কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৫৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৩২
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৬১. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি রাতে স্বপ্নে দেখি যে, এক টুকরা মেঘ, যা থেকে ঘি ও মধু বর্ষিত হচ্ছে। এরপর আমি দেখি যে, লোকেরা হাত বাড়িয়ে তা আহরণ করছে, কেউ বেশী আর কেউ কম। এরপর আমি আসমান থেকে যমীন পর্যন্ত একটা ঝুলন্ত রশি দেখতে পাই। আমি দেখি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি সে রশি ধরে উপরে উঠে গেলেন। তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি তা ধরে উপরে উঠে যায়। পরে আর এক ব্যক্তি তা ধরে উপরে চলে যায়। এরপর এক ব্যক্তি তা ধরলে, সেটি ছিড়ে যায়, পরে তা ঠিক হলে, তিনি তা ধরে উপরে গমন করে।

একথা শুনে আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আপনি আমাকে এ স্বপ্নের তা’বীর বর্ণনা করার অনুমতি দিন। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ আচ্ছা, তুমি এ স্বপ্নের তা’বীর বর্ণনা কর। আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ মেঘের টুকরা হলো দীন ইসলাম। আর যে ঘি ও মধু তা থেকে বর্ষিত হচ্ছে, তা হলো কুরআনের মিষ্টি-মধুর বচন এবং কম-বেশী সংগ্রহকারীর অর্থ হলো- কুরআনের ইলম কম-বেশী অর্জনকারী। আর আসমান ও যমীনের মাঝে ঝুলন্ত রশির অর্থ হলো ঐ সত্য দ্বীন, যার উপর আপনি প্রতিষ্ঠিত।

তারপর আল্লাহ আপনাকে উঠিয়ে নিলে, খিলাফতের ঐ দায়িত্ব আর এক ব্যক্তি গ্রহণ করবে, তাকেও উঠিয়ে নেয়া হবে। এরপর আর এক ব্যক্তি সে দায়িত্ব গ্রহণ করলে, তাকেও উঠিয়ে নেয়া হবে। পরে এক ব্যক্তি সে দায়িত্ব গ্রহণ করলে, রশি ছিড়ে যাবে, পরে তা মিলিত হবে এবং তাকেও উঠিয়ে নেয়া হবে। এরপর তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি বলুন, আমি স্বপ্নের তা’বীর কি সঠিকভাবে বর্ণনা করতে পেরেছি, না ভুল হয়েছে? তিনি বলেনঃ তুমি কিছু ঠিক এবং কিছু ভুল বর্ণনা দিয়েছ। তখন তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি শপথ দিয়ে বলছি, আমি যা ভুল করেছি, তা আমাকে বলে দিন। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি কসম খেয়ো না।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، - قَالَ مُحَمَّدٌ كَتَبْتُهُ مِنْ كِتَابِهِ - قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلاً أَتَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي أَرَى اللَّيْلَةَ ظُلَّةً يَنْطِفُ مِنْهَا السَّمْنُ وَالْعَسَلُ فَأَرَى النَّاسَ يَتَكَفَّفُونَ بِأَيْدِيهِمْ فَالْمُسْتَكْثِرُ وَالْمُسْتَقِلُّ وَأَرَى سَبَبًا وَاصِلاً مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ فَأَرَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخَذْتَ بِهِ فَعَلَوْتَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ آخَرُ فَعَلاَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ آخَرُ فَعَلاَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ آخَرُ فَانْقَطَعَ ثُمَّ وُصِلَ فَعَلاَ بِهِ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ بِأَبِي وَأُمِّي لَتَدَعَنِّي فَلأَعْبُرَنَّهَا . فَقَالَ " اعْبُرْهَا " . قَالَ أَمَّا الظُّلَّةُ فَظُلَّةُ الإِسْلاَمِ وَأَمَّا مَا يَنْطِفُ مِنَ السَّمْنِ وَالْعَسَلِ فَهُوَ الْقُرْآنُ لِينُهُ وَحَلاَوَتُهُ وَأَمَّا الْمُسْتَكْثِرُ وَالْمُسْتَقِلُّ فَهُوَ الْمُسْتَكْثِرُ مِنَ الْقُرْآنِ وَالْمُسْتَقِلُّ مِنْهُ وَأَمَّا السَّبَبُ الْوَاصِلُ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ فَهُوَ الْحَقُّ الَّذِي أَنْتَ عَلَيْهِ تَأْخُذُ بِهِ فَيُعْلِيكَ اللَّهُ ثُمَّ يَأْخُذُ بِهِ بَعْدَكَ رَجُلٌ فَيَعْلُو بِهِ ثُمَّ يَأْخُذُ بِهِ رَجُلٌ آخَرُ فَيَعْلُو بِهِ ثُمَّ يَأْخُذُ بِهِ رَجُلٌ آخَرُ فَيَنْقَطِعُ ثُمَّ يُوصَلُ لَهُ فَيَعْلُو بِهِ أَىْ رَسُولَ اللَّهِ لَتُحَدِّثَنِّي أَصَبْتُ أَمْ أَخْطَأْتُ . فَقَالَ " أَصَبْتَ بَعْضًا وَأَخْطَأْتَ بَعْضًا " . فَقَالَ أَقْسَمْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَتُحَدِّثَنِّي مَا الَّذِي أَخْطَأْتُ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُقْسِمْ " .
হাদীস নং:৪৫৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৩৩
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৬২. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ)-এর ক্রটি সম্পর্কে তাকে অবহিত করতে অস্বীকার করেন। হাদীসের এ অংশ উপরোক্ত ঘটনার অংশ।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَأَبَى أَنْ يُخْبِرَهُ .
হাদীস নং:৪৫৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৩৪
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৬৩. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) .... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নবী করীম (ﷺ) সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমাদের মধ্যে কে স্বপ্ন দেখেছে? তখন এক ব্যক্তি বলেঃ আমি স্বপ্নে দেখি যে, আসমান থেকে একটা দাঁড়ি-পাল্লা নাযিল হয়েছে, তাতে আপনাকে ও আবু বকর (রাযিঃ)-কে মাপা হলে, আপনার ওজন আবু বকর (রাযিঃ) থেকে অধিক হয়। এরপর উমর ও আবু বকর (রাযিঃ)-কে মাপা হলে, আবু বকর (রাযিঃ)-এর পাল্লা ভারী হয়। তারপর উমর ও উছমান (রাযিঃ)-কে মাপা হলে, উমর (রাযিঃ)-এর পাল্লা অধিক ওজন বিশিষ্ট হয়। এরপর সে দাঁড়ি-পাল্লা উপরে উঠে যায়। রাবী বলেনঃ এ বৃত্তান্ত শোনার পর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারায় অসন্তুষ্টির ছাপ দেখতে পাই।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا الأَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَاتَ يَوْمٍ " مَنْ رَأَى مِنْكُمْ رُؤْيَا " . فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا رَأَيْتُ كَأَنَّ مِيزَانًا نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ فَوُزِنْتَ أَنْتَ وَأَبُو بَكْرٍ فَرُجِحْتَ أَنْتَ بِأَبِي بَكْرٍ وَوُزِنَ عُمَرُ وَأَبُو بَكْرٍ فَرُجِحَ أَبُو بَكْرٍ وَوُزِنَ عُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرُجِحَ عُمَرُ ثُمَّ رُفِعَ الْمِيزَانُ فَرَأَيْنَا الْكَرَاهِيَةَ فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৩৫
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৬৪. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ...... আবু বাকরা (রাযিঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ একদা নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের মাঝে কে স্বপ্ন দেখেছে? এরপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ বর্ণনায় অসন্তুষ্টির কথা উল্লেখ নেই, বরং এরূপ উল্লেখ আছে যে, এ স্বপ্নকে তিনি ভাল মনে করেননি। নবী (ﷺ) বলেনঃ খিলাফত হবে নবুওয়াতের। এরপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করবেন, সুলতানাত (বাদশাহী) দান করবেন।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَاتَ يَوْمٍ " أَيُّكُمْ رَأَى رُؤْيَا " . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ وَلَمْ يَذْكُرِ الْكَرَاهِيَةَ . قَالَ فَاسْتَاءَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْنِي فَسَاءَهُ ذَلِكَ فَقَالَ " خِلاَفَةُ نُبُوَّةٍ ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ مَنْ يَشَاءُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৩৬
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৬৫. আমর ইবনে উছমান (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আজকের রাতে একজন নেক-বখত লোককে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে যে, আবু বকর (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে; আর উমর (রাযিঃ)-কে আবু বকর (রাযিঃ)-এর সংযুক্ত করা হয়েছে এবং উছমান (রাযিঃ)-কে উমর (রাযিঃ)-এর সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রাবী জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ যখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট থেকে গমন করি, তখন আমার মনে এরূপ উদয় হয় যে, নেককার ব্যক্তি হলেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আর একজন অপর জনের সাথে সংযুক্ত হওয়ার অর্থ হলোঃ তাঁরা নবী (ﷺ) ঐ কাজের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যে জন্য আল্লাহ তাআলা তাঁর নবীকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُرِيَ اللَّيْلَةَ رَجُلٌ صَالِحٌ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ نِيطَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنِيطَ عُمَرُ بِأَبِي بَكْرٍ وَنِيطَ عُثْمَانُ بِعُمَرَ " . قَالَ جَابِرٌ فَلَمَّا قُمْنَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا أَمَّا الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَّا تَنَوُّطُ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ فَهُمْ وُلاَةُ هَذَا الأَمْرِ الَّذِي بَعَثَ اللَّهُ بِهِ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ يُونُسُ وَشُعَيْبٌ لَمْ يَذْكُرَا عَمْرًا .
হাদীস নং:৪৫৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৩৭
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৬৬. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) .... সামুরা ইবনে জুনদুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি এরূপ বর্ণনা করেন যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি (স্বপ্নে) দেখেছি যে, আসমান থেকে একটা বালতি ঝুলানো হয়েছে। আবু বকর (রাযিঃ) এসে তার দু’পাশ ধরে সামন্য পানি পান করেন। এরপর উমর (রাযিঃ) এসে তার দু’পাশ ধরে তৃপ্তির সাথে পানি পান করেন। তারপর উছমান (রাযিঃ) এসে তার দু’পাশ ধরে পরিতৃপ্তির সাথে পানি পান করেন। এরপর আলী (রাযিঃ) এসে সে বালতির দু’পাশ ধরে উপুড় করলে, তা থেকে কিছু পানি তাঁর শরীরে গিয়ে পড়ে।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنِي عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ دَلْوًا دُلِّيَ مِنَ السَّمَاءِ فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَأَخَذَ بِعَرَاقِيهَا فَشَرِبَ شُرْبًا ضَعِيفًا ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَأَخَذَ بِعَرَاقِيهَا فَشَرِبَ حَتَّى تَضَلَّعَ ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَأَخَذَ بِعَرَاقِيهَا فَشَرِبَ حَتَّى تَضَلَّعَ ثُمَّ جَاءَ عَلِيٌّ فَأَخَذَ بِعَرَاقِيهَا فَانْتَشَطَتْ وَانْتَضَحَ عَلَيْهِ مِنْهَا شَىْءٌ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৩৮
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৬৭. আলী ইবনে সাহল (রাহঃ) .... মাকহূল (রাহঃ) বলেনঃ রোমের লোকেরা শামে চল্লিশ দিন থাকবে। দামিশক ও আম্মান ছাড়া কোন শহর তাদের হাত থেকে রেহাই পাবে না।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ مَكْحُولٍ، قَالَ لَتَمْخُرَنَّ الرُّومُ الشَّامَ أَرْبَعِينَ صَبَاحًا لاَ يَمْتَنِعُ مِنْهَا إِلاَّ دِمَشْقُ وَعَمَّانُ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৩৯
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৬৮. মুসা ইবনে আমির (রাহঃ) .... আব্দুর রহমান ইবনে সুলাইমান (রাযিঃ) বলেনঃ আজমী বাদশাহদের থেকে একজন বাদশাহ অচিরেই বের হবেন, যিনি দামিশক ছাড়া আর সব শহর দখল করবেন।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَامِرٍ الْمُرِّيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الأَعْيَسِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَلْمَانَ، يَقُولُ سَيَأْتِي مَلِكٌ مِنْ مُلُوكِ الْعَجَمِ يَظْهَرُ عَلَى الْمَدَائِنِ كُلِّهَا إِلاَّ دِمَشْقَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪০
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৬৯. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... মাকহূল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যুদ্ধের সময় মুসলমানদের তাঁবু একস্থানে অবস্থিত থাকবে, যাকে ’গুতা’ বলা হয়। (এটি শাম দেশে, দামিশকের কাছে অবস্থিত একটা স্থানের নাম।)
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا بُرْدٌ أَبُو الْعَلاَءِ، عَنْ مَكْحُولٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَوْضِعُ فُسْطَاطِ الْمُسْلِمِينَ فِي الْمَلاَحِمِ أَرْضٌ يُقَالُ لَهَا الْغُوطَةُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪১
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭০. আবু জা’ফর (রাহঃ) ..... আওফ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ-কে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ উছমান (রাযিঃ)-এর মর্যাদা আল্লাহর কাছে ঈসা ইবনে মারয়াম (আলাইহিস সালাম)-এর মত। এরপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেনঃ যখন আল্লাহ বলেনঃ হে ঈসা! আমি তোমাকে (পরে) মৃত্যুদান করবো, আর (এখন) তোমাকে কাফিরদের থেকে। আর তোমার অনুসারীদের বিজয়ী করবো কাফিরদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত। এ সময় হাজ্জাজ তার হাত দিয়ে আমাদের দিকে ইশারা করেন এবং শামের অধিবাসীদের উপর।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو ظَفَرٍ عَبْدُ السَّلاَمِ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ عَوْفٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ، يَخْطُبُ وَهُوَ يَقُولُ إِنَّ مَثَلَ عُثْمَانَ عِنْدَ اللَّهِ كَمَثَلِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ثُمَّ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ يَقْرَؤُهَا وَيَفُسِّرُهَا ( إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَىَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا ) يُشِيرُ إِلَيْنَا بِيَدِهِ وَإِلَى أَهْلِ الشَّامِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪২
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭১. ইসহাক ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... দাবী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি হাজ্জাজ-কে খুতবা দিতে শুনি। আর তিনি তার খুতবায় বলেনঃ তোমাদের মধ্যে প্রেরিত কোন রাসূল শ্রেষ্ঠ অথবা সে, যে তার আহলের মধ্যে খলীফা?

রাবী বলেনঃ তখন আমি মনে মনে বলিঃ এখন আল্লাহর হক আমার উপর এই যে, আমি তোমার পেছনে আর কখনো নামায আদায় করবো না। আর আমি যদি এমন কোন কওম পাই, যারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, তবে অবশ্যই আমি তাদের সাথী হয়ে তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো।

রাবী ইসহাক (রাহঃ) তার হাদীসে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ’জামাজিম’ নামক স্থানে (তার বিরুদ্ধে জিহাদ করে) শহীদ হন।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ خَالِدٍ الضَّبِّيِّ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ، يَخْطُبُ فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ رَسُولُ أَحَدِكُمْ فِي حَاجَتِهِ أَكْرَمُ عَلَيْهِ أَمْ خَلِيفَتُهُ فِي أَهْلِهِ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي لِلَّهِ عَلَىَّ أَلاَّ أُصَلِّيَ خَلْفَكَ صَلاَةً أَبَدًا وَإِنْ وَجَدْتُ قَوْمًا يُجَاهِدُونَكَ لأُجَاهِدَنَّكَ مَعَهُمْ . زَادَ إِسْحَاقُ فِي حَدِيثِهِ قَالَ فَقَاتَلَ فِي الْجَمَاجِمِ حَتَّى قُتِلَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪৩
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭২. মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) .... আসিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি হাজ্জাজকে মিম্বর থেকে খুতবা দেয়ার সময় বলতে শুনিঃ তোমরা আল্লাহকে যথা সম্ভব ভয় কর, এতে কোন শর্ত নেই। এ ভাবেই শোন এবং অনুসরণ কর শর্তহীনভাবে মু’মিনদের আমীর আব্দুল মালিকের। আল্লাহর শপথ! আমি যদি লোকদের নির্দেশ দেই মসজিদের এ দরজা দিয়ে বের হওয়ার, আর তারা অন্য দরজা দিয়ে বের হয়, তবে তাদের রক্ত ও মাল আমার জন্য হালাল হয়ে যাবে।

আল্লাহর শপথ! যদি আমি ’মুদার’ গোত্রের অপরাধে ’রাবীআ’ গোত্রেকে পাঁকড়াও করি, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা আমার জন্য হালাল। আমার কাছে আব্দে হুযায়লের পক্ষ থেকে ওযর পেশ করবে, যে মনে করে, আমি যে ভাবে কুরআন তিলাওয়াত করি, তা আল্লাহর থেকে? আল্লাহর শপথ! তা তো একটা গীত মাত্র, আরবদের সঙ্গীত থেকে। আল্লাহ তা তাঁর নবীর উপর নাযিল করেননি।

আমার কাছে ঐ আজমী লোকদের পক্ষ থেকে ওযর পেশ করবে, তারা তো পাথর নিক্ষেপ করে অর্থাৎ ফিতনা-ফ্যাসাদের কথা সৃষ্টি করে এবং বলেঃ দেখ! এ পাথর কোন পর্যন্ত যায়। আল্লাহর শপথ! আমি তাদের গত দিনের মত নাস্তানাবুদ করে দেব। রাবী বলেনঃ আমি এ কথাগুলো আমাশ (রাহঃ)-এর কাছে বর্ণনা করলে, তিনি বলেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি হাজ্জাজ থেকে এরূপ শুনেছি!
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ، وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ اتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ لَيْسَ فِيهَا مَثْنَوِيَّةٌ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا لَيْسَ فِيهَا مَثْنَوِيَّةٌ لأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدِ الْمَلِكِ وَاللَّهِ لَوْ أَمَرْتُ النَّاسَ أَنْ يَخْرُجُوا مِنْ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ فَخَرَجُوا مِنْ بَابٍ آخَرَ لَحَلَّتْ لِي دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ وَاللَّهِ لَوْ أَخَذْتُ رَبِيعَةَ بِمُضَرَ لَكَانَ ذَلِكَ لِي مِنَ اللَّهِ حَلاَلاً وَيَا عَذِيرِي مِنْ عَبْدِ هُذَيْلٍ يَزْعُمُ أَنَّ قِرَاءَتَهُ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا هِيَ إِلاَّ رَجَزٌ مِنْ رَجَزِ الأَعْرَابِ مَا أَنْزَلَهَا اللَّهُ عَلَى نَبِيِّهِ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَعَذِيرِي مِنْ هَذِهِ الْحَمْرَاءِ يَزْعُمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَرْمِي بِالْحَجَرِ فَيَقُولُ إِلَى أَنْ يَقَعَ الْحَجَرُ قَدْ حَدَثَ أَمْرٌ فَوَاللَّهِ لأَدَعَنَّهُمْ كَالأَمْسِ الدَّابِرِ . قَالَ فَذَكَرْتُهُ لِلأَعْمَشِ فَقَالَ أَنَا وَاللَّهِ سَمِعْتُهُ مِنْهُ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪৪
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭৩. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) .... আমাশ (রাহঃ) বলেনঃ আমি হাজ্জাজকে মিম্বর থেকে এরূপ বলতে শুনেছি যে, আজমী লোকেরা কাঁটার মত। আল্লাহর শপথ! যদি আমি কাঠকে কাঠের উপর আঘাত করি, তবে তাকে এ ভাবে নাস্তানাবুদ করে দেব, যেমন গত কাল চলে গেছে!
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ، يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ هَذِهِ الْحَمْرَاءُ هَبْرٌ هَبْرٌ أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ قَرَعْتُ عَصًا بِعَصًا لأَذَرَنَّهُمْ كَالأَمْسِ الذَّاهِبِ يَعْنِي الْمَوَالِي .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪৫
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭৪. কুতন ইবনে নুসায়র (রাহঃ) .... আমাশ (রাহঃ) বলেনঃ আমি হাজ্জাজের সাথে জুমআর নামায আদায় করি। তিনি খুতবা দেন। এরপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। হাজ্জাজ এ খুতবায় বলেনঃ তোমরা অনুসরণ কর আল্লাহর খলীফা এবং তাঁর মনোনীত বান্দা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের, এ ভাবেই হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا قَطَنُ بْنُ نُسَيْرٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ، ح حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ، قَالَ جَمَّعْتُ مَعَ الْحَجَّاجِ فَخَطَبَ فَذَكَرَ حَدِيثَ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ قَالَ فِيهَا فَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا لِخَلِيفَةِ اللَّهِ وَصَفِيِّهِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَسَاقَ الْحَدِيثَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪৬ - ৪৬৪৭
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭৫. সওয়ার ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... সাফীনা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নবুওয়াতের খিলাফত এর সময়কাল হলো ত্রিশ বছর। এরপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা বাদশাহী দান করবেন।

রাবী সাঈদ (রাহঃ) বলেনঃ সাফীনা (রাযিঃ) আমাকে বলেনঃ তুমি হিসাব কর। আবু বকর (রাযিঃ)-এর শাসনকাল হবে দু’ বছর, উমর (রাযিঃ)-এর দশ বছর, উছমান (রাযিঃ)-এর বার বছর এবং আলী (রাযিঃ)-এর অর্থাৎ ছ’বছর।

রাবী সাঈদ বলেনঃ তখন আমি সাফীনা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি যে, বনু-মারওয়ান এরূপ ধারণা করে যে, আলী (রাযিঃ) খলীফাদের অন্তর্ভুক্ত নন। তিনি বলেনঃ বনু-মারওয়ানরা মিথ্যা বলেছে।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا سَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خِلاَفَةُ النُّبُوَّةِ ثَلاَثُونَ سَنَةً ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ - أَوْ مُلْكَهُ - مَنْ يَشَاءُ " . قَالَ سَعِيدٌ قَالَ لِي سَفِينَةُ أَمْسِكْ عَلَيْكَ أَبَا بَكْرٍ سَنَتَيْنِ وَعُمَرَ عَشْرًا وَعُثْمَانَ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ وَعَلِيٌّ كَذَا . قَالَ سَعِيدٌ قُلْتُ لِسَفِينَةَ إِنَّ هَؤُلاَءِ يَزْعُمُونَ أَنَّ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلاَمُ لَمْ يَكُنْ بِخَلِيفَةٍ . قَالَ كَذَبَتْ أَسْتَاهُ بَنِي الزَّرْقَاءِ يَعْنِي بَنِي مَرْوَانَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪৮
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭৬. মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে জালিম মাযিনী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি সাঈদ ইবনে যায়দ ইবনে আমর ইবনে নুফায়ল (রাযিঃ) থেকে শ্রবণ করেছি যে, যখন অমুক ব্যক্তি কূফায় এসে অমুক ব্যক্তিকে খুতবা দেওয়ার জন্য দাঁড় করিয়ে দেয়, তখন সাঈদ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) আমার হাত ধরে বলেনঃ তুমি কি ঐ জালিম ব্যক্তিকে দেখছো না; আমি নয়জন ব্যক্তি সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তারা জান্নাতী। আর আমি যদি দশম ব্যক্তি সম্পর্কেও সাক্ষ্য দেই, তবুও আমি গুনাহগার হবো না।

এ কথা শুনে আমি জিজ্ঞাসা করিঃ ঐ নয় ব্যক্তি কারা? তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হিরা পর্বতের উপর উঠলে, তা কাঁপতে থাকে। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ ওহে হিরা! তুমি স্থির হও। আমি আবার প্রশ্ন করিঃ ঐ নয় ব্যক্তি কে কে? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তারা হলোঃ ১। আবু বকর (রাযিঃ) ২। উমর (রাযিঃ) ৩। উছমান (রাযিঃ) ৪। আলী (রাযিঃ) ৫। তালহা (রাযিঃ) ৬। যুবাইর (রাযিঃ) ৭। সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) ৮। আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) ৯। এরপর আমি জিজ্ঞাসা করিঃ দশম ব্যক্তিটি কে? তিনি কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলেনঃ আমি নিজে।*

* এখানে আটজন সাহাবীর নাম উল্লেখের পর দশম সাহাবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নবম সাহাবীর নাম উল্লেখ নেই। তিনি হলেন- সা'দ ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ)। -অনুবাদক
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، عَنِ ابْنِ إِدْرِيسَ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ظَالِمٍ، وَسُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ظَالِمٍ الْمَازِنِيِّ، قَالَ ذَكَرَ سُفْيَانُ رَجُلاً فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ظَالِمٍ الْمَازِنِيِّ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ قَالَ لَمَّا قَدِمَ فُلاَنٌ الْكُوفَةَ أَقَامَ فُلاَنٌ خَطِيبًا فَأَخَذَ بِيَدِي سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ فَقَالَ أَلاَ تَرَى إِلَى هَذَا الظَّالِمِ فَأَشْهَدُ عَلَى التِّسْعَةِ إِنَّهُمْ فِي الْجَنَّةِ وَلَوْ شَهِدْتُ عَلَى الْعَاشِرِ لَمْ إِيثَمْ - قَالَ ابْنُ إِدْرِيسَ وَالْعَرَبُ تَقُولُ آثَمْ - قُلْتُ وَمَنِ التِّسْعَةُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى حِرَاءٍ " اثْبُتْ حِرَاءُ إِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْكَ إِلاَّ نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ " . قُلْتُ وَمَنِ التِّسْعَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ . قُلْتُ وَمَنِ الْعَاشِرُ فَتَلَكَّأَ هُنَيَّةً ثُمَّ قَالَ أَنَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الأَشْجَعِيُّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنِ ابْنِ حَيَّانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ظَالِمٍ بِإِسْنَادِهِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪৯
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭৭. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) .... আব্দুর রহমান ইবনে আখনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা তিনি মসজিদে অবস্থানকালে এক ব্যক্তি আলী (রাযিঃ) সম্পর্কে আলোচনা করলে, সাঈদ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বলেনঃ আমি এরূপ সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, দশ ব্যক্তি বিনা হিসাবে বেহেশতে যাবে। তাঁরা হলেনঃ ১। নবী করীম (ﷺ) জান্নাতে যাবেন, ২। আবু বকর (রাযিঃ) জান্নাতী, ৩। উমর (রাযিঃ) জান্নাতী, ৪। উছমান (রাযিঃ) জান্নাতী, ৫। আলী (রাযিঃ) জান্নাতী, ৬। তালহা (রাযিঃ) জান্নাতী, ৭। যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ) জান্নাতী ৮। সা’দ ইবনে মালিক (রাযিঃ) জান্নাতী, ৯। আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) জান্নাতী।

তিনি বলেনঃ আমি ইচ্ছা করলে দশম ব্যক্তির নামও বলতে পারি। তখন লেকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করেঃ সে লোকটি কে? তিনি কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলেনঃ তিনি হলেন সাঈদ ইবনে যায়দ (রাযিঃ), অর্থাৎ তিনি নিজে।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحُرِّ بْنِ الصَّيَّاحِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَخْنَسِ، أَنَّهُ كَانَ فِي الْمَسْجِدِ فَذَكَرَ رَجُلٌ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَامَ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ فَقَالَ أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِّي سَمِعْتُهُ وَهُوَ يَقُولُ " عَشْرَةٌ فِي الْجَنَّةِ النَّبِيُّ فِي الْجَنَّةِ وَأَبُو بَكْرٍ فِي الْجَنَّةِ وَعُمَرُ فِي الْجَنَّةِ وَعُثْمَانُ فِي الْجَنَّةِ وَعَلِيٌّ فِي الْجَنَّةِ وَطَلْحَةُ فِي الْجَنَّةِ وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ فِي الْجَنَّةِ وَسَعْدُ بْنُ مَالِكٍ فِي الْجَنَّةِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فِي الْجَنَّةِ " . وَلَوْ شِئْتَ لَسَمَّيْتُ الْعَاشِرَ . قَالَ فَقَالُوا مَنْ هُوَ فَسَكَتَ قَالَ فَقَالُوا مَنْ هُوَ فَقَالَ هُوَ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৫০
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭৮. আবু কামিল (রাহঃ) ..... রাবাহ ইবনে হারিছ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি কূফার মসজিদে অমুক ব্যক্তির পাশে বসা ছিলাম। এ সময় কূফার লোকেরা তার কাছে উপস্থিত হয়। এ সময় সেখানে সাঈদ ইবনে যায়দ ইবনে আমর ইবনে নুফায়ল (রাযিঃ) আসলে, মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) তাকে অভ্যর্থনা জানান এবং সালাম বিনিময়ের পর তাঁকে তিনি তার পায়ের নিকটবর্তী আসনে বসান। এরপর সেখানে কায়স ইবনে আলকামা (রাহঃ) নামক কূফার একজন অধিবাসী আসেন। মুগীরা (রাযিঃ) তাকেও অভ্যর্থনা জানান। তখন সে ব্যক্তি আলী (রাযিঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করলে, সাঈদ (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করেনঃ এ ব্যক্তি কার সম্পর্কে কটুক্তি করছে? তখন মুগীরা (রাযিঃ) বলেনঃ আলী (রাযিঃ) সম্পর্কে।

এ সময় সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি আপনার কাছে এমন কিছু লোককে দেখতে পাচ্ছি, যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে মন্দ বলছে! অথচ আপনি তাদের তা থেকে নিষেধ করছেন না এবং বিরত থাকতেও বলছেন না। এরপর তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছি!

রাবী বলেনঃ এ ব্যাপারে আমার কোন প্রয়োজন নেই, তবে আমি আপনার ব্যাপারে এমন কিছু বলবো, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেননি। যে কারণে তিনি কিয়ামতের দিন আমাকে পাঁকড়াও করবেন, যখন তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হবে। তিনি বলেনঃ আবু বকর জান্নাতী, উমর জান্নাতী।

তারপর রাবী পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ সাহাবীগণের মাঝে যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সোহবত লাভ করেছেন এবং এজন্য তাদের মুখ মগুলে ধূলাবালি নিক্ষিপ্ত হয়েছে, তারা তোমাদের মধ্যকার ঐ ব্যক্তির চাইতে উত্তম, যে নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর হায়াত কালের সমান নেক আমল করে।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْمُثَنَّى النَّخَعِيُّ، حَدَّثَنِي جَدِّي، رِيَاحُ بْنُ الْحَارِثِ قَالَ كُنْتُ قَاعِدًا عِنْدَ فُلاَنٍ فِي مَسْجِدِ الْكُوفَةِ وَعِنْدَهُ أَهْلُ الْكُوفَةِ فَجَاءَ سَعِيدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ فَرَحَّبَ بِهِ وَحَيَّاهُ وَأَقْعَدَهُ عِنْدَ رِجْلِهِ عَلَى السَّرِيرِ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ يُقَالُ لَهُ قَيْسُ بْنُ عَلْقَمَةَ فَاسْتَقْبَلَهُ فَسَبَّ وَسَبَّ فَقَالَ سَعِيدٌ مَنْ يَسُبُّ هَذَا الرَّجُلُ قَالَ يَسُبُّ عَلِيًّا . قَالَ أَلاَ أَرَى أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَبُّونَ عِنْدَكَ ثُمَّ لاَ تُنْكِرُ وَلاَ تُغَيِّرُ أَنَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَإِنِّي لَغَنِيٌّ أَنْ أَقُولَ عَلَيْهِ مَا لَمْ يَقُلْ فَيَسْأَلُنِي عَنْهُ غَدًا إِذَا لَقِيتُهُ " أَبُو بَكْرٍ فِي الْجَنَّةِ وَعُمَرُ فِي الْجَنَّةِ " . وَسَاقَ مَعْنَاهُ ثُمَّ قَالَ لَمَشْهَدُ رَجُلٍ مِنْهُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْبَرُّ فِيهِ وَجْهُهُ خَيْرٌ مِنْ عَمَلِ أَحَدِكُمْ عُمْرَهُ وَلَوْ عُمِّرَ عُمْرَ نُوحٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৫১
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭৯. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নবী করীম (ﷺ) উহুদ পাহাড়ের উপর আরোহণ করেন এবং সে সময় তাঁর সাথে আবু বকর, উমর ও উছমান (রাযিঃ) ছিলেন। এ সময় পাহাড় কাঁপতে থাকলে, নবী (ﷺ) তাকে পদাঘাত করে বলেনঃ তুমি স্থির হও। তোমার উপর নবী, সিদ্দীক ও দু’জন শহীদ রয়েছে।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَعِدَ أُحُدًا فَتَبِعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرَجَفَ بِهِمْ فَضَرَبَهُ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرِجْلِهِ وَقَالَ " اثْبُتْ أُحُدُ نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৫৩
৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৮০. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যারা রিদওয়ান বৃক্ষের নীচে বায়’আত গ্রহণ করেছে, তাদের কেউ জাহান্নামে যাবে না।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الرَّمْلِيُّ، أَنَّ اللَّيْثَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لاَ يَدْخُلُ النَّارَ أَحَدٌ مِمَّنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ " .