কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৬১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯১
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬১৮. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কাদেরীয়ারা* এ উম্মতের মধ্যে মাজুস বা অগ্নি-উপাসকদের মত। যদি তারা পীড়িত হয়, তবে তোমরা তাদের সেবা-শুশ্রূষা করবে না। আর যদি তারা মারা যায়, তবে তাদের জানাযায় শরীক হবে না।
* কাদেরীয়াদের মতবাদ এই যে, বান্দা নিজেই তার কাজের স্রষ্টা । তারা এ কারণে অগ্নি-উপাসকদের মত, যেহেতু তারা বলেঃ ভাল কাজের স্রষ্টা ‘ইয়াযদান' এবং খারাপ কাজের স্রষ্টা আহরমন'। কিন্তু আহলে -সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মত এই যে, আল্লাহ-ই সব কাজের স্রষ্টা ও নিয়ামক। যেমন তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের এবং তোমাদের সব কাজকে সৃষ্টি করেছেন। - অনুবাদক
* কাদেরীয়াদের মতবাদ এই যে, বান্দা নিজেই তার কাজের স্রষ্টা । তারা এ কারণে অগ্নি-উপাসকদের মত, যেহেতু তারা বলেঃ ভাল কাজের স্রষ্টা ‘ইয়াযদান' এবং খারাপ কাজের স্রষ্টা আহরমন'। কিন্তু আহলে -সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মত এই যে, আল্লাহ-ই সব কাজের স্রষ্টা ও নিয়ামক। যেমন তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের এবং তোমাদের সব কাজকে সৃষ্টি করেছেন। - অনুবাদক
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي بِمِنًى، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْقَدَرِيَّةُ مَجُوسُ هَذِهِ الأُمَّةِ إِنْ مَرِضُوا فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَإِنْ مَاتُوا فَلاَ تَشْهَدُوهُمْ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯২
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬১৯. মুহাম্মাদ ইবনে কাছীর (রাহঃ) ..... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে ’মাজুস’ আছে; আর আমার উম্মতের মধ্যে তারাই ’মাজুস’ যারা বলেঃ তাকদীর বলে কিছু নেই। তাদের কেউ মারা গেলে তোমরা তাদের জানাযায় শরীক হবে না। আর এদের কেউ যদি পীড়িত হয়, তবে তাদের সেবা-শুশ্রূষার জন্য যাবে না। কেননা এরা দাজ্জালের অনুসারী, আর আল্লাহ অবশ্যই তাদের দাজ্জালের সাথে মিলিত করবেন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُمَرَ، مَوْلَى غُفْرَةَ عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الأَنْصَارِ عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِكُلِّ أُمَّةٍ مَجُوسٌ وَمَجُوسُ هَذِهِ الأُمَّةِ الَّذِينَ يَقُولُونَ لاَ قَدَرَ مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ فَلاَ تَشْهَدُوا جَنَازَتَهُ وَمَنْ مَرِضَ مِنْهُمْ فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَهُمْ شِيعَةُ الدَّجَّالِ وَحَقٌّ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُلْحِقَهُمْ بِالدَّجَّالِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৬২০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯৩
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২০. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আদম-(আলাইহিস সালাম)-কে এমন এক মুষ্টি মাটি দিয়ে তৈরী করেন, যা তিনি যমীনের সব অংশ থেকে নেন। আর এ কারণেই আদম সন্তান ঐ মাটির স্বভাব অনুযায়ী সৃষ্টি হয়েছ; যেমনঃ কেউ সাদা, কেউ লাল এবং কেউ কাল, আর কেউ এর মাঝামাঝি রংয়ের। আর এ জন্য তাদের কারো স্বভাব নরম, কারো কঠোর; আর কেউ খাবীছ (কাফির, মুশরিক) আবার কেউ পবিত্র স্বভাবের অর্থাৎ মুসলমান।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، وَيَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، حَدَّثَاهُمْ قَالاَ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، قَالَ حَدَّثَنَا قَسَامَةُ بْنُ زُهَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الأَرْضِ فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلَى قَدْرِ الأَرْضِ جَاءَ مِنْهُمُ الأَحْمَرُ وَالأَبْيَضُ وَالأَسْوَدُ وَبَيْنَ ذَلِكَ وَالسَّهْلُ وَالْحَزْنُ وَالْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ " . زَادَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى " وَبَيْنَ ذَلِكَ " . وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ يَزِيدَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৬২১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯৪
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২১. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা এক ব্যক্তির জানাযার নামাযে শরীক ছিলাম, যেখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও ছিলেন- ’বাকীয়ে গারকাদ’ নামক স্থানে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে এসে বসেন এবং তাঁর হাতের ছড়ি দিয়ে মৃদুভাবে যমীনে আঘাত করতে থাকেন। এরপর তিনি মাথা উচুঁ করে বলেনঃ তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির বা নফসের জন্য আল্লাহ তাআলা হয়তো জান্নাতে-নয়তো জাহান্নামে তার স্থান নির্ধারণ করেছেন; আর সে ব্যক্তি কি নেককার বা বদকার হবে, তা ও নির্ধারণ করেছেন।
তখন এক ব্যক্তি বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তবে কি আমরা আমল পরিত্যাগ করে কেবল তাকদীরের উপর ভরসা করবো? কেননা, যে ব্যক্তি নেককার হওয়ার, সে তো তা হবেই, আর যে বদকার হওয়ার-সে তো তা হবেই। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা আমল করতে থাক। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই শক্তি প্রদান করা হয়। কাজেই নেককার ভাল কাজ করে এবং বদকার খারাপ কাজ করে।
এরপর নবী (ﷺ) এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ আর যে ব্যক্তি দান করে, আল্লাহকে ভয় করে, তাওহীদের কালিমাকে স্বীকার করে, আমি তাকে তা সহজভাবে সম্পন্ন করার তাওফীক দেই। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি কৃপণতা করে, নেক আমল করা হতে বিরত থাকে এবং তাওহীদকে অস্বীকার করে, আমি তার জন্য বদ-আমলকে সহজ করে দেই।
তখন এক ব্যক্তি বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তবে কি আমরা আমল পরিত্যাগ করে কেবল তাকদীরের উপর ভরসা করবো? কেননা, যে ব্যক্তি নেককার হওয়ার, সে তো তা হবেই, আর যে বদকার হওয়ার-সে তো তা হবেই। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা আমল করতে থাক। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই শক্তি প্রদান করা হয়। কাজেই নেককার ভাল কাজ করে এবং বদকার খারাপ কাজ করে।
এরপর নবী (ﷺ) এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ আর যে ব্যক্তি দান করে, আল্লাহকে ভয় করে, তাওহীদের কালিমাকে স্বীকার করে, আমি তাকে তা সহজভাবে সম্পন্ন করার তাওফীক দেই। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি কৃপণতা করে, নেক আমল করা হতে বিরত থাকে এবং তাওহীদকে অস্বীকার করে, আমি তার জন্য বদ-আমলকে সহজ করে দেই।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ مَنْصُورَ بْنَ الْمُعْتَمِرِ، يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَبِيبٍ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ كُنَّا فِي جَنَازَةٍ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ وَمَعَهُ مِخْصَرَةٌ فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِالْمِخْصَرَةِ فِي الأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ إِلاَّ قَدْ كَتَبَ اللَّهُ مَكَانَهَا مِنَ النَّارِ أَوْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ قَدْ كُتِبَتْ شَقِيَّةً أَوْ سَعِيدَةً " . قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَفَلاَ نَمْكُثُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى السَّعَادَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشِّقْوَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى الشِّقْوَةِ قَالَ " اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ أَمَّا أَهْلُ السَّعَادَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِلسَّعَادَةِ وَأَمَّا أَهْلُ الشِّقْوَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِلشِّقْوَةِ " . ثُمَّ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ " ( فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى * وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى * فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى * وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى * وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى * . فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى ) " .
হাদীস নং:৪৬২২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯৫
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২২. উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ..... ইয়াহয়া ইবনে ইয়ামার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ বসরার অধিবাসী মা'বাদ জুহানী সর্ব প্রথম তাকদীরের সমালোচনা করেন। এ সময় আমি এবং হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান হিময়ারী (রাহঃ) হজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে বের হই। আমরা বলাবলি করিঃ যদি আমাদের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কোন সাহাবীর দেখা হয়, তবে আমরা তার সঙ্গে এ ব্যক্তিদের সম্পর্কে আলোচনা করবো, যারা তাকদীর সম্পর্কে এরূপ বলে। তখন আল্লাহর মেহেরবানীতে আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর দেখা পাই মসজিদে প্রবেশ করার সাথে-সাথেই।
আমি এবং আমার সাথী তাকে ঘিরে ধরি এবং আমি মনে করি আমার সাথী আমাকে কথা বলার সুযোগ দেবে। তখন আমি তাকে বলিঃ হে আবু আব্দুর রহমান! আমাদের মাঝে এমন কিছু লোকের সৃষ্টি হয়েছে, যারা কুরআন পাঠ করে এবং এর সূক্ষ্ম বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করে বলেঃ তাকদীর বলে কিছুই নেই। সব কিছুই এমনিতেই হয়ে থাকে। এ কথা শুনে তিনি বলেনঃ যখন তাদের সাথে তোমাদের দেখা হবে, তখন তাদের বলবে, আমি তাদের উপর অসন্তুষ্ট এবং তারাও আমার উপর অসন্তুষ্ট। ঐ জাতের (আল্লাহর) কসম! যার কসম আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) করছে; যদি তাদের কারো কাছে উহুদ পরিমাণ সোনা থাকে এবং তারা তা (আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে, তবু ও আল্লাহ ততক্ষণ তা কবুল করবেন না, যতক্ষণ না সে তাকদীরের প্রতি ঈমান আনে।
এরপর তিনি বলেনঃ আমার কাছে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বসা ছিলাম। সে সময় সেখানে সাদা পোশাক পরিহিত, কাল চুল বিশিষ্ট একজন আসে, যার মধ্যে সফরের কোন চিহ্ন ছিল না এবং তাঁর দুই জানু নবী (ﷺ)-এর জানুদ্বয়ের নিকট রেখে, স্বীয় দু’হাত নবী (ﷺ)-এর জানুর উপর রেখে জিজ্ঞাসা করেঃ হে মুহাম্মাদ! ইসলাম কি, সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ ইসলাম হলো-এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর রাসূল। তুমি নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং রমযানের রোযা রাখবে এবং সামর্থ্য থাকলে আল্লাহর ঘর যিয়ারত (হজ্জ) করবে। তখন সে বলেঃ আপনি সত্য বলেছেন।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ তার এরূপ উক্তিতে আমরা বিস্মিত হই এ জন্য যে, সে নিজে প্রশ্ন করছে এবং নিজেই তা সত্যায়িত করছে! এরপর সে জিজ্ঞাসা করেঃ ঈমান কি? নবী (ﷺ) বলেনঃ ঈমান হলো-তুমি আল্লাহ, ফিরিশতা, কিতাব, রাসূল এবং কিয়ামতের দিনের উপর দৃঢ়-বিশ্বাস রাখবে, আর এও ইয়াকীন রাখবে যে, তাকদীরের ভাল-মন্দ সবই আল্লাহর তরফ থেকে হয়। এ কথা শুনে সে বলেঃ আপনি ঠিকই বলেছেন। এরপর সে ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেঃ আমাকে ইহসান সম্পর্কে কিছু বলুন। জবাবে তিনি বলেনঃ তুমি আল্লাহর ইবাদত এভাবে করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছো। আর যদি তুমি তাঁকে দেখতে না পাও, তবে এরূপ মনে করবে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন।
এরপর সে ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেঃ কিয়ামত কবে হবে? তিনি বলেনঃ এ সম্পর্কে যাকে জিজ্ঞাসা করে হয়েছে, সে প্রশ্নকারী থেকে অধিক অবহিত নয়। তখন সে ব্যক্তি বলেঃ তাহলে এর আলামত সম্পর্কে কিছু বলুন। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ দাসী তার মনিবের জন্ম দেবে (অর্থাৎ সন্তান তার মায়ের নাফরমানী করবে); আর তুমি দেখবে যে, খালি পা ও খালি গায়ের অধিকারী মুখাপেক্ষী রাখাল সম্প্রদায়ের লোকেরা উঁচু-উঁচু প্রাসাদ তৈরী করে গর্ব প্রকাশ করবে। রাবী বলেনঃ পরে সে ব্যক্তি চলে গেলে, আমি নবী (ﷺ)-এর কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করি। তিনি বলেনঃ হে উমর! তুমি কি জান, এ প্রশ্নকারী ব্যক্তিটি কে? আমি বলিঃ আল্লাহ এবং তাঁর এ বিষয়ে অধিক জ্ঞাত। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ ইনি হলেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম), যিনি তোমাদের কাছে এসেছিলেন দ্বীন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়ার জন্যে।
আমি এবং আমার সাথী তাকে ঘিরে ধরি এবং আমি মনে করি আমার সাথী আমাকে কথা বলার সুযোগ দেবে। তখন আমি তাকে বলিঃ হে আবু আব্দুর রহমান! আমাদের মাঝে এমন কিছু লোকের সৃষ্টি হয়েছে, যারা কুরআন পাঠ করে এবং এর সূক্ষ্ম বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করে বলেঃ তাকদীর বলে কিছুই নেই। সব কিছুই এমনিতেই হয়ে থাকে। এ কথা শুনে তিনি বলেনঃ যখন তাদের সাথে তোমাদের দেখা হবে, তখন তাদের বলবে, আমি তাদের উপর অসন্তুষ্ট এবং তারাও আমার উপর অসন্তুষ্ট। ঐ জাতের (আল্লাহর) কসম! যার কসম আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) করছে; যদি তাদের কারো কাছে উহুদ পরিমাণ সোনা থাকে এবং তারা তা (আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে, তবু ও আল্লাহ ততক্ষণ তা কবুল করবেন না, যতক্ষণ না সে তাকদীরের প্রতি ঈমান আনে।
এরপর তিনি বলেনঃ আমার কাছে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বসা ছিলাম। সে সময় সেখানে সাদা পোশাক পরিহিত, কাল চুল বিশিষ্ট একজন আসে, যার মধ্যে সফরের কোন চিহ্ন ছিল না এবং তাঁর দুই জানু নবী (ﷺ)-এর জানুদ্বয়ের নিকট রেখে, স্বীয় দু’হাত নবী (ﷺ)-এর জানুর উপর রেখে জিজ্ঞাসা করেঃ হে মুহাম্মাদ! ইসলাম কি, সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ ইসলাম হলো-এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর রাসূল। তুমি নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং রমযানের রোযা রাখবে এবং সামর্থ্য থাকলে আল্লাহর ঘর যিয়ারত (হজ্জ) করবে। তখন সে বলেঃ আপনি সত্য বলেছেন।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ তার এরূপ উক্তিতে আমরা বিস্মিত হই এ জন্য যে, সে নিজে প্রশ্ন করছে এবং নিজেই তা সত্যায়িত করছে! এরপর সে জিজ্ঞাসা করেঃ ঈমান কি? নবী (ﷺ) বলেনঃ ঈমান হলো-তুমি আল্লাহ, ফিরিশতা, কিতাব, রাসূল এবং কিয়ামতের দিনের উপর দৃঢ়-বিশ্বাস রাখবে, আর এও ইয়াকীন রাখবে যে, তাকদীরের ভাল-মন্দ সবই আল্লাহর তরফ থেকে হয়। এ কথা শুনে সে বলেঃ আপনি ঠিকই বলেছেন। এরপর সে ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেঃ আমাকে ইহসান সম্পর্কে কিছু বলুন। জবাবে তিনি বলেনঃ তুমি আল্লাহর ইবাদত এভাবে করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছো। আর যদি তুমি তাঁকে দেখতে না পাও, তবে এরূপ মনে করবে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন।
এরপর সে ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেঃ কিয়ামত কবে হবে? তিনি বলেনঃ এ সম্পর্কে যাকে জিজ্ঞাসা করে হয়েছে, সে প্রশ্নকারী থেকে অধিক অবহিত নয়। তখন সে ব্যক্তি বলেঃ তাহলে এর আলামত সম্পর্কে কিছু বলুন। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ দাসী তার মনিবের জন্ম দেবে (অর্থাৎ সন্তান তার মায়ের নাফরমানী করবে); আর তুমি দেখবে যে, খালি পা ও খালি গায়ের অধিকারী মুখাপেক্ষী রাখাল সম্প্রদায়ের লোকেরা উঁচু-উঁচু প্রাসাদ তৈরী করে গর্ব প্রকাশ করবে। রাবী বলেনঃ পরে সে ব্যক্তি চলে গেলে, আমি নবী (ﷺ)-এর কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করি। তিনি বলেনঃ হে উমর! তুমি কি জান, এ প্রশ্নকারী ব্যক্তিটি কে? আমি বলিঃ আল্লাহ এবং তাঁর এ বিষয়ে অধিক জ্ঞাত। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ ইনি হলেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম), যিনি তোমাদের কাছে এসেছিলেন দ্বীন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়ার জন্যে।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ بِالْبَصْرَةِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا يَقُولُ هَؤُلاَءِ فِي الْقَدَرِ . فَوَفَّقَ اللَّهُ لَنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ دَاخِلاً فِي الْمَسْجِدِ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّهُ قَدْ ظَهَرَ قِبَلَنَا نَاسٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَفَقَّرُونَ الْعِلْمَ يَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَالأَمْرُ أُنُفٌ . فَقَالَ إِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي بَرِيءٌ مِنْهُمْ وَهُمْ بُرَآءُ مِنِّي وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ أَنَّ لأَحَدِهِمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فَأَنْفَقَهُ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ثُمَّ قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعْرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ نَعْرِفُهُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الإِسْلاَمِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ . قَالَ " أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِحْسَانِ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ " . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ . قَالَ " مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ " . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَاتِهَا . قَالَ " أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ " . قَالَ ثُمَّ انْطَلَقَ فَلَبِثْتُ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ " يَا عُمَرُ هَلْ تَدْرِي مَنِ السَّائِلُ " . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ " .
হাদীস নং:৪৬২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯৬
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৩. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... ইয়াহয়া ইবনে ইয়া’মার ও হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেনঃ একদা আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সাথে দেখা করি, তাকে তাকদীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। এরপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এখানে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণিত হয়েছে যে, মুযায়না বা জুহায়না গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কিরূপ খেয়াল করে আমল করবো-তাকদীরে যা ছিল হয়ে গেছে না আরো কিছু হবে? তিনি বলেনঃ তোমরা এরূপ খেয়াল করে আমল করবে যে, তোমাদের তাকদীরে যা আছে, তা লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। তখন জনৈক ব্যক্তি বলেঃ তা হলে আর আমলের প্রয়োজন কী? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ জান্নাতের অধিবাসীদের জান্নাতের অনুরূপ কাজের সামর্থ প্রদান করা হয় এবং জাহান্নামীদের দোজখের কাজের।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، وَحُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ لَقِينَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَذَكَرْنَا لَهُ الْقَدَرَ وَمَا يَقُولُونَ فِيهِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ زَادَ قَالَ وَسَأَلَهُ رَجُلٌ مِنْ مُزَيْنَةَ أَوْ جُهَيْنَةَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِيمَا نَعْمَلُ أَفِي شَىْءٍ قَدْ خَلاَ أَوْ مَضَى أَوْ شَىْءٍ يُسْتَأْنَفُ الآنَ قَالَ " فِي شَىْءٍ قَدْ خَلاَ وَمَضَى " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَوْ بَعْضُ الْقَوْمِ فَفِيمَ الْعَمَلُ قَالَ " إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنَّ أَهْلَ النَّارِ يُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯৭
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৪. মাহমুদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের অনু্রূপ বর্ণিত হয়েছে। এরপর সে ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করে যে, ইসলাম কি? তিনি বলেনঃ নামায কায়েম করা, যাকাত দেয়া, আল্লাহর ঘরে হজ্জ আদায় করা, রমযান মাসে রোযা রাখা এবং হতে পবিত্রতা হাসিলের জন্য গোসল করা-এ হলো ইসলাম।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ يَعْمَرَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ قَالَ فَمَا الإِسْلاَمُ قَالَ " إِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَحَجُّ الْبَيْتِ وَصَوْمُ شَهْرِ رَمَضَانَ وَالاِغْتِسَالُ مِنَ الْجَنَابَةِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ عَلْقَمَةُ مُرْجِئٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯৮
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৫. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ..... আবু যর এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাহাবীদের সাথে বসতেন, তখন কোন অচেনা লোক সেখানে আসলে, জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত নবী (ﷺ)-কে চিনতে পারতো না। এ জন্য আমরা মনে করি, তাঁর বসার জন্য একটি বিশেষ স্থান নির্ধারিত করা দরকার, যাতে অচেনা লোক সহজেই তাঁকে চিনতে পারে। এরপর আমরা নবী (ﷺ)-এর জন্য একটি চত্বর তৈরী করি, যেখানে তিনি বসতেন এবং আমরা তাঁর চারপাশে বসতাম। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, জনৈক ব্যক্তি আসে-যার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তিনি এসে মজলিসের এক পাশ হতে সালাম দিয়ে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার প্রতি সালাম। তখন নবী (ﷺ) তার সালামের জবাব দেন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ قَالاَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجْلِسُ بَيْنَ ظَهْرَىْ أَصْحَابِهِ فَيَجِيءُ الْغَرِيبُ فَلاَ يَدْرِي أَيُّهُمْ هُوَ حَتَّى يَسْأَلَ فَطَلَبْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَجْعَلَ لَهُ مَجْلِسًا يَعْرِفُهُ الْغَرِيبُ إِذَا أَتَاهُ - قَالَ - فَبَنَيْنَا لَهُ دُكَّانًا مِنْ طِينٍ فَجَلَسَ عَلَيْهِ وَكُنَّا نَجْلِسُ بِجَنْبَتَيْهِ وَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا الْخَبَرِ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ فَذَكَرَ هَيْئَتَهُ حَتَّى سَلَّمَ مِنْ طَرْفِ السِّمَاطِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ . قَالَ فَرَدَّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯৯
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৬. মুহাম্মাদ ইবনে কাছীর (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে দায়লামী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন; একদা আমি উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলিঃ আমার অন্তরে তাকদীরের ব্যাপারে কিছু সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে, আপনি সে সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন, যাতে আল্লাহ আমার অন্তর থেকে তা দূর করে দেন। তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহ যদি আসমান ও যমীনের সব মাখলূককে আযাব দেন, তবে এজন্য তাঁকে জালিম বলা যাবে না। আর যদি তিনি সকলের উপর রহম করেন, তবে তাঁর রহমত তাদের জন্য, তাদের আমলের চাইতে উত্তম।
আর যদি তুমি আল্লাহর রাস্তায় উহুদ পরিমাণ সোনা ব্যয় কর, তবে আল্লাহ তাআলা ততক্ষণ তা কবুল করবেন না, যতক্ষণ না তুমি তাকদীরের উপর ঈমান আনবে। আর তুমি বিশেষভাবে মনে রাখবে যে, তোমার যা পাওনা ছিল, তা অবশ্যই পেয়েছ; আর তুমি যা পাওয়ার নও-তা কখনো পাবে না। আর যদি তুমি এরূপ বিশ্বাস ব্যতীত-অন্য বিশ্বাসের উপর মারা যাও, তবে তুমি জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
রাবী বলেনঃ এরপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-এর কাছে আসলে, তিনি বলেনঃ তারপর আমি হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ)-এর কাছে গেলে, তিনিও অনুরূপ বর্ণনা করেন। রাবী বলেনঃ পরে আমি যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-এর কাছে গেলে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
আর যদি তুমি আল্লাহর রাস্তায় উহুদ পরিমাণ সোনা ব্যয় কর, তবে আল্লাহ তাআলা ততক্ষণ তা কবুল করবেন না, যতক্ষণ না তুমি তাকদীরের উপর ঈমান আনবে। আর তুমি বিশেষভাবে মনে রাখবে যে, তোমার যা পাওনা ছিল, তা অবশ্যই পেয়েছ; আর তুমি যা পাওয়ার নও-তা কখনো পাবে না। আর যদি তুমি এরূপ বিশ্বাস ব্যতীত-অন্য বিশ্বাসের উপর মারা যাও, তবে তুমি জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
রাবী বলেনঃ এরপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-এর কাছে আসলে, তিনি বলেনঃ তারপর আমি হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ)-এর কাছে গেলে, তিনিও অনুরূপ বর্ণনা করেন। রাবী বলেনঃ পরে আমি যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-এর কাছে গেলে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ خَالِدٍ الْحِمْصِيِّ، عَنِ ابْنِ الدَّيْلَمِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ فَقُلْتُ لَهُ وَقَعَ فِي نَفْسِي شَىْءٌ مِنَ الْقَدَرِ فَحَدِّثْنِي بِشَىْءٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُذْهِبَهُ مِنْ قَلْبِي . فَقَالَ لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ عَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ كَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ وَلَوْ أَنْفَقْتَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ وَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ وَلَوْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا لَدَخَلْتَ النَّارَ . قَالَ ثُمَّ أَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ - قَالَ - ثُمَّ أَتَيْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ - قَالَ - ثُمَّ أَتَيْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَحَدَّثَنِي عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ .
হাদীস নং:৪৬২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০০
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৭. জা’ফর ইবনে মুসাফির (রাহঃ) ...... আবু হাফস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উবাদা ইবনে ছামিত (রাযিঃ) তার পুত্রকে বলেনঃ হে আমার প্রিয় পুত্র! তুমি ততক্ষণ ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পাবে না, যতক্ষণ না তুমি অনুধাবন কর যে, তুমি যা পেয়েছ, তা কিছুতেই ফেলতে পারতে না; আর তুমি যা পাওনি, তা অবশ্যই তুমি পাবে না। এরপর তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ সর্ব প্রথম কলম তৈরী করেন। এরপর তিনি কলমকে বলেনঃ লিখ। কলম বলেঃ হে আমার প্রতিপালক, আমি কি লিখব? তখন আল্লাহ বলেনঃ তুমি কিয়ামত পর্যন্ত সৃষ্ট সমস্ত জীবের তাকদীর লিখ। হে আমার প্রিয় পুত্র! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এরূপ বিশ্বাস ব্যতীত মারা যাবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ الْهُذَلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ رَبَاحٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ، عَنْ أَبِي حَفْصَةَ، قَالَ قَالَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ لاِبْنِهِ يَا بُنَىَّ إِنَّكَ لَنْ تَجِدَ طَعْمَ حَقِيقَةِ الإِيمَانِ حَتَّى تَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَمَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ الْقَلَمَ فَقَالَ لَهُ اكْتُبْ . قَالَ رَبِّ وَمَاذَا أَكْتُبُ قَالَ اكْتُبْ مَقَادِيرَ كُلِّ شَىْءٍ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ " . يَا بُنَىَّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ مَاتَ عَلَى غَيْرِ هَذَا فَلَيْسَ مِنِّي " .
হাদীস নং:৪৬২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০১
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৮. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ একদা আদম (আলাইহিস সালাম) ও মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর মধ্যে (রূহের জগতে)-বাদানুবাদ হয়। মুসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ হে আদম! আপনি আমাদের পিতা আপনি আমাদের বঞ্চিত করেছেন এবং জান্নাত থেকে বের করেছেন। তখন আদম (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ তুমি তো মুসা! তোমাকে আল্লাহ তাঁর কালাম দিয়ে সম্মানিত করেছেন; আর তিনি তোমার জন্য তাওরাত স্বহস্তে লিখেছেন। তুমি আমাকে অভিযুক্ত করছো এমন বিষয়ের জন্য, যা আল্লাহ তাআলা আমার তাকদীরে, আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর আগে নির্ধারিত করেন। সুতরাং এ তর্কে আদম (আলাইহিস সালাম) মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর উপর বিজয়ী হন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، - الْمَعْنَى - قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ طَاوُسًا، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ . فَقَالَ آدَمُ أَنْتَ مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلاَمِهِ وَخَطَّ لَكَ التَّوْرَاةَ بِيَدِهِ تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى " . قَالَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০২
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৯. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ..... উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ একদা মুসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহকে বলেনঃ হে আমার রব! আপনি আমাকে আদম (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাত করান, যিনি নিজে জান্নাত থেকে বের হয়েছেন এবং আমাদেরও বের করেছেন। তখন আল্লাহ তাকে আদম (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাত করান। মুসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ আপনি কি আমাদের পিতা আদম (আলাইহিস সালাম) নন? আদম (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ হ্যাঁ। মুসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ আপনি তো সেই আদম, যার মধ্যে মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট সমস্ত রূহ ফুঁকে দিয়েছিলেন, আর তিনি সব কিছুর নাম আপনাকে শিখিয়েছিলেন; আর আল্লাহর নির্দেশে ফিরিশতারা আপনাকে সিজদা করেছিল? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ।
তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ বলুন তো, কি কারণে আপনি নিজে জান্নাত থেকে বের হলেন এবং আমাদের ও বের করলেন? আদম (আলাইহিস সালাম) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কে? তিনি বলেনঃ আমি মুসা। আদম (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ তুমি তো বনু ইসরাঈলের সেই নবী, আল্লাহ তো তোমার সাথে কোন রাসূল (ফিরিশতা) ব্যতীত পর্দার আড়াল থেকে সরাসরি কথা বলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ হ্যাঁ। তখন আদম (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ তুমি কি অবগত নও যে, আমি যা কিছু করেছি তা আমার জন্মের আগেই কিতাবে লিপিবদ্ধ ছিল? মুসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ হ্যাঁ। তখন আদম (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ তবে কেন তুমি এমন একটা বিষয়ের জন্য অভিযুক্ত করেছো, যে ব্যাপারে মহান আল্লাহ আমার সৃষ্টির আগেই ফায়সালা দিয়েছেন? এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ এ তর্কযুদ্ধে আদম (আলাইহিস সালাম) মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর উপর বিজয়ী হন।
তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ বলুন তো, কি কারণে আপনি নিজে জান্নাত থেকে বের হলেন এবং আমাদের ও বের করলেন? আদম (আলাইহিস সালাম) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কে? তিনি বলেনঃ আমি মুসা। আদম (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ তুমি তো বনু ইসরাঈলের সেই নবী, আল্লাহ তো তোমার সাথে কোন রাসূল (ফিরিশতা) ব্যতীত পর্দার আড়াল থেকে সরাসরি কথা বলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ হ্যাঁ। তখন আদম (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ তুমি কি অবগত নও যে, আমি যা কিছু করেছি তা আমার জন্মের আগেই কিতাবে লিপিবদ্ধ ছিল? মুসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ হ্যাঁ। তখন আদম (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ তবে কেন তুমি এমন একটা বিষয়ের জন্য অভিযুক্ত করেছো, যে ব্যাপারে মহান আল্লাহ আমার সৃষ্টির আগেই ফায়সালা দিয়েছেন? এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ এ তর্কযুদ্ধে আদম (আলাইহিস সালাম) মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর উপর বিজয়ী হন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مُوسَى قَالَ يَا رَبِّ أَرِنَا آدَمَ الَّذِي أَخْرَجَنَا وَنَفْسَهُ مِنَ الْجَنَّةِ فَأَرَاهُ اللَّهُ آدَمَ فَقَالَ أَنْتَ أَبُونَا آدَمُ فَقَالَ لَهُ آدَمُ نَعَمْ . قَالَ أَنْتَ الَّذِي نَفَخَ اللَّهُ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَعَلَّمَكَ الأَسْمَاءَ كُلَّهَا وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَمَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ أَخْرَجْتَنَا وَنَفْسَكَ مِنَ الْجَنَّةِ فَقَالَ لَهُ آدَمُ وَمَنْ أَنْتَ قَالَ أَنَا مُوسَى . قَالَ أَنْتَ نَبِيُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ الَّذِي كَلَّمَكَ اللَّهُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ لَمْ يَجْعَلْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ رَسُولاً مِنْ خَلْقِهِ قَالَ نَعَمْ . قَالَ أَفَمَا وَجَدْتَ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي كِتَابِ اللَّهِ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَفِيمَ تَلُومُنِي فِي شَىْءٍ سَبَقَ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى فِيهِ الْقَضَاءُ قَبْلِي " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ " فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০৩
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩০. আব্দুল্লাহ কা’নবী (রাহঃ) .... মুসলিম ইবনে জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি উমর ইবনে খাওাব (রাযিঃ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেনঃ
إِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ
অর্থাৎ স্মরণ কর! তোমার রব আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন এবং তাদের নিজেদের সম্বন্ধে স্বীকারুক্তি গ্রহণ করেন এবং বলেনঃ আমি কি তোমাদের রব নই? তারা বলেঃ নিশ্চয়ই, আমরা সাক্ষী থাকলাম। (৭ঃ১৭২)
রাবী বলেনঃ কা’নবী এ আয়াত তিলাওয়াত করলে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে শুনি। জবাবে তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহ আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করার পর, তার পিঠকে স্বীয় ডান হাত দিয়ে মাসাহ করেন। ফলে অনেক আদম সন্তান সৃষ্টি হয়। এরপর তিনি বলেনঃ আমি এদের জান্নাতে জন্য সৃষ্টি করেছি। এরা জান্নাতীদের ন্যায় আমল করবে। এরপর আল্লাহ তার হাত দিয়ে আদমের পিঠকে মাসাহ করেন। ফলে তার আরো সন্তান সৃষ্টি হয়। তিনি বলেনঃ আমি এদের জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তারা জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করবে।
তখন এক ব্যক্তি বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহলে আমলের প্রয়োজনীয়তা কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন কোন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাকে দিয়ে জান্নাতীদের আমল করিয়ে নেন। ফলে, সে ব্যক্তি জান্নাতীদের ন্যায় আমল করতে করতে মারা যায়। যদ্দরুন আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাকে দিয়ে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করান। ফলে সে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করতে করতে মারা যায়। যদ্দরুন আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।
إِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ
অর্থাৎ স্মরণ কর! তোমার রব আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন এবং তাদের নিজেদের সম্বন্ধে স্বীকারুক্তি গ্রহণ করেন এবং বলেনঃ আমি কি তোমাদের রব নই? তারা বলেঃ নিশ্চয়ই, আমরা সাক্ষী থাকলাম। (৭ঃ১৭২)
রাবী বলেনঃ কা’নবী এ আয়াত তিলাওয়াত করলে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে শুনি। জবাবে তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহ আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করার পর, তার পিঠকে স্বীয় ডান হাত দিয়ে মাসাহ করেন। ফলে অনেক আদম সন্তান সৃষ্টি হয়। এরপর তিনি বলেনঃ আমি এদের জান্নাতে জন্য সৃষ্টি করেছি। এরা জান্নাতীদের ন্যায় আমল করবে। এরপর আল্লাহ তার হাত দিয়ে আদমের পিঠকে মাসাহ করেন। ফলে তার আরো সন্তান সৃষ্টি হয়। তিনি বলেনঃ আমি এদের জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তারা জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করবে।
তখন এক ব্যক্তি বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহলে আমলের প্রয়োজনীয়তা কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন কোন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাকে দিয়ে জান্নাতীদের আমল করিয়ে নেন। ফলে, সে ব্যক্তি জান্নাতীদের ন্যায় আমল করতে করতে মারা যায়। যদ্দরুন আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাকে দিয়ে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করান। ফলে সে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করতে করতে মারা যায়। যদ্দরুন আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، أَنَّ عَبْدَ الْحَمِيدِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، أَخْبَرَهُ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الآيَةِ، ( وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ) قَالَ قَرَأَ الْقَعْنَبِيُّ الآيَةَ . فَقَالَ عُمَرُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ خَلَقَ آدَمَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلْجَنَّةِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلنَّارِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ " . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفِيمَ الْعَمَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَإِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ النَّارَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০৪
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩১. মুহাম্মাদ ইবনে মুসাফফা (রাহঃ) .... নু’আয়ম ইবনে রাবী’আ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর কাছে ছিলাম। এরপর তিনি এ হাদীস বর্ণনা করেন। রাবী মালিক (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসটি সম্পূর্ণ।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ جُعْثُمَ الْقُرَشِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثُ مَالِكٍ أَتَمُّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০৫
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩২. কা’নবী (রাহঃ) ...... উবাই্যা ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ খিযির (আলাইহিস সালাম) যে বালকটিকে হত্যা করেছিল, সে ছিল স্বভাবজাত কাফির। যদি সে জীবিত থাকতো, তবে সে তার মাতা-পিতার নাফরমানী করতো এবং তাদের কষ্ট দিত।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَقَبَةَ بْنِ مَصْقَلَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْغُلاَمُ الَّذِي قَتَلَهُ الْخَضِرُ طُبِعَ كَافِرًا وَلَوْ عَاشَ لأَرْهَقَ أَبَوَيْهِ طُغْيَانًا وَكُفْرًا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৬৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০৬
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩৩. মাহমুদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) ..... উবাই্যা ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ ঐ বালকটি (যাকে খিযির (আলাইহিস সালাম) হত্যা করেন), তার মাতা-পিতা মু’মিন ছিল। যে দিন সে পয়দা হয়, সে দিন সে কাফির অবস্থায় পয়দা হয়।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي قَوْلِهِ ( وَأَمَّا الْغُلاَمُ فَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ ) " وَكَانَ طُبِعَ يَوْمَ طُبِعَ كَافِرًا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৬৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০৭
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩৪. মুহাম্মাদ ইবনে মিহরান (রাহঃ) .... উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ খিযির (আলাইহিস সালাম) একটি বালককে কয়েকটি বালকের সাথে খেলতে দেখেন। তিনি তার ঘাড় মটকিয়ে দেন, (ফলে সে মারা যায়)। তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেনঃ আপনি একটি নিষ্পাপ জীবনকে হত্যা করলেন?
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْصَرَ الْخَضِرُ غُلاَمًا يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ فَتَنَاوَلَ رَأْسَهُ فَقَلَعَهُ فَقَالَ مُوسَى ( أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً ) " . الآيَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৬৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০৮
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩৫. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সত্যবাদী নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, তোমাদের কাউকে যখন সৃষ্টি করা হয়, তখন তাকে তার মায়ের গর্ভে বীর্যাকারে চল্লিশ দিন রাখা হয়, পরে তা রক্ত-পিণ্ডে পরিণত হয়, এরপর তা গোশত-পিণ্ডে পরিণত হয়। তারপর মহান আল্লাহ একজন ফিরিশতাকে তার কাছে পাঠান চারটি হুকুম সহ। সে ফিরিশতা তার রিযিক, তার হায়াত, তার আমল এবং সে নেক-বখত না বদ-বখত- তা লিপিবদ্ধ করে। এরপর সে জড় দেহে রূহ ফুঁকে দেয়া।
অনেক সময় তোমাদের কেউ জান্নাতীদের ন্যায় আমল করতে থাকে, এমন কি সে ব্যক্তি জান্নাতের মাঝে কেবলমাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে। এ সময় তার তাকদীর-তার উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং সে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল শুরু করে। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। পক্ষান্তরে অনেক সময় তোমাদের কেউ জাহান্নামীদের মত আমল করতে থাকে, এমন কি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে। এরপর তার তাকদীর- তার উপর প্রভাব বিস্তার করায় সে জান্নাতীদের ন্যায় আমল শুরু করে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে।
অনেক সময় তোমাদের কেউ জান্নাতীদের ন্যায় আমল করতে থাকে, এমন কি সে ব্যক্তি জান্নাতের মাঝে কেবলমাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে। এ সময় তার তাকদীর-তার উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং সে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল শুরু করে। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। পক্ষান্তরে অনেক সময় তোমাদের কেউ জাহান্নামীদের মত আমল করতে থাকে, এমন কি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে। এরপর তার তাকদীর- তার উপর প্রভাব বিস্তার করায় সে জান্নাতীদের ন্যায় আমল শুরু করে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ - عَنِ الأَعْمَشِ قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ " إِنَّ خَلْقَ أَحَدِكُمْ يُجْمَعُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يُبْعَثُ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ فَيُكْتَبُ رِزْقُهُ وَأَجَلُهُ وَعَمَلُهُ ثُمَّ يُكْتَبُ شَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ الرُّوحُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ أَوْ قِيدُ ذِرَاعٍ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ أَوْ قِيدُ ذِرَاعٍ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا " .
হাদীস নং:৪৬৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০৯
১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩৬. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর জ্ঞানে কি জান্নাতী ও জাহান্নামীরা আগে থেকেই পরিচিত? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। তখন সে ব্যক্তি বলেঃ তাহলে আমলকারীরা কোন আশায় আমল করবে? নবী (ﷺ) বলেনঃ আমল কর, যাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য সে কাজ সহজ করে দেয়া হয়।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، قَالَ حَدَّثَنَا مُطَرِّفٌ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعُلِمَ أَهْلُ الْجَنَّةِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ فَفِيمَ يَعْمَلُ الْعَامِلُونَ قَالَ " كُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান