتُ بَلَى . قَالَ " فَاللَّهُ أَعْظَمُ " . قَالَ ابْنُ مُعَاذٍ قَالَ " فَإِنَّمَا هُوَ خَلْقٌ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ فَاللَّهُ أَجَلُّ وَأَعْظَمُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৬৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩২
২০. মহান আল্লাহর দীদার সম্পর্কে।
৪৬৫৭. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা সমস্ত আসমানকে একত্রিত করে, তাঁর ডান হাতে ধরে বলবেনঃ আমি-ই একমাত্র বাদশাহ! (দুনিয়ার সেই) অত্যাচারী ও গর্বকারী শাসকরা কোথায়? এরপর তিনি সব যমীনকে একত্রিত করার পর অন্যহাতে ধরে বলবেনঃ আমি-ই একচ্ছত্র অধিপতি। (দুনিয়ার সেই) জালিম ও অহংকারী শাসকরা কোথায়?
باب فِي الرُّؤْيَةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّ أَبَا أُسَامَةَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ، قَالَ قَالَ سَالِمٌ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَطْوِي اللَّهُ السَّمَوَاتِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثُمَّ يَأْخُذُهُنَّ بِيَدِهِ الْيُمْنَى ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ الْجَبَّارُونَ أَيْنَ الْمُتَكَبِّرُونَ ثُمَّ يَطْوِي الأَرَضِينَ ثُمَّ يَأْخُذُهُنَّ " . قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ " بِيَدِهِ الأُخْرَى ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ الْجَبَّارُونَ أَيْنَ الْمُتَكَبِّرُونَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩৩
২০. মহান আল্লাহর দীদার সম্পর্কে।
৪৬৫৮. কা’নবী (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমাদের রব প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দুনিয়ার আসমানে এসে বলেনঃ আমার কাছে কে দুআ করবে? আমি তার দুআ কবুল করবো! কে আমার কাছে চাবে, আমি তাকে তা দেব। আমার কাছে কে গুনাহ মাফ চাবে, আমি তার গুনাহ মাফ করে দেব।
باب فِي الرُّؤْيَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَنْزِلُ رَبُّنَا كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرِ فَيَقُولُ مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ " .